ইনসাইড বাংলাদেশ

রাস্তাতেই যাদের ইফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:১৬ পিএম, ১৯ মে, ২০১৮


Thumbnail

সূর্যটা তখনও পশ্চিম আকাশে ডুবে নাই। মাগরিবের আজান হতে সামান্য কিছু সময় বাকি আছে। রাজধানীর অধিকাংশ মানুষ যখন ব্যস্ত হয়ে ছুটছে পরিবারের লোকজনের সাথে ইফতার করতে। ঠিক এমন সময়েই কিছু মানুষ রাস্তার পাশে ফুটপাতে অথবা খোলা জায়গায় বসে পড়েন সারাদিনের রোজা শেষে ইফতার করতে। 

খেটে খাওয়া মানুষগুলো ফুটপাতে বসে সামান্য সঞ্চয় থেকে কেনা ছোলা মুড়ি দিয়ে ইফতার করেন। আবার কেউ কেউ কোন মসজিদ, মাদ্রাসা থেকে পাওয়া খাবার দিয়ে ইফতার করেন। তাঁদের ইফতারের আয়োজন খুব সামান্য হলেও, তৃপ্তি ও শুকরিয়া আদায়ের কোনো ঘাটতি দেখা যায় না।

প্রতিদিন ইফতারের আগ মুহূর্তে ঢাকার মূল কিছু কিছু সড়ক ছাড়া প্রায় রাস্তাঘাট ফাঁকা হয়ে যায়। চারদিকে তখন তৈরি হয় এক ধরণের নীরবতা। লোকজনও রাস্তায় খুব একটা দেখা যায় না। ছিন্নমূল কিছু মানুষ, কাজের সন্ধানে বাইরে থাকা রিকশাওয়ালা, সিএনজি ও বাস চালকরা থাকে রাস্তায়। ইফতারের সময় হলে পথের পাশেই তাদেরকে ইফতার করতে দেখা যায়।

ধানমন্ডি তাকওয়া মসজিদের রাস্তার পাশেই ইফতার করতে দেখা যায় আহমেদ নামের মধ্যবয়সী এক ব্যক্তিকে। কাছে গিয়ে, কি করেন জানতে চাইলে বলেন, রিক্সা চালাই। তবে এক্সিডেন্ট করার পর হাঁটুতে মাঝে মাঝে অনেক ব্যথা করে তখন রিক্সা চালাইতে পারি না। আহমেদের বাড়ি রাজবাড়ি জেলার, পাচুরিয়ার নবগ্রাম গ্রামে। রাস্তার পাশে ইফতার করার কারণ জানতে চাইলে বলে, ইফতারের অনেক দাম কিনতে পারি না তাই এই মসজিদের দেওয়া ইফতার দিয়ে রোজা ভাঙ্গি।

একই স্থানে রাস্তার পাশে বসে ইফতার করছিলেন আরও কয়েকজন বৃদ্ধ মানুষ। তাঁদের একজনের সাথে কথা বলে জানা যায় তার নাম ইউসুফ আলি। ইউসুফ আলির বয়স ৭০ বছর। বাড়ি দুর্গাপুরে। ঢাকায় সে একাই থাকে। তার দুই সন্তান যদিও তাঁরা কেউ বাবার খোঁজ খবর নেয়না। কোন ধরনের সহযোগিতাও করে না বাবাকে। ইউসুফ আলি আগে কাঠ কাটতো তবে এখন বয়স ও শারীরিক অসুস্থতার কারণে কোন কাজ করতে পারে না। মানুষের কাছে থেকে পাওয়া খাবার ও টাকা-পয়সা দিয়েই চলে তার জীবন।

ধানমন্ডি তাকওয়া মসজিদ থেকে একটু দূরে রিক্সার উপর বসে ছোলা-মুড়ি দিয়ে ইফতার করছিলেন মোহাম্মদ গাজী নামের এক রিক্সাচালক। গাজীর বাড়ি জামালপুরের মেলান্দহে। ঢাকায় ৩০ বছর ধরে সে রিক্সা চালায়। ঢাকায় থাকেন মোহাম্মদপুরে তিন হাজার টাকার ভাড়া বাসায়। বাসায় আছে তার স্ত্রী এক ছেলে এবং মেয়ে। রাস্তার পাশে একা একা ইফতার করতে কেমন লাগে জানতে চাইলে তিনি জানান, ভালতো লাগে না তয় উপায় নাই, কি করবো কন? আমার ছেলে মেয়ে দুইজন লেখাপড়া করে। অনেক খরচ লাগে সামলাইতে পারি না। রিক্সা চালাইতে চালাইতে যেইহানে সময় হয় সেইহানেই ইফতার করি। বাড়ি যাওনের টাইম নাই।

রোজার মূলমন্ত্রই যেখানে ধনী-গরিবের বৈষম্য, ব্যবধান ও ভেদাভেদ কমানো কিন্তু ইফতারের আয়োজন দেখেই বোঝা যায় আমাদের সমাজব্যবস্থায় ব্যবধান কতটা প্রকট। সাধ থাকলেও সামর্থ্য না থাকায় গরীব ও দরিদ্রদের কপালে জোটে না নামীদামী লোভনীয় কোন ইফতার। তাঁদের নির্ভর করতে হয় ফুটপাতের ছোলা মুড়ির উপরেই।  

বাংলা ইনসাইডার/আরকে



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

পাবনায় অগ্রণী ব্যাংকের ভল্ট থেকে ১০ কোটি টাকা উধাও, গ্রেপ্তার ৩

প্রকাশ: ১০:৩০ এএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

পাবনার সাঁথিয়ায় অগ্রণী ব্যাংক কাশিনাথপুর শাখার ভল্ট থেকে ১০ কোটি ১৩ লাখ ৬২ হাজার ৩৭৮ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই ব্যাংকের প্রধান তিন কর্মকর্তাকে আটক করেছে পুলিশ।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরের দিকে অগ্রণী ব্যাংক কাশিনাথপুর শাখা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। দিনভর নানা তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাতে তাদের সাঁথিয়া থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।

আটককৃতরা হলেন, সাঁথিয়া উপজেলার কাশিনাথপুর এলাকার মৃত জান বক্সের ছেলে ও অগ্রণী ব্যাংক কাশিনাথপুর শাখার প্রিন্সিপ্যাল অফিসার আবু জাফর, ওই ব্যাংকের ব্যবস্থাপক সুজানগর দুর্গাপুর গ্রামের হারুন বিন সালাম ও ব্যাংকের ক্যাশিয়ার সুব্রত চক্রবর্তী বেড়া উপজেলার নতুন ভারেঙ্গা গ্রামের মৃত শুশীল চক্রবর্তীর ছেলে। টাকা আত্মসাতের কথা স্বীকার করেছেন ওই শাখার ক্যাশিয়ার সুব্রত চক্রবর্তী।

সাঁথিয়া থানা ও অগ্রণী ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে অগ্রণী ব্যাংক রাজশাহী বিভাগীয় ও পাবনা আঞ্চলিক শাখা থেকে ৫ কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে আকস্মিক অডিটে আসেন অগ্রণী ব্যাংক কাশিনাথপুর শাখায়। অডিট শেষে সেখানে ১০ কোটি ১৩ লাখ ৬২ হাজার ৩৭৮ টাকা আর্থিক অনিয়ম দেখতে পান। পরে ওই অডিট কর্মকর্তা সাঁথিয়া থানাকে অবহিত করলে পুলিশ অভিযুক্ত ওই তিনজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় অগ্রণী ব্যাংক পাবনা আঞ্চলিক শাখার উপমহাব্যবস্থাপক রেজাউল শরীফ বাদী হয়ে সাঁথিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে বিভাগীয় অফিস থেকে ৫ সদস্যের অডিট টিম ব্যাংকে অডিট শুরু করেন। সেখানে দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ করে তাদের কাছ থেকে নানা তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেন পুলিশসহ অডিট কর্মকর্তারা। পরে রাতে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সাঁথিয়া থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, আটককৃতদের ৫৪ ধারা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার আদালতে প্রেরণ করা হবে। অর্থ আত্মসাৎ ও অন্যান্য বিষয়গুলো দুদক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।


অগ্রণী ব্যাংক   গ্রেপ্তার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শেরপুরে বন্যহাতির আক্রমণে কৃষকের মৃত্যু

প্রকাশ: ০৯:২২ এএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় বোরো ধানক্ষেত পাহারা দিতে গিয়ে বন্যহাতির আক্রমণে ওমর আলী ওরফে ওমর মিস্ত্রি (৫৫) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে উপজেলার পাহাড়ি গ্রাম বাতকুচি টিলাপাড়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ওমর ওই গ্রামের বাসিন্দা।

স্থানীয় সূত্র জানায়, অন্যান্য দিনের মতো ওমর রাতে তার উঠতি বোরো ধানক্ষেত পাহারা দিতে যান। তবে অন্যান্য রাতে আশপাশে স্থানীয় অনেক কৃষক থাকলেও বৃহস্পতিবার রাতে তিনি একাই পাহাড়ের ভেতরে ধানক্ষেতে অবস্থান করছিলেন। রাত সাড়ে ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে একদল বন্যহাতি পাহাড় থেকে নেমে এসে ওমরের ওপর আক্রমণ চালায়।

এসময় তাকে শুঁড়ে পেঁচিয়ে আছাড় মেরে ও পায়ে পিষ্ট করে হত্যা করে হাতির দল। কিছুক্ষণ পর এলাকাবাসী ওমরকে দেখতে না পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন।

এদিকে খবর পেয়ে বন বিভাগের লোকজন ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টরা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান। ইউপি চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  


বন্যহাতি   কৃষক   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চাঁদপুর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ০৮:৩৮ এএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সাজাপ্রাপ্ত মামলার আসামি চাঁদপুর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মাসুদুল ইসলামকে (৩৭) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মাসুদুল ইসলাম কচুয়া উপজেলার বিতারা গ্রামের মৃত সরাফত আলীর ছেলে।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাতে চাঁদপুর জেলা পুলিশের মিডিয়া সেল থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কচুয়া থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাকে নিজ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে।

কচুয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, মাসুদুল ইসলামের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানার জিআর মামলায় ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। গ্রেপ্তার আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।


জামায়াত   সেক্রেটারি   গ্রেপ্তার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

থাইল্যান্ডের রাজা-রাণীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ

প্রকাশ: ০৮:২২ এএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন ফ্রা ভাজিরা-ক্লাওচা-উয়ুয়া এবং রানি সুথিদা বজ্রসুধা-বিমলা-লক্ষণের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে দুসিত প্রাসাদের অ্যামফোর্ন সাথার্ন থ্রোন হলে রাজা ও রানির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং জানায়, সাক্ষাৎকালে তারা কুশল বিনিময় করেন এবং দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

এর আগে, এদিন সকালে জাতিসংঘের এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসক্যাপ) ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে ছয়দিনের সরকারি সফরে থাইল্যান্ডে যান। ২৪ থেকে ২৯ এপ্রিল সফরকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করবেন।

বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড দুই দেশের মধ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির জন্য আলোচনার আগ্রহপত্রসহ বেশ কয়েকটি সহযোগিতার নথিতে স্বাক্ষর করবে।

বাংলাদেশ এবং থাইল্যান্ড সরকারি পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষর করতে পারে। শক্তি সহযোগিতার বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং সম্পর্ক সম্প্রসারণের জন্য পর্যটন খাতে সহযোগিতা এবং শুল্ক সংক্রান্ত পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে আরও দুইটি সমঝোতা স্মারকও স্বাক্ষর করতে পারে দুই দেশ।


থাইল্যান্ড   প্রধানমন্ত্রী   সৌজন্য সাক্ষাৎ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কমিউনিটি ক্লিনিক: দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ

প্রকাশ: ০৮:০২ এএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রীর দশটি অসাধারণ উদ্যোগের অন্যতম একটি কমিউনিটিভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবার জন্য কমিউনিটি ক্লিনিক ও মানসিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র। সমগ্র বিশ্বের স্বাস্থ্যসেবার জন্য এটি যে একটি অনন্য সাধারণ মডেল ও উদ্যোগ তা জাতিসংঘের স্বীকৃতি পাওয়ার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে। ‘কমিউনিটিভিত্তিক প্রাথমিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা: সর্বজনীন স্বাস্থ্য পরিষেবা অর্জনের লক্ষ্যে একটি অংশগ্রহণমূলক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক পদ্ধতি’ শিরোনামে জাতিসংঘে উত্থাপিত ঐতিহাসিক রেজ্যুলেশনটি সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বে বাংলাদেশে কমিউনিটি ক্লিনিকভিত্তিক মডেল প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসামান্য উদ্ভাবনী নেতৃত্বকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দিয়েছে। 

বাংলাদেশ কর্তৃক প্রস্তাবিত রেজ্যুলেশনটিতে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলো কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফল উদ্ভাবনী উদ্যোগের ব্যাপক স্বীকৃতি দিয়ে এই উদ্যোগকে ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ হিসেবে উল্লেখ করে। ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’কে আরও একবার সম্মানে ভূষিত করল যুক্তরাষ্ট্রের ব্রাউন ইউনিভার্সিটির ওয়ারেন অ্যালপার্ট মেডিকেল স্কুল। ব্রাউন ইউনিভার্সিটির স্বাস্থ্যবিষয়ক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ওয়ারেন অ্যালপার্ট মেডিকেল স্কুল অব ব্রাউন ইউনিভার্সিটির মেডিসিন অ্যান্ড বায়োলজিক্যাল সায়েন্সের ডিন মুকেশ কে জৈন দ্য লোটে এই উদ্যোগকে ২০৩০ সালের মধ্যে সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা অর্জনের বৈশ্বিক প্রচেষ্টায় এক অবিস্মরণীয় মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করেন। 

তিনি আরও বলেন, এটি কমিউনিটিভিত্তিক প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যার একটি সফল মডেল। এটি প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা, নারীর ক্ষমতায়ন, কমিউনিটি সম্পৃক্ততা উন্নয়নের মাধ্যমে সর্বজনীন স্বাস্থ্য পরিধির জন্য একটি অংশগ্রহণমূলক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক পদ্ধতি।

প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় দেশজুড়ে স্থাপিত হয়েছে চৌদ্দ হাজারেরও বেশি কমিউনিটি ক্লিনিক, যা গ্রামীণ সমাজের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় এনেছে অভূতপূর্ব পরিবর্তন। বাংলাদেশের সব মানুষকে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার আওতায় আনার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশে এই অনন্য কমিউনিটি ক্লিনিকভিত্তিক স্বাস্থ্যব্যবস্থা চালু করেছিলেন, যা সারা দেশের তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের দোরগোড়ায় সরকারের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার সুফল সরবরাহে বিপ্লব ঘটিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর এই বিপ্লব প্রচেষ্টায় অনুপ্রেরণা হিসেবে ছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেখানো পথ।

তবে ২০০১ সালে চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় এলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই উদ্যোগ ম্লান হতে শুরু করে। স্বাস্থ্য খাতে দলীয় রাজনীতির উদাহরণ হয়ে আছে কমিউনিটি ক্লিনিক। জোট সরকারের শাসনামলে এই কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। সেখানে তখন দিনে গবাদিপশু চরানো হতো আর রাতে বসত মদ আর জুয়ার আসর। 

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এ দেশে আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালে আবারও রাষ্ট্র পরিচালনায় দায়িত্ব পেলে কমিউনিটি ক্লিনিক প্রকল্পে নতুন প্রাণের সঞ্চার হয়। একে একে চালু করা হয় বিএনপির সময় বন্ধ করে দেয়া ক্লিনিকগুলো আর পাশাপাশি স্থাপন করা হয় আরো নতুন নতুন কমিউনিটি ক্লিনিক।


স্বাস্থ্যসেবা   কমিউনিটি ক্লিনিক   মানসিক স্বাস্থ্যসেবা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন