ইনসাইড বাংলাদেশ

কমিউনিটি ক্লিনিক ট্রাস্ট আইন পাশে কী পরিবর্তন হবে?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩:৫৬ পিএম, ৩০ জুলাই, ২০১৮


Thumbnail

সর্বস্তরের জনগণের কাছে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে কমিউনিটি ক্লিনিক ট্রাস্ট আইন মন্ত্রিসভায় পাশ হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে এই আইন পাশের প্রস্তাব উঠলে মন্ত্রিসভার সদস্যরা এতে সম্মতি দেন। জানা গেছে, ট্রাস্টের একটি উপদেষ্টা পরিষদ থাকবে যার সভাপতি হবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রথমবারের মতো ক্ষমতায় এসেই দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কমিউনিটি ক্লিনিকের রূপরেখা ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু ২০০১ সালে বিএনপি-জামাত জোট সরকার ক্ষমতায়ে এসেই এই প্রকল্প বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর কমিউনিটি ক্লিনিক প্রকল্পের কার্যক্রম দ্বিতীয়বারের মতো শুরু করে। তখন প্রকল্পটি শুরু হয় ‘রিভাইটালাইজেশন অব কমিউনিটি হেলথ কেয়ার ইনিশিয়েটিভস ইন বাংলাদেশ’ বা সংক্ষেপে ‘কমিউনিটি ক্লিনিক প্রকল্প’ নামে।

কিন্তু দীর্ঘদিন যাবৎ কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম প্রত্যাশা অনুযায়ী চলছিল না। এর কারণ চাকরির বিভিন্ন অসুবিধার কারণে কমিউনিটি ক্লিনিকের চাকরিতে কেউ স্থায়ী হচ্ছিল না। আগে কমিউনিটি ক্লিনিকের চাকরিতে পেনশনের ব্যবস্থা ছিল না, বেতন-ভাতাও অনিয়মিত ছিল। এসব অসুবিধার জন্য কমিউনিটি ক্লিনিকে কাজ করার জন্য যাদের হেলথ প্রোভাইডার বা অন্য কাজের প্রশিক্ষণ দেওয়া হত, তাঁরা এক সময় এই চাকরি ছেড়ে অন্যান্য পেশায় চলে যেত। কমিউনিটি ক্লিনিকে কোনো ভবিষ্যৎ দেখতে না পাওয়ায় এই কর্মীরা কাজ ছেড়ে চলে যাওয়ায় ক্লিনিকগুলোর কার্যক্রম ব্যাহত হওয়া নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা।

কিন্তু সদ্য পাশ হওয়া খসড়া আইনে বলা হয়েছে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কমিউনিটি বেইজড হেলথ কেয়ার (সিবিএইচসি) প্রকল্পে কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি)পদে নতুন করে যাঁরা চাকরিতে যোগদান করবেন তাঁদের চাকরিও স্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ হবে। আর আগে যাঁরা চাকরিতে প্রবেশ করেছেন তাঁরা জ্যেষ্ঠতা পাবেন। এর ফলে চাকরির অনিশ্চয়তা দূর হবে এবং কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরতদের বেতন-ভাতা প্রভৃতির সমস্যারও সমাধান হবে।

এই পরিপ্রেক্ষিতে দেশের স্বাস্থ্যসেবা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা আশা প্রকাশ করছেন, এতে করে মাঝপথে কমিউনিটি ক্লিনিকের চাকরি ছেড়ে যাওয়ার প্রবণতা হ্রাস পাবে। অর্থ্যাৎ এই আইন পাশের ফলে শেখ হাসিনার স্বপ্নের কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম কোনো বাধা ছাড়াই সচল থাকবে এমন সম্ভাবনা তৈরি হলো।


বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি/জেডএ  



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সরকারি কর্মচারীরা সাত দফা দাবিতে আন্দোলনে

প্রকাশ: ০৮:৪০ এএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

পে-কমিশন গঠন করে বৈষম্যমুক্ত নবম পে-স্কেল বাস্তবায়ন করাসহ সাত দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছেন সরকারি কর্মচারীরা। শুক্রবার (১০ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদ’ এ মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে।

সরকারি কর্মচারীরা বলেন, ‘সরকার আমাদের যে বেতন-ভাতা দিচ্ছে তা দিয়ে সংসার চালাতে কষ্ট হয়। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে সবাইকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। আপনি (প্রধানমন্ত্রী) এ দেশের অনেক উন্নয়ন করেছেন। আপনার কাছে আমাদের একটাই দাবি: সচিবালয়ের মতো আমরা যারা বাহিরে কর্মরত, আমাদের পদোন্নতির ব্যবস্থা করুন। বর্তমান সময়ের সঙ্গে সংগতি রেখে বাড়িভাড়া, রেশনিং পদ্ধতি চালু, চিকিৎসা ভাতা, শিক্ষা সহায়ক ভাতা ও টিফিন প্রদানের জন্যও অনুরোধ জানাচ্ছি।’

মানববন্ধনে সংগঠনটির নেতারা সাতটি দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো –

১. পে কমিশন গঠন করে ৯ম পে-স্কেল বাস্তবায়ন করতে হবে। পে-স্কেল বাস্তবায়নের আগে কর্মচারীদের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা দিতে হবে।

২. রেশনিং পদ্ধতি চালুসহ ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর ঘোষণা অনুযায়ী ১০ ধাপে বেতন স্কেল নির্ধারণসহ পে-কমিশনে কর্মচারী প্রতিনিধি রাখতে হবে।

৩. সচিবালয়ের মতো সকল দপ্তর, অধিদপ্তরের পদনাম পরিবর্তনসহ ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণ এবং এক ও অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রণয়ন করতে হবে।

৪. টাইম স্কেল সিলেকশন গ্রেড পুনর্বহালসহ বেতন জ্যেষ্ঠতা পুনর্বহাল, বিদ্যমান গ্রাচুইটি/আনুতোষিকের হার ৯০ শতাংশের স্থলে শতভাগ নির্ধারণ ও পেনশন গ্র্যাচুইটি ১ টাকার সমান ৫০০ টাকা নির্ধারণ করতে হবে।

৫. সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের আপিল বিভাগের রায় বাস্তবায়নসহ সহকারী শিক্ষকদের বেতন নিয়োগবিধি ২০১৯-এর ভিত্তিতে ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণ ও অধঃস্তন আদালতের কর্মচারীদের বিচার বিভাগীয় সহায়ক কর্মচারী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

৬. প্রাথমিক শিক্ষার দপ্তরি কাম প্রহরীসহ আউট সোর্সিং পদ্ধতি বাতিল করে ওই পদ্ধতিতে নিয়োগ করা ও উন্নয়ন খাতের কর্মচারীদের রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করতে হবে। ব্লক পোস্টে কর্মরত-কর্মচারীসহ সকল পদে কর্মরতদের পদোন্নতি বা ৫ বছর পরপর বেতনস্কেলের উচ্চতর গ্রেড প্রদান করতে হবে।

৭. বাজারমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির সঙ্গে সমন্বয়পূর্বক সকল ভাতাদি পুনর্নির্ধারণ করতে হবে। চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর ও অবসরের বয়সসীমা ৬২ বছর নির্ধারণ করতে হবে।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, সরকারি কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি ও মুখ্য সমন্বয়ক মো. ওয়ারেছ আলী,  সেক্রেটারি ও সমন্বয়ক খায়ের আহম্মেদ মজুমদার প্রমুখ।


সরকারি   কর্মচারীরা   দফা   দাবি   আন্দোলনে  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লোহাগড়ায় গুলিবিদ্ধ সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যু

প্রকাশ: ০৮:২১ এএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

দুর্বৃত্তের ছোড়া গুলিতে মারা গেছেন নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার মল্লিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সিকদার মোস্তফা কামাল (৪৩) ।

শুক্রবার (১০ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে উপজেলার কুন্দশী এলাকায় তাকে গুলি করা হয়। পরে ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাঞ্চন কুমার রায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

নিহত মোস্তফা কামাল শিকদার উপজেলার মঙ্গলহাটা গ্রামের আকরাম হোসেন শিকদারের ছেলে। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য এবং মল্লিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় লোহাগড়া থেকে নিজ বাড়ি মঙ্গলহাটার দিকে যাচ্ছিলেন সিকদার মোস্তাফা কামাল। এসময় কুন্দশী-মঙ্গলহাটা গ্রামীণ সড়কের সমীর সিকদারের বাড়ির সামনে গেলে দুর্বৃত্তরা তাকে গুলি করে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় নেয়া হচ্ছিল। তবে পথিমধ্যে রাত সাড়ে ১০টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

লোহাগড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাঞ্চন কুমার রায় বলেন, দুর্বৃত্তদের ছোড়া গুলিতে মোস্তফা কামাল শিকদার গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। একটি গুলি তার বুকে লেগেছিল। তাকে ঢাকায় নেওয়া হচ্ছিল। খবর পেয়েছি তিনি মারা গেছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।


লোহাগড়া   গুলিবিদ্ধ   ইউপি   চেয়ারম্যান   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রাজধানীতে সাত সকালে ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি

প্রকাশ: ০৮:১২ এএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

টানা তীব্র তাপদাহের পর বেশ কিছুদিন ধরে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি হচ্ছে। কোথাও গুড়ি গুড়ি, আবার কোথাও শিলাবৃষ্টি। এরই ধারাবাহিকতায় আজ সাত সকালে বজ্রসহ বৃষ্টি দেখা দিয়েছে রাজধানী ঢাকাতে।

শনিবার (১১ মে) ভোর থেকেই অন্ধকার নেমে আসে ঢাকাজুড়ে। সকাল সাড়ে ৭টার পর থেকে শুরু হয় ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি।

এর আগে ঢাকাসহ দেশের ৯ অঞ্চলের ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের সঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছিল আবহাওয়া অফিস। শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া এক পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।

আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রংপুর, দিনাজপুর, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, কুমিল্লা এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তরপশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ সময় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে আবহাওয়া অফিসের অপর এক বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এ সময় ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, রংপুর ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টিও হতে পারে।


রাজধানী   ঢাকা   বৃষ্টি   বজ্রপাত   শিলাবৃষ্টি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

হায়দার আকবর খান রনো আর নেই

প্রকাশ: ০৮:০৬ এএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) উপদেষ্টা হায়দার আকবর খান রনো মারা গেছেন। শুক্রবার (১০ মে) রাত ২টা ৫ মিনিটে রাজধানীর হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালে মারা যান তিনি। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স।

হাসপাতালটির পরিচালক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী জানিয়েছিলেন, রাজনীতিবিদ ও লেখক হায়দার আকবর খান রনো তীব্র শ্বাসতন্ত্রীয় অসুখ (টাইপ-২ রেসপিরেটরি ফেইল্যুর) নিয়ে গত ৬ মে সন্ধ্যায় পান্থপথের হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় হায়দার আকবর খান রনোকে হাসপাতালটির হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) রেখে বিশেষ পদ্ধতিতে অক্সিজেন দেয়ার কথাও এক ফেসবুকে পোস্টে উল্লেখ করেছিলেন এই চিকিৎসক।

হায়দার আকবর খান রনো বাংলাদেশের কমিউনিস্ট আন্দোলনের এক প্রবাদ পুরুষ। মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম এ সংগঠক একাধিক বইয়ের লেখক। মার্ক্সবাদী এই তাত্ত্বিক পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। হায়দার আকবর খান রনোর জন্ম ১৯৪২ সালের ৩১ আগস্ট অবিভক্ত ভারতের কলকাতায়। তার পৈতৃক নিবাস নড়াইলের বরাশুলা গ্রামে।

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সঙ্গে দীর্ঘদিন থাকলেও ২০১০ সালে মতভিন্নতার কারণে দলটি ছেড়ে হায়দার আকবর খান সিপিবিতে যোগ দেন। ২০১২ সালে তাকে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য করা হয়। এরপর তিনি সিপিবির উপদেষ্টা নির্বাচিত হন।


হায়দার আকবর খান রনো   বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ঢাকায় মনোনীত নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত কে এই ডেভিড মিল

প্রকাশ: ১০:৩২ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী নতুন রাষ্ট্রদূত হিসেবে ঢাকায় আসতেছেন দেশটির জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক ডেভিড স্লেটন মিল। বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কর্তৃক তাকে মনোনয়ন দেওয়ার কথা জানানো হয়।।

রাষ্ট্রপতির এই মনোনয়ন যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট শুনানিতে অনুমোদন পাওয়ার পর চূড়ান্ত হবে। নিয়োগ চূড়ান্ত হলেই বর্তামানে চীনে থাকা এই কূটনীতিকের গন্তব্য হবে ঢাকা।

মাকিন নিয়মানুসারে, প্রেসিডেন্ট কূটনীতিকের নামের মনোনয়ন ঘোষণা করেন। এরপর এটি দেশটির পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটে পাঠানো হয়। সেখানে শুনানির পর যোগ্য মনে হলে তাকে রাষ্ট্রদূত হিসেবে সেই দেশে পাঠানো হয়। ফলে সিনেটে যোগ্য বিবেচিত হলেই তিনি বর্তমান রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসের স্থলাভিষিক্ত হবেন।

প্রেসিডেন্টের মনোনীত এ কূটনীতিক এর আগেও ঢাকায় কাজ করেছেন। হোয়াইট হাউসের তথ্য বলছে, ডেভিড মিল প্রায় ১০ বছর আগে ঢাকায় মার্কিন মিশনের উপপ্রধান ছিলেন। অর্থাৎ তার ঝুলিতে ঢাকার অভিজ্ঞতা আগে থেকেই রয়েছে। তবে সিনেটে যোগ্য না হওয়া পর্যন্ত বহাল থাকবেন পিটার ডি হাস।

ডেভিড মিল বর্তমানে চীনে কর্মরত। তিনি সেখানকার রাজধানী বেইজিংয়ের মার্কিন দূতাবাসের অন্তবর্তীকালীন চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০২২ সালের ২৬ মার্চ থেকে এই পদে নিয়োজিত রয়েছেন তিনি।

ডেভিড মিল ২০১৮ সালে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের অর্থনৈতিক ও ব্যবসাবিষয়ক ব্যুরোর বাণিজ্য নীতিবিষয়ক ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি হন। এর আগে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা নীতি ও বাস্তবায়ন বিষয়ক পরিচালক ছিলেন।

মার্কিন এ কূটনীতিক তারও আগে বিদেশ মিশনে ছিলেন। তিনি ওয়াশিংটন ডিসির ফরেন সার্ভিস ইনস্টিটিউটের লিডারশিপ অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট স্কুলের সহযোগী ডিন, ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে মার্কিন দূতাবাসের অর্থনীতিবিষয়ক পরামর্শদাতা এবং অর্থনৈতিক ব্যুরোর আর্থিক বিষয়ক অফিসের উপপরিচালকেরও দায়িত্ব পালন করেছেন।

ডেভিড মিলের একাধিক দেশে কূটনীতিক কার্যক্রমে ভূমিকা রয়েছে। হোয়াইট হাউসের তথ্যানুসারে, তিনি চীন, হংকং, তাইওয়ান, গিনি এবং ওয়াশিংটনে কূটনৈতিক কার্যক্রমে ভূমিকা পালন করেছেন। ১৯৯২ সালে তিনি ফরেন সার্ভিসে যোগ দেন এবং মিনিস্টিার-কাউন্সিলর পদে অধিষ্ঠিত হন।

ফরেন সার্ভিসের আগে তিনি মার্কিন টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি ‘স্প্রিন্ট টেলিকমিউনিকেশন’র কর্পোরেট ফাইন্যান্স পদে ছিলেন।

ডেভিড মিল ভার্জিনিয়ার স্থানীয়। তিনি ন্যাশনাল ডিফেন্স ইউনিভার্সিটির আইজেনহাওয়ার স্কুল থেকে এমএস, টুলেন ইউনিভার্সিটি থেকে এমবিএ এবং ডেলাওয়্যার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ করেছেন। তিনি ডেপুটি চিফ অফ মিশন হিসেবে অসামান্য অবদানের জন্য বেকার-উইলকিন্স পুরস্কার পেয়েছেন।ইংরেজির বাইরে তার চীনা, ইউক্রেনীয় এবং ফ্রেঞ্চ ভাষায় দক্ষতা রয়েছে।

নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত   ডেভিড স্লেটন মিল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন