নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৫৫ পিএম, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট বলেছেন, একটি গণতান্ত্রিক দেশের জন্য অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আজ সোমবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ইউএসএআইডি এবং ইউকেএইডের যৌথ অর্থায়নে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের স্ট্রেংদেনিং পলিটিক্যাল ল্যান্ডস্কেপ প্রকল্পের আওতায় ‘শান্তিতে বিজয়’ অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
বাংলাদেশিদের অবশ্যই নির্বাচনের আগে, নির্বাচন চলাকালে এবং নির্বাচনের পরে সংশ্লিষ্টদের অহিংস আচরণ করার আহ্বান জানাতে হবে উল্লেখ করে বার্নিকাট বলেন, যারা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া, দেশ ও নাগরিকদের স্বার্থহানি করতে চায় সহিংসতা শুধু তাদেরই কাজে আসে।
নিজ বক্তব্যে ভয়ভীতি, প্রতিশোধ বা জবরদস্তিমূলক বিধিনিষেধ ছাড়া প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশ করার স্বাধীনতা ওপর জোর দেন বার্নিকাট। তিনি বলেন, সব রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও ব্যক্তির জন্য নির্বাচনের প্রাক্কালে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় পরিপূর্ণভাবে অংশগ্রহণের স্বাধীনতা থাকা উচিত।
মার্শা বার্নিকাট বলেন, মতপার্থক্য থাকলেও রাজনৈতিক দলগুলোকে অবশ্যই তাদের প্রতিদ্বন্দ্বিন্দের দেশের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার বৈধ অংশগ্রহণকারী এবং পরবর্তী সরকারের সম্ভাব্য নেতা হিসেবে মেনে নিতে হবে।
এই অনুষ্ঠানে ৪০ জেলার তৃণমূল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতারা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে দাঁড়িয়ে সব ধরনের সহিংসতার বিরুদ্ধে অঙ্গীকার করেন।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রথম পর্যায়ের উপজেলা নির্বাচনের প্রস্তুতি চূড়ান্ত। ১৫০টি উপজেলায় এখন জনগণ ভোটের অপেক্ষায়। দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৫৯টি উপজেলায় মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন গতকাল শেষ হয়েছে। সেখানেও এখন নির্বাচনী প্রচারণার ডামাডোল শুরু হয়েছে। কিন্তু উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হবে কি না, উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে কি না এবং উপজেলা নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে কি না তা নিয়ে একদিকে যেমন জনগণের সংকট রয়েছে তেমনই নির্বাচন কমিশনও এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত।
লক্ষ্মীপুর সদরের তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরপরই হামলার শিকার হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, নেপথ্যে নির্বাচনে কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ। এঘটনায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতাকারী দুই প্রার্থীকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ ৯১১ জনের বিরুদ্ধে দুইটি মামলাও দায়ের করেন। ফলে নির্বাচনের পর আনন্দের বদলে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে ওই ইউনিয়নে।