নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:১৫ পিএম, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশের জনগণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নে খুশি। আগামী নির্বাচনে উন্নয়নের অর্জনের সোনালি ফসল আমরা ঘরে তুলব।
আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে গাজীপুরের ভোগড়া এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
এ সময় ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সামনে নির্বাচন, এখন দলে দলে ঐক্য হবে, নেতায় নেতায় ঐক্য হবে। তাতে আমাদের কোনো মাথাব্যথা নেই। আমাদের পক্ষে জনমত আছে।’
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে মন্ত্রী বলেন, এ ব্যাপারে গতকাল বৃহস্পতিবার সংসদের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিষ্কার বক্তব্য দিয়েছেন। এতে কারও আতঙ্কিত হওয়ার, উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই। একটা আইন, প্রায়োগিক বাস্তবটাই সবচেয়ে বড় কথা। ডিজিটাল ক্রাইমকে মোকাবিলা করতেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। এতে স্বাধীন সাংবাদিকতা এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বাধাগ্রস্ত হবে না, ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। সেভাবেই আইনটি প্রয়োগ করা হবে।
এস কে সিনহার বই প্রকাশের ব্যাপারে তিনি আরও বলেন, ‘তার লেখা বই তিনি প্রকাশ করবেন, এটাই স্বাভাবিক। তবে আমার শুধু একটাই প্রশ্ন, তা বিদেশের মাটিতে বসে কেন? আর নির্বাচনকে সামনে রেখে কেন? বইটি আরও দুই-তিন মাস পরেও প্রকাশ করা যেত। বইটি এই সময়ে প্রকাশ করে সরকারবিরোধী অপপ্রচারে উসকানি তিনি না দিলেও পারতেন।’
এ সময় গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার মো. আরিফুল ইসলাম, বিআরটির প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মো. সানাউল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলা ইনসাইডার/বিকে
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রথম পর্যায়ের উপজেলা নির্বাচনের প্রস্তুতি চূড়ান্ত। ১৫০টি উপজেলায় এখন জনগণ ভোটের অপেক্ষায়। দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৫৯টি উপজেলায় মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন গতকাল শেষ হয়েছে। সেখানেও এখন নির্বাচনী প্রচারণার ডামাডোল শুরু হয়েছে। কিন্তু উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হবে কি না, উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে কি না এবং উপজেলা নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে কি না তা নিয়ে একদিকে যেমন জনগণের সংকট রয়েছে তেমনই নির্বাচন কমিশনও এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত।
লক্ষ্মীপুর সদরের তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরপরই হামলার শিকার হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, নেপথ্যে নির্বাচনে কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ। এঘটনায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতাকারী দুই প্রার্থীকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ ৯১১ জনের বিরুদ্ধে দুইটি মামলাও দায়ের করেন। ফলে নির্বাচনের পর আনন্দের বদলে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে ওই ইউনিয়নে।