ইনসাইড বাংলাদেশ

বাংলাদেশে ছাপা সংবাদপত্র শক্তিশালী হচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩:৪৯ পিএম, ৩১ অক্টোবর, ২০১৮


Thumbnail

বর্তমান ডিজিটাল বাংলাদেশে তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে অনলাইন সংবাদমাধ্যম। দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে অনলাইন সংবাদমাধ্যমের জনপ্রিয়তা। ধারণা করা হয়, নিকট ভবিষ্যতে এই মাধ্যমের জনপ্রিয়তা টেলিভিশন এবং সংবাদপত্রকেও ছাড়িয়ে যাবে। আর বিশ্বব্যাপী একটি বিষয় লক্ষণীয়, পশ্চিমা অনেক বড় মিডিয়া হাউজও তাদের ছাপা সংস্করণ বন্ধ করে অনলাইনে কার্যক্রম চালাচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে গবেষণা প্রতিষ্ঠান পরিপ্রেক্ষিত বাংলাদেশের গণমাধ্যমের ভবিষ্যত নিয়ে গবেষণা করেছে। এই গবেষণার বিষয়বস্তু ছিল ‘বাংলাদেশের ছাপা সংবাদমাধ্যমের কি মৃত্যু হবে?’। বাংলাদেশে বর্তমান সময়ে গণমাধ্যমের গতি প্রকৃতি নিয়ে গবেষণা করা হয়েছে। গবেষণায় একটি বিষয় স্পষ্ট যে, বাংলাদেশে ছাপা সংবাদপত্রের মৃত্যু এখনই হচ্ছে না। বরং ছাপা সংবাদপত্র আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে। গত এক বছরে বাংলাদেশে ছাপা সংবাদপত্রের পাঠক সংখ্যাও বেড়েছে।

বাংলাদেশের এখন ২৩ শতাংশ মানুষ পত্রিকা পড়ে। সে হিসেবে এদেশে পত্রিকার পাঠক প্রায় ৩ কোটি ৬৮ লাখ। এর মধ্যে ৫৫ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ২ কোটি ২ লাখ ৪০ হাজার পাঠক একাধিক পত্রিকা পড়েন। গবেষণা প্রতিষ্ঠান পরিপ্রেক্ষিতের সাম্প্রতিক এক গবেষণা জরিপে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

পরিপ্রেক্ষিতে গত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই গবেষণা জরিপ চালায়। প্রিন্ট মিডিয়ার কি মৃত্যু হবে?’  এই শিরোনামের গবেষণায় সারাদেশে এক হাজার লোকের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। এতে দেখা গেছে, অনলাইন এবং সোশ্যাল মিডিয়ার যুগেও বাংলাদেশে ছাপা সংবাদপত্রের পাঠক বাড়ছে।

জনপ্রিয়তায় শীর্ষে কোন পত্রিকা কিংবা বিশ্বাসযোগ্যতার দিক থেকেইবা কারা এগিয়ে এমন প্রশ্ন করে থাকেন অনেকেই। এই প্রশ্নগুলোর উত্তর জানতেই গবেষণা প্রতিষ্ঠান পরিপ্রেক্ষিত এক জরিপ পরিচালনা করেছে। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের ওপর চালানো এই জরিপে ৫৩ শতাংশ পুরুষ ও ৪৭ শতাংশ নারী অংশগ্রহণ করেছেন। 

পাঠক সংখ্যায় শীর্ষে কোন পত্রিকা?

প্রচার সংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশের শীর্ষ পাঁচটি পত্রিকা হলো: বাংলাদেশ প্রতিদিন, প্রথম আলো, কালের কণ্ঠ, যুগান্তর ও আমাদের সময়। হকারদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রচার সংখ্যা হয় ৫ লাখ ৭২ হাজার কপি। প্রথম আলোর প্রচার সংখ্যা দিনে গড়ে ৪ লাখ ৬৬ হাজার। কালের কণ্ঠ ২ লাখ ২০ হাজার কপি। আর যুগান্তর ও আমাদের সময়ের প্রচার সংখ্যা যথাক্রমে ২ লাখ এবং ৭৬ হাজার কপি। এর মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশ প্রতিদিনই হকারদের কাছ থেকে কোনো পত্রিকা ফেরত নেয় না। বাকি সংবাদপত্র হকারদের কাছ থেকে ফেরত নেয়।

গবেষণায় দেখা গেছে, একটি পত্রিকায় গড়ে ১২ জন মানুষের হাতে যায় বা পড়েন। সে হিসেবে বাংলাদেশ প্রতিদিনের মুদ্রণ সংস্করণের পাঠক সংখ্যা ৬৮ লাখ ৬৪ হাজার। প্রথম আলোর পাঠক সংখ্যা ৫৫ লাখ ৯২ হাজার। কালের কণ্ঠের পাঠক সংখ্যা ২৬ লাখ ৪০ হাজার। যুগান্তর পড়ে থাকে ২৪ লাখ পাঠক। আর আমাদের সময়ের পাঠক প্রায় ৯ লাখ ১২ হাজার। এই গবেষণায় অনলাইন পাঠকদের সংখ্যা হয়নি।

পত্রিকা পড়েন এমন এক হাজার জন পাঠকের ওপর চালানো এক জরিপে দেখা গেছে, প্রতিদিন ‘বাংলাদেশ প্রতিদিন’ পত্রিকায় চোখ বুলান ৬৪ শতাংশ মানুষ। অন্যদিকে, প্রথম আলো পড়ে প্রায় ৪৭ শতাংশ মানুষ। উল্লেখ্য, উত্তরদাতাদের শতকরা ২৭ জন বলেছেন তাঁরা অন্তত তিনটি পত্রিকা পড়েন। ৫৫ জন দুটি পড়েন। শতকরা ১৮ জন ১ টি পত্রিকা পড়েন।

বিশ্বাসযোগ্যতায় শীর্ষে কোনটি?

জনপ্রিয়তার থেকেও বড় কথা হলো, একটি পত্রিকা পাঠকদের কাছে কতটা বিশ্বাসযোগ্য। প্রকৃতপক্ষে সংবাদের বিশ্বাসযোগ্যতার ওপরই নির্ভর করে সেই পত্রিকাটির গ্রহণযোগ্যতা।

এক হাজার জন পাঠকের ওপর চালানো জরিপে দেখা গেছে, ৪৭ শতাংশ মানুষ মনে করে বাংলাদেশ প্রতিদিনের সংবাদ বিশ্বাসযোগ্য। অর্থাৎ প্রথম আলোর সংবাদকে বিশ্বাসযোগ্য মনে করে ২৩ শতাংশ মানুষ। আর ১১ শতাংশ পাঠকের মতে, ডেইলি স্টারকে সবচেয়ে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদপত্র মনে করে।

পূর্বানুমানে এগিয়ে কোন পত্রিকা?

এক হাজার জন পাঠকের মধ্যে ৩৭ শতাংশ মনে করে বাংলাদেশ প্রতিদিনের পূর্বানুমান সঠিক হয়। প্রথম আলোর আগাম সংবাদ সঠিক হয় ২৬ শতাংশ। অন্যান্য পত্রিকার নাম বলেছে ২১ শতাংশ। এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেননি ১৬ শতাংশ উত্তরদাতা। এরমধ্যে ৯৮ শতাংশ পাঠক আওয়ামী লীগ নেতা ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে পত্রিকাটিতে প্রকাশিত একটি সংবাদের কথা উল্লেখ করেছে। ওই খবরে বলা হয়েছিলো, ওবায়দুল কাদেরই আওয়ামী লীগের পরবর্তী সাধারণ সম্পাদক হতে যাচ্ছেন।

কোন পত্রিকা নিরপেক্ষ?

জরিপে দেখা গেছে, পাঠকদের মধ্যে ৫৪ শতাংশ মনে করে বাংলাদেশ প্রতিদিন দল নিরপেক্ষ সংবাদ প্রকাশ করে। আর ২৩ শতাংশের মতে প্রথম আলোর সংবাদ নিরপেক্ষ। ডেইলি স্টারকে নিরপেক্ষ মনে করে ১১ শতাংশ পাঠক।  

বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি/জেডএ



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মাদক পাচার বিষয়ক মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে যোগ দিলেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৩:৩২ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

পশ্চিম ভারত মহাসাগর অঞ্চলে মাদক পাচার এবং মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার বিষয়ক প্রথম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। বৃহস্পতিবার মরিশাসের বালাক্লাভায় ইন্টারকন্টিনেন্টাল রিসোর্ট-এ মরিশাস আয়োজিত এ সম্মেলনে যোগ দেন তিনি।

সম্মেলনে বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীসহ বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী ও প্রতিনিধিদলের প্রধানরা মাদক পাচার ও মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার মোকাবিলার কৌশল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।

আঞ্চলিক সহযোগিতা কাঠামো এবং একটি আঞ্চলিক ড্রাগ অবজারভেটরি স্থাপনের মাধ্যমে ড্রাগ রেসপন্স সমন্বয়ের জন্য নেতৃস্থানীয় জাতীয় সংস্থাগুলোর একটি নেটওয়ার্ক স্থাপনের ওপর সম্মেলনে গুরুত্বারোপ করা হয়।

সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীরা যে চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরেন তা হলো- তরুণদের মাদক ব্যবহারের অধিক ঝুঁকি, আইনের প্রয়োগ এবং আন্তঃসীমান্তীয় নিরাপত্তা অস্থিতিশীল করার ঝুঁকি, অবৈধ আর্থিক প্রবাহ, আন্তর্জাতিক অপরাধ, পরিবার এবং সামাজিক শান্তি বিনষ্টকরণ, আইনহীন অঞ্চল সৃষ্টি, সমুদ্র নিরাপত্তার হুমকি, সিন্থেটিক ওষুধের ক্রমবর্ধমান হুমকি, আইনি কাঠামোর ত্রুটি এবং মাদক উৎপাদন ও ঔষধের বাজারের ক্রমবর্ধমান পরিমাণ।

উল্লিখিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীরা যেসব প্রস্তাব করেন তা হলো- সমুদ্র নজরদারি বৃদ্ধি এবং আন্তঃসীমান্তীয় সহযোগিতার উন্নয়ন, মাদক পাচারের নেটওয়ার্ক ব্যাহত এবং ধ্বংস করার জন্য এ সংক্রান্ত সব দলের অংশীদারিত্ব, পৃথক আঞ্চলিক দায়িত্ব গ্রহণ, ভারত মহাসাগর কমিশন (আইওসি) দ্বারা প্রতিষ্ঠিত আঞ্চলিক সমুদ্র নিরাপত্তার বিষয়ে অংশীদারদের একত্রিত করা, বিশ্বব্যাপী প্রশিক্ষণ এবং ভারত মহাসাগরের দেশগুলোর মধ্যে পুলিশি এবং কাস্টমস সহযোগিতাসহ দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা বৃদ্ধি করা।

সম্মেলনে আরও যে সুপারিশগুলো উঠে আসে তা হলো- ড্রাগ সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের কৌশল পুনর্বিবেচনা এবং নবায়ন, আইনি কাঠামো এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা পর্যালোচনা, আইওসি এবং জাতিসংঘের ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইম দপ্তরের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সাথে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতায় কাজ করা, যারা সফলভাবে মাদক পাচার এবং মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার মোকাবিলা করেছে তাদের উদাহরণ অনুসরণ করে মাদকের অপব্যবহার এবং সামগ্রিকভাবে সংঘবদ্ধ অপরাধ হ্রাস করতে টেকসই উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি।

সম্মেলনের বিরতিতে মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী প্রবিন্দ জগন্নাথের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ করেন বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত এবং তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে মরিশাসের প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।

২৪টি দেশ ও ২৬টি আন্তর্জাতিক সংস্থা এ সম্মেলনে অংশ নেয়। সম্মেলনের শেষ সময় মাদক পাচার ও মাদকদ্রব্যের অপব্যবহারের ওপর প্রথম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনের ঘোষণা গৃহীত হয়।


তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী   মোহাম্মদ আলী আরাফাত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

তাপপ্রবাহ: রেলের মাঠ পর্যায়ে কর্মরতদের জন্য ৫ নির্দেশনা

প্রকাশ: ০১:১৭ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে নিজেকে সুরক্ষার জন্য মাঠ পর্যায়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ৫টি নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।

বাংলাদেশ রেলওয়ের দু’টি প্রশাসনিক অঞ্চল থেকে সম্প্রতি প্রকাশ করা আলাদা আলাদা বিজ্ঞপ্তিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ রেলওয়ের চিফ মেডিকেল অফিসার (পূর্বাঞ্চল) ডা. ইবনে সফি আব্দুল আহাদ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তাপপ্রবাহ থেকে রক্ষায় নিচের উপায়গুলো অনুসরণের অনুরোধ করা হলো—

১. পানিশূন্যতা থেকে রক্ষার জন্য প্রচুর পানি পান করুন। অতিরিক্ত ঘাম হলে নিষেধ না থাকলে পর্যাপ্ত খাবার স্যালাইন পান করুন। তৃষ্ণাবোধ না করলেও নির্দিষ্ট সময় অন্তর পানি পান করতে হবে।

২. ঠান্ডা পানি ও বরফ পানি পান থেকে বিরত থাকুন।

৩. সুতির ঢিলেঢালা পোশাক ব্যবহার করুন। বাইরে বের হওয়ার সময় ছাতা, টুপি ব্যবহার করুন।

৪. খাবারের মেন্যুতে আমিষ ও চর্বি জাতীয় খাবার কমিয়ে শাকসবজি বাড়াতে হবে।

৫. শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি, ডায়াবেটিস, শ্বাসকষ্টের রোগী এবং হৃদরোগের ওষুধ সেবন করেন এমন ব্যক্তির এই আবহাওয়ায় বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। 

বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার স্বাক্ষরিত আরেকটি বিজ্ঞপ্তিতেও এই পাঁচ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে এর সঙ্গে সূর্যের আলো থেকে চোখ সুরক্ষার জন্য সানগ্লাস ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।


তাপপ্রবাহ   রেল মন্ত্রণালয়   মাঠ কর্মরতা   নির্দেশনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চলতি বছরই থাইল্যান্ডের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি হবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ১২:২৬ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করার জন্য থাইল্যান্ডকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের কাছে থাইল্যান্ড একটি সম্ভাবনাময় অংশীদার। চলতি বছরই দেশটির সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সই হবে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের কাছে থাইল্যান্ড একটি সম্ভাবনাময় অংশীদার। দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি সমুদ্র বন্দর কেন্দ্রিক যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে।

সকালে থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় গভর্নমেন্ট হাউসে যান শেখ হাসিনা। এ সময় থাই প্রধানমন্ত্রী জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাকে স্বাগত জানানো হয়।

এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে থাই কুহ ফাহ বিল্ডিংয়ের সামনের লনে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। এ সময় থাইল্যান্ডের সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল কর্তৃক প্রদত্ত গার্ড অব অনার পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে স্রেথা থাভিসিন তার মন্ত্রিসভার সদস্যদের শেখ হাসিনার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। শেখ হাসিনা পরে সরকারি ভবনের অতিথি বইয়ে স্বাক্ষর করেন।

বৈঠক শেষে সরকারি বাসভবন ত্যাগের আগে শেখ হাসিনা সেখানে আনুষ্ঠানিক মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

এর আগে, গত বুধবার (২৪ এপ্রিল) ৬ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে থাইল্যান্ডে পৌঁছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে পৌঁছলে বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ অভ্যর্থনায় বরণ করে নেওয়া হয়। থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গে সংযুক্ত মন্ত্রী পুয়াংপেট চুনলাইদ অভ্যর্থনা জানান।


থাইল্যান্ড   বাংলাদেশ   বাণিজ্য চুক্তি   শেখ হাসিনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শেখ হাসিনার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক

প্রকাশ: ১২:০৭ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালে থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় গভর্নমেন্ট হাউসে যান তিনি। এ সময় থাই প্রধানমন্ত্রী জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।

এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে থাই কুহ ফাহ বিল্ডিংয়ের সামনের লনে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। এ সময় থাইল্যান্ডের সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল কর্তৃক প্রদত্ত গার্ড অব অনার পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী।

পরে স্রেথা থাভিসিন তার মন্ত্রিসভার সদস্যদের শেখ হাসিনার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। শেখ হাসিনা পরে সরকারি ভবনের অতিথি বইয়ে স্বাক্ষর করেন।

এ বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করতে দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বেশ কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক নথিতে স্বাক্ষর হওয়ার কথা রয়েছে।

বৈঠক শেষে সরকারি বাসভবন ত্যাগের আগে শেখ হাসিনা সেখানে আনুষ্ঠানিক মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

এর আগে গতকাল বুধবার (২৪ এপ্রিল) ৬ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে থাইল্যান্ডে পৌঁছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে পৌঁছলে বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ অভ্যর্থনায় বরণ করে নেওয়া হয়। থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গে সংযুক্ত মন্ত্রী পুয়াংপেট চুনলাইদ অভ্যর্থনা জানান।


থাইল্যান্ড প্রধানমন্ত্রী   দ্বিপক্ষীয় বৈঠক   শেখ হাসিনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মন্ত্রী এমপিদের প্রভাব নিয়ে শঙ্কিত ডিসি এসপিরা

প্রকাশ: ১২:০০ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপাররা (এসপি)। প্রভাব বিস্তারকারী মন্ত্রী-এমপিদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হলে নির্বাচন কমিশন পাশে থাকবে কি না সে ব্যাপারে জানতে চেয়েছেন মাঠ প্রশাসনের শীর্ষ এসব কর্মকর্তা। তাদের আশ্বস্ত করে নির্বাচন কমিশন (ইসি) বলেছে, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে নেওয়া যে কোনো পদক্ষেপের সঙ্গে কমিশন অবশ্যই পাশে থাকবে।

ইসি বলেছে, উপজেলা পরিষদে মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাবমুক্ত নির্বাচন দেখতে চায় কমিশন। বদলির ভয়ে কারও কাছে অবস্থান না বিকিয়ে প্রশাসন ও পুলিশকে নীতিতে অটল থেকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) উপজেলা নির্বাচন নিয়ে মাঠ প্রশাসনের সঙ্গে ইসির এক সভায় এসব বিষয় উঠে আসে।

সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে সভায় চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ, আইজিপি, সব বিভাগীয় কমিশনার ও পুলিশ কমিশনার (সংশ্লিষ্ট), রেঞ্জের ডিআইজি, ডিসি, এসপি ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তারা অংশ নেন। নির্বাচন ভবনে সকাল ১১টা থেকে টানা তিন ঘণ্টা এ সভায় সদস্য সমাপ্ত জাতীয় নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন, ইভিএম, নির্বাচনে ডিউটিরত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ভাতা, নির্বাচনী আচরণবিধি ও মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব বিস্তারসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।

সভা থেকে উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজন করতে মাঠ প্রশাসনকে নানা দিকনির্দেশনা দেয় ইসি। একই সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সম্পৃক্ত এবং প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সমন্বিতভাবে কাজ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

এ ছাড়া মোবাইল আর্থিক সেবা সার্ভিসের মাধ্যমে নির্বাচনে কালো টাকা ছড়ানো বন্ধে কীভাবে প্রশাসন ব্যবস্থা নিতে পারে—সে বিষয়ে কমিশনের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

বৈঠকের শুরুতে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, উপজেলা নির্বাচনে ব্যর্থ হলে ৭ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তা ব্যর্থ হবে। উপজেলা ভোট ব্যর্থ হলে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ক্ষুণ্ন হতে পারে।

তিনি বলেন, দেশের নির্বাচনে আবেগ অনুভূতির জন্য কিছুটা বিশৃঙ্খলা হয়। এর মধ্যেও ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে, সে ব্যবস্থা করতে হবে। বাংলাদেশে গণতন্ত্র আছে, তা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে। যদি আমরা ব্যর্থ হই তাহলে আমাদের গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা, যেটার দৃষ্টান্ত আপনারা ৭ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠা করেছেন সেটাও ক্ষুণ্ন হয়ে যেতে পারে।

সিইসির বক্তব্যের পর উপজেলা নির্বাচনের মাঠ পরিস্থিতি জানতে ডিসি-এসপিদের কাছ থেকে বক্তব্য আহ্বান করা হয়। এরপর দুজন আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, ছয় থেকে সাতটি জেলার ডিসি ও এসপি, দুজন ডিআইজি ও দুজন বিভাগীয় কমিশনার তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন।

পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, নির্বাচন কমিশন সচিব এবং চারজন নির্বাচন কমিশনার মাঠ প্রশাসনের উদ্দেশে বক্তব্য দেন।

বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সূত্র জানায়, বক্তব্যে কয়েকজন ডিসি ও এসপি মন্ত্রী-এমপিদের বিরুদ্ধে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ তোলেন। এক্ষেত্রে সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে মন্ত্রী এমপিদের ভূমিকা ও বাড়াবাড়ি নিয়েও কথা বলেন কেউ কেউ। ফলে উপজেলা নির্বাচনে তাদের নিয়ন্ত্রণ এবং নির্বাচনী আচরণবিধি মানাতে মাঠ প্রশাসন কঠোর পদক্ষেপ নেবে কি না, সে সম্পর্কে কমিশনের কাছে জানতে চান। কারণ দলীয় নির্দেশ উপেক্ষা করে মন্ত্রী-এমপিদের অনেকেই নিজ স্বজনকে প্রার্থী করেছেন। দলীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়ে মাঠে নিজ ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন। সঙ্গে প্রশাসনকে তাদের পরিবারের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করার জন্য চাপ প্রয়োগ করছেন।

এ নিয়ে সভায় পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কমিশনের কাছে আর্জি জানানো হয়। তারা বলেন, মন্ত্রী-এমপিদের পক্ষে কাজ না করলে অনেক সময় বদলির হুমকি আসে। পদোন্নতিসহ সুযোগ সুবিধার ক্ষেত্রে নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হতে পারে।

কোনো কোনো ডিসি ও এসপি প্রভাবশালী মন্ত্রী এমপিদের নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হলে কমিশন আমাদের পাশে থাকবে কি না, আশ্রয় দেবে কি না। নাকি মন্ত্রী এমপিরাই উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে তদবির করে আমাদের বদলি করে দেবেন।

জবাবে সিইসি শঙ্কিত ডিসি-এসপিদের আশ্বস্ত করে বলেন, কমিশন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে বদ্ধপরিকর। আপনাদের সবার আন্তরিক সহযোগিতা ও জোরালো ভূমিকার কারণে সদ্য সমাপ্ত জাতীয় নির্বাচন অত্যন্ত সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। সরকারও ওই নির্বাচনে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ না করে কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছে।

এবারের উপজেলা নির্বাচনেও সরকার আমাদের পাশে রয়েছে। সেজন্য অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে আপনারা যে ভূমিকা রাখবেন কমিশন সব সময় তার পাশেই থাকবে। নির্বাচন কমিশনের কথা শোনার কারণে উচ্চমহল থেকে নির্বাচনে দায়িত্বরত কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বদলির জন্য সুপারিশ এলে তা কমিশন যথাযথ যাচাইয়ের পর প্রমাণ সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নেবে। এ জন্য দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই।

বরিশালের পুলিশ কমিশনার বলেন, আমাদের ওপর চাপ রয়েছে। জবাবে আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ভয়ের কিছু নেই। সর্বোচ্চ শাস্তি বদলি করবে। আরেক জায়গায় অর্থাৎ নতুন কর্মস্থলে চাকরি করবেন সমস্যা নেই, তবুও মাথা নত করা যাবে না। এ সময় সিইসিসহ সব কমিশনার এ বিষয়ে তাদের আশ্বস্ত করেন।

তারা বলেন, বদলি কোনো শাস্তি নয়। এটা চাকরির অংশ। কারও কথায় আপনাদের বদলি করা হবে না। কমিশন নিজস্ব উৎস থেকে তদন্ত করবে। সিইসি আরও স্পষ্ট করে বলেন, নির্বাচনে চাপ থাকবে। চাপ সবার ওপরই থাকে। তদন্তে প্রমাণ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেউ প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করলে কমিশনকে জানালে তাৎক্ষণিক সেখানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন তিনি।

বৈঠকে কোনো কোনো বক্তা মাঠের চিত্র তুলে ধরে জানান, নির্বাচনে স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী ক্ষমতাসীন দলের একাধিক প্রার্থী যেসব উপজেলায় রয়েছেন, সেখানে আইনশৃঙ্খলার অবনতির আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে যে কটি উপজেলায় আওয়ামী লীগের পাশাপাশি বিএনপি বা জামায়াতের প্রার্থী রয়েছেন সেসব উপজেলায় এ আশঙ্কা আরও প্রকট। সেজন্য শুরু থেকেই এসব এলাকায় বিশেষ নজর দিতে হবে, যাতে বড় ধরনের কোনো কিছু না ঘটতে পারে।

বৈঠকে পার্বত্য এলাকার সর্বশেষ পরিস্থিতির চুলচেরা বিশ্লেষণ করে ওই এলাকার চারটি উপজেলা ভোট স্থগিত করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান তারা। এ ছাড়া পুরো পাহাড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদারের পরামর্শ আসে বৈঠক থেকে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মাহমুদুল হোসাইন খান বলেন, উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত সেভাবে নেই। সেজন্য তারা এ নির্বাচনকে বিতর্কিত করতে নানা ষড়যন্ত্র করতে পারে। ফলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষায় বিশেষ নজর রাখতে হবে।


সভায় জামালপুরের ডিসি তার এলাকার সব নির্বাচন ইভিএমে হচ্ছে জানিয়ে বলেন, কিছু ইভিএমে ত্রুটি রয়েছে। সেগুলো ঠিকমতো কাজ করছে না। তার এ বক্তব্যের পর ইভিএমের চাহিদা দিলে নতুন করে তাকে ইভিএম সরবরাহ করা হবে বরণ জানায় কমিশন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালন বাবদ বকেয়া টাকা দ্রুত পরিশোধেরও দাবি জানান এই ডিসি।

বৈঠকে কেউ কেউ নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারে সহায়ক হিসেবে ভোটকেন্দ্রে দায়িত্বে নিয়োজিত প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও পোলিং অফিসারদের দায়ী করে পাশের উপজেলা থেকে তাদের আনা যায় কি না সেটি বিবেচনার অনুরোধ জানান। একইভাবে গ্রাম পুলিশ বা আনসার বা চৌকিদার-দফাদার সদস্যদের নিয়েও প্রশ্ন তোলে তাদেরও পাশের ইউনিয়ন থেকে আনার অনুরোধ করেন পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা। তবে কমিশন সেটি নাকচ করে দেয়।

এ ছাড়া সকালে ব্যালট ও ইভিএম কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া নিয়ে বাড়তি খরচ দাবি করেন জেলা প্রশাসকরা। সেটিও নাকচ করে দেওয়া হয়। কুড়িগ্রামের ডিসি দুর্গম এলাকায় ম্যাজিস্ট্রেট বাড়ানোর দাবি জানান।

সভার পরে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, ভোট সুষ্ঠু অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে নিদের্শনা দেওয়া হয়েছে। প্রভাবমুক্ত নির্বাচন করতে প্রতিটি উপজেলায় ২ থেকে ৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হবে। ইসি সচিব বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য মাঠ পর্যায়ে কী ধরনের প্রস্তুতি নেবে প্রশাসন, তাদের কী ধরনের সহযোগিতা করতে হবে এসব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। নিজ নিজ জেলার সুবিধা-অসুবিধা তুলে ধরেছেন কর্মকর্তারা।

অনেক জেলা থেকে অতিরিক্ত ফোর্স চাওয়া হয়েছে। সংসদ নির্বাচনে যেভাবে নিরপেক্ষ থেকে দায়িত্ব পালন করেছেন, সেভাবেই দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাহাড়ে দায়িত্বপালনরতদের দু-তিন দিনের পরিবর্তে পাঁচ দিনের ভাতা প্রদানের সিদ্ধান্ত হয়েছে।


মন্ত্রী-এমপি   উদ্বেগ   ডিসি   এসপি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন