নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:১১ এএম, ২১ নভেম্বর, ২০১৮
সুনামগঞ্জ-১ (তাহিরপুর,জামালগঞ্জ-ধর্মপাশা ও মধ্যনগর) আসনের বর্তমান এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতনকে পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে দলের সভানেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট ই-মেইল পাঠিয়েছেন আওয়ামী লীগের ৮ মনোনয়ন প্রত্যাশী ও তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। গত সোমবার ঢাকার একটি হোটেলে বৈঠক শেষে উপস্থিত ৮ মনোনয়ন প্রত্যাশী ও তৃণমূলের ৪ নেতা স্বাক্ষরিত আবেদন পত্রটি দলীয় প্রধানের নিকট মেইল করা হয়।
মেইলে উল্লেখ করা হয়, সুনামগঞ্জ-১ আসনের বর্তমান এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতন তার অপকর্মের কারণে তৃণমূলের সকল নেতা-কর্মীদের থেকে বিচ্ছিন্ন। গত ১০ বছরে এমপি রতন জামাত-বিএনপিকে লালন করে আওয়ামী লীগকে দূর্বল করেছে। বিগত ইউপি ও উপজেলা নির্বাচনে এমপি রতন প্রত্যক্ষ বিরোধিতা করে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের পরাজিত করেছেন। দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের কারণে রতনকে দিয়ে কোনো ভাবেই আসন্ন নির্বাচন মোকাবেলা করা যাবে না। তাই এমপি রতনকে পরিবর্তন করে মাঠ পর্যায়ের যে কোনো নেতা-কর্মীকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানান তারা ।
লিখিত আবেদনে স্বাক্ষরকারী নেতারা হলেন, সাবেক সাংসদ সৈয়দ রফিকুল হক সোহেল, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি রেজাউল করিম, জেলা আওয়ামী লীগের আইন সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল করিম, সাবেক যুগ্ম সচিব বিনয় ভুষন তালুকদার, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক অ্যাডভোকেট রনজিত সরকার, কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ বিষয়ক অ্যাডভোকেট শামীমা শাহরিয়ার, জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের আহবায়ক ড. রফিকুল ইসলাম তালুকদার, প্রয়াত সাংসদ পুত্র জেলা আওয়ামী লীগ নেতা রফিকুল হাসান চৌধুরী, সাবেক ছাতনেতা শক্তিপদ রায়, জেলা আওয়ামী সদস্য ও ধর্মপাশা আওয়ামী সহ সভাপতি আলমগীর কবীর, তাহিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সদস্য অমল কর, জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য নিজাম উদ্দিন, ও শামীম আখঞ্জী প্রমুখ।
জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক হায়দার চোধুরী এই সভায় উপস্থিত না থেকেও দাবির প্রতি একমত পোষণ করেন।
বাংলা ইনসাইডার/জেডআই/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রথম পর্যায়ের উপজেলা নির্বাচনের প্রস্তুতি চূড়ান্ত। ১৫০টি উপজেলায় এখন জনগণ ভোটের অপেক্ষায়। দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৫৯টি উপজেলায় মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন গতকাল শেষ হয়েছে। সেখানেও এখন নির্বাচনী প্রচারণার ডামাডোল শুরু হয়েছে। কিন্তু উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হবে কি না, উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে কি না এবং উপজেলা নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে কি না তা নিয়ে একদিকে যেমন জনগণের সংকট রয়েছে তেমনই নির্বাচন কমিশনও এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত।
লক্ষ্মীপুর সদরের তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরপরই হামলার শিকার হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, নেপথ্যে নির্বাচনে কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ। এঘটনায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতাকারী দুই প্রার্থীকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ ৯১১ জনের বিরুদ্ধে দুইটি মামলাও দায়ের করেন। ফলে নির্বাচনের পর আনন্দের বদলে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে ওই ইউনিয়নে।