নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৪৭ পিএম, ০১ ডিসেম্বর, ২০১৮
হঠাৎ করেই এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির বেশ কয়েকজন নীতি-নির্ধারণী নেতা গা-ঢাকা দিয়েছেন। কোথাও তাদের দেখা মিলছে না। পার্টি চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ সিএমএইচ এ আছেন। সেখানেও যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না অনেকেরই। মনোনয়ন বঞ্চিত ক্ষুব্ধ নেতারা খুঁজে বেড়াচ্ছেন পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারকে। মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদের গুলশানের বাসায় ও মনোনয়নবঞ্চিতরা বিক্ষোভ প্রর্দশন করেন। আপাতত: গুলশানের বাসাতেও নেই মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার। বনানীর পার্টি চেয়ারম্যান কার্যালয় তালা ঝুঁলিয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধরা। বর্তমানে সেখানে পুলিশ অবস্থান করছে। বারিধারায় এরশাদের বাসভবন প্রেসিডেন্ট পার্কেও নেই উল্লেখযোগ্য কেউ। মনোনয়ন বাণিজ্যের সঙ্গে যারা যুক্ত ছিলেন তাদেরও খুঁজে পাচ্ছেন না নেতা-কর্মীরা। প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং এরশাদের প্রেস অ্যান্ড পলিটিক্যাল সচিব সুনীল শুভ রায় মনোনয়ন নিয়ে নিজ নির্বাচনী এলাকায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। সব মিলিয়ে হ-য-ব-র-ল অবস্থায় এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি। এদিকে, নেতা-কর্মীদের এড়িয়ে চলছেন পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান বেগম রওশন এরশাদ এবং এরশাদের সহোদর জিএম কাদের। গতকাল বেশ কয়েকজন মনোনয়নবঞ্চিত নেতা দেখা করেন জিএম কাদেরের সঙ্গে। আপাতত: তাদের সান্তনা দিয়ে বিদায় করেন তিনি। সূত্র জানায়, মনোনয়ন বাণিজ্যর সঙ্গে যারা যুক্ত তাদের বিষয়ে তিনি যথাযথ শাস্তি চান। জাপা মহাসচিবের নিজ নির্বাচনী এলাকায় পটুয়াখীতে প্রতিদিনই চলছে বিক্ষোভ। তাঁর মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ সভা-সমাবেশ চালিয়ে যাচ্ছে। এদিকে, পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু হঠাৎ করে রংপুরে মনোনয়ন জমা দেওয়ায় বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে স্থানীয় জাপা নেতা-কর্মীরা। স্থানীয়দের দাবি, বহিরাগতদের কোনভাবেই যাতে মনোনয়ন দেওয়া না হয়। একাধিক মানুষ জানায়, এরশাদ সব সময়ই রংপুরের মানুষের আবেগ নিয়ে খেলা করেন। ইতিপূর্বেও তিনি কেন্দ্রীয় অনেক নেতাকে রংপুর থেকে এমপি বানিয়েছেন পরবর্তীতে তারা এরশাদের সঙ্গে বেইমানি করেছে। এমন ভাড়াটিয়া নেতাদের এবার রংপুরে দেখতে চায় না নেতা-কর্মীরা। ইতিমধ্যে মহাজোট থেকে যাদের মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হয়েছে এর বাইরে এখনো যারা মাঠে আছেন এবং মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তাদের কারও ব্যাপারেই কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না জাপার শীর্ষ নেতৃত্ব। নেতৃত্বহীন এদলটির অগোছালো এ অবস্থায় দলের তৃণমূলের নেতা-কর্মীরাও চরম হতাশায় মধ্যে পড়েছে। দলটির এক প্রেসিডিয়াম সদস্য অভিমান করে বলেন, এমন একটি পার্টি করি যে পার্টির চেয়ারম্যান এবং মহসচিব সরাসরি মনোনয়ন বাণিজ্যে যুক্ত। তিনি নির্বাচন কমিশনকে বিষয়টি খতিয়ে দেখে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
যশোর ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মেলা
মন্তব্য করুন
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান ফরিদপুর
মন্তব্য করুন
ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মার্কিন দূতাবাস
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ কি কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে ঝুঁকছে? সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রশ্নটি কূটনৈতিকপাড়ায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে।
আগামী কয়েক মাসে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা পাওয়া যায়। পৃথিবীর অন্যতম ধনী দেশ কাতারের আমির বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। দুই দিনের সফরে কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের একটা বার্তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কাতার বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করারও আশ্বাস দিয়েছেন। সামনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে আসছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে যে, আগামী মে মাসে তার বাংলাদেশ সফর করার কথা। এরপরও আরও কয়েকটি মধ্যপ্রাচ্যের দেশের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিত্বের বাংলাদেশ সফরের কথা রয়েছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। কূটনৈতিক ক্ষেত্রে এটি বাংলাদেশের জন্য একটি বড় ধরনের বাঁক বলে মনে করা হচ্ছে।
কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নানা বাস্তবতায় বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্য মুখী হচ্ছে। বিশেষ করে বর্তমানে পরিবর্তিত বিশ্বে এবং যুদ্ধ পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যের ওপর বাংলাদেশকে নির্ভরশীল থাকতে হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যের ওপর নির্ভরশীল থাকার জন্য বাংলাদেশের কয়েকটি কারণ রয়েছে। তার মধ্যে প্রথম কারণ হলো- বাকিতে তেল-জ্বালানি পাওয়া। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংকটের ফলে জ্বালানি তেলের নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহ একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে কোথাও এক বছরের বাকিতে, কোথাও তারও বেশি সময় বাকিতে জ্বালানি তেল আহরণের চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের ইতিবাচক সমঝোতা হয়েছে বলেও জানা গেছে।
কাতারের সঙ্গেও এমন একটি সমঝোতা হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে জানা গেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে৷
দ্বিতীয়ত, মধ্যপ্রাচ্য বাংলাদেশের অভিবাসীদের জন্য একটি বড় বাজার। বিশেষ করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার এই সব দেশগুলোতে বিপুল সংখ্যক বাঙালি বসবাস করে। যুদ্ধের ফলে এই সমস্ত দেশগুলোতে জনশক্তি রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে অনেকে মনে করছে। অনেক শ্রমিক ছাঁটাই হতে পারে। আর এটি মাথায় রেখেই বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক ঝালিয়ে নিচ্ছে, যেন বাংলাদেশের শ্রমিকরা এই শ্রমিক ছাঁটাই এর আওতায় না পড়ে।
তৃতীয়ত, বাংলাদেশে যে অর্থনৈতিক সংকট সেই অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় অদূর ভবিষ্যতে নগদ সহায়তা দরকার হতে পারে, দ্রুত ঋণ দরকার হতে পারে। আর সেক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো বাংলাদেশের সংকট নিরসনের একটা বড় ভরসাস্থল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আর এই সমস্ত বাস্তবতায় বাংলাদেশ এখন মধ্যপ্রাচ্যমুখী। বাংলাদেশের ঋণের হার অনেক বেশি। বাংলাদেশে ঋণের পরিমাণ অনেক বেড়েছে। অর্থনীতি ক্রমশ ঋণ নির্ভর হয়ে পড়েছে। এখানে থেকে উত্তরণের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের সম্পদশালী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন একটি দূরদর্শী কূটনৈতিক চিন্তা বলেই অনেকে মনে করছেন। কারণ আগামী কয়েক বছর বাংলাদেশকে বিপুল পরিমাণ দেনা মেটাতে হবে। এই কারণেই বাংলাদেশ কখনও যেন সংকটে না পরে সেজন্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকা অত্যন্ত জরুরি।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে যুক্তরাষ্ট্র অন্য দেশের দৃষ্টি দিয়ে দেখে না বলে জানিয়েছেন মার্কিন দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা ম্যাক্সওয়েল মার্টিন। তিনি বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক অভিন্ন ইতিহাস, মূল্যবোধ ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার ভিত্তিতে পরিচালিত। এই সম্পর্ক ভারত, চীন, রাশিয়া বা তৃতীয় কোনো দেশের মাধ্যমে পরিচালিত নয়।
বাংলাদেশ কি কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে ঝুঁকছে? সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রশ্নটি কূটনৈতিকপাড়ায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে। আগামী কয়েক মাসে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা পাওয়া যায়। পৃথিবীর অন্যতম ধনী দেশ কাতারের আমির বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। দুই দিনের সফরে কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের একটা বার্তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কাতার বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করারও আশ্বাস দিয়েছেন। সামনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে আসছেন।