ইনসাইড বাংলাদেশ

বাংলাদেশে যত জঙ্গি সংগঠন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬:১১ পিএম, ২১ অগাস্ট, ২০১৯


Thumbnail

সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও বিভিন্ন সময় ঘাঁটি গেড়েছে বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন। এদেশে জঙ্গি বা উগ্রপন্থি গোষ্ঠীর সংখ্যাটা জানলে অবাক হবেন যে কেউ। আইন শৃংখলা বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে কমপক্ষে ৫০টি উগ্রবাদ ও জঙ্গি সংশ্লিষ্ট সংগঠন কার্যক্রম চালাচ্ছে। এরমধ্যে নিষিদ্ধ করা হয়েছে মাত্র সাতটিকে।

বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও গোয়েন্দা রিপোর্ট থেকে জানা যায়, বাংলাদেশে ২০টি সংগঠন বর্তমানে জঙ্গিবাদ ও উগ্রবাদ ছড়াচ্ছে। বাকিগুলো সদস্যের অভাবে ঘুমন্ত অবস্থায় আছে। তবে যে ৭টি সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে সেগুলোর কর্মকাণ্ড পুরো বন্ধ হয়নি। বরং নিষিদ্ধগুলোই বেশি সক্রিয়। বাংলাদেশে বিভিন্ন সময় ত্রাস সৃষ্টিকারী জঙ্গি সংগঠনগুলো নিয়েই এই প্রতিবেদন।

জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি)

বাংলাদেশে জঙ্গি সংঠনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচনার জন্ম দিয়েছে এই জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি)। ১৯৯৮ সালে শায়খ আবদুর রহমান প্রতিষ্ঠা করেন। উদ্দেশ্য বাংলাদেশে সশস্ত্র যুদ্ধের মধ্য দিয়ে ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা। সিদ্দিকুর রহমান ওরফে বাংলা ভাই ছিল এর শীর্ষস্থানীয় নেতা। ২০০১ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর সাতক্ষীরার একটা সিনেমা হল ও সার্কাস প্যান্ডেলে বোমা হামলা চালিয়ে আত্মপ্রকাশ করে জেএমবি। ২০০৪ সালের ১ এপ্রিল রাজশাহীতে কথিত চরমপন্থীদের নৃশংসভাবে হত্যা করে। ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট দুপুর ১২টার দিকে দেশের ৬৩ জেলায় আদালত, জেলা প্রশাসন কার্যালয়সহ গুরুত্বপূর্ণ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সামনে একযোগে প্রায় ৫০০ বোমা ফাটায়। ২০০৫ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি জেএমবিকে নিষিদ্ধ করে সরকার। ২০০৫ সালের ১৪ নভেম্বর ‘মানুষের বিচার করতে পারে একমাত্র সর্বশক্তিমান আল্লা’ এই বক্তব্য দিয়ে দুই বিচারককে আত্মঘাতী হামলায় হত্যা করে জেএমবি। ২০০৭ সালের ৩ মার্চ শায়খ আবদুর রহমান, দ্বিতীয় নেতা সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলা ভাইসহ ৬ জঙ্গির ফাঁসি হয়।

২০১৩ সালের ২০ জুন এই সংগঠনের ১০ সদস্যকে মৃত্যুদণ্ড দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইবুনাল-৪। প্রধান নেতাদের ফাঁসির পর জেএমবি বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল বলে ধারণা করা হতো। কিন্তু ২০১৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি তারা তাদের অস্তিত্বের জানান দেয় দণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামিকে ছিনতাই ও এক পুলিশকে হত্যার মধ্য দিয়ে। এদিন তারা ত্রিশাল ও ভালুকার মাঝামাঝি সাইনবোর্ড এলাকায় পুলিশের প্রিজন ভ্যানের গতি রোধ করে এ ঘটনা ঘটায়।

হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামী বাংলাদেশকেই (হুজি-বি)

হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামী বাংলাদেশকেই (হুজি-বি) বলা হয় দেশের `ফার্স্ট জেনারেশন` জঙ্গি সংগঠন। এদেশের মাদ্রাসাগুলো থেকে তারা সদস্য সংগ্রহ করতো। চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজারের পাহারী এলাকায় তাদের প্রশিক্ষন কার্যক্রম পরিচালনা হতো। ১৯৯৯ সালে সাহিত্যিক শামসুর রহমানকে হত্যার চেষ্টা করে হুজি। ২০০১ সালে সংগঠনটি রমনা বটমূলে বর্ষবরণ উৎসবে বোমা হামলা চালায়। এতে আত্মঘাতি হামলাকারী সহ মোট দশ জন নিহত হয়। ২০০৪ এর ২১ আগস্ট এই সংগঠনটিই রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলা চালায়।

হিজবুত তাহরীর

বাংলাদেশে ২০০১ সাল হতে আনুষ্ঠানিকভাবে এ দলটি তাদের কার্যক্রম শুরু করে। ২০০৯ সালের অক্টোবরে স্বরাষ্ষ্ট্র মন্ত্রণালয় দলটিকে নিষিদ্ধ করে। হিজবুত তাহরীর সন্ত্রাসকে লালন এবং উৎসাহিত করে। সাম্প্রদায়িক ঘৃণা ছড়াতে প্রচারণা চালায়। বাংলাদেশের মতো বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে হিযবুত তাহরীরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। বেশ কিছু আরব দেশ, রাশিয়া ও তুরস্কেও এটি নিষিদ্ধ। হিজবুর তাহরীরের বিরুদ্ধে সশস্ত্র হামলার অভিযোগ কম পাওয়া যায়। তাদের মূল লক্ষ্য হলো উগ্রবাদে তরুণদের আকৃষ্ট করা।

শাহাদত-ই-আল হিকমা

২০০২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি রাজধানী ঢাকায় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে শাহাদাত-ই আল হিকমা নামে একটি সংগঠনের আত্মপ্রকাশের ঘোষণা দেন কাওসার হুসাইন সিদ্দিকী। ওই সংবাদ সম্মেলনে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধকে ‘সন্ত্রাসী কার্যকলাপ’ উল্লেখ করে রাষ্ট্র ও সরকারের বিরুদ্ধে আপত্তিকর বক্তব্য দেওয়া হয়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ মহানগরীজুড়ে রাষ্ট্রবিরোধী পোস্টার ছড়িয়ে দেয় এই সঙ্গঠনটি। পরবর্তীতে শাহাদাত-ই আল-হিকমাকে জঙ্গি সংগঠন আখ্যায়িত করে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে সরকার। ২০১৭ সালে সংগঠনটির প্রধান কাওসারকে ২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এরপর থেকে শাহাদাত-ই আল-হিকমার বিষয়ে আর কিছু জানা যায় নি।

আনসারুল্লাহ বাংলা টিম

আনসারুল্লাহ বাংলা টিমও বিভিন্ন সময় আলোচনায় এসেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জঙ্গিবাদ ছড়ানো এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে শিক্ষিত মেধাবী তরুণদের সদস্য হিসেবে দলে টানার দিকেই বেশি মনোযোগী তারা।   

এছাড়াও বাংলাদেশে যেসব দল জঙ্গিবাদ ও উগ্রবাদী আদর্শ ধারণ করে এবং তা ছড়িয়ে দিতে কাজ করছে সেগুলো হলো আল্লাহর দল, ইসলামিক সলিডারিটি ফ্রন্ট, তামীরউদ্দীন বাংলাদেশ, তৌহিদী ট্রাস্ট, হিজবুত তাওহিদ, শাহাদত-ই-নবুয়ত ও জামাত-আস-সাদাত, জামিউতুল ফালাহ, ইসলামিক সলিডারিটি ফ্রন্ট, আরাকান রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন, আরাকান পিপলস আর্মি, আরাকান মুজাহিদ পার্টি, মিয়ানমার লিবারেশন ফোর্স, রোহিঙ্গা লিবারেশন ফোর্স, রোহিঙ্গা ইনডিপেন্ডেন্স পার্টি, রোহিঙ্গা প্যাট্রিয়টিক ফ্রন্ট, মুসলিম মিল্লাত, আল হারাত-আল-ইসলামিয়া, ওয়ার্ল্ড ইসলামিক ফ্রন্ট, তৌহিদী জনতা, জুমা`আতুল আল সাদাত, তামিরউদ্দীন দ্বীন বাংলাদেশ, আল খিদমত, হিজবুল মাহদি, হিজবুল্লাহ ইসলামী সমাজ, দাওয়াতি কাফেলা, বাংলাদেশ এন্টি টেররিস্ট পার্টি, আল মারকাজুল আল ইসলামী, আল ইসলাম মার্টেনস ব্রিগেড, সত্যবাদ, মুসলিম মিল্লাত, শরিয়া কাউন্সিল, জমিয়ত আহলে হাদিস আন্দোলন, আহলে হাদিস আন্দোলন বাংলাদেশ, তাজির বাংলাদেশ, হায়াতুর ইলাহা, ফোরকান মুভমেন্ট, জামিউতুল এহজিয়া এরতাজ, আনজুমানে তালামিজ ইসলামিয়া, কলেমার জামাত, সাহাবা পরিষদ, কাতেল বাহিনী, মুজাহিদিন-ই-তাজিম, এশার বাহিনী, আল ফাহাদ, হরকাতুল মুজাহিদিন ও জাদিদ আল কায়দা।

বাংলা ইনসাইডার



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আগামী তিনদিন অফিস চলবে ৯টা-৩টা পর্যন্ত: জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়

প্রকাশ: ০৫:০৪ পিএম, ২৭ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

আগামীকাল রোববার (২৮ জুলাই) থেকে মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) পর্যন্ত সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত পর্যন্ত চলবে সকল সরকারি অফিসের কার্যক্রম। শনিবার (২৭ জুলাই) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

এছাড়া ব্যাংক ও আদালত নিজেরাই অফিস কার্যক্রমের সময়সূচির সিদ্ধান্ত নিবে বলেও জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

বিস্তারিত আসছে...


জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়   অফিস সময়   কারফিউ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রাজাকারের স্বজনরা মাঠে

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ২৭ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশে স্বাধীনতা বিরোধী পরাজিত অপশক্তি রাজাকারের সন্তান এবং তার নিকট স্বজনরা এখন মাঠে নেমেছে। তারা এখন সরকার পতনের দাবিতে আন্দোলন করতে চাইছে। সবচেয়ে মর্মান্তিক বিষয় হলো, তারা ৭১’র সেই মহান সঙ্গীতগুলোকে নিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চাইছে। রাজাকারের সন্তানরা যে কোটা আন্দোলনের মূল কলকাঠি নাড়িয়েছিলো এখন তা আবার প্রমাণ হয়ে গেছে।

কোটা আন্দোলন শেষ। সরকার দাবি মেনে নিয়েছে। নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। তারপরও ‘ইলাস্টিকের’ মতো টেনে-হিচড়ে লম্বা করার চেষ্টায় যারা আছে তাদের মধ্যে রাজাকারের স্বজনরা অন্যতম। এরা এখন পুরো ঘটনাকে অন্যখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে। সরকারের বিরুদ্ধে নানা রকম অসত্য, ভিত্তিহীন, মিথ্যা তথ্য দেশে এবং বিদেশে উপস্থাপন করে তারা সরকারকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করছে। এখান থেকেই বোঝা যায়, কোটা আন্দোলন শুধু কোটা আন্দোলন ছিলো না। এটা স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তিদের এক নীল নকশা বাস্তবায়নের চেষ্টা ছিলো।

সাম্প্রতিক সময়ে রাজাকারের আত্মীয় স্বজনরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে নেমেছে। বিভিন্ন ব্যানার নিয়ে তারা নানারকম প্রতিবাদ সমাবেশ করছে। আর এই সমস্ত রাজাকার গোষ্ঠীর উত্তরসূরীদের মধ্যে যারা সক্রিয় তাদের মধ্যে রয়েছে-

১. শহিদুল আলম: দৃকের শহিদুল আলম এখন সবচেয়ে সরব ব্যক্তি। আনন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে এই শহিদুল বিভিন্ন অপপ্রচারে লিপ্ত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্বন্ধে অসত্য-নোংরা কটুক্তি করে বেরাচ্ছে এই জ্ঞানপাপী দুর্বৃত্ত। শহিদুলের পৈর্তৃক পরিচয় তিনি রাজাকারের সন্তান। তার বাবা-মা দু’জনেই রাজাকার ছিলেন। রাজাকারের সন্তান শুরু থেকেই সরকারকে চাপে ফেলার জন্য নানা আন্দোলনে ভর করে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। সাম্প্রতিক সময়ে তার বিভিন্ন তৎপরতায় নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। পরবর্তী প্রজন্মের রাজাকার গোষ্ঠীকে পুর্নজন্ম দেয়ার জন্য শহিদুলের ভূমিকা অত্যন্ত বেশি বলেই অনেকে মনে করেন।

২. সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান: বেলা’র নির্বাহী পরিচালক সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানও রাজাকারের সন্তান। তার বাবা সিলেট অঞ্চলের বিখ্যাত স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকার ছিলো। রিজওয়ানা হাসান গতকাল রাজপথে নেমেছেন। তিনি যে ভাষায় যেসমস্ত কথা-বার্তা বলেছেন তা রীতিমতো রাষ্ট্রদ্রোহিতার সামিল। তার এই সমাবেশে একাত্তরের সঙ্গীতগুলো পরিবেশিত হয়েছে। তিনি সুস্পষ্ট করেছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন আসলে রাজাকারদের আন্দোলন। এই আন্দোলন যাতে অব্যাহত থাকে সেজন্য মরিয়া চেষ্টা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

৩. সারা হোসেন: ড. কামাল হোসেনের কন্যা সারা হোসেন আসলে ডেভিড বার্গম্যানের স্ত্রী। ডেভিড বার্গম্যান হলো রাজাকারদের পেরোলে থাকা একজন আন্তর্জাতিক সাংবাদিক। বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সময় স্বাধীনতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধীরা যাদেরকে ভাড়া করেছিলো তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলো ডেভিড বার্গম্যান। এজন্য তিনি আদালত থেকে দন্ডিতও হয়েছিলেন। বাংলাদেশ বিরোধী অপপ্রচারে অন্যতম ভূমিকা পালন করেন এই দুর্বৃত্ত। আর সারা হোসেন তার সহধর্মিনী হিসেবে এখন বাংলাদেশে মাঠে নেমেছেন।

৪. জিল্লুর রহমান: রাজাকারের আরেক নিকটজন জিল্লুর রহমান তৃতীয় মাত্রার উপস্থাপক। জিল্লুর রহমান নিজেও তার ইউটিউব চ্যানেলে সরকারের বিরুদ্ধে নানারকম আপত্তিকর বিষোদাগার করছেন। তার তৃতীয় মাত্রা হলো, মতলবি এবং সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য হাসিলের জন্য। তিনি এখন অত্যন্ত সরব এবং তৎপর।

৫. আসিফ নজরুল: শুরু থেকেই আসিফ নজরুল এই সমস্ত ঘটনার একজন অন্যতম কুশীলব। ছাত্রদের উস্কে দেয়া এবং নানারকম বিভ্রান্তিকর আইনি ব্যাখ্যা দিয়ে পরিস্থিতি ঘোলা করার চেষ্টায় ড. আসিফ নজরুলকে সবসময় তৎপর দেখা যাচ্ছে।

বাংলাদেশে একসময় প্রজন্ম একাত্তর হয়েছিলো, এখন হয়েছে প্রজন্ম রাজাকার। প্রজন্ম রাজাকারের গোষ্ঠী এখন বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টায় সবচেয়ে বেশি তৎপর বলে লক্ষ্য করা গেছে।


রাজাকার   মুক্তিযোদ্ধা   রাজনীতি   কোটা আন্দোলন   কোটা সংস্কার আন্দোলন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

খাগড়াছড়িতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে ইউপিডিএফ নেতা নিহত

প্রকাশ: ০৩:২৬ পিএম, ২৭ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

খাগড়াছড়ি দীঘিনালায় জুনেল চাকমা (৩১) নামে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) এক সংগঠক দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হয়েছেন। শনিবার (২৭ জুলাই) ভোরে উপজেলার কবাখালী ইউনিয়নের শান্তি বিকাশ কার্বারিপাড়ায় একটি বাড়িতে তাকে হত্যা করা হয়।

নিহত জুনেল চাকমা দীঘিনালা সদরের আমতলী গ্রামের তপ্ত কাঞ্চন চাকমার ছেলে। জুনেল চাকমা ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) প্রসিত গ্রুপের তারাবুনিয়া এলাকার সংগঠক ছিলেন। তিনি ইউপিডিএফের অঙ্গ সংগঠন গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম থেকে সম্প্রতি ইউপিডিএফের সঙ্গে যুক্ত হন। হত্যাকাণ্ডের সময় জুনেল চাকমা কাঙারীমা ছড়ায় মাস্টার ললিত চাকমার বাড়িতে অবস্থান করছিলেন।

দীঘিনালা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল হক হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।


খাগড়াছড়ি   দুর্বৃত্ত   ইউপিডিএফ   নেতা   নিহত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চাঁদপুরে ভরা মৌসুমেও নেই পর্যাপ্ত ইলিশ

প্রকাশ: ০৩:১৪ পিএম, ২৭ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

চাঁদপুরে পাইকারি বাজারে ক্রেতা বিক্রেতার হাঁকডাকে সরগরম আছে ঠিকই। কিন্তু এমন ভরা মৌসুমে বাজারে চাহিদার বিপরীতে পর্যাপ্ত ইলিশ নেই। এরমধ্যে আবার কারফিউ। তাই আকারভেদে ইলিশের দামও অনেকটা চড়া।

চলছে ইলিশের ভরা মৌসুম। গত কয়েকদিন ধরে চাঁদপুরের বড়স্টেশন পাইকারি মাছ বাজারে ঘুরে দেখা গেছে ইলিশের অপর্যাপ্ততা। তারমধ্যে আবার কারফিউসহ বর্তমান পরিস্থিতিতে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ে বিপাকে পড়েছেন।

দেখা গেছে, বিক্রেতারা দাম হাঁকছেন ইলিশের। আর আকারভেদে সেই ইলিশ দেখতে মোকমে ভিড় করছেন ক্রেতারা। এতে ক্রেতা-বিক্রেতার হাঁকডাকে সরগরম চাঁদপুরের বড়স্টেশন পাইকারি মাছ বাজার। কিন্তু চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম। তাই বাজারে যোগান দিতে হিমশিম খাচ্ছেন বেপারীরা। ফলে ক্রেতা সামাল দিতে ব্যস্ত ব্যবসায়ীরা। তবে সরবরাহ কম থাকার প্রভাব পড়েছে ইলিশের দামে।

চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শবেবরাত জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে অনলাইন কিংবা অফলাইন এমনকি চাঁদপুরের বাইরে দেশের অন্য কোথাও ইলিশের বাজার ধরা কঠিন হয়ে পড়েছে। ফলে এই মুহূর্তে আর্থিক সঙ্কটের মুখে মাছ ব্যবসায়ীরা। তারপরও যে পরিমাণ সরবরাহ। তার দরদামও বেশ চড়া। এতে মাছ ব্যবসা নিয়ে ব্যবসায়ীরা অনেকটা হতাশ।

তিনি আরও জানান, গত কয়েকদিন ধরে চাঁদপুর বড়স্টেশন পাইকারি মাছ বাজারে ৮০০ থেকে হাজার মণ ইলিশ বিক্রি হচ্ছে। অথচ অন্যবছর একই সময় পাইকারি বাজারে সরবরাহ হতো আড়াই থেকে হাজার মণ ইলিশ। আর আকারভেদে এসব ইলিশ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ১৫০০ টাকা থেকে ২২০০ টাকা পর্যন্ত।


চাঁদপুর   মৌসুম   ইলিশ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

‘এই জল্লাদের উল্লাস মঞ্চ আমার দেশ না’

প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ২৭ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম বিখ্যাত ও বিপ্লবী কবি নবারুণ ভট্টাচার্য। ১৯৮৩ সালে প্রকাশিত ‘এই মৃত্যু উপত্যকা আমার দেশ না’ তাঁর লেখা অন্যতম জনপ্রিয় কাব্যগ্রন্থ। এই কাব্যগ্রন্থের নাম কবিতাটিতে মূলত কবি নবারুণ ভট্টাচার্য তৎকালীন ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ঘটে যাওয়া অরাজক পরিস্থিতিকে তুলে ধরেছিলেন। সম্প্রতি বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া বর্বরোচিত ধ্বংসযজ্ঞ যেন মনে করিয়ে দেয় কবিতার একটি লাইন, আর লাইনটি হলো, 'এই জল্লাদের উল্লাস মঞ্চ আমার দেশ না।'

১৯৭১ সালে দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ এবং ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। কিন্তু স্বাধীনতার শুরু থেকেই একদল কুচক্রী এই দেশের অগ্রযাত্রায় ঈর্ষান্বিত । বরাবরই দেশকে পেছনের দিকে টেনে নিতে অগ্রগামী তারা। বিশ্ববাসীর কাছে দেশকে ছোট করেই যেন এই মহল আনন্দিত হয়। এইসব স্বাধীনতা বিরোধীরা দেশের উন্নয়নকে কখনোই ভালো চোখে দেখেনি। তাই বারবার আঘাত হেনেছে। সবশেষ গেল ১৭ থেকে ১৯ জুলাই দেশের ভাবমূর্তি আরও একবার বিশ্ব দরবারে ক্ষুণ্ণ করতে এবং দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে তারা হামলা চালায় মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এবং বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে। এছাড়াও, রাস্তাঘাটে সহিংসতা করে জনমনে তৈরি করা হয় ভীতি।

চলতি মাসের শুরু থেকেই ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’ ছিলো এই কোটা সংস্কার আন্দোলন। গত ৫ জুন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ কোটা সংক্রান্ত বিষয়ে ২০১৮ সালের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একটি পরিপত্র বাতিল করে। যার ফলে সরকারি চাকরিতে ২০১৮ সালের পর পুনরায় কোটা ব্যবস্থা ফিরে আসে। কিন্তু হাইকোর্টের দেয়া এই রায় দেশের সাধারণ শিক্ষার্থীরা মেনে নিতে পারেনি। তারা এই রায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে। শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছোট ছোট মানববন্ধনের মাধ্যমে এই আন্দোলন শুরু হলেও পরবর্তীতে দেশব্যাপী তা ছড়িয়ে পড়ে। যার পরিপ্রেক্ষিতে চলতি মাসের শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন রূপ নেয় বৃহত্তর এক আন্দোলনে। যেখানে অংশ নেন দেশের প্রায় সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। রাজধানী ও রাজধানীর বাইরে একাধিক সড়ক-মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে চলে আন্দোলন। এরমধ্যেই সরকার এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ এ বিষয়ে শুনানির জন্য ৭ আগস্ট দিন ধার্য করেন।

এই আন্দোলনটি হয়তো এখানেই শেষ হতে পারতো। কিন্তু শিক্ষার্থীরা ধৈর্য্যহীনতার পরিচয় দেন এবং দেশজুড়ে ‘বাংলা ব্লকেড’ কার্যক্রমের ঘোষণা দেয়। আর এই সুযোগটি লুফে নেয় স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি। ১৪ জুলাই (রোববার) মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া একটি বিবৃতি বিকৃত করে শিক্ষার্থীদের উস্কে দেয় তারা। ফলে সেদিন দিবাগত রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সয়লাব হয় ‘রাজাকার, রাজাকার’ স্লোগানে। এতে ক্ষোভে ফেটে পরে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে থাকা বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও প্রগতিশীলরা। পরদিন (১৫ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাল্টাপাল্টি সমাবেশ ডাকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সমাজ ও ছাত্রলীগ। স্বাধীনতা বিরোধীরা এই সমাবেশেরও ফয়দা লুটে। ছাত্রলীগ ও সাধারণ শিক্ষার্থী উভয়পক্ষকে লেলিয়ে দেয় একের অপরের বিরুদ্ধে। যার বহিঃপ্রকাশ ঘটে পরদিন ১৬ জুলাই। বাংলাদেশের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হল ছাড়া হয় ছাত্রলীগ।

আরও পড়ুন: সোনালী অতীত থেকে বিতর্কিত ছাত্রলীগ, নেপথ্যে কী?

‘জল্লাদদের উল্লাস’ শুরু হয় এরপর থেকেই। ১৭ থেকে ১৯ জুলাই দেশজুড়ে তাণ্ডবলীলা চালায় তারা। আবারও শুরু হয় আগুন সন্ত্রস। একের পর এক বিনষ্ট করতে থাকে দেশের উন্নয়নের স্মারকচিহ্নগুলো। মেট্রোস্টেশন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, সরকারি বিভিন্ন দপ্তর, সড়ক-মহাসড়ক, তাণ্ডবের লেলিহান শিখা থেকে বাদ যায়নি কোনকিছুই। ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয় দেশের একমাত্র সরকারি টেলিভিশন চ্যানেল বিটিভি ভবনে। সেখানে আগুন ধরিয়ে দেয় জল্লাদরূপী সন্ত্রাসীরা। ফায়ার সার্ভিস আগুন নেভাতে গেলেও তাদের বাধা দেয় তারা। এমনকি ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি যাতে এগোতে না পারে সেজন্য হামলা করা হয় ফায়ার সার্ভিস কর্মী ও পুলিশের ওপর। এছাড়াও রাজধানীর উত্তরা, মেরুল বাড্ডা, সাইন্সল্যাব, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর মিরপুর এলাকায়ও চলে ধ্বংসলীলা।

১৭ জুলাই (বুধবার) রাতে সন্ত্রাসীরা তাণ্ডবলীলা চালায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের টোল প্লাজায়। আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়া হয় টোল প্লাজা। পরদিনও অব্যাহত থাকে সন্ত্রাসীদের ধ্বংসযজ্ঞ। আবারো শুরু হয় জঙ্গিপনা। কোটা আন্দোলনের অন্তরালে দেশবিরোধীরা জ্বালিয়ে দেয় মহাখালীর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের ভবন এবং বনানীতে অবস্থিত সেতু ভবন। এতে আগুনে ভস্মীভূত হয় ডেটা সেন্টার। স্থবির হয় পড়ে দেশের ইন্টারনেট ব্যবস্থা। ১৯ জুলাই (শুক্রবার) মেট্রোরেল এবং এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে হামলা চালিয়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের ‘ষোলকলা পূর্ণ’ করে দুর্বৃত্তরা।

গত কয়েকদিনে কোটা আন্দোলনকে ঘিরে ঘটে যাওয়া এসব ঘটনায় দুই ধরনের ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। একটি আর্থিক ক্ষতি, আর অন্যটি হলো কতগুলো তাজা প্রাণ অকালে ঝরে যাওয়া। স্বাধীনতার বিরোধীদের উস্কানিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের একটি অরাজনৈতিক আন্দোলন রূপ নেয় সরকার বিরোধী আন্দোলনে। সহিংসতায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি স্বাধীনতা বিরোধী বর্বরদের হামলায় প্রাণ হারিয়েছে বহু পুলিশ, সাংবাদিক। এই সব প্রাণ আর কখনোই ফিরে আসবে না। এই হারানোর ক্ষতি নিরূপণও সম্ভব না।

এ সহিংসতার ঘটনায় রাষ্ট্রীয় সম্পদের সামগ্রিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো নিরূপণ করা যায়নি। তবে, ‘জুলাই তাণ্ডব’র সহিংসতা ও ধ্বংসযজ্ঞ এবং এর পরবর্তী দেশজুড়ে চলমান কারফিউ প্রভাব ফেলেছে দেশের প্রতিটি অর্থনৈতিক খাতে। এছাড়াও দেশের জিডিপি-তেও এই ধ্বংসযজ্ঞের নেতিবাচক প্রভাবের আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা। বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি আসে মূলত, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসা, পরিবহণ, নির্মাণ ও কৃষি এই পাঁচটি খাত থেকে। আর এই সংঘাতের কারণে এই ৫টি খাতেই নেতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং তা কাটিয়ে উঠতে সময় লাগবে বলেও আশঙ্কা বিশ্লেষকদের। এছাড়াও চলতি অর্থবছরের বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধি লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এ সংঘাত দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমিয়ে দিতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

গত ১৬ থেকে ২৩ জুলাই সারাদেশে বন্ধ ছিলো যানবাহন। ঘোরেনি কলকারখানার চাকাও। কৃষি ছাড়া বন্ধ ছিলো সব ধরনের উৎপাদনমুখী খাত। তবে কৃষি উৎপাদন চলমান থাকলেও পরিবহণ ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় সেখানেও লক্ষ্য করা গেছে স্থবিরতা। এই আন্দোলন সহিংসতাকে ঘিরে এখন পর্যন্ত কোন সামগ্রিক ক্ষয়-ক্ষতির হিসাব প্রস্তুত হয়নি। তবে, সীমিত পরিসরে খাত ভিত্তিক ক্ষয়-ক্ষতির এক চিত্র তুলে ধরেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল-জাজিরা। বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের বরাত দিয়ে আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, গত কয়েকদিনের সহিংসতায় বাংলাদেশের আর্থনীতির ৫টি খাতে ক্ষতি হয়েছে ১ দশমিক ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি টাকায় এই ক্ষতির পরিমাণ ১৪ হাজার কোটি টাকার বেশি


সহিংসতা   জল্লাদ   কোটা আন্দোলন   জঙ্গিবাদ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন