নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৫৭ পিএম, ২১ অগাস্ট, ২০১৯
আজ ২১ শে আগস্ট, ২০০৪ সালের আজকের এই দিনে এদেশের মাটিতে একটি রাজনৈতিক দল ও সেই দলের প্রধানকে স্বমুলে ধ্বংস করার জন্যে ঘটানো হয়েছিলো স্বাধীন বাংলার ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভয়াবহ ও নির্মম হত্যাযজ্ঞ। এই দিনটিতে হরকাতুল জিহাদ নামে একটি জঙ্গি গোষ্ঠীর আর্জেস গ্রেনেড হামলায় ঘটনা স্থলেই নিহত হয়েছিল ২৩ জন এবং পরে আরো একজনসহ মোট ২৪ জন। আহতও হয়েছিল কয়েক শতাধিকের বেশি মানুষ। আওয়ামী লীগ ও দলের প্রধানকে চিরতরে শেষ করে দেবার লক্ষ্যে করা এই হামলায় আহত ও নিহতদের স্মরণে বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ দলটির রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনে একত্রে হয় বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী ও হামলার ঘটনায় আহত অনেক মানুষ। পার্টি অফিসের মুল দরজার পাশে নির্মাণ করা হয়েছে শহীদ বেদী, সেই বেদীতে দল ও ব্যক্তি পর্যায় থেকে অর্পণ করা হয়েছে পুষ্পার্ঘ্য।
যখন সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্যে হুড়োহুড়ি চলছে তাঁর সামনেই একটি ফুল গাছের নিচে স্বজল নয়নে দাঁড়িয়ে আছেন ষাটোর্ধ্ব এক বৃদ্ধা। ঘন্টা খানেক তাকে সেখানেই দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে কৌতুহল জাগে তাঁর প্রতি। এগিয়ে গিয়ে আলাপের অনুরোধ জানালে সায় দেন তিনি। নিজের নাম জানান পীরজান বেওয়া। আলাপে আলাপে তিনি জানান, সেই যৌবন বয়সে কোলে করে এক শিশু সন্তান নিয়ে ভোলার কোন এক নদী অঞ্চল থেকে জীবনের তাগিদে ঢাকায় এসেছিলেন স্বামীর হাত ধরে। লঞ্চ ঘাট থেকে নেমে এসে বসেন এই বঙ্গবন্ধু এভিনিউ এলাকায়। তারপর থেকে এখানেই তাদের ঘর সংসার। কোলের প্রতিবন্ধী ছেলে জাকির বড় হতে থাকে, স্বামী অন্য কোথাও কাজ করে যা পান তাই দিয়ে এখানকার ফুটপাতে তাদের দিন চলে যায় ভালো ভাবেই। এর মধ্যে আরো এক ছেলে ও মেয়ে সন্তানের জন্ম দেন পীরজান।
একদিন হুট করে স্বামীটা মারা যান তারপর তিন সন্তান নিয়ে অস্থায়ী সংসার সমুদ্রের অতলে সাঁতরাতে থাকেন। স্বামী হারানোর পরে এই বঙ্গবন্ধু এভিনিউ ও আওয়ামী লীগের পার্টি অফিস এলাকাতেই তিনি তাঁর জীবন ও জীবিকা নির্বাহ করতে থাকেন। জীবিকা বলতে নামাজ শিক্ষা বই বিক্রি করেন তিনি।
প্রতিদিনের মতো ২০০৪ সালের ২১ শে আগস্টে সমাবেশ স্থলে সে তাঁর প্রতিবন্ধী সন্তান জাকিরকে পার্টি অফিসের ডান পাশে বসিয়ে রেখে নামাজ শিক্ষা বই বিক্রি করছিলেন তিনি। হঠাৎ করে বিকট শব্দে তাঁর কান ঝালাপালা হয়ে যাওয়ার যোগার। চোখ ফিরিয়ে দেখেন লোকে লোকারণ্য সমাবেশ স্থল ছেড়ে যে যেভাবে পারছে রেখে পালিয়ে যাবার চেষ্টা করছে। কারো কারো শরীর রক্তে ভেজা, কেউ রাস্তার উপরে আধমরা হয়ে পড়ে আছে আবার কেউ রক্তমাখা শরীরে অসহ্য ব্যথায় মৃত্যু যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে। তখন তাঁর মনে পরে ছেলে জাকিরের কথা। দৌড়ে যায় ছেলে জাকিরকে যেখানে বসিয়ে রেখে এসেছিলেন সেই স্থানে। গিয়ে দেখেন সেখানে কেউ নাই, মনটা অজানা আর অনিশ্চিত আশঙ্কায় হাহাকার করে উঠে তাঁর। খোঁজাখুঁজির পর রক্তাক্ত অবস্থায় তার ছেলে জাকিরকে পান পীরজান বেগম। ছেলেকে নিয়ে যে হাসপাতালে যাবেন তিনি সেই অবস্থায় নেই। চারিদিকে পুলিশ ঘিরে রেখেছে কোয়াও দিয়ে বের হওয়ার অবস্থা নাই। চোখের সামনে দেখছেন আহত ব্যক্তিদের পর্যন্ত পুলিশ ধরে ধরে মারছেন। চিকিৎসা নিতে হাসপাতাল পর্যন্ত যাওয়ার উপায় নাই। তাঁর ভাষ্যমতে কোন রকম লুকিয়ে লুকিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ছেলেকে ভর্তি করান তিনি। হাসপালে গিয়ে আবিষ্কার করেন তারও কপালে দুইটি স্প্রিন্টার বিঁধেছে। মা ও ছেলে একই সাথে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে শুরু করেন এবং চিকিৎসার তিন দিনের মাথায় ছেলেটি মারা যায় তাঁর।
এতটুকু বলেই একেবারে থেমে যান তিনি তারপর কিছুক্ষণ নীরবতা। নীরবতা ভেঙ্গে আবার বলতে শুরু করেন, আমাগো কোন দলীয় পরিচয় আছিলো না বইলা হাসপাতালে ভর্তি নিছে ওরা কিন্তু চিকিৎসা করে নাই ঠিক মতো। ভর্তি থাকা অবস্থায় দেখছি এহানকার কতো ভাই আর আপারে যে ফিরায়া দিছে হাসপাতাল থাইকা। বাবা আমি আমার পোলাডার মুখ দাফনের আগে একবার দেখতেও পারি নাই। আমি ঢাকায় আইছিলাম দুঃখ নিয়া, আমার জীবনে আর দুঃখ পিছ ছাড়লো না। বাকি দুই পোলা আর মাইয়া এতিম খানায় মানুষ হইতাছে একটু আধটু পড়া লেহাও করে। তারা আমারে এইহান থাইকা অন্য যায়গায় নিয়া যাইতে চায়। আমি রাজি হই না, আমি আমার বাবা জাকিরের স্মৃতি খুইজা বেড়াই। এহানে যহন অনেক মানুষজন আসে তহন আমার মনে ওয় আমার বাবা জাকির আমারে মা কইরা ডাক দিবো। আমি দৌড় দিয়া গিয়া আমার আমার অচল পোলাডারে বুকে জড়াইয়া ধরমু। যতদিন বাইচ্চা আছি আমি এহানেইউ থাকতে চাই, এহানেই আমি মরতে চাই যেহানে আমি আমার অচল পোলাডারে হারাইছি।
জিজ্ঞেস করা হয় তাঁর কোন চাওয়া আছে না কি বর্তমান সরকারের কাছে। তিনি বলেন,আমার কিছু চাওয়ার নাই। আমার তো কোন কিছুতেই মন ভরবো না । ভালো লাগবো যদি জীবদ্দশায় খালেদা আর তারেকের ফাঁসি দেইহা যাইতে পারি। কথাগুলো বলতে বলতে অঝড়ে কাঁদতে থাকেন তিনি আর শাড়ির আঁচলে মুছতে থাকেন কান্নার জল। পীরজান বেওয়ার ঘটনাটা গল্পের মতো মনে হওয়ায় সন্দেহ কাজ করতেছিলো মনে। সেই সন্দেহ মনে বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেনি। খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে এই আওয়ামী লীগের পার্টি অফিসে যারা নিয়মিত যাওয়া আসা করেন কিংবা সব স্তরের নেতা কর্মীরাও পীরজান বেওয়াকে চেনেন এবং তাঁর জীবনের এই ঘটনার ব্যাপারেও জানেন।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
নিজ
আয় থেকে উড়োজাহাজ কেনার
ঋণ পরিশোধ করে চলছে রাষ্ট্রীয়
পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। এরই মধ্যে ২০১১
সালের চুক্তি অনুযায়ী বোয়িং কোম্পানি থেকে ১২টি ও
ডি হ্যাভিল্যান্ড কোম্পানি থেকে দুটি এয়ারক্রাফট
কেনার ঋণের আসল ও
সুদসহ ১ হাজার ৫৭০
মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছে।
পাশাপাশি তিনটি বোয়িং এয়ারক্রাফটের সম্পূর্ণ ঋণ নির্দিষ্ট সময়ে
পরিশোধ করেছে বিমান। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এমন তথ্য পাওয়া
গেছে।
বিমান কর্মকর্তারা বলছেন, শুধু এয়ারক্রাফট কেনার ঋণের টাকাই নয়, করোনাকালে চলতি মূলধন বাবদ সরকার প্রদত্ত আর্থিক প্রণোদনা হিসেবে ৭৮৮ কোটি টাকা নেয় বিমান। তবে সংকট কেটে যাওয়ার পর ফ্লাইট চলাচল স্বাভাবিক হলে প্রণোদনা ঋণের আসল ও সুদ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই পরিশোধ করা সম্ভব হয়। তারা আরও জানান, রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও হিসেবে শফিউল আজিম দায়িত্ব নেওয়ায় পর ঘুরে দাঁড়াতে থাকে প্রতিষ্ঠানটি। নিয়োগ ও কেনাকাটসহ নানা খাতে শৃঙ্খলা ফিরতে শুরু করে। অনিয়ম দূর করে দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের কারণে আর্থিকভাবে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে বিমান।
বিমান
বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. আল মাসুদ
খান গণমাধ্যমকে জানান, `নিজ আয় থেকে বিমান
তার এয়ারক্রাফট কেনার ঋণ শোধ করছে।
এটা বিমানের আর্থিক সক্ষমতার নজির। স্মার্ট এয়ারলাইন্স হওয়ার পথে দ্রুতগতিতে এগিয়ে
চলছে বিমান। কিন্তু এ অগ্রযাত্রা বাধাগ্রস্ত
করতে একটি বিশেষ মহল
এয়ারলাইন্সের আর্থিক সক্ষমতা এবং ব্যবসায়িক অগ্রগতিকে
প্রশ্নবিদ্ধ করে মানুষকে বিভ্রান্ত
করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।‘
মন্তব্য করুন
পঞ্চগড়ের
খয়খাটপাড়া সীমান্তে গুলিতে নিহত দুই বাংলাদেশির
মরদেহ ফেরত দিয়েছে ভারতীয়
সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গত ৮ মে
ভোরে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার খয়খাটপাড়া সীমান্তে বিএসএফের ১৭৬ ব্যাটালিয়নের ফকিরপাড়া
ক্যাম্পের সদস্যদের গুলিতে এই দুই বাংলাদেশি
যুবক নিহত হন।
শুক্রবার
(১০ মে) সন্ধ্যার দিকে
পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা ও ভারতের ফুলবাড়ি
জিরো লাইন সীমান্ত দিয়ে
মরদেহ দুটি ভারতের ফাঁসিদেওয়া
থানা পুলিশ তেতুঁলিয়া থানা পুলিশের কাছে
হস্তান্তর করে।
এ
সময় পুলিশ, বিজিবি ও বিএসএফের কর্মকর্তাসহ
নিহত দুজনের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
তেঁতুলিয়া
মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুজয় কুমার
বলেন, বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে নিহত দুই
যুবকের মরদেহ গ্রহণ করা হয়েছে। ভারতে
ময়নাতদন্ত হওয়ায় আমরা ময়নাতদন্ত ছাড়াই
মরদেহ দুই পরিবারের স্বজনদের
কাছে হস্তান্তর করেছি।
মন্তব্য করুন
পে-কমিশন গঠন করে বৈষম্যমুক্ত নবম পে-স্কেল বাস্তবায়ন করাসহ সাত দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছেন সরকারি কর্মচারীরা। শুক্রবার (১০ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদ’ এ মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে।
সরকারি কর্মচারীরা বলেন, ‘সরকার আমাদের যে বেতন-ভাতা দিচ্ছে তা দিয়ে সংসার চালাতে কষ্ট হয়। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে সবাইকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। আপনি (প্রধানমন্ত্রী) এ দেশের অনেক উন্নয়ন করেছেন। আপনার কাছে আমাদের একটাই দাবি: সচিবালয়ের মতো আমরা যারা বাহিরে কর্মরত, আমাদের পদোন্নতির ব্যবস্থা করুন। বর্তমান সময়ের সঙ্গে সংগতি রেখে বাড়িভাড়া, রেশনিং পদ্ধতি চালু, চিকিৎসা ভাতা, শিক্ষা সহায়ক ভাতা ও টিফিন প্রদানের জন্যও অনুরোধ জানাচ্ছি।’
মানববন্ধনে সংগঠনটির নেতারা সাতটি দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো –
১. পে কমিশন
গঠন করে ৯ম পে-স্কেল বাস্তবায়ন করতে হবে। পে-স্কেল বাস্তবায়নের আগে কর্মচারীদের জন্য
অন্তর্বর্তীকালীন ৫০ শতাংশ মহার্ঘ
ভাতা দিতে হবে।
২.
রেশনিং পদ্ধতি চালুসহ ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর
ঘোষণা অনুযায়ী ১০ ধাপে বেতন
স্কেল নির্ধারণসহ পে-কমিশনে কর্মচারী
প্রতিনিধি রাখতে হবে।
৩.
সচিবালয়ের মতো সকল দপ্তর, অধিদপ্তরের
পদনাম পরিবর্তনসহ ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণ
এবং এক ও অভিন্ন
নিয়োগবিধি প্রণয়ন করতে হবে।
৪.
টাইম স্কেল সিলেকশন গ্রেড পুনর্বহালসহ বেতন জ্যেষ্ঠতা পুনর্বহাল,
বিদ্যমান গ্রাচুইটি/আনুতোষিকের হার ৯০ শতাংশের
স্থলে শতভাগ নির্ধারণ ও পেনশন গ্র্যাচুইটি
১ টাকার সমান ৫০০ টাকা
নির্ধারণ করতে হবে।
৫.
সরকারি প্রাথমিক
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের আপিল বিভাগের রায়
বাস্তবায়নসহ সহকারী শিক্ষকদের বেতন নিয়োগবিধি ২০১৯-এর ভিত্তিতে ১০ম
গ্রেডে উন্নীতকরণ ও অধঃস্তন আদালতের
কর্মচারীদের বিচার বিভাগীয় সহায়ক কর্মচারী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
৬.
প্রাথমিক শিক্ষার
দপ্তরি কাম প্রহরীসহ আউট
সোর্সিং পদ্ধতি বাতিল করে ওই পদ্ধতিতে
নিয়োগ করা ও উন্নয়ন
খাতের কর্মচারীদের রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করতে
হবে। ব্লক পোস্টে কর্মরত-কর্মচারীসহ সকল পদে কর্মরতদের
পদোন্নতি বা ৫ বছর
পরপর বেতনস্কেলের উচ্চতর গ্রেড প্রদান করতে হবে।
৭.
বাজারমূল্যের ঊর্ধ্বগতি
ও জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির সঙ্গে সমন্বয়পূর্বক সকল ভাতাদি পুনর্নির্ধারণ
করতে হবে। চাকরিতে প্রবেশের
বয়সসীমা ৩৫ বছর ও
অবসরের বয়সসীমা ৬২ বছর নির্ধারণ
করতে হবে।
মানববন্ধনে
বক্তব্য দেন, সরকারি কর্মচারী
কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি ও মুখ্য সমন্বয়ক
মো. ওয়ারেছ আলী, সেক্রেটারি ও সমন্বয়ক খায়ের
আহম্মেদ মজুমদার প্রমুখ।
সরকারি কর্মচারীরা দফা দাবি আন্দোলনে
মন্তব্য করুন
দুর্বৃত্তের
ছোড়া গুলিতে মারা গেছেন নড়াইলের
লোহাগড়া উপজেলার মল্লিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সিকদার মোস্তফা কামাল (৪৩) ।
শুক্রবার (১০ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে উপজেলার কুন্দশী এলাকায় তাকে গুলি করা হয়। পরে ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাঞ্চন কুমার রায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
নিহত
মোস্তফা কামাল শিকদার উপজেলার মঙ্গলহাটা গ্রামের আকরাম হোসেন শিকদারের ছেলে। তিনি উপজেলা আওয়ামী
লীগের সাবেক সদস্য এবং মল্লিকপুর ইউনিয়ন
পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় লোহাগড়া থেকে নিজ বাড়ি মঙ্গলহাটার দিকে যাচ্ছিলেন সিকদার মোস্তাফা কামাল। এসময় কুন্দশী-মঙ্গলহাটা গ্রামীণ সড়কের সমীর সিকদারের বাড়ির সামনে গেলে দুর্বৃত্তরা তাকে গুলি করে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় নেয়া হচ্ছিল। তবে পথিমধ্যে রাত সাড়ে ১০টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
লোহাগড়া
থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাঞ্চন কুমার
রায় বলেন, দুর্বৃত্তদের ছোড়া গুলিতে মোস্তফা
কামাল শিকদার গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। একটি গুলি তার
বুকে লেগেছিল। তাকে ঢাকায় নেওয়া
হচ্ছিল। খবর পেয়েছি তিনি
মারা গেছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।
লোহাগড়া গুলিবিদ্ধ ইউপি চেয়ারম্যান মৃত্যু
মন্তব্য করুন
টানা তীব্র তাপদাহের পর বেশ কিছুদিন ধরে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি হচ্ছে। কোথাও গুড়ি গুড়ি, আবার কোথাও শিলাবৃষ্টি। এরই ধারাবাহিকতায় আজ সাত সকালে বজ্রসহ বৃষ্টি দেখা দিয়েছে রাজধানী ঢাকাতে।
শনিবার (১১ মে) ভোর থেকেই অন্ধকার নেমে আসে ঢাকাজুড়ে। সকাল সাড়ে ৭টার পর থেকে শুরু হয় ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি।
এর আগে ঢাকাসহ দেশের ৯ অঞ্চলের ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের সঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছিল আবহাওয়া অফিস। শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া এক পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।
আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রংপুর, দিনাজপুর, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, কুমিল্লা এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তরপশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ সময় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এদিকে আবহাওয়া অফিসের অপর এক বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এ সময় ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, রংপুর ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টিও হতে পারে।
রাজধানী ঢাকা বৃষ্টি বজ্রপাত শিলাবৃষ্টি
মন্তব্য করুন
নিজ আয় থেকে উড়োজাহাজ কেনার ঋণ পরিশোধ করে চলছে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। এরই মধ্যে ২০১১ সালের চুক্তি অনুযায়ী বোয়িং কোম্পানি থেকে ১২টি ও ডি হ্যাভিল্যান্ড কোম্পানি থেকে দুটি এয়ারক্রাফট কেনার ঋণের আসল ও সুদসহ ১ হাজার ৫৭০ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছে। পাশাপাশি তিনটি বোয়িং এয়ারক্রাফটের সম্পূর্ণ ঋণ নির্দিষ্ট সময়ে পরিশোধ করেছে বিমান। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।