নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৫৯ পিএম, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২০
খালেদা জিয়ার জামিনের আবেদন নাকচ হওয়ার পর তার মুক্তি এবং রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে বিএনপির মধ্যে এখন টালমাটাল অবস্থা চলছে। এর মধ্যে মুখ খুলতে শুরু করেছেন বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতারা। বিএনপির অন্যতম নেতা মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়াকে যেমন মুক্ত করা সম্ভব নয় তেমন বিএনপিকেও টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, তিনি দলের বিভিন্ন নেতাদের কাছে বলেছেন নেতৃত্ব পরিবর্তন করতে হবে। সৎ এবং যোগ্য নেতৃত্ব ছাড়া বিএনপি টিকিয়ে রাখা মুশকিল হবে।
সূত্রগুলো বলছে তিনি এটাও বলেছেন, যারা কাড়ি কাড়ি টাকা বানিয়েছেন। অসৎ উপায়ে বিপুল বিত্ত বৈভবের মালিক তাদের দ্বারা সরকার বিরোধী আন্দোলন সম্ভব হবে না।
তিনি অভিযোগ করেছেন যে, বিএনপির শীর্ষস্থানীয় অনেক নেতাই নিয়মিতভাবে মাসোয়ারা নেন সরকারের কাছ থেকে। তাদের চিকিৎসার খরচও সরকার যোগান দেয়। যারা সরকারের কাছ থেকে টকা নেন তারা কিভাবে খালেদা জিয়ার মুক্ত করবে?
মেজর হাফিজের এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত হয়েছেন বিএনপির আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। গয়েশ্বর চন্দ্র রায় মনে করেন যে, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য যারা দিনে চিৎকার করছেন তারা রাতেরবেলা সরকারের পদলেহন করছেন, এবং সরকারের দেওয়া বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, তিনি প্রশ্ন করেছেন যে বেগম খালেদা জিয়ার দুর্নীতির মামলা শেষ হয়ে গেল, আর বিএনপির বড় বড় নেতাদের দুর্নীতির মামলা কেন আতুড়ঘরেই পড়ে আছে? নিশ্চয়ই তারা সরকারের সঙ্গে যোগসাজশ করেছেন। এজন্যই তাদের মামলাগুলোর কোন সুরাহা হচ্ছে না বা সরকারের বদন্যতায় তারা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলেন, শুধু মেজর হাফিজ বা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় নয়, বিএনপির তৃণমূলে এখন এই মতের সংখ্যাই বেশি যারা মনে করছেন বেগম খালেদা জিয়াকে আটকে রাখার পেছনে বিএনপির নেতাদের হাত রয়েছে। তারা এটাও মনে করছেন, বিএনপি নেতারা গোপনে সরকারের সঙ্গে আপোস করেই খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রেখেছেন।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রথম পর্যায়ের উপজেলা নির্বাচনের প্রস্তুতি চূড়ান্ত। ১৫০টি উপজেলায় এখন জনগণ ভোটের অপেক্ষায়। দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৫৯টি উপজেলায় মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন গতকাল শেষ হয়েছে। সেখানেও এখন নির্বাচনী প্রচারণার ডামাডোল শুরু হয়েছে। কিন্তু উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হবে কি না, উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে কি না এবং উপজেলা নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে কি না তা নিয়ে একদিকে যেমন জনগণের সংকট রয়েছে তেমনই নির্বাচন কমিশনও এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত।
লক্ষ্মীপুর সদরের তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরপরই হামলার শিকার হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, নেপথ্যে নির্বাচনে কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ। এঘটনায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতাকারী দুই প্রার্থীকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ ৯১১ জনের বিরুদ্ধে দুইটি মামলাও দায়ের করেন। ফলে নির্বাচনের পর আনন্দের বদলে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে ওই ইউনিয়নে।