নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:২৯ এএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২০
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অনেকটা কম্প্রোমাইজিং মনে হচ্ছে, উনার বিভিন্ন সিদ্ধান্তে। এতে অনেকেই মনে করছেন যে আসলেই কি শেখ হাসিনা কুচক্রীদের ফাঁদে পড়ে গেছেন! নাকি তিনি উল্টা ফাঁদ পেতেছেন কুচক্রীদের জন্য! এটা এখনই বলা খুব মুশকিল বা টুঁ আর্লি।
সারা দেশে প্রায় ৪০টা ত্রাণ তসরুফের ঘটনা ঘটার পরে হঠাত করেই সারা দেশের ত্রাণ বিতরণ মনিটরিং করার জন্য প্রশাসনের রাজনৈতিক অংশকে বাদ দিয়ে আমলাদের হাতে ছেড়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী। এ নিয়ে বিতর্ক হয়েছে, হচ্ছে প্রচুর। কিন্তু শেখ হাসিনা নির্বিকার চিত্ত। কেন তিনি এমন করলেন, তাঁর উত্তর খুঁজতে খুঁজতে হয়রান সবাই। তাই কিছু অনুমান করা শুরু করেছেন অনেকেই, যারা দেশ, রাজনীতি নিয়ে ভাবেন।
দুস্থদের ভিজিডি, ও এম এস, ভিজিএফ, দরিদ্র গর্ভবতী মহিলাদের সহায়তা দেওয়া লাখ লাখ হতদরিদ্র মানুষদের তালিকা আছে। এখন ত্রাণের তালিকার জন্য ন্যাশনাল আইডি চাওয়া হচ্ছে। অসৎ মানুষ সরকারী কর্মচারী হলে ফিরিস্তা হয়ে যান না, আবার অসৎ মানুষ টাকা দিয়ে পদ বাণিজ্য আর নমিনেশন কিনে জনপ্রতিনিধি হলেও দেশ-জনতা প্রেমিক হয়ে যান না। তাই সারা দেশেই সেই আদ্দি কাল থেকেই অসৎ আমলা আর অসৎ জনপ্রতিনিধি মিলে অন্যায়, চুরি-চামারি করেন। কী কী অকাম তাঁর মিলে মিশে করেছেন তা ধরার জন্য কি এই নতুন কৌশল। হঠাত করেই সারা দেশে ত্রাণ তসরুফের ঘটনা প্রায় নাই গয়ে গেছে। এসব চুরি যে হতো তা কি স্থানীয় আমলা প্রশাসন, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোক জানতেন না! ভাবতে অবাক লাগে। দুষ্টু লোকেরা অনেকে বলে সবার হারাহারি ভাগ আছে এসব চুরিতে। নীচ থেকে সর্বোচ্চ পর্যায় পর্যন্ত এর ভাগ যায়। দেশের কতভাগ লোকের কাছে বা কতজনের নামে দুস্থদের ভিজিডি, ও এম এস, ভিজিএফ, দরিদ্র গর্ভবতী মহিলাদের সহায়তা দেওয়া হয়, হচ্ছে তাঁর তালিকা প্রধানমন্ত্রী হাতে আছে। এবার নতুন তালিকা হউক, দেখা যাক কত শতাংশের নাম ডবল এসেছে, এবার তো তালিকা করবে প্রশাসন। প্রশাসন হঠাত করেই রাজনীতিবিদদের খুব আপনজন হয়ে উঠেছে, অনবরত টেলিফোন আসছে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কাছে তালিকা তৈরিতে সহায়তা করার জন্য।
রাজনীতিবিদগণও কিন্তু বসে নেই। তাঁদের রাজনীতি টিকিয়ে রাখতে তাঁদের মত করে তালিকা করছেন। সমাজের কিছু বিত্তশালী মানুষ, মধ্যবিত্ত মানুষ তাঁদের সাধ্য মত ত্রাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন, নিরবচ্ছিন্ন ভাবেই। তাঁরাও চরম অস্থির জনগণের কাছে তাঁদের রাজনৈতিক ভিত্তি ঠিক রাখতে। কারণ এটা তাঁদের জন্য খুব বড় রাজনৈতিক পরীক্ষা।
আমাদের দেশের অর্থনীতির বিরাট অংশ ফরেন রেমিট্যান্স, তৈরি পোশাক আর অন্যান্য রপ্তানি। তাঁদের সাথে আছে ব্যাক-ওয়ার্ড আর ফরোয়ার্ড লিংকেজ কোম্পানি, আছে বিভিন্ন সেবা খাত। যারা এঁকে অপরের সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। এসব পেশায় জড়িত আছেন লাখ লাখ পরিবার। বড়লোকেরা গরীব হবার ভয়ে অস্থির। আছে বিদেশী রপ্তানি বাজার হারানোর ভয়, ইত্যাদি। কোনটা সত্যি আবার কোনটা সত্য মিথ্যায় মেশানো সত্যি সেটা এখনো পরিষ্কার নয়। বড় লোক মানে বুদ্ধিমান, কৌশল; তাঁরা চাপ দিচ্ছেন হাজার হাজার কোটি টাকার প্রণোদনার, না হয় লক-ডাউন শিথিল করার। শেখ হাসিনা বলেছেন, ওকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কারখানা চালান, সেবা খাত চালান। দেখা যাক কী হয় করোনার পরবর্তী অবস্থা। রেডিমেড গার্মেন্টস ও অন্য কারখানা আর সেবাখাত স্বাস্থ্যবিধি মেনে কারা কতটুকু চালাতে পারেন তার একটা পরীক্ষা কি প্রধানমন্ত্রী নিচ্ছেন! যাতে পরে সরকারের ঘাড়ে পুরোপুরি দোষ না আসে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে কারা রেডিমেড গার্মেন্টস ও অন্য কারখানা আর সেবাখাত চালাতে পারেন তাঁর পরীক্ষা কি নিচ্ছেন এই সব ভুল ধরা প্রণোদনা লোভী বড় লোকেদের আমাদের প্রধানমন্ত্রী! এবার প্র্যাক্টিক্যাল মানে ব্যবহারিক পরীক্ষা হয়ে যাবে হাতে নাতে, দেশ ও দশের সামনে। প্রধানমন্ত্রী চাচ্ছেন সবাই খেটে খাক, সবাই দেশ গঠনে, দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখুন, নিজেদের সাধ্য মত, এতে সবাই লাভবান হবেন।
১৯৭৪ সালের মত খাদ্য রপ্তানি বন্ধ করে কেউ যেন দুর্ভিক্ষ চাপিয়ে দিতে না পারে তাঁর জন্য প্রধানমন্ত্রী বৃহত্তর কৃষি খাতের উপর খুব জোর দিয়েছেন। পাকা ফসল সংগ্রহের জন্য হারভেস্টার আর শ্রমিকের যোগান ঠিক রাখতে নিজেই সব কিছু মনিটর করছেন। কৃষকদের প্রণোদনা দিয়েছেন। আর শতকরা ২ % হারে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা করছেন।
আমাদের দেশের শ্রমিক শ্রেণীর কঠোর পরিশ্রমী মানুষের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তুলনামুলকভাবে অনেক বেশি আমাদের শহুরে মানুষের চেয়ে। আমরা ফিল্টার পানি আর গরম খাবার না খেলে অসুস্থ হয়ে পড়ি। কিন্তু আমাদের শ্রমিক শ্রেণীর মানুষ শহর/নগর কর্তৃপক্ষের সাপ্লাইয়ের পানি পান করেন, বাসি-পচা খাবার খেয়েই কাজ করেন। কোন সঠিক তথ্য উপাত্ত না থাকলেও মৌখিক পরিসংখ্যান ধারণা দেয় যে আমাদের দেশের শ্রমিক শ্রেণীর কঠোর পরিশ্রমী মানুষের মধ্যে করোনার বিস্তার তুলনামূলক কম হবে শহুরে বাবু আর তাঁদের পরিবারের সদস্যদের চেয়ে।
জীবন থেকে নেওয়া একটা গল্প বলা যায়। ১৯৭৪ সালে জাইকা যখন বাংলাদেশে জাপানিজ ভলান্টিয়ার পাঠানো শুরু করে, তখন বাংলাদেশে নিরাপদ পানিয় জলের সংস্থান ছিল না। ছিল না বোতল-জাত পানি। তাই জাপানিজ ভলান্টিয়ারদের বাংলাদেশে পাঠানোর আগেই গুলশানে জামান`স ক্লিনিক নামের একটা ক্লিনিক বুক করে রাখা হতো। কারণ জাপানিজ ভালাণ্টিয়ারগণ বাংলাদেশে আসার পরেই সবাই এক থেকে তিন বার ডায়রিয়ায় আর আমাশয়ে আক্রান্ত হতেন। এক মাসে ২/৩ বার আক্রান্ত হবার পরে জাপানিজ ভালাণ্টিয়ারগণের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যেত। তখন তাঁদের সারা দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হতো কাজে।
বাংলাদেশের উদীয়মান অর্থনীতির চাকা অর্থাৎ বিভিন্ন খাতের উৎপাদন, রপ্তানি আর সেবা তো আর বন্ধ করা যাবে না। উন্নত দেশেও অনেক জায়গায় সীমিত আকারে লক-ডাউন তুলে নিচ্ছেন সেই সব দেশের সরকার। যেহেতু করোনাভাইরাসের কোন সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। আর এর টিকা আবিষ্কারও সময় সাপেক্ষ। কারণ করোনাভাইরাসের চরিত্র বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন রকমের। ভারতে বিজ্ঞানীরা ইতোমধ্যেই ১২ ধরণের কেভিড-১৯ মানে এই করোনাভাইরাসের জেনেটিক রূপ দেখতে পেয়েছেন। তাই নিজেরা সাবধান হয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অন্য আর দশটা দেশের মত করে জীবন চালানো ছাড়া উপায় কী! তাই যারা যে যে ফাঁদ পেতেছেন, তাতে কে কাকে ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করে সফল হবে তা অচিরেই পরিষ্কার হবে। এতে যে বাংলার মানুষের কল্যাণে শেখ হাসিনার গৃহীত পদক্ষেপের জয় হবে তা প্রত্যাশিত অনুমান করা যায়।
মন্তব্য করুন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষা মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে পরিবহন থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে চক্রের
অন্যতম মূলহোতা মারুফসহ ১১ চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১০।
গ্রেপ্তারকৃতরা হল, মূলহোতা মো. মারুফ (৩৮), মো. ইমরান হোসেন (৩৫),
মো. জাকির হোসেন (২৩), মো. রায়হান (২২), মো. চয়ন (১৮), মো. আপন (১৮), মো. রুহুল আমিন
(৪০), মো. আল আমিন (২৫), মো. তানজির (২৪), মো. এহসান আহম্মেদ সজীব (২৬) ও মো. আরিফুল
হাসান শাওন (১৮)।
এসময় তাদের কাছ থেকে আদায় করা চাঁদার নগদ ১২ হাজার ৩২০ টাকা এবং
১১টি কাঠের লাঠি উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার (২ মে) র্যাব-১০ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া)
এএসপি এম. জে. সোহেল এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ২ মে ভোর সাড়ে ৪টা থেকে সকাল ৭টা ১০ মিনিট পর্যন্ত র্যাব-১০
এর একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যাত্রাবাড়ী এলাকায় একাধিক অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে
আন্তঃজেলা ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, লরি ও সিএনজিসহ বিভিন্ন পরিবহন থেকে অবৈধভাবে চাঁদা
উত্তোলনকালে পরিবহন চাঁদাবাজ চক্রের অন্যতম মূলহোতাসহ ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
এএসপি সোহেল আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তারা বেশ কিছুদিন
ধরে যাত্রাবাড়ীসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় আন্তঃজেলা ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, লরি ও সিএনজিসহ
বিভিন্ন পরিবহনের ড্রাইভার ও হেলপারদের সঙ্গে অশোভন আচণের মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতি ও ভয়ভীতি
দেখিয়ে অবৈধভাবে জোর করে চাঁদা আদায় করে আসছিল।
গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজুর পর সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান র্যাবের এ কর্মকর্তা।
রাজধানী পরিবহন চাঁদাবাজি গ্রেপ্তার
মন্তব্য করুন
থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, থাইল্যান্ডে আমার সরকারি সফরটি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের
ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। এটি আমাদের দুই দেশের মধ্যে ফলপ্রসূ অংশীদারিত্বের
একটি নতুন যুগের সূচনা করেছে।
বৃহস্পতিবার (০২ মে) গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলে প্রধানমন্ত্রী।
এসময় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যুতে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর
সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, থাইল্যান্ডকে দ্বিপাক্ষিকভাবে এবং আঞ্চলিক
জোট আসিয়ানে রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনে জোরালো অবস্থান নেওয়ায় সহায়তা করবে মর্মে
আমি আশাবাদী।
শেখ হাসিনা বলেন, সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্বার্থ সুরক্ষা
এবং আঞ্চলিক সম্পৃক্ততা বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশের বিশেষ প্রয়াস হিসেবে সফরটি সফল ও ফলপ্রসূ
হয়েছে বলে আমি মনে করি।
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে দুই দেশের
মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক উভয় সফরের অংশ হিসেবে
২৪ এপ্রিল ব্যাংকক পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
থাইল্যান্ডে ছয় দিনের সরকারি সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী গত সোমবার
(২৯ এপ্রিল) ব্যাংকক থেকে দেশে ফেরেন।
সফর প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ সফরে দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা-বাণিজ্য
বৃদ্ধিসহ মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা শুরুর বিষয়ে অগ্রগতি, আন্তঃযোগাযোগ বৃদ্ধি প্রভৃতি
দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক সুদৃঢ়করণে বিশেষ গুরুত্ব পালন করবে। ২০২৪ সালের মধ্যে
বাংলাদেশের আসিয়ানের ‘সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার’- এর প্রার্থিতা লাভের জন্য এ সফর উল্লেখযোগ্য
ভূমিকা রাখবে।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমার শক্তি দেশের জনগণ। জনগণের
শক্তির উপর আমরা বিশ্বাস করেছি। এবং আমি এটাও বিশ্বাস করেছি যে, জনগণ যতক্ষণ চাইবে
ততক্ষণই থাকবো ক্ষমতায়। কারণ আমরা ভোটে নির্বাচিত হয়ে এসেছি। আমাদের দল কোন অবৈধভাবে
ক্ষমতা দখলকারী কোন মিলিটারি ডিক্টেটরের পকেট থেকে বের হয়নি।
বৃহস্পতিবার (০২ মে) সকাল সাড়ে ১১টায় গণভবনে থাইল্যান্ড সফর নিয়ে
সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু
করে মানুষের আর্থ সামাজিক যে উন্নয়ন সেটাকে সামনে রেখে আমাদের বাংলাদেশের মানুষ যে
শোষণ ও বঞ্চনার স্বীকার হচ্ছিল তার বিরুদ্ধে দাড়াবার জন্য আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা লাভ
করেছে। কাজেই, আওয়ামী লীগ সবসময় মানুষের কল্যাণে কাজ করে এটা প্রমাণিত সত্য। যে কারণে
যতই চক্রান্ত হয় সে চক্রান্ত হলেও তা আমরা পাশ কাটিয়ে দেশের মানুষকে নিয়ে আবার বিজয়
নিয়ে আসি। এখানে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলনই ঘটেছে। যারা গণতন্ত্র নাই, ভোটের অধিকার নাই
বলে তারাইতো ভোটের অধিকার মানুষের কেড়ে নিয়েছিল এটা তারা ভুলে যায়। আর অনেকে নানা ধরনের
কথা বলে। কেউ উন্নয়ন চোখে দেখে, কেউ দেখে না। কারণ তাদের হয়তো উন্নয়নের ফর্মুলা ভিন্ন।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন আমরা জনগনের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেই করেছি।
এবং বাংলাদেশের পুরো নির্বাচন ইতিহাসটা যদি দেখেন তাহলে ৭৫ এর পর থেকে যতগুলো নির্বাচন,
৭৭ সালের হ্যা না ভোট থেকে শুরু করে যতগুলো নির্বাচন প্রত্যেকটি নির্বাচন একটু ভালো
করে তুলনা করলে দেখা যাবে যে, ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারী নির্বাচন প্রত্যেক নির্বাচনের
তুলনায় সবচেয়ে বেশি অবাধ, সুষ্ঠু এবং জনগনের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার নির্বাচন হয়েছে।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই নির্বাচন
যেন প্রভাবমুক্ত হয়। মানুষ যাতে স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারে। সেটাই আমাদের লক্ষ্য।
ফিলিস্তিন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ইতিমধ্যেই দুই দুই বার ফিলিস্তিনের জন্য সহযোগিতা পাঠিয়েছি এবং আরও পাঠাবো। সে প্রস্তুতিও আমরা নিয়েছি। এভাবেই আমরা ফিলিস্তিনের পক্ষে আছি এবং আন্তর্জাতিকভাবে তাদের পাশে দাড়াচ্ছি। যেখানে নির্যাতিত মানুষ সেখানেই বাংলাদেশ আছে।
এর আগে সোমবার (২৯ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে ছয় দিনের
সরকারি সফর শেষে ব্যাংকক থেকে দেশে ফিরেছেন। সফরকালে শেখ হাসিনা গভর্নমেন্ট হাউসে
(থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক
বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে দুই নেতার উপস্থিতিতে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে ভিসা অব্যাহতি,
জ্বালানি সহযোগিতা, পর্যটন ও শুল্ক সংক্রান্ত বিষয় এবং মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ)
আলোচনার বিষয়ে পাঁচটি দ্বিপাক্ষিক নথি সই হয়।
পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী দুসিত প্রাসাদের অ্যামফোর্ন
সাথার্ন থ্রোন হলে থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন ফ্রা ভাজিরা-ক্লাওচা-উয়ুয়া এবং
রাণী সুথিদা বজ্রসুধা-বিমলা-লক্ষণের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
গত বুধবার (২৪ এপ্রিল) থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনের
আমন্ত্রণে বিকেলে ব্যাংককে পৌঁছান শেখ হাসিনা। ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে
লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
থাইল্যান্ডের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫২ বছরে বাংলাদেশের সরকারপ্রধান
পর্যায়ে এটাই ছিল প্রথম সফর। সফরটি প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রতিবেশী’ নীতির ওপর
বৃহত্তর মনোনিবেশের অংশ হিসেবেই তার এই সফর। আর এ সফর দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক
নবায়নের চমৎকার সুযোগ করে দিয়েছে।
একই সময়ে তিনি ব্যাংককের জাতিসংঘ সম্মেলন কেন্দ্রে জাতিসংঘের এশিয়া
ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসক্যাপ) ৮০তম অধিবেশনে
ভাষণ দেন।
ভাষণে তিনি বিশ্বনেতাদের উদ্দেশে যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান জানিয়ে
বলেন, টেকসই উন্নয়নের পূর্বশর্ত হচ্ছে স্থায়ী শান্তি ও নিরাপত্তা। একইদিন প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনার সঙ্গে জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন এশিয়া
ও প্যাসিফিক অঞ্চলের নির্বাহী সচিব আরমিডা সালসিয়াহ আলিশাবানা সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
প্রধানমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলন থাইল্যান্ড সফর জনগণ
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেনে, আমরা ইতিমধ্যেই দুই দুই বার
ফিলিস্তিনের জন্য সহযোগিতা পাঠিয়েছি এবং আরও পাঠাবো। সে প্রস্তুতিও আমরা নিয়েছি। এভাবেই
আমরা ফিলিস্তিনের পক্ষে আছি এবং আন্তর্জাতিকভাবে তাদের পাশে দাড়াচ্ছি।
বৃহস্পতিবার (০২ মে) সকাল সাড়ে ১১টায় গণভবনে থাইল্যান্ড সফর নিয়ে
সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গত সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টায় ছয় দিনের থাইল্যান্ড সফর
শেষে দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
এর আগে, থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে
গত বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে ব্যাংককে পৌঁছান শেখ হাসিনা। ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে
তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫২ বছরে থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের
সরকারপ্রধান পর্যায়ের প্রথম সফর ছিল এটি।
সফরের দ্বিতীয় দিন গত বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) জাতিসংঘের এশিয়া
প্রশান্ত মহাসগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনইএসসিএপি) ৮০তম অধিবেশনে
যোগ দেন বাংলাদেশ সরকারপ্রধান।
মন্তব্য করুন
থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, থাইল্যান্ডে আমার সরকারি সফরটি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। এটি আমাদের দুই দেশের মধ্যে ফলপ্রসূ অংশীদারিত্বের একটি নতুন যুগের সূচনা করেছে। বৃহস্পতিবার (০২ মে) গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলে প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেনে, যেখানে নির্যাতিত মানুষ সেখানেই বাংলাদেশ আছে। আমরা ইতিমধ্যেই দুই দুই বার ফিলিস্তিনের জন্য সহযোগিতা পাঠিয়েছি এবং আরও পাঠাবো। সে প্রস্তুতিও আমরা নিয়েছি। এভাবেই আমরা ফিলিস্তিনের পক্ষে আছি এবং আন্তর্জাতিকভাবে তাদের পাশে দাড়াচ্ছি। বৃহস্পতিবার (০২ মে) সকাল সাড়ে ১১টায় গণভবনে থাইল্যান্ড সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।