নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৩২ পিএম, ২৮ মে, ২০২০
রাজধানী ঢাকায় করোনাভাইরাসের (কভিড-১৯) সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১৪ হাজার ৩৪৮ জন শনাক্ত হয়েছে ঢাকায়। এর মধ্যে সর্বাধিক রোগী রয়েছে মিরপুর ও সংলগ্ন এলাকায়। তবে সহ প্রায় সকল এলাকায়ই কিছু না কিছু রোগী রয়েছে বলে জানা গেছে।
গতকাল বুধবার সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) তথ্য অনুযায়ী বিষয়টি জানা গেছে।
রাজধানীর মিরপুর, বংশাল, ধানমন্ডি, চক বাজার, গেন্ডারিয়া, গুলশান, হাজারীবাগ, শাহবাগ, যাত্রাবাড়ী, লালবাগ, মিটফোর্ড, মোহাম্মদপুর, রাজারবাগ, শাখারি বাজার, তেজগাঁও, উত্তরা, ওয়ারি করোনার অন্যতম হটস্পট।
জানা গেছে, রাজধানীর সব থেকে বেশি করোনা ভাইরাস শনাক্ত রোগী ছিল মিরপুরে (১, ২, ৬, ১০, ১১, ১২, ১৩, ১৪, পল্লবী ও পীরেরবাগ) মোট ৬১৪ জন। এরপর মহাখালী ৩৫৬ জন, মুগদায় ২৯৫ জন, যাত্রাবাড়ি ৩১৫ জন, রাজারবাগে মোট ২১৩ জন, মোহাম্মদপুরে ২৮৮ জন, কাকরাইলে শনাক্ত হয়েছেন ২৯৮ জন।
এছাড়া, আদাবরে ৪৬ জন, আঁগারগাওয়ে ৮৫ জন, আজিমপুরে ৬২ জন, বাবু বাজারে ১৬১ জন, বাড্ডায় ১২৯ জন, বনানী ৭৪ জন, বংশালে ৯৯ জন, বাসাবো ৮৯ জন, বসুন্ধরা ৫২ জন, ক্যান্টনম্যান্ট এলাকায় ১৭ জন, চাংখারপুলে ৪৫ জন, চকবাজার ৭৯ জন, ধানমন্ডিতে ১৭২ জন, ইস্কাটন ৫২ জন, ফার্মগেইট ৪৮ জন, গেন্ডারিয়া ১০৯ জন, গ্রীনরোডে ৫০ জন, গুলশান ৯৪ জন, হাজারীবাগ ৮০ জন, জুরাইন ৫৩ জন, কল্যানপুর ৩৮ জন, চক বাজারে ৭৯ জন, কামরাঙ্গীর চর ৫৩ জন, খিলগাঁও ১৫১ জন কোতোয়ালিতে ২৯ জন শনাক্ত হয়েছে।
রাজধানীর লালমাটিয়া ৪০ জন, লালবাগে ১৬৪ জন, মালিবাগে ১৩১ জন, মান্ডায় ৩৯ জন, মানিকনগর ৪৫ জন, মিটফোর্ডে ৪৬ জন, মগবাজার ২০৫ জন, নারিন্দা ৪০ জন, নিউমার্কেট ১৪ জন, নাখালপাড়া ৩৭ জন, পান্থপথে ৩০ জন, পল্টন ৫০ জন, পুরানা পল্টনে ২৭ জন, রামপুরায় ৯৫ জন, রমনায় ৬৫ জন, রাজাবাজার ৩১ জন, শাহজাহানপুরে ৩৯ জন, শাহবাগে ৮৪ জন, শাখারি বাজারে ৩২ জন, শান্তিনগর ৫৪ জন, শ্যামলীতে ৮৪ জন, স্বামীবাগে ৫৭ জন, সুত্রাপুর ৪৮ জন, তেজগাঁও ১৮৪ জন, উত্তরায় ২৩৭ এবং ওয়ারিতে ৯৬ জন করোনা আক্রান্ত রয়েছেন।
এছাড়া রাজধানীর বাইরে ঢাকা জেলায় ৬২৬ জন করোনা রোগী রয়েছেন।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টির যে আভাস দেখা যাচ্ছে, তা সারাবিশ্বের পাশাপাশি বাংলাদেশের সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা যায়। দেশের অর্থনীতিতে এই সংঘাতের কিছুটা প্রভাব আসতে পারে। তবে সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’
বুধবার (৮ মে) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুলের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিশ্ববাজারের অস্থিতিশীলতা, বাজার ব্যবস্থাপনায় অসামঞ্জস্যতা এবং বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সূত্রে দেশের মূল্যস্ফীতি কিছুটা বাড়ার শঙ্কা থাকে। এছাড়া, সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতির কারণে পণ্য সরবরাহের সাপ্লাই-চেইন ক্ষতিগ্রস্ত হলে মূলত ইরান বা পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে রপ্তানি সংশ্লিষ্ট পরিবহন খরচ বাড়তে পারে। এতে পণ্য তৈরি ও সরবরাহ ব্যয় বাড়ায় রপ্তানিকারকরা কঠিন প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হতে পারেন।’
মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতের আশঙ্কার বিষয়ে দেশের সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে নির্দেশনা দেওয়ার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নির্দেশ দিয়েছি যাতে প্রত্যেকে মধ্যপ্রাচ্যের চলমান ঘটনাপ্রবাহের ওপর নজর রাখে এবং এ বিষয়ে নিজ নিজ করণীয় নির্ধারণ করে। সংঘাত দীর্ঘ হলে কোন কোন সেক্টরে প্রভাব পড়তে পারে তা বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের যে কোনো সংঘাত বা সংঘাতের খবর জ্বালানি তেলের বাজারকে প্রভাবিত করে। এতে পণ্যের জাহাজ ভাড়া বাড়ে। যা আমদানি ব্যয়ের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। সার আমদানি ব্যয়ে প্রভাব পড়ে। এতে বিকল্প উৎস হিসেবে চীন, মরক্কো, তিউনেশিয়া, কানাডা, রাশিয়া ইত্যাদি দেশের সঙ্গে বিদ্যমান সম্পর্ক আরও জোরদার করা হবে।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের সংকট আরও ঘনীভূত ও দীর্ঘায়িত হলে তা বাংলাদেশের ওপর অর্থনৈতিক প্রভাব ফেলতে পারে। সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ জাতীয় সংসদ মধ্যপ্রাচ্য বাংলাদেশের অর্থনীতি
মন্তব্য করুন
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ
মন্তব্য করুন
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিনয় মোহন কোয়াত্রা
মন্তব্য করুন
গ্রেপ্তার কাচ্চি ভাই বেইলি রোড
মন্তব্য করুন
জাল ভোট নির্বাচনী কর্মকর্তা উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টির যে আভাস দেখা যাচ্ছে, তা সারাবিশ্বের পাশাপাশি বাংলাদেশের সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা যায়। দেশের অর্থনীতিতে এই সংঘাতের কিছুটা প্রভাব আসতে পারে। তবে সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’