ইনসাইড বাংলাদেশ

‘আবারও সেই বিরাজনীতিকরণের অশুভ শক্তি সক্রিয় হয়েছে’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭:৩৬ পিএম, ১৬ জুলাই, ২০২০


Thumbnail

বাংলাদেশ যখনই কোন জাতীয় সংকটে পড়ে তখনই শুরু হয় ষড়যন্ত্র। সেই ষড়যন্ত্রের গন্ধ বাতাসে পাওয়া যাচ্ছে। রাজনীতিবিদ এবং রাজনীতিকে খাটো করে বিতর্কিত করে আবারও সেই বিরাজনীতিকরণের অশুভ শক্তি বিএনপি-জামায়াতসহ আরো অনেক অপশক্তি নানানভাবে সক্রিয় হয়েছে। করোনা সংকট থেকে উত্তরণের লক্ষ্যেে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যখন জীবন ও জীবিকার লড়াইয়ে বাঙ্গালী জাতি প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সেই মুহূর্তে বাতাসে ষড়যন্ত্রের গন্ধ খুজে পাচ্ছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতারা। তাই এই অপশক্তির বিরুদ্ধে দলীয় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন টানা মেয়াদে সরকার থাকা আওয়ামী লীগ।

বৃহস্পতিবার দুপুরে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস উপলক্ষ্যে সীমিত পরিসরে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় নেতারা এসব কথা বলেন।  আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস উপলক্ষে সীমিত পরিসরে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে দলটি। এতে সভাপতিত্ব করেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সাবেক কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী এমপি। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। এছাড়াও সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সবুর, শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন শাহাবুদ্দিন ফরাজী, আনিসুর রহমান।

সভা পরিচালনা করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।

জাহাঙ্গীর কবির নানক আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবসের দিনটিতে সেই অতীত ঘটনার কথা স্মরণ করে বলেন, শেখ হাসিনাকে বন্দি করে গণতন্ত্রকে বন্দি করা হয়েছিল। এই বন্দি করে মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকারকে বন্দি করা হয়েছিল। জননেত্রী শেখ হাসিনা ওই কারাগারে রেখেও তাকে দমাতে পারে নাই। তিনি কারাগার থেকে যখনই চিকিৎসার জন্য বেড়িয়েছেন, তিনি পরিষ্কার করে বলেছেন; একমাত্র নির্বাচনই হল সরকার পরিবর্তনের পথ। আমি নির্বাচন ছাড়া অন্য কোন কিছু মানি না। বাংলার জনগন মানবে না।

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে, শেখ হাসিনার নির্দেশে আমরা সেদিন সংগ্রাম করেছিলাম। আজকে সেই দিন। আমাদের মনে পরে, বঙ্গবন্ধুর রক্ত যার ধমনীতে প্রবাহিত যে রক্ত কোনদিন পরাভব মানে না সেই রক্তের উত্তরাধিকার শেখ হাসিনা গ্রেফতারকালীন সময়ে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে একটি খোলা চিঠি দিয়ে গিয়েছিলেন, সেই খোলা চিঠি ছিল বাঙালি জাতির জন্য এক নির্দেশনা। সেই নির্দেশনা নিয়েই আওয়ামী লীগসহ সকল সহযোগী সংগঠন পেশাজীবি সংগঠন, অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা সকলেই আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।

সেই সময় আন্দোলন-সংগ্রামের করতে গিয়ে গ্রেফতার নির্যাতনের শিকার হওয়া নেতাকর্মীদের অবদান ও ত্যাগের কথা স্মরণ করে নানক বলেন, বাংলাদেশ সেদিন এক অনিশ্চয়তার মধ্যে মুখোমুখি হয়েছিল। বাংলাদেশ সেদিন যে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছিল সেই অনিশ্চয়তার মধ্যে পরেও বাঙালি জাতি আন্দোলন সংগ্রাম  চালিয়ে গিয়েছে। বাংলাদেশের বঙ্গবন্ধু প্রেমিক নেতাকর্মীরা সেদিন আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে গিয়েছেন। সেই আন্দোলনের ফলশ্রুতি হল মাননীয় নেত্রী শেখ হাসিনার কারামুক্তি লাভ।

"কিন্তু আমাদের ভুলে গেলে চলবে না। সেদিন আমাদের দলের ভিতর আভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ ছিল। ছিল দোদুল্যমানতা। ছিল কাপুরুষতা। ছিল এক আপোষকামিতা। ষড়যন্ত্র করে দল ভাঙ্গার আবারো ষড়যন্ত্র হয়েছিল। কিন্তু সকল ষড়যন্ত্রকে ব্যর্থ করে দিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে আমরা ভোট এবং ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছি।

নানক বলেন, এই দেশ যখনই কোন জাতীয় সংকটে পড়ে তখনই শুরু হয় ষড়যন্ত্র। সেই ষড়যন্ত্রের গন্ধ আমরা পাচ্ছি। বাতাসে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাওয়া যায়। দেশ-জাতি ও বিশ্ববাসী যখন করোনায় আক্রান্ত; বাংলাদেশও যেহেতু করোনা আক্রান্ত তাই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে করনোমুক্ত হওয়ার জন্য জীবন- জীবিকার লড়াইয়ে শেখ যখন বাঙ্গালী জাতি প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সেই মুহূর্তে আমরা বাতাসে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাই।

এই ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দিয়ে আমাদের দলীয় নেতাকর্মীদের আজকের দিনে নতুন করে শপথ নেয়ার আহ্বান জানান তিনি। নানক বলেন, আজকের শপথ হোক সকল ষড়যন্ত্রকে ব্যর্থ করে দিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সুখী সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার অব্যাহত অগ্রযাত্রা আমরা রাখবোই রাখবো।

আব্দুর রহমান বলেন, কোন অশুভ চক্রান্ত কখনোই সফল হতে পারে না; যদি না সেটা মানুষের জন্য রাজনীতি না হয়ে থাকে। কারাবন্দি শেখ হাসিনার দৃঢ়তার কারণেই সেদিন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সাহস পেয়েছিল এবং আন্দোলন-সংগ্রাম করে প্রিয় নেত্রীকে মুক্তির পথ প্রশস্ত করেছিল। আজকের এই অবস্থায় একটা কথা বলে রাখা ভাল, যারা জনবিচ্ছিন্ন যাদের বিরুদ্ধে কোনো প্রার্থী না দিলেও যারা নির্বাচনে জিততে পারবে না এমন সমস্ত সেই চক্রান্তকারীরা ওয়ান ইলেভেনের সময় পিছন দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার আকাঙ্ক্ষায় ছিল। কিন্তু আমাদের নেত্রী জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ২০০৮ সালের নির্বাচনে ক্ষমতায় এসেছিলেন এবং একটি অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে তিনি আবারও প্রমাণ করেছিলেন বাংলাদেশের মানুষের আস্থার জায়গা শেখ হাসিনা। তিনি সেই আস্থার জায়গাকে ধরেই আজ অবধি দেশকে  সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, অগ্রগতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।

অথচ করনোকালীন সময়ে বিএনপি-জামায়াত এবং কুশীলবরা তারা কোনোভাবেই মানুষের পাশে দাঁড়ায়নি বলে দাবি করেন আব্দুর রহমান।

তিনি বলেন, কোন অত্যাচার নির্যাতন গ্রেপ্তার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদেরকে দমাতে পারে নাই, তাদের পথ রুদ্ধ করতে পারে নাই। ভবিষ্যতেও কোনো চক্রান্ত কোন ষড়যন্ত্রই আওয়ামী লীগের এই পথ চলাকে, শেখ হাসিনার এই অবিরাম পথ চলাকে কেউ রুখতে পারবে না।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক  আ ফ ম বাহাউদ্দিন  নাছিম বলেন, এখনো আমরা দেখছি, আমরা বুঝতে পারছি যখনই বাংলাদেশের মানুষ সংকটে পড়ে তখন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে মানুষের পাশে দাঁড়ায় এবং দেশকে দেশের মানুষকে রক্ষার জন্য সামনের দিকে এগিয়ে যায়। আর তার পাশাপাশি একটি কুচক্রী মহল যখনই এ ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয় তখনই তারা ষড়যন্ত্র করে। তখনই তারা নানান ধরনের অপকর্মে লিপ্ত হয়।
যখন আমরা দেখি এ দেশের মানুষকে রক্ষা করার জন্য সমস্ত শক্তি মেধা দিয়ে প্রণোদনা দিয়ে দেশের মানুষকে জাগিয়ে তোলার আশায় আলোকিত করার জন্য সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনা কাজ করছে, তখন ষড়যন্ত্রকারীরা নীলনকশা করে এই দুরবস্থার ভিতরেও। তারা রাজনীতি করে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করার চেষ্টা করছে।
সাম্প্রতিক বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে সরকারবিরোধী  ষড়যন্ত্রের দিকে ইঙ্গিত করে বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, আজকে আমরা দেখি রাজনীতিবিদদের চরিত্র হনন করার জন্য একটি মহল উঠেপড়ে লেগেছে। অথচ সেখানে কিন্তু বিভিন্ন পর্যায়ের মিডিয়া মোঘল থেকে শুরু করে নানান পর্যায়ের সরকারি-বেসরকারি এবং ব্যবসায়ী পর্যায়ের লোকজনের সাথে ওই কুচক্রী মহলদের নানান ভাবে সম্পৃক্ত। তাদের বিষয়টি কিন্তু আলোচিত হয় না, সমালোচিত হয় না। তাদের বিষয়টি দেশের মানুষের কাছে তুলে ধরা হয় না। শুধুমাত্র রাজনীতিবিদ বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি এবং গণতান্ত্রিক শক্তির পূজারী যারা তাদেরকে চরিত্র হনন করার জন্য, তাদেরকে বিকৃত করার জন্য, খাটো করার জন্য রাজনীতিবিদ এবং রাজনীতিকে খাটো করে বিতর্কিত করে আবারও সেই বিরাজনীতিকরণের অশুভ শক্তি বিএনপি-জামায়াতসহ আরো অনেক অপশক্তি নানান ভাবে সক্রিয় হয়েছে।

এই অপশক্তির বিরুদ্ধে দলীয় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে নাছিম বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সজাগ আছে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি সজাগ আছে। সক্রিয় আছে। কোন ষড়যন্ত্রই কোন ধরনের অপপ্রচার অথবা বিরাজনীতিকরণের যেকোন অপকর্মকে আমরা প্রতিহত করবো। আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকবো, আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়েই যাবো।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নির্ধারিত দামে অসন্তোষ ব্যবসায়ীদের , গরুর মাংস বিক্রি বন্ধ

প্রকাশ: ০৩:০০ পিএম, ১৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

সরকার নির্ধারিত দামের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করে গরুর মাংস বিক্রি করতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাংস বিক্রেতারা।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের বেশ কয়েকটি বাজারে মাংস বিক্রির দোকান বন্ধ থাকতে দেখা যায়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা।

জানা যায়, সোমবার থেকে শহরের মাংস বিক্রেতারা বিক্রি বন্ধ রেখে সরকার নির্ধারিত দামের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করে প্রতিবাদ জানান। 

দাম পুনঃবিবেচনা না করা পর্যন্ত মাংস বিক্রি বন্ধ রাখার কথা জানিয়েছেন তারা। তবে, কেউ যদি সরকার নির্ধারিত দামে মাংস বিক্রি করতে চাইলে তাতে বাঁধা দেওয়া হবেনা বলেও ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।  

শহরের প্রধান বাজার আনন্দ বাজার, ফারুকি বাজার, মেড্ডা বাজার, মৌড়াইলের বৌ বাজার, কাউতলী বাজারসহ জেলা শহরের অন্তত ৩ শতাধিক দোকানে গরুর মাংস বিক্রি বন্ধ রয়েছে।

ব্যবসায়ীরা জানান, সোমবার সকালে কৃষি বিপনন অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে মাংসের দোকানে লিফলেট বিতরণ করা হয়। লিফলেটে গরুর মাংস ব্যবসায়ীদের ৬৬৪ টাকা ৩৯ পয়সা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। অথচ খামার বা ব্যাপারিদের কাছ থেকে প্রতি কেজি গরুর মাংস চামড়াসহ ক্রয় করতে হচ্ছে ৭২০ টাকা দরে। খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি মাংস ব্যবসায়ী বিক্রয় করে ৭৫০ টাকা দরে।

এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মাংস ব্যবসায়ী মালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক ফারুক আহমেদ জানান, তাদের দাবির বিষয়টি জেলা প্রশাসকের কাছে তুলে ধরা হবে।

এ দিকে বাজারে ক্রেতারা এসে মাংস কিনতে না পেরে তারা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, মাংস ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে চাচ্ছে, অন্য শহরের অন্যান্য ব্যবসায়ীরা যদি সরকার নির্ধারিত দামে মাংস বিক্রি করে লাভ করতে পারেন তাহলে এখানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাংস ব্যবসায়ীরা লাভ করতে পারবেন না কেন। 


গরুর মাংস   ব্রাহ্মণবাড়িয়া   দাম  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

টেকনাফে অপহরণের ৯ দিনেও উদ্ধার হয়নি মাদ্রাসা শিক্ষার্থী

প্রকাশ: ০২:৩৯ পিএম, ১৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

কক্সবাজারের টেকনাফ হ্নীলার ছোয়াদ বিন আব্দুল্লাহ (৬) নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থী অপহরণের ঘটনা ঘটে। অপহরণের ৯ দিন পরও উদ্ধার করা যায়নি অপহৃত শিক্ষার্থীকে। এরই মধ্যে অপহৃত শিশুর পরিবারে ফোন করে ২০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে অপহরণকারীরা। এনিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় রয়েছে শিশুর স্বজনরা। এ ঘটনায় চক্রের ১ নারী সদস্যসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হলেও এখনও উদ্ধার করা যায়নি অপহৃত শিশুকে।  

গত ৯ মার্চ দুপুরে ক্লাস শেষে বাড়ী ফিরছিল আবু হুরাইরা (রাঃ) মাদ্রাসার শিশু শিক্ষার্থী ছোয়াদ বিন আব্দুল্লাহ। মাদ্রাসার কিছুটা দূরে পৌঁছলে পথিমধ্যে তাকে থামিয়ে বোরকা পরিহিত এক নারী দুর্ঘটনায় মায়ের মাথা ফেটে যাওয়ার কথা জানায়। দুপুরে হাসপাতালে মাকে দেখতে যাওয়ার কথা বলে ছোয়াদ বিন আব্দুল্লাহ’কে ওই নারী অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় ওইদিন সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী শিশুর মা নুরজাহান বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় এজাহার দায়ের করেন। পরে পুলিশ অভিযোগের প্রাথমিক তদন্তের পর ১০ মার্চ মামলাটি নথিভুক্ত করেন।

টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)ওসমান গনি বলেন, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় অপহৃত শিশু ছোয়াদ বিন আব্দুল্লাহ এর মা নুরজাহান বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামী করে থানায় এজাহার দায়ের করেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল ও আশপাশের সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করার পাশাপাশি গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রাখে। এক পর্যায়ে পুলিশ সিসিটিভির ফুটেজ দেখে অপহরণের ঘটনার কাজে ব্যবহৃত অটোরিকশাটি চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়। পরে গত ১০ মার্চ সন্ধ্যায় কক্সবাজার শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় অভিযান চালিয়ে অটোরিকশাসহ চালক নাছির উদ্দিনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।’

পরবর্তীতে সিসিটিভি ফুটেজ ও গ্রেপ্তার অটোরিকশা চালকের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, মঙ্গলবার (১২ মার্চ) টেকনাফ উপজেলার মোচনী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত আরও ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে বলেও তিনি জানান।

তিনি আরও বলেন, ‘গ্রেপ্তার আসামিদের মধ্যে উম্মে সালমা ঘটনায় জড়িত থাকার দায় স্বীকার করে বুধবার (১৩ মার্চ) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এছাড়া ঘটনায় গ্রেপ্তার আসামিদের দেওয়া তথ্য মতে জড়িত অন্যদেরও ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।

এদিকে ঘটনায় জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার ও অপহৃত মাদ্রাসা ছাত্রকে উদ্ধারে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে বলে জানান ওসি ওসমান গনি।

বিভিন্ন সূত্র হতে জানা যায়, এনিয়ে ২০২৩ সালের মার্চ থেকে ২০২৪ এর মার্চ শুধু মাত্র টেকনাফে কেন্দ্রিক অপহরণের ঘটনা ঘটেছে ১০১ টি। যার মধ্যে ৫১ জন স্থানীয় এবং ৫০ জন রোহিঙ্গা। যেখানে ৪৬ জন মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন।


কক্সবাজার   টেকনাফ   অপহরণ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রাজশাহীতে সরকার নির্ধারিত মূল্যে গরুর মাংস বিক্রি করছে পুলিশ

প্রকাশ: ০১:৩২ পিএম, ১৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

চলতি রমজান মাসে খেটে খাওয়া মানুষের কাছে সরকারের বেঁধে দেওয়া ৬০০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি করছে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি)। সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুরে আরএমপির পুলিশ লাইন্সে ৯ মণ ওজনের একটি গরু জবাই করে বিক্রি করা হয়েছে।

পুলিশ লাইন্স সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা এই মাংস কেনেন। একজন সর্বোচ্চ দুই কেজি করে মাংস কিনতে পারেন। ৬০০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস কিনতে পেরে সন্তোষ প্রকাশ করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা। পাশাপাশি এমন উদ্যোগ নেওয়ার জন্য তারা পুলিশকে ধন্যবাদ জানান।

পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ১৫ মার্চ ২৯টি পণ্যের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করলেও রাজশাহী মহানগরীর বিভিন্ন বাজারে গরুর মাংস সরকার নির্ধারিত মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে না। বিষয়টি আরএমপি কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদারের নজরে আসলে তিনি খেটে খাওয়া মানুষের কথা ভেবে রমজান মাসে সরকার নির্ধারিত মূল্যে গরুর মাংস বিক্রির এই উদ্যোগ গ্রহণ করেন।

এর ফলে খেটে খাওয়া মানুষ একদিকে যেমন সরকার মূল্যে গরুর মাংস কিনতে পারছেন, তেমনি ব্যবসায়ীরাও নির্ধারিত মূল্যে মাংস বিক্রি করতে উদ্যোগী হবেন বলেও পুলিশের পক্ষ থেকে আশা করা হচ্ছে।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে আরএমপির মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার জামিরুল ইসলাম বলেন, ‘রমজানে খেটে খাওয়া মানুষের কথা চিন্তা করে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ৬০০ টাকায় মাংস বিক্রির কথা মানুষের মুখে মুখে আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে লোকজন এসে মাংস কিনে নিয়ে যান।’

তিনি আরও জানান, এ কার্যক্রমের ব্যাপ্তি আরও বৃদ্ধি করা হবে। মাংসের পাশাপাশি কৃষকের কাছ থেকে শাক-সবজি কিনে এনে কেনা দামেই সাধারণ মানুষের কাছে বিক্রির পরিকল্পনাও তারা করছে।


রাজশাহী   গরুর মাংস   সরকার নির্ধারিত মূল্য  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিরাজগঞ্জে কাজ শেষ না হতেই ব্রিজের পিলারে ফাটল

প্রকাশ: ০১:২৯ পিএম, ১৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার ভাঙ্গাবাড়ি ইউনিয়নের চর জোকনালা গ্রামে হুড়াসাগর নদীর উপর ৯ কোটি ২৮ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন ব্রিজের কাজ শেষ হওয়ার আগেই একটি পিলারে ফাটল দেখা দিয়েছে। রবিবার (১৭ মার্চ) ঠিকাদরী প্রতিষ্ঠান রাতের আধারে ব্রিজে দেখা দেওয়া ফাটল মেরামত করতে গেলে গ্রামবাসী তাতে বাধা দেয়। এবং ব্রিজের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়।

চর জোকনালা গ্রামের রহমান আলী জানায়, ‘রবিবার (১৭ মার্চ) রাত ১ টার দিকে ব্রিজের নিচে মোবাইলের আলো দেখে আমরা চোর মনে করে কয়েক জনকে সাথে নিয়ে সেখানে যাই। ঘটনাস্থলে থাকা লোকজন পালানোর চেষ্টা করলে তাদের ধরে ফেলি। এরপর তারা জানায় তারা ব্রিজের পিলারের ফাটল মেরামত করতে এসেছে।’

এ বিষয়ে রাতের বেলায় কাজ করতে আসা রাজমিস্ত্রি শফিকুল ও স্বাধীন বলে, ‘ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সাথে ২০ হাজার টাকার চুক্তিতে রাতের বেলায় বালু ও সিমেন্ট দিয়ে পিলারের ফাটলের স্থান মেরামত করতে গিয়েছিলাম।'

স্থানীয় ভাঙ্গাবাড়ী ইউপির ৮ নং ওয়ার্ডের সদস্য নুরুল ইসলাম তুহিন জানান, ব্রিজটি নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। যে কারণে নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগেই ব্রিজের ৪টি পিলারের মধ্যে একটির নিচের অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ঠিকাদার ও দায়িত্বরত ইঞ্জিনিয়ারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানান তিনি।

এ বিষয়ে বেলকুচি উপজেলা এলজিইডি অফিসের সার্ভেয়ার রোকনুজ্জামান জানান, ‘২০২১ সালে ব্রিজটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। দায়িত্বরত উপ-সহকারী প্রকৌশলী অন্যত্র বদলী হয়ে যাওয়ায় ২০২৩ সাল থেকে আমি ব্রিজের নির্মাণ কাজ দেখভাল করছি। ব্রিজের ওই পিলার আমি দায়িত্ব পাওয়ার অনেক আগেই নির্মাণ হয়েছে।’ যখন পিলার নির্মাণ হয়েছে, তখন সেখানে অনেক পানি ছিল। বর্তমানে কাজের সুবিধার্থে সেচ দেওয়ার পর ফাটলের স্থানটি নজরে আসে বলেও তিনি জানান।


সিরাজগঞ্জ   ব্রিজের পিলারে ফাটল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

এনএসআই ও পুলিশের যৌথ অভিযান: ৫০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেবার চক্রের ৯ জন গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ০১:১০ পিএম, ১৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

রংপুর বিভাগের আট জেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স তৈরির নামে ৫০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার ফাঁদ পাতানো একটি এনজিওতে অভিযান চালিয়ে নয়জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েঠে প্রতারণারে কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম।

জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআইয়ের তথ্যের ভিত্তিতে বিকেলে নগরীর গোমস্তাপাড়ায় অগ্রসরমান আদর্শ যুব কর্ম সংস্থায় অভিযান চালায় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।

রংপুর মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এডিসি (ডিবি) শাহ নুর আলম পাটোয়ারী জানান, এনএসআইয়ের তথ্যের ভিত্তিতে আমরা সোমবার সোমবার রংপুর মহানগরীর গোমস্তাপাড়া এলাকায় আদর্শ যুব কর্ম সংস্থার অফিসে অভিযান চালাই। সেখান থেকে আমরা নয়জনকে গ্রেফতার করি। এ সময় ওই অফিস থেকে প্রতারণা কাজে ব্যবহৃত এ ডেস্কটপ কম্পিউটার, একটি কম্পিউটার হার্ডডিস্ক, বিভিন্ন দলিলপত্র/ডকুমেন্টস, অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হাজিরা খাতা ও বিভিন্ন রেজিস্টার জব্দ করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন জেলা কো অর্ডিনেটর মো: রিয়াদ হোসেন, সুপারভাইজার প্রদীপ কুমার আচার্য, উপজেলা কো-অর্ডিনেটর মো: ফজলে রাব্বি, হিসাবরক্ষণ অফিসার প্রদীপ রায়, সহকারী উপজেলা কো-অর্ডিনেটর মো: সাজ্জাদ হোসেন ও মো: গোলজার হোসেন, কম্পিউটার অপারেটর মো: নজরুল ইসলাম ও মো: আলমগীর হোসেন মালি মো: মাহবুব হাসান লিমন। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

এনএসআইয়ের সূত্র জানায়, সংস্থাটি ইনট্রিগ্রেটেড রুর্যাল ডেভলোপমেন্ট প্রোগ্রাম (আইআরিডিপি) কর্মসূচির মাধ্যমে রংপুর বিভাগের ৮ জেলার ৫৩৫টি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স তৈরির প্রকল্প নিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়া শুরু করে। প্রতিটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বাস্তবায়নে ৮৫ লাখ ৬৫ হাজার টাকা হিসাবে ৫৩৫টি ইউনিয়নে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় ৪৫৮ কোটি ২২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। এজন্য সংস্থাটি ২০২২ সালে তারা দরপত্র আহ্বান করে। দরপত্রের শিডিউলের মূল্য ধরা হয় ৪০ হাজার টাকা। দরপত্রে বলা হয়, বিভিন্ন মাধ্যমে প্রথম ধাপে ২৫ শতাংশ, দ্বিতীয় ধাপে ছাদ নির্মাণের পরে ২৫ শতাংশ ও তৃতীয় ধাপে কাজ শেষ হওয়ার পরে ৫০ শতাংশ মূল্য পরিশোধ করা হবে। প্রথম ৫০ শতাংশ মূল্য পরিশোধ করবে তুরস্ক ও ফ্রান্সের দাতা সংস্থা, অবশিষ্ট ৫০ শতাংশ মূল্য কাজ শেষ হওয়ার পরে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পরিশোধ করা হবে মর্মে সংস্থাটি প্রচারণা চালায়। এরই মধ্যে প্রায় দেড়শ কোটি টাকা এভাবে তহবলি সংগ্রহ করে তারা।

এনএসআই সূত্র জানিয়েছে, সংস্থাটির স্বাস্থ্য অধিদফতরের কোনো অনুমোদন নাই, অনুমোদিত এলাকার বাইরে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সংস্থাটি তাদেরসকল প্রচার প্রচারণায় সরকারী মনোগ্রাম ব্যবহার করে প্রতারণা করে আসছিল। প্রকল্প বাস্তবায়নের সুনির্দিষ্ট কোনো প্রজেক্ট প্রোপোজাল ছিল না। সংস্থাটি দরপত্র আহ্বানের যথাযথ নিয়ম অনুসরন করেনি। এছাড়াও তারা জমি ক্রয়ে অনিয়ম করেছে। সংস্থাটির কোনো বৈধ কাগজপত্রও ছিল না।


এনএসআই   পুলিশ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন