নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৪৮ পিএম, ১৩ অগাস্ট, ২০২০
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আগামী ১৫ আগস্ট থেকে (শনিবার) ধানমণ্ডি ৩২ নম্বর ও বনানী কবরস্থানের আশপাশের এলাকার সব আবাসিক হোটেল-গেস্ট হাউস দুদিন বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের তল্লাশি, ব্লক রেইড, চেকপোস্টের কার্যক্রম অব্যাহত আছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) ডিএমপি মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) ওয়ালিদ হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
ডিএমপি জানায়, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে এবং বনানী কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসা প্রত্যেক ব্যক্তিকে মেটাল ডিটেকটর দিয়ে তল্লাশি করা হবে। সবাইকে আর্চওয়ের ভেতর দিয়ে প্রবেশ করতে হবে। নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি, ব্লক রেইড, চেকপোস্টের কার্যক্রম অব্যাহত আছে। ধানমন্ডি ৩২ ও বনানী কবরস্থান ও আশপাশের এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকবে। ভেন্যুকেন্দ্রিক অস্থায়ী পুলিশ কন্ট্রোলরুম থেকে সার্বক্ষণিক সিসিটিভি মনিটরিং করা হবে।
এতে বলা হয়, ধানমণ্ডি ৩২ ও বনানী কবরস্থানকেন্দ্রিক নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পোশাকে ও সাদা পোশাকে পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে। একই সঙ্গে অনুষ্ঠানস্থল ডগ স্কোয়াড ও বোম ডিসপোজাল ইউনিট দিয়ে সুইপিং করা হবে। ধানমণ্ডি লেকে মোতায়েন থাকবে নৌ পুলিশের টহল। ১৫ আগস্টের অনুষ্ঠানকে ঘিরে ধানমণ্ডি ৩২ কেন্দ্রিক নিরাপত্তায় মোতায়েন থাকবে ফায়ার টেন্ডার ও অ্যাম্বুল্যান্স। প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য দুই ভেন্যুতেই থাকবে মেডিক্যাল টিম। নিরাপত্তার স্বার্থে আগামী ১৪ থেকে ১৫ আগস্ট ২০২০ পর্যন্ত ধানমণ্ডি ৩২ ও বনানী কবরস্থানসংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত হোটেল, গেস্ট হাউস বন্ধ থাকবে এবং মেসগুলোতে পুলিশের নজরদারি বাড়ানো হবে।
জাতীয় শোকদিবসের কর্মসূচিতে করোনাকালীন সংক্রমণ রুখতে সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সম্মানিত নগরবাসীর সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করছে ডিএমপি।
এদিকে বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) ধানমণ্ডি ৩২ নম্বর এলাকায় গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন করেছেন ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রথম পর্যায়ের উপজেলা নির্বাচনের প্রস্তুতি চূড়ান্ত। ১৫০টি উপজেলায় এখন জনগণ ভোটের অপেক্ষায়। দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৫৯টি উপজেলায় মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন গতকাল শেষ হয়েছে। সেখানেও এখন নির্বাচনী প্রচারণার ডামাডোল শুরু হয়েছে। কিন্তু উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হবে কি না, উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে কি না এবং উপজেলা নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে কি না তা নিয়ে একদিকে যেমন জনগণের সংকট রয়েছে তেমনই নির্বাচন কমিশনও এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত।
লক্ষ্মীপুর সদরের তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরপরই হামলার শিকার হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, নেপথ্যে নির্বাচনে কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ। এঘটনায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতাকারী দুই প্রার্থীকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ ৯১১ জনের বিরুদ্ধে দুইটি মামলাও দায়ের করেন। ফলে নির্বাচনের পর আনন্দের বদলে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে ওই ইউনিয়নে।