ইনসাইড বাংলাদেশ

গ্রামীণ সংস্কৃতি ক্ষতিগ্রস্থ না করে পর্যটনের বিকাশ করতে হবে: পর্যটন প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫:১৪ পিএম, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০


Thumbnail

 

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী এমপি বলেছেন, গ্রামীণ জনগণের জীবনমান উন্নয়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গৃহীত পদক্ষেপ বাস্তবায়নে পর্যটন সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করবে।

আজ রোবার (২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০) বিশ্ব পর্যটন দিবস-২০২০ উপলক্ষে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত অনলাইন আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে তিনি এ কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী এমপি আরো, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা গ্রাম উন্নয়নে ইতোমধ্যে অনেকগুলো যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। গ্রামীণ মানুষের জীবনমানের উন্নয়নে তিনি নিরন্তর কাজ করে চলেছেন। জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে গৃহহীনদের ঘর তৈরি করে দিচ্ছেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র,আ, ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেন, পর্যটনের জন্য বিশেষ বিশেষ অঞ্চল গড়ে তোলার জন্য কাজ করতে হবে। গ্রাম বাংলার আবহমান সংস্কৃতিকে ক্ষতিগ্রস্থ না করে গ্রামীণ পর্যটনের বিকাশ নিশ্চিত করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ মহিবুল হক বলেন, পর্যটনের উন্নয়নে আমরা এখন আন্তরিকভাবে কাজ শুরু করেছি। পর্যটনশিল্পের সহায়ক পরিবেশ তৈরি করার জন্য চেষ্টা করছি। দেশের সকল পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকদের জন্য নানাবিধ সুবিধা প্রবর্তনের কাজ করছি।

আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাবেদ আহমেদ, বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান রাম চন্দ্র দাস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডঃ মোঃ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া, টোয়াব এর সভাপতি মোহাম্মদ রাফিউজ্জামান প্রমূখ।

 

 

 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বিএসএমএমইউতে শতকোটি টাকার দুর্নীতি: এক ডজন মামলা হচ্ছে বিদায়ী উপাচার্যের বিরুদ্ধে

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ১৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদায়ী উপাচার্য ডা. শারফুদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে দু’শত কোটি টাকারও বেশি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। আর এ অভিযোগগুলো নিয়ে এখন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কাজ করছে। 

দুর্নীতি দমন কমিশন ছাড়াও সরকারের বিভিন্ন সংস্থা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এই বিদায়ী উপাচার্যের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকমের অভিযোগের বিস্তারিত বিবরণ জানতে পেরেছে। এই সমস্ত অভিযোগগুলো প্রধানমন্ত্রীর কাছে দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নির্মোহভাবে আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। আর এর ফলে অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ একাধিক দুর্নীতির মামলায় ফেঁসে যাচ্ছেন। উপাচার্যের দায়িত্ব শেষ করার পরপরই তাকে দুর্নীতি দমন কমিশনের বারান্দায় ছোটাছুটি করতে হবে বলেই মনে করেন বিশ্লেষকরা। 

উল্লেখ্য, অনেক যোগ্য ব্যক্তি থাকার পরও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে কনক কান্তি বড়ুয়ার পর উপাচার্যের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ডা. শারফুদ্দিন আহমেদকে। ডা. শারফুদ্দিন আহমেদকে উপাচার্যের দায়িত্ব দেওয়া ছিল একটি চমক। প্রধানমন্ত্রী তাকে এ দায়িত্ব দিয়েছিলেন যেন তিনি নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেন এবং বিএসএমএমইউ’কে চিকিৎসা বিজ্ঞানের একটি সেন্টার এক্সিলেন্স হিসেবে গড়ে তুলবেন। কিন্তু দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই তিনি নিয়োগ বাণিজ্য সহ নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন। তার বিরুদ্ধে এসমস্ত অভিযোগের প্রায় পুরোটাই বিভিন্ন সময় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আসতে থাকে। একসময় বিএসএমএমইউ-এর দুর্নীতি এবং অনিয়মে প্রধানমন্ত্রী প্রচন্ড বিরক্ত হন।  দু’টি সংস্থাকে এ বিষয়ে তদন্ত করার নির্দেশ দেন। দু’টি সংস্থা তদন্ত করে দেখে যে, শারফুদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে যে সমস্ত অভিযোগ বাজারে রয়েছে বাস্তবে অভিযোগ তার চেয়ে বেশি। 

তার বিরুদ্ধে প্রধান পাঁচটি অভিযোগের মধ্যে একটি হল নিয়োগ বাণিজ্য। টাকা ছাড়া বিএসএমএমইউ-তে কোন নিয়োগ হত না। দ্বিতীয়ত, বিভিন্ন কেনাকাটায় তার বাণিজ্য। তৃতীয়ত, পদোন্নতি দেওয়ার ক্ষেত্রে বাণিজ্য, চতুর্থত, শারফুদ্দিন আহমেদ একটি নিজস্ব বাহিনী গড়ে তুলেছেন, যে বাহিনী উপাচার্যের নামে বিভিন্ন জায়গা থেকে চাঁদাবাজি করত। পঞ্চমত, অনিয়ম এবং স্বেচ্ছাচারিতা। 

এই অভিযোগ গুলোর ব্যাপারে যখন দু’টি তদন্তকারী সংস্থা প্রধানমন্ত্রীর কাছে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রদান করেন তখন প্রধানমন্ত্রী এসমস্ত অভিযোগ গুলো তদন্ত করে যথাযথ বিহীত করার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন। তারপর থেকে দুর্নীতি দমন কমিশন শারফুদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে ‘স্যাডো ইনকোয়ারী’ বা ‘ছায়া তদন্ত’ করছে বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে। এই তদন্তের মাধ্যমে ডা. শারফুদ্দিন আহমেদের বিভিন্ন অভিযোগ গুলোকে সন্নিবেশিত করা হচ্ছে। 

২৮ মার্চ শারফুদ্দিন আহমেদের দায়িত্ব শেষ হয়ে যাওয়ার পর দুর্নীতি দমন কমিশন তাকে ডাকতে পারে বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে। তার বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে এখন প্রতিনিয়তই অভিযোগ দাখিল করা হচ্ছে। বিশেষ করে এড-হক ভাবে যাদেরকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে, তাদের কাছ থেকে কি পরিমাণ অর্থ নেওয়া হয়েছে এবং কি পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে তাদের চাকরি স্থায়ীকরণ করা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে ইত্যাদি বিস্তারিত অভিযোগ এখন দুর্নীতি দমন কমিশনে জমা হচ্ছে। 

বিদায়ী উপাচার্য শারফুদ্দিন আহমেদ একরকম তোপের মুখে বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব থেকে বিদায় নিচ্ছেন। তার জায়গায় নতুন উপাচার্য হিসেবে ইতোমধ্যে সরকার নিয়োগ দিয়েছেন ডা. দ্বীন মোহাম্মদ নূরুল হককে। ডা. দ্বীন মোহাম্মদ আগামী ২৮ মার্চ অপরাহ্ণে বিএসএমএমইউ-এর উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন বলে জানা গেছে।       


বিএসএমএমইউ   দুর্নীতি মামলা   ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা ও যানজট, ভোগান্তিতে রাজধানীবাসী

প্রকাশ: ০৬:৪৩ পিএম, ১৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় আজ বিকেলে হঠাৎ করে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। বৃষ্টির কারণে সড়কে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। এর ফলে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন হওয়ায় সৃষ্টি হয়েছে অসহনীয় যানজট। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন রাজধানীবাসী।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর রাজারবাগ, পল্টন, গুলিস্তান ও শান্তিনগর এলাকায় ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, বৃষ্টির পর এসব এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে ইফতারের আগে যাত্রীদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় আটকে থাকতে হচ্ছে। বিশেষ করে রাজধানীর রাজারবাগ, পল্টন, শান্তিনগর ও গুলিস্তান এলাকায় একেবারে থমকে আছে যানবাহন।

রাজধানীর শান্তিনগর এলাকায় যানজটে আটকা পড়া যাত্রী মো. আনোয়ার বলেন, ‌‘৪টা থেকে গাড়িতে বসে আছি। এখন ৫টা বাজতে চলল। কিন্তু যানজট কমার কোনো নামই নেই। রোজা শুরু হওয়ার পর থেকে এমনিতেই বিকেলের দিকে যানজট হয়। কিন্তু আজ বৃষ্টির কারণে যানজটের পরিমাণ আরও বেশি।’ 

এবিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল ট্র্যাফিক বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. ইমতিয়াজ বলেন, বিকেলের বৃষ্টির পর কিছু কিছু জায়গায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির শুরুতে যানচলাচল ধীরগতিতে ছিল। বৃষ্টি শেষ হওয়ার পর যানবাহনের চাপ আরও বাড়তে থাকে। এর ফলে বর্তমানে রাস্তায় যানজট রয়েছে।   

জলাবদ্ধতা   যানজট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

পিএসসির সদস্য হলেন প্রদীপ কুমার পাণ্ডে

প্রকাশ: ০৬:৩৩ পিএম, ১৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সদস্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. প্রদীপ কুমার পাণ্ডে।

রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ১৩৮ (১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে অধ্যাপক প্রদীপ কুমারকে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে কর্ম-সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে তাকে পিএসসির সদস্য নিয়োগ দিয়েছেন বলে মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংবিধানের ১৩৯ (১) অনুচ্ছেদ অনুসারে তিনি দায়িত্ব নেওয়ার তারিখ থেকে পাঁচ বছর বা তার বয়স ৬৫ বছর পূর্ণ হওয়া- এর মধ্যে যেটি আগে হয়, সে সময় পর্যন্ত পিএসসির সদস্য পদে দায়িত্ব পালন করবেন।

অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে বর্তমানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক পদে দায়িত্বরত। এর আগে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

প্রদীপ কুমার পাণ্ডে ১৯৮৯ সালে এসএসসি পাস করেন। ১৯৯১ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে মেধাতালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করেন।  

১৯৯৪ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে স্নাতক ও ১৯৯৫ সালে একই বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে তিনি প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অর্জন করেন।

২০০০ সালে একই বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন প্রদীপ কুমার পাণ্ডে। এরপর ২০০৩ সালে সহকারী অধ্যাপক, ২০১১ সালে সহযোগী অধ্যাপক এবং ২০১৮ সালে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি লাভ করেন।

অধ্যাপক প্রদীপ পাণ্ডে ২০০৬ সালে নরওয়ে সরকারের বৃত্তির আওতায় অসলো বিশ্ববিদ্যালয়ে সামার কোর্সে অংশ নেন। ২০১০ সালে যুক্তরাজ্যের শেফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জার্নালিজম স্টাডিজে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।

তিনি ২০১৫-২০১৮ সাল পর্যন্ত বিভাগীয় সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের নির্বাচিত সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।

অধ্যাপনার পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট (পিআইবি), ইউনিসেফ, ইউএনডিপি, এশিয়া ফাউন্ডেশন, আর্টিকেল নাইনটিনের রিসোর্স পারসন ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি বিভিন্ন দেশি-বিদেশি সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন। বিভিন্ন জার্নালে তার অর্ধশতাধিক প্রকাশনা রয়েছে।



পিএসসি   প্রদীপ কুমার পাণ্ডে   রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ঢাকায় মিলছে উটের দুধের চা!

প্রকাশ: ০৪:৪০ পিএম, ১৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে সম্প্রতি অনেকেই জেনেছেন ঢাকায় পাওয়া যাচ্ছে উটের দুধের চা। ঢাকার গুলশান-২ গোল চত্বরের একটু আগেই ল্যাবএইডের উল্টো দিকে ৫২ নম্বর বাড়িতে ব্যাচেলরস এক্সপ্রেস রেস্টুরেন্ট উটের দুধের এ চা বিক্রি হচ্ছে।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি রেস্টুরেন্টটি চালু হয়েছে বলে জানা গেছে। রেস্টুরেন্টটির উদ্যোক্তা তরুণ দুই বন্ধু আমিনুল ইসলাম ও মাহবুব হাসান। এ ব্যাপারে তারা দেশের এক গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন।

মাহবুব হাসান বলেন, উটের দুধে বিভিন্ন উপকারিতা রয়েছে। আমাদের দেশে উটের দুধের চা পাওয়া যায় না। যেকোনো রেস্টুরেন্ট চলে ভাইরালের ওপর। এ কারণে ভাবলাম নতুন আইটেম হিসেবে উটের দুধের চা তৈরি করলে মানুষ পছন্দ করতে পারেন। তারা এই চায়ের জন্য এখানে আসবেন, তারপর অন্য খাবারগুলো পছন্দ হলে সেগুলোও কিনবেন।

ঢাকায় উটের দুধ দুর্লভ হওয়ার পরও কিভাবে রেস্টুরেন্টের চাহিদা অনুযায়ী দুধ সংগ্রহ করেন তারা, এ ব্যাপারে মাহবুব বলেন, দুবাই থেকে প্যাকেট দুধ আমদানি করি আমরা। দুবাইয়ের ক্যামেলিসাস ব্র্যান্ডের ক্যামেল মিল্ক পাউডার। অর্থাৎ, উটের দুধের গুড়া বা পাউডার। দুবাইতে আগের দিন জানালে পরদিন উটের গুঁড়া দুধ হাতে পান তারা।

ব্যাচেলর এক্সপ্রেস রেস্টুরেন্টটি রোজায় প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে রাত পেরিয়ে ভোর ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকছে। অন্য সময়ে বেলা ১১টা থেকে রাত ৩টা পর্যন্ত খোলা থাকে। এখানে এক মগ উটের দুধের চায়ের দাম ৪০০ টাকা। আর মাসালা চা ২০০ এবং অন্যগুলো ৪০ থেকে ১৫০ টাকার মধ্যে। চা ছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন ফলের জুস এবং পিৎজা, বার্গার, পাস্তা, মাঞ্চিসসহ অন্যান্য ফাস্ট ফুড।

উটের দুধের চা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

যে কারণে ঈদে বাস বন্ধের হুঁশিয়ারি দিল মালিক সমিতি

প্রকাশ: ০৪:১০ পিএম, ১৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

এবারের ঈদযাত্রায় আন্তঃজেলা বা দূরপাল্লার কোনো গণপরিবহন যদি বাড়তি ভাড়া নেয় এবং সেটির প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে সেই গণপরিবহন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হবে, নেয়া হবে আইনানুগ পদক্ষেপ। 

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) পবিত্র রমজান ও আসন্ন ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষ্যে যাত্রী সাধারণের যাতায়াত নির্বিঘ্ন, নিরাপদ ও যানজটমুক্ত রাখার লক্ষ্যে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মসিউর রহমান রাঙ্গা।

মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, এবারের ঈদে সম্ভাব্য কোন কোন এলাকায় জট, যানজট বা ব্লক তৈরি হতে পারে, সেটি চিহ্নিত করা হয়েছে। এবার আমরা ঈদযাত্রায় হাইওয়েতে ড্রোনের সহায়তা নিচ্ছি। ড্রোনের সহায়তায় চিত্র দেখে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে পারব। হাইওয়ের অনেক রাস্তা চার লেন হচ্ছে। কোথাও কোথাও হয়ে গেছে। এখন রাস্তায় যদি কোনো যানবাহন তাৎক্ষণিক অকেজো হয়ে পড়ে, তাহলে সেটি সরানো সহজ হবে। ক্রুটিপূর্ণ কোনো যানবাহন যাতে ঈদে সড়কে না নামে, সেটি নিশ্চিত করতে আমরা নির্দেশনা দিয়েছি।

তিনি বলেন, আমরা সবাই ভালোভাবে ঈদযাত্রায় যেতে চাই। ভালোভাবে যাওয়ার সুযোগটা আমাদের তৈরি করতে হবে। ঈদে আমরা সবাই একসঙ্গে যেতে চাই। সেটি না করে আমরা ভাগ ভাগ করে, আগে বা পরেও যেতে পারে। তাহলে ৫ থেকে ৭ বা ৮ ঘণ্টার মধ্যেই গন্তব্যে যেতে পারব।

রাঙ্গা বলেন, ঈদের দুদিন আগেই যেতে হবে ব্যাপারটা সেই রকম নয়। জনসংখ্যার তুলনায় আমাদের গণপরিবহন অনেক কম। হজের সময় সৌদিতে সরকার বাস হায়ার করে। আর আমাদের ঈদে এখানে সেই ধরনের কোনো ব্যবস্থা নেই। তাই আপনি আরও আগে বা ঈদের পরও যেতে পারেন। আমরা আশ্বস্ত করছি যে, ঈদযাত্রা স্বস্তির হবে। 

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি বলেন, কিছু লক্কড়-ঝক্কড় বাস, যেগুলো সারা বছর সিরিয়াল পায় না, এগুলো ঈদের সময় রাস্তায় নেমে পড়ে। এসব আমরাও ধরতে পারি না, পুলিশও বুঝতে পারে না কোত্থেকে এগুলো রাস্তায় আসে। এগুলো রিজার্ভ হিসেবে চলে, গার্মেন্টস শ্রমিকরা নিয়ে যায়। যে রাস্তায় আমাদের ছোট বাসও চলে না, সেখানে দেখি বিআরটিসির ডাবল ডেকার বাস ঢুকে পড়েছে। আমরা এখনো মহাসড়ক থেকে নছিমন, করিমন ও ভটভটি সরাতে পারিনি। এটাও আমাদের একটি বাধা। 

উল্লেখ্য, হাইওয়ে পুলিশের অ্যাডিশনাল আইজিপি মো. শাহাবুদ্দিন খানের সভাপতিত্বে রাজারবাগ পুলিশ অডিটোরিয়ামে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।

ঈদ   বাস মালিক সমিতি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন