নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:২১ পিএম, ০৮ ডিসেম্বর, ২০২০
বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী ধর্মকে ব্যবহার করছে। অন্যদিকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী সেইসব গোষ্ঠীর কর্মকাণ্ডে সমর্থন দিচ্ছে বিএনপি। তাতে করে দলটি নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। ইতোমধ্যেই সেটি প্রমাণ করেছে। মুক্তিযুদ্ধবিরোধী বলয়ের পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে বিএনপি।’
লাখো শহীদের রক্তে অর্জিত এদেশে কোনও সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে মাথা তুলে দাঁড়াতে দেয়া হবে না বলে সাফ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি একথা জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের অবমাননা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী কোটি বাঙালির হৃদয়ে আঘাত। এদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং অর্জনের প্রতি প্রতিক্রিয়াশীলদের চ্যালেঞ্জ। এর নেপথ্যে যারা মদদ এবং অর্থের যোগান দিচ্ছে তাদেরও খুঁজে বের করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবার এবং মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অতীতে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে এখনও হচ্ছে, হচ্ছে ইতিহাস বিকৃতির ষড়যন্ত্র। এখন হঠাৎ করে আবার বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরির অপচেষ্টা চলছে। তাদের জনস্বার্থে কঠোর হস্তে দমন করা হবে।’
ভাস্কর্য ইস্যুতে দেশি-বিদেশি রাজনৈতিক কোনও ষড়যন্ত্র আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘এদেশে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির ঐক্য সুদৃঢ়। জনগণকে সাথে নিয়ে রাজনৈতিকভাবে সকল অপকৌশল মোকাবিলা করা হবে। তাই সবাইকে ঐকবদ্ধ থাকতে হবে।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী ধর্মকে ব্যবহার করছে। অন্যদিকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী সেইসব গোষ্ঠীর কর্মকাণ্ডে সমর্থন দিয়ে বিএনপি নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। তারা ইতোমধ্যেই এর প্রমাণ করেছে। মুক্তিযুদ্ধবিরোধী বলয়ের পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে বিএনপি।’
দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণ প্রসঙ্গে সড়কমন্ত্রী বলেন, ‘এক্ষেত্রে কিছু কিছু ভাস্কর্যের সাথে বঙ্গবন্ধুর ছবির মিল থাকছে না, কখনো কখনো নকশা বা ডিজাইনেরও ত্রুটি দেখা যাচ্ছে। তাই ভাস্কর্য নির্মাণে বঙ্গবন্ধু ট্রাস্টের অনুমতি গ্রহণ ছাড়া ভাস্কর্য নির্মাণ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।’
‘সরকার নির্বাচন কমিশনকে দলীয় সংস্থায় পরিণত করেছে’- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলামের বক্তব্য ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যমূলক। বিএনপি জনগণ দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হয়ে ব্যর্থতার দায় চাপাচ্ছে নির্বাচন কমিশনের ওপর।’
যারা ভোটের দিন কেন্দ্রে না যাওয়ার মধ্য দিয়ে নির্বাচন ব্যবস্থা ও নির্বাচন কমিশনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে, তাদের এ অপপ্রয়াস জণগণের কাছে স্পষ্ট বলে মনে করেন ওবায়দুল কাদের।
এর আগে বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তাফা ওসমান তুরান সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
যশোর ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মেলা
মন্তব্য করুন
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান ফরিদপুর
মন্তব্য করুন
ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মার্কিন দূতাবাস
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ কি কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে ঝুঁকছে? সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রশ্নটি কূটনৈতিকপাড়ায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে।
আগামী কয়েক মাসে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা পাওয়া যায়। পৃথিবীর অন্যতম ধনী দেশ কাতারের আমির বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। দুই দিনের সফরে কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের একটা বার্তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কাতার বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করারও আশ্বাস দিয়েছেন। সামনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে আসছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে যে, আগামী মে মাসে তার বাংলাদেশ সফর করার কথা। এরপরও আরও কয়েকটি মধ্যপ্রাচ্যের দেশের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিত্বের বাংলাদেশ সফরের কথা রয়েছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। কূটনৈতিক ক্ষেত্রে এটি বাংলাদেশের জন্য একটি বড় ধরনের বাঁক বলে মনে করা হচ্ছে।
কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নানা বাস্তবতায় বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্য মুখী হচ্ছে। বিশেষ করে বর্তমানে পরিবর্তিত বিশ্বে এবং যুদ্ধ পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যের ওপর বাংলাদেশকে নির্ভরশীল থাকতে হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যের ওপর নির্ভরশীল থাকার জন্য বাংলাদেশের কয়েকটি কারণ রয়েছে। তার মধ্যে প্রথম কারণ হলো- বাকিতে তেল-জ্বালানি পাওয়া। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংকটের ফলে জ্বালানি তেলের নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহ একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে কোথাও এক বছরের বাকিতে, কোথাও তারও বেশি সময় বাকিতে জ্বালানি তেল আহরণের চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের ইতিবাচক সমঝোতা হয়েছে বলেও জানা গেছে।
কাতারের সঙ্গেও এমন একটি সমঝোতা হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে জানা গেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে৷
দ্বিতীয়ত, মধ্যপ্রাচ্য বাংলাদেশের অভিবাসীদের জন্য একটি বড় বাজার। বিশেষ করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার এই সব দেশগুলোতে বিপুল সংখ্যক বাঙালি বসবাস করে। যুদ্ধের ফলে এই সমস্ত দেশগুলোতে জনশক্তি রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে অনেকে মনে করছে। অনেক শ্রমিক ছাঁটাই হতে পারে। আর এটি মাথায় রেখেই বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক ঝালিয়ে নিচ্ছে, যেন বাংলাদেশের শ্রমিকরা এই শ্রমিক ছাঁটাই এর আওতায় না পড়ে।
তৃতীয়ত, বাংলাদেশে যে অর্থনৈতিক সংকট সেই অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় অদূর ভবিষ্যতে নগদ সহায়তা দরকার হতে পারে, দ্রুত ঋণ দরকার হতে পারে। আর সেক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো বাংলাদেশের সংকট নিরসনের একটা বড় ভরসাস্থল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আর এই সমস্ত বাস্তবতায় বাংলাদেশ এখন মধ্যপ্রাচ্যমুখী। বাংলাদেশের ঋণের হার অনেক বেশি। বাংলাদেশে ঋণের পরিমাণ অনেক বেড়েছে। অর্থনীতি ক্রমশ ঋণ নির্ভর হয়ে পড়েছে। এখানে থেকে উত্তরণের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের সম্পদশালী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন একটি দূরদর্শী কূটনৈতিক চিন্তা বলেই অনেকে মনে করছেন। কারণ আগামী কয়েক বছর বাংলাদেশকে বিপুল পরিমাণ দেনা মেটাতে হবে। এই কারণেই বাংলাদেশ কখনও যেন সংকটে না পরে সেজন্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকা অত্যন্ত জরুরি।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে যুক্তরাষ্ট্র অন্য দেশের দৃষ্টি দিয়ে দেখে না বলে জানিয়েছেন মার্কিন দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা ম্যাক্সওয়েল মার্টিন। তিনি বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক অভিন্ন ইতিহাস, মূল্যবোধ ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার ভিত্তিতে পরিচালিত। এই সম্পর্ক ভারত, চীন, রাশিয়া বা তৃতীয় কোনো দেশের মাধ্যমে পরিচালিত নয়।
বাংলাদেশ কি কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে ঝুঁকছে? সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রশ্নটি কূটনৈতিকপাড়ায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে। আগামী কয়েক মাসে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা পাওয়া যায়। পৃথিবীর অন্যতম ধনী দেশ কাতারের আমির বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। দুই দিনের সফরে কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের একটা বার্তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কাতার বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করারও আশ্বাস দিয়েছেন। সামনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে আসছেন।