নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ১৩ জানুয়ারী, ২০২১
বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী অ্যাডভোকেট এলিনা খান বলেছেন, কিশোর অপরাধের প্রবণতা প্রচণ্ডভাবে বেড়েছে। এই অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সন্তানদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং বাসার কর্মকাণ্ড মনিটরিং করতে হবে।
এলিনা খান বলেন, কিশোর অপরাধের প্রবণতা দুইভাবে বেড়েছে। কিশোর গ্যাং হয়ে প্রকাশ্যে অপরাধে জড়ানো। অন্যদিকে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা অপ্রকাশ্যে নানা ধরনের অপরাধে জড়াচ্ছে। তাদের অপরাধ বাইরে প্রকাশ হচ্ছে না কিন্তু ভেতরে ভেতরে তারা বাজে ধরনের অপরাধের দিকে ঝুঁকছে। শিক্ষিত কিংবা অশিক্ষিত দুই পার্যায়ের কিশোররাই অপরাধ প্রবণতার দিকে ধাবিত হচ্ছে। আর এর সর্বশেষ উদাহরণ কলাবাগানের ঘটনা।
তিনি বলেন, এই মূহুর্তে আমাদের লোকসংখ্যার তুলনায় কর্মসংস্থান কমে যাওয়ার কারণে কিশোররা শটকটে আয়ের জন্য অপরাধের পথে পা বাড়াচ্ছে আর এর সাতে যুক্ত হচ্ছে মাদক। এ ছাড়া এই বয়সে তারা পরিবারের পরিবেশ সেভাবে পাচ্ছে না। আবার যারা স্কুল-কলেজে যাচ্ছে তাদের পরিবার নিজেদের নিয়ে এতো ব্যস্ত থাকেন যে সন্তানরা কি করছে সে বিষয়ে খোঁজ খবর রাখতে পারে না। ফলে এই সময়ে সন্তানরা নানা ধরনের অপরাধে জড়াচ্ছে। অনকে সময় অল্প বয়সী এসব সন্তানেরা এমন কিছু অপরাধে জড়ায় যা ভাবলেই গা শিউরে ওঠে।
এলিনা খান বলেন, অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় সন্তানেরা বাসায় বসে কি করছে এসব বিষয়ে পরিবারের ধারনাই থাকে না। যেমন সন্তান যখন কম্পিউটারের সামনে বসে তখন অনেক অশালীন ছবি কিংবা ভিডিও সামনে চলে আসে যা দেখে কোমল মনে দাগ কাটে আর এর থেকে মনের মধ্যে সুপ্ত বাসনা তৈরি হয় এবং সেই বাসনা পূরণ করার জন্য অল্প বয়সেই শারীরিক সম্পর্কের দিকে ধাবিত হয়। এভাবেই আস্তে আস্তে কিশোর বয়সে এসব অপরাধের জড়ায় তারা। আর বিষয়টি এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যা এখন নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে পরবর্তী প্রজন্ম হুমকির মুখে পড়ছে। এজন্য আমরা সন্তান কি করছে, কার সাথে মিশছে বা সে বিপথগামী হচ্ছে কি না সেসব বিষয়ে পরিবারকে অবশ্য গুরুত্ব সহকারে নজর রাখতে হবে। সন্তান একবার বড় অপরাধ করলে তখর পুরো পরিবার বিপদের মুখে পড়বে।
কিশোর অপরাধ প্রবণতা রোধে সামগ্রিকভাবে উদ্যোগ নিতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, অনেক দূর গড়িয়েছে কিশোর অপরাধের বিস্তার। এখনই ঠেকাতে হবে না হলে সামনে খুবই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা আসবে যখন কারও সন্তানই আর নিরাপদ হয়ে বেড়ে উঠবে না। এক্ষেত্রে সন্তানদের সব সময় মনিটরিং করতে হবে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।