ইনসাইড বাংলাদেশ

সরকার বনাম হেফাজত: কৌশলের খেলায় কে জিতবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ১০ জুন, ২০২১


Thumbnail

হেফাজতের কমিটি যখন পুনরুজ্জীবিত করা হয় তখন অনেকেই মনে করেছিল সরকারের সাথে সমঝোতা করেই হয়তো হেফাজত নতুন কমিটি গঠন করেছে। কিন্তু কমিটি গঠনের পর চারিদিক থেকে বিদ্রোহ, অনাস্থা এবং হেফাজতের মধ্যে ক্ষোভ-বিক্ষোভের প্রেক্ষিতে বোঝা যাচ্ছে যে, এই কমিটি সরকারের সাথে সমঝোতার ফসল নয় বরং জুনায়েদ বাবুনগরীর অস্তিত্ব রক্ষার জন্যই এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। বরং সরকার হেফাজতকে আরও কোণঠাসা এবং নিষ্ক্রিয় করার কাজেই বিভিন্ন রকম কৌশল অবলম্বন করছেন এবং সেই কৌশলটি কি তা স্পষ্ট করে যেমন হেফাজত বুঝছে না, তেমনি সাধারণ মানুষও বুঝছে না। 

আবার অন্যদিকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছে, হেফাজত অস্থিত্ব রক্ষার জন্য বিভিন্ন রকম কৌশল গ্রহণ করছে। তবে হেফাজতের কৌশলটি খুব দৃশ্যমান।  হেফাজত ২০১৩ সালে যে কৌশল গ্রহণ করেছিল সেই একই কৌশল গ্রহণ করেছে এবারো।  ২০১৩ সালের ৫ মে`র পর হেফাজত সরকারের সঙ্গে দেনদরবার তদবির করে সরকারের আস্থা অর্জনের চেষ্টা করেছিল এবং সরকারের সঙ্গে একটা সমঝোতায় পৌঁছতে সক্ষম হয়েছিল। সেই কৌশলে হেফাজত জয়ী হয়েছিল। সরকারের সঙ্গে সমঝোতার প্রেক্ষিতে সরকারকে দিয়ে বিভিন্ন রকম দাবি দাওয়া আদায় করে হেফাজত একটি আবহ তৈরি করেছিল যাতে মনে হতে পারে যে হেফাজত অত্যন্ত শক্তিশালী। কিন্তু ২০১৩ সালের পর থেকে হেফাজতের এই শক্তি আওয়ামী লীগের সমর্থকদের মধ্যে নানারকম অস্বস্তি তৈরি করেছিল।

বিশেষ করে পাঠ্যপুস্তক সংশোধনসহ বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যেই নানা রকম বক্তব্য ছিল। আর হেফাজতের সেই কৌশল ছিল যে সরকারের ঘনিষ্ঠ হয়ে সরকারকে চাপে ফেলতে হবে এবং আহমদ শফীর মৃত্যুর পর জুনায়েদ বাবুনগরী সেই কৌশলের বাস্তবায়ন শুরু করেন। তিনি প্রথমে ভাস্কর্য ইস্যু নিয়ে সরকারকে চাপে ফেলেন।  এরপর বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানকে নিয়ে হেফাজত এক অশুভ পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন যে, হেফাজতের এই সমস্ত পরিকল্পনার পেছনে বিএনপি এবং জামায়াতের হাত ছিল। বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে যে, হেফাজত যেন একটা সরকারবিরোধী আন্দোলন করে সেজন্য ব্যাংককে গোপন বৈঠকও হয়েছিল। সেই বৈঠকের ফলশ্রুতি হিসেবেই হেফাজত বাবুনগরীর নেতৃত্বে আগ্রাসী হয়েছিল। 

আর হেফাজতের সেই সময় কৌশল ছিল যে সরকারকে যদি কোণঠাসা করা যায়, তাহলে তার দু`ধরনের লাভ হতে পারে। প্রথমত সরকারের পতন হবে এবং একটি ইসলামী সরকার গঠন হবে আর সেটি যদি তারা সক্ষম নাও হতে পারে এরকম চাপের কাছে সরকার নতি স্বীকার করবে এবং হেফাজতকে সমীহ করে চলবে। কিন্তু হেফাজতের এই কৌশল আর সফল হয়নি। বরং সরকার হেফাজতকে দমনের নতুন কৌশল গ্রহণ করে। সেই কৌশলে হেফাজতের শীর্ষ একাধিক নেতা যেমন গ্রেপ্তার হয়েছে, আবার হেফাজত নেতৃবৃন্দের অবৈধ অর্থ-সম্পদের তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। এখন কেউই বলতে পারছেন না যে, সরকার রাজনৈতিক কারণে বা হেফাজত করার কারণে কাউকে গ্রেপ্তার করেছে। বরং হেফাজতের যেসমস্ত নেতা গ্রেপ্তার হয়েছে তা সুর্নির্দিষ্ট অপরাধের ভিত্তিতে। 

যেমন মামুনুল হকের বিরুদ্ধে নারীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক, অবৈধ অর্থ উপার্জন ইত্যাদি রয়েছে। আবার জুনায়েদ বাবুনগরীর বিরুদ্ধে আহমদ শফীকে হত্যা প্রচেষ্টা এবং অবৈধ সম্পদের মামলা রয়েছে। কাজেই সরকার এখন হেফাজতের নেতাদের যে অপকর্ম সেগুলোর ব্যাপারেই তদন্ত করছে। ফলে এর পেছনে এটা বিপুল জনসমর্থনও পাওয়া যাচ্ছে। তবে হেফাজতের কমিটি নিয়ে সরকার কোনো কৌশল করছে কিনা তা স্পষ্ট নয়।  এখন হেফাজতের কমিটি গঠনের পর হেফাজত যে নতুন সংকটে পড়েছে তাতে হচ্ছে যে কৌশলের খেলায় এখনও এগিয়ে আছে সরকারই। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই কৌশলের খেলা কে জিতবে সেটা দেখার বিষয়।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দেশে ফিরেই গ্রেপ্তার ‘কাচ্চি ভাই’ রেস্টুরেন্টের মালিক

প্রকাশ: ০৭:১২ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ নামের ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ‘কাচ্চি ভাই’ রেস্টুরেন্টের মালিক সোহেল সিরাজকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ নিয়ে আগুনের ঘটনায় করা মামলায় সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হলো। 

মঙ্গলবার (৭ মে) মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফিরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার পরপরই গ্রেপ্তার হন সোহেল সিরাজ। আগুনের ঘটনার পর তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) নিজামউদ্দিন ফকির গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলায় সোহেল সিরাজকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।  বুধবার পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন জানিয়ে তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে তোলে সিআইডি। তবে শুনানি শেষে আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

এর আগে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ নামের ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।  মূলত ওই ভবনটির বিভিন্ন তলায় ছিল খাবারের দোকান। এরমধ্যে ‘কাচ্চি ভাই’ রেস্টুরেন্টটি ছিল ভবনের দ্বিতীয় তলায়।  অগ্নিকাণ্ডের সময় বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে অসংখ্য মানুষ খাবার খেতে এসেছিলেন। পরে ভয়াবহ আগুনে নারী-শিশুসহ মোট ৪৬ জনের প্রাণহানি ঘটে। এছাড়া আহত হন অনেকেই।

এদিকে, ভয়াবহ ওই অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জনের প্রাণহানির ঘটনায় করা মামলায় প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৪ জুন দিন ধার্য রয়েছে।  গত ২৪ এপ্রিল এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল।  তবে ওইদিন প্রতিবেদন দাখিল না হওয়ায় ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান সোহাগ উদ্দিন নতুন দিন ধার্য করেন।

গ্রেপ্তার   কাচ্চি ভাই   বেইলি রোড  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগে তিন নির্বাচনী কর্মকর্তা আটক

প্রকাশ: ০৬:৫৯ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগে সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। বুধবার (৮ মে) উপজেলার উত্তর আমবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র থেকে তাদের আটক করেন দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিকহাত আরা।

আটককৃতরা হলেন- সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার মুক্তি রাণী হাওলাদার, পোলিং অফিসার মুন্নী বড়ুয়া ও সমীর চন্দ্র দাশ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই তিন নির্বাচনী কর্মকর্তা ব্যালট পেপারে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক এমপি ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য মাহবুব উর রহমান রুহেল সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী এনায়েত হোসেন নয়নের কাপ-পিরিচ প্রতীকে জাল ভোট দিচ্ছিলেন।

চট্টগ্রাম জেলা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ইউনুচ আলী আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আটক করার ঘটনাটি শুনেছি। তবে বিস্তারিত এই মুহূর্তে বলতে পারছি না।’

জাল ভোট   নির্বাচনী কর্মকর্তা   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আবার ঢাকায় কেন ডোনাল্ড লু?

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু আবার বাংলাদেশ সফরে আসছেন। নানা কারণে ডোনাল্ড লু বাংলাদেশে অত্যন্ত আলোচিত একটি নাম। বিশেষ করে নির্বাচনের আগে তাঁর তৎপরতা বাংলাদেশে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করেছিল। ভিসা নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেওয়ার পর তিনি একাধিক গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন এবং বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে তাঁর সরাসরি হস্তক্ষেপ এবং বেশ কিছু কথাবার্তা রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছিল।

ডোনাল্ড লু নির্বাচনের আগে একাধিকবার বাংলাদেশে এসেছিলেন এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য তিনি বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে কথাবার্তা বলেছিলেন। যখন ২৮ অক্টোবর বিএনপি সারা ঢাকা শহরে তাণ্ডব চালায়, এরপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কার্যক্রম স্তিমিত হয়ে গেলেও ডোনাল্ড লু’র একটি চিঠি নিয়ে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাছে ধর্না দিয়েছিলেন। অবশ্য ডোনাল্ড লু’র এই চিঠিকে আমলে নেননি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। 

ডোনাল্ড লু’র এই রাজনৈতিক সংলাপের বার্তাকে অনেক বিলম্বে দেওয়া বলে অভিহিত করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এরপর দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ নিয়ে একটি পরিবর্তিত নীতি এবং অবস্থান গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশের নির্বাচন ত্রুটিপূর্ণ এই বক্তব্য রেখেই বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার বার্তা দিয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ রকম একটি অবস্থা যখন বিরাজমান তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী কেন ঢাকা সফর করছেন- এ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। 

জানা গেছে, ১৪ থেকে ১৬ পর্যন্ত দুই দিনে ডোনাল্ড লু বাংলাদেশে সরকারি এবং বিরোধী দলের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করবেন। এছাড়াও তিনি সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন। এর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপ সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফরিন আক্তার বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। আর এবার ডোনাল্ড লু’র বাংলাদেশ সফর কী বার্তা দেবে তা নিয়ে নানারকম জল্পনা কল্পনা চলছে। 

একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে ডোনাল্ড লু’র বাংলাদেশ সফর। সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক ঝালিয়ে নেওয়া এবং বাংলাদেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক অবস্থানকে সম্প্রসারণ করাই ডোনাল্ড লু এর অন্যতম প্রধান লক্ষ্য বলেই একাধিক কূটনৈতিক সূত্র দাবি করেছে। 

বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে বিনিয়োগ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিশেষ করে তেল গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য সরকার যে দরপত্র আহ্বান করেছে সেখানে যেন মার্কিন কোম্পানিগুলো সুবিধা করতে পারে সে সব বিষয় নিয়ে কথা বলতে আগ্রহী। তবে এর পাশাপাশি বাংলাদেশের মানবাধিকার, বিরোধী দলের মত প্রকাশের স্বাধীনতা সহ বিভিন্ন বিষয় আলোচনায় আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে বাংলাদেশের নির্বাচনের আগে ডোনাল্ড লু’র সফর নিয়ে যত মাতামাতি হতো বা যে আতঙ্ক তৈরি হতো এবারে সেই পরিস্থিতি হচ্ছে না বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

ডোনাল্ড লু   মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র   দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

যুক্তরাষ্ট্রে ছাত্র আন্দোলন নিয়ে যা বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৫:৪৭ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের স্বার্থে সবসময় মানবাধিকার লঙ্ঘন করে। কিন্তু ছোট দেশগুলোকে তারা সবক দিতে থাকে, নিজেদের দিকে কখনও তাকায় না। যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে বেশি মানবাধিকার লঙ্ঘন করে বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

বুধবার (৮ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী  বলেন, বাংলাদেশে হিরো আলমকে ঘুষি মারলেও যুক্তরাষ্ট্র বিবৃতি দেয়। অথচ ফিলিস্তিন ইস্যুতে তারাই হাজারো শিক্ষক-শিক্ষার্থীকে নির্যাতন করছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের ঘটনায় দেশটির সরকার কী বলবে, তা আমরা জানতে চাই।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, গাজা ইস্যুসহ বিভিন্ন বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের মতবিরোধ থাকলেও তাদের সঙ্গে সম্পর্ক বরাবরই বন্ধুত্বপূর্ণ।

এ সময় মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু-র ঢাকা সফরের বিষয়েও কথা বলেন ড. হাছান। বলেন, মূল ইস্যু রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা হবে। এ ছাড়া ভবিষ্যতে ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্ক আরও গভীর ও জোরদার করতে আলোচনা হবে।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের ঢাকা সফর নিয়েও কথা বলেন হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, সীমান্তে বেসামরিক মানুষ হত্যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়, এটি বন্ধ করতে একযোগে কাজ করছে ঢাকা-দিল্লি। ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের সফরে এ নিয়ে আলোচনা হবে।

এদিকে, ব্রিটেনের ইন্দো-প্যাসিফিক মন্ত্রী অ্যান-মেরি ত্রিভেলিয়নের সঙ্গে বৈঠকের পর মন্ত্রী জানান, ২০২৬ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ হতে বাংলাদেশের পাশে থাকবে ব্রিটেন।

মন্ত্রী জানান, ডোনাল্ড লু’র বাংলাদেশ সফরে রোহিঙ্গা ইস্যু গুরুত্ব পাবে। এছাড়া ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের সফরে গুরুত্ব পাবে সীমান্তের নিরাপত্তা ও প্রাণহানির বিষয়।

যুক্তরাষ্ট্র   মানবাধিকার   পররাষ্ট্রমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরে শেষ হলো ২ উপজেলার ভোটগ্রহণ, জাল ভোটের অভিযোগে সহকারী প্রিসাইডিং আটক


Thumbnail

লক্ষ্মীপুরের ২ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। এখন চলছে ভোট গণনা। এই দুই উপজেলায় শান্তিপূর্ণভাবেই ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে কমলনগর উপজেলায় জাল ভোট দেয়ার অভিযোগে মেহেদী হাসান নামে একজন সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া রামগতি উপজেলার এক প্রিজাইডিং অফিসারের বিরুদ্ধে জাল ভোট প্রদানে সহায়তার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া আর কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

 

বুধবার (৮ মে) দুপুরে উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের হাজিরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে তাকে আটক করা হয়। মেহেদী হাসান ওই কেন্দ্রের সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি কমলনগর উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

 

এদিকে সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দুই উপজেলার ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে, এখন চলছে ভোট গণনা।

 

কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বলেন, ‘জাল ভোট দেয়ার অভিযোগে একজন সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারকে আটক করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে রাখা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনে (ইসি) বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান ইউএনও।’ 

 

এদিকে রামগতি উপজেলার পূর্ব চর মেহার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিসাইডিং অফিসার মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে জাল ভোটে সহায়তা করার অভিযোগ উঠেছে। 

 

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, কমলনগর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। এ ছাড়া এ উপজেলায় ৪ জন ভাইস চেয়ারম্যান ও ৩ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী রয়েছেন। এখানে ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৭৫ হাজার ৮১৭ জন।

 

এদিকে রামগতি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। এ উপজেলায় ১০ জন ভাইস চেয়ারম্যান ও ৩ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী রয়েছেন। এখানে ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৪২ হাজার ৯২২ জন।


উপজেলা নির্বাচন   ভোট গ্রহণ   জাল ভোট   প্রিজাইডিং অফিসার  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন