নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:১২ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২১
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ১১ সাংবাদিক নেতার ব্যাংক হিসাব তলবের চিঠি পাঠানোর বিষয়ে জানতেন না তিনি। পাশাপাশি এভাবে চিঠিটি পাঠানো উচিত হয়নি বলেও মনে করেন তিনি।
আজ সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিক নেতারা সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিক নেতাদের উদ্দেশে বলেন, আপনাদের সঙ্গে আমি সম্পূর্ণ একমত। ঘটনাগুলো অপ্রত্যাশিতভাবে হয়েছে। আসলে আমারও জানা ছিল না। তথ্যমন্ত্রীও বোধ হয় বিষয়টি জানতেন না। আমি সঙ্গে-সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে আলাপ করেছি। তিনি আপনাদের মতোই একটি চিঠির কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, সেই চিঠির উৎপত্তিটা কোথায়, সেটাও আমি দেখেছি। আমার মনে হয় একটি ভুল-বোঝাবুঝির মাধ্যমেই চিঠিটা পাঠানো হয়েছে। যেখানেই গিয়ে থাকুক চিঠিটা, আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি এভাবে চিঠি পাঠানো উচিত হয়নি।
উল্লেখ্য, গত রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি-সম্পাদকসহ ১১ সাংবাদিক নেতার ব্যাংক হিসাব তলব করে চিঠি পাঠায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণাধীন বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। চিঠিতে সাংবাদিক নেতাদের ব্যাংক হিসাবের যাবতীয় তথ্য (অ্যাকাউন্ট খোলার ফরম, কবে খোলা হয়েছে, জমা, উত্তোলনসহ লেনদেন বিবরণী, অ্যাকাউন্টের স্থিতি) আগামী চার কর্মদিবসের মধ্যে ব্যাংকগুলোকে পাঠাতে বলা হয়। চিঠিতে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট নম্বর দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রথম পর্যায়ের উপজেলা নির্বাচনের প্রস্তুতি চূড়ান্ত। ১৫০টি উপজেলায় এখন জনগণ ভোটের অপেক্ষায়। দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৫৯টি উপজেলায় মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন গতকাল শেষ হয়েছে। সেখানেও এখন নির্বাচনী প্রচারণার ডামাডোল শুরু হয়েছে। কিন্তু উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হবে কি না, উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে কি না এবং উপজেলা নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে কি না তা নিয়ে একদিকে যেমন জনগণের সংকট রয়েছে তেমনই নির্বাচন কমিশনও এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত।
লক্ষ্মীপুর সদরের তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরপরই হামলার শিকার হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, নেপথ্যে নির্বাচনে কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ। এঘটনায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতাকারী দুই প্রার্থীকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ ৯১১ জনের বিরুদ্ধে দুইটি মামলাও দায়ের করেন। ফলে নির্বাচনের পর আনন্দের বদলে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে ওই ইউনিয়নে।