নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:০৩ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০১৮
কাঁঠালের কেজি ১০০ টাকা! বিষয়টি অবাক করার মতো হলেও এমন দৃশ্যই দেখা গেছে রাজধানীর কাঁচা বাজার গুলোতে। সবজি হিসেবে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা কাঁঠাল। অন্যান্য সবজির পাশেই সাজিয়ে রাখা হয়েছে ছোট-বড় কাঁঠাল। বিক্রেতারা বলছেন পয়লা বৈশাখের সপ্তাহ খানেক আগে থেকেই বাজারে আসতে শুরু করেছে এসব কাঁঠাল।
নগরবাসীর কাছে কাঁচা কাঁঠাল ভেজিটেবল মিট হিসেবে ব্যবহার দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। কাঁঠাল সাধারণত পিচ হিসেবে বিক্রি হলেও রাজধানীর কয়েকটি বাজারে কেজি দরেই বিক্রি হতে দেখা গেছে। বিক্রেতারা বলছেন প্রতি পিস কাঁঠাল ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এর ফলে অনেকেই কিনতে পারছেন না। তাই ত্রেতাদের কেনার সুবিধার্থে কাঁঠাল কেটে কেজি হিসেবে বিক্রি করা হচ্ছে । আবার ও কোথাও কোথাও পিস হিসেবেও বিক্রি হতে দেখা গেছে।
এদিকে কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। গক কয়েক সপ্তাহ আগে ৩০-৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে হয়েছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা। তবে কাঁচা মরিচের দাম বাড়লেও স্থিতিশীল রয়েছে অধিকাংশ সবজির দাম। পেঁয়াজ রসুনও আগের দামে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে বেড়ে যাওয়া ডিমের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
বৃহস্পতিবার ১৯ এপ্রিল রাজধানীর মোহাম্মদপুর টাউন হল বাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে টমেটো, বেগুন, শিম, লাউ, পেঁপে, করলা, ধেড়স, পটলসহ সব ধরনের সবজির সরবরাহ পর্যাপ্ত। সেই সঙ্গে লাউ শাক, ডাটা শাক, কলমি শাক, পাট শাক, লাল শাকে বাজার এখন ভরপুর। দামও তুলনামূলক কম।
কাঁচা মরিচের দাম বাড়ার কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা জানান, এক মাসের বেশি সময় ধরে কাঁচা মরিচের দাম কম ছিল। কিন্তু হঠাৎ আড়তে কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে গেছে। আড়তে কাঁচা মরিচের সরবরাহও কম।
বাজারে সজনের ডাটার কেজি ৬০-৮০ টাকা। গত কয়েক সপ্তাহে বাজারে আসা এ সবজিটি অন্য সব সবজির চেয়ে দাম বেশি। এছাড়া পটল বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা কেজিতে। একই দামে বিক্রি হচ্ছে বরবটি ও ঢেঁড়স। আগের সপ্তাহেও এ সবজিগুলোর দাম এমন ছিল।
কম দামের সবজির মধ্যে লাউ আগের সপ্তাহের মতোই প্রতি পিচ ২৫ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর গত সপ্তাহে কিছুটা দাম কমলেও টমেটোর দাম কিছুটা বেড়ে ২০-৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
গত সপ্তাহে ৩০-৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া বেগুনের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। শিমও আগের সপ্তাহের মতোই ৪০-৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া গাজর ২০-২৫ টাকা, শশা ৩০- ৪০ টাকা, ছোট আকারের মিষ্টি কুমড়া ২৫-৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকা কেজি দরে।
লাল শাক, সবুজ ডাটা শাক, পাট শাক, কলমি শাক আগের সপ্তাহের মতো ৫-১০ টাকা আটি বিক্রি হচ্ছে। নতুন দেশি পেঁয়াজ আগের সপ্তাহের মতোই ৩৫-৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজিতে।
মুদি দোকানগুলোতে বয়লার মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩৪ টাকা থেকে ৩৬ টাকা হালি। ডিমের দামের বিষয়ে ব্যবসায়ী কামাল বলেন, গত সপ্তাহেই ডিমের দাম বেড়েছে। এখন এক হালি ডিম ৩৪ টাকা এবং একপিচ ডিম ৯ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাংলা ইনসাইডার/এসএ
মন্তব্য করুন
ব্যাংকগুলোর পিছু ছাড়ছে না তারল্য সংকট। দৈনন্দিন কার্যক্রম মেটাতেও
এখন ধার করতে হচ্ছে। গেল বুধবার (২৪ এপ্রিল) এক দিনে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো ধার করেছে
২৩ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর মধ্যে বিশেষ তারল্য সহায়তার আওতায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে
ধার করেছে ২০ হাজার ৬৫৭ কোটি টাকা।
কলমানি মার্কেট ও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকে বিভিন্ন স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি
ধার করেছে আড়াই হাজার কোটি টাকার বেশি। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এক ব্যাংক আরেক ব্যাংক
থেকে ধার করেছে ৪ হাজার কোটি টাকার বেশি।
সূত্র জানায়, ঈদের আগে ব্যাংকগুলোতে গ্রাহকের বাড়তি চাহিদা ছিল
টাকা তোলার। এ কারণে ওই সময়ে তারল্য সংকট বেড়েছিল। ঈদের পর গ্রাহকদের চাপ কমে গেছে।
তারপরও ব্যাংকগুলোতে তারল্য সংকট রয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাংক একীভূত করার ঘোষণা দেওয়ায় দুর্বল ব্যাংক
থেকে গ্রাহকরা নগদ টাকা তুলে নিচ্ছেন। এমনকি দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয়ী প্রকল্পে জমা রাখা
অর্থও তুলে নিচ্ছেন। এতে করে কিছু দুর্বল ব্যাংকে তারল্য সংকট বেড়েছে। ওইসব ব্যাংক
এখন ধারের প্রবণতা বাড়িয়ে দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) কলমানি মার্কেট থেকে কিছু দুর্বল ব্যাংক
৩ হাজার ৯০০ কোটি টাকা ধার করেছে। এতে সর্বোচ্চ সুদ ছিল সাড়ে ৯ শতাংশ। সর্বনিম্ন সুদ
ছিল ৮ শতাংশ। এ সুদহার কেন্দ্রীয় ব্যাংক নানাভাবে মৌখিক নির্দেশনা দিয়ে একটি সীমার
মধ্যে রেখে দিয়েছে। এছাড়া স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি ধার করেছে প্রায় ২৫০ কোটি টাকা। এতে
সুদহার ছিল ১০ থেকে প্রায় ১২ শতাংশ।
এর আগে, ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে এক দিনে সর্বোচ্চ ২৬
হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত ধার করেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানান, ব্যাংকগুলো আমদানি ব্যয়
মেটাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ডলার কেনায় মোটা অঙ্কের অর্থ কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আটকে
গেছে। এছাড়া বিভিন্ন ট্রেজারি বিল ও বন্ডেও বিনিয়োগ করেছে। ট্রেজারি বিল পুনরায় কিনে
নেওয়ার চুক্তি বা রেপোর আওতায় ওইসব অর্থ ব্যাংকগুলোকে স্বল্পমেয়াদে ধার দিচ্ছে।
এদিকে, ব্যাংকগুলোতে এখনো আমানত বাড়ার চেয়ে ঋণ বাড়ছে বেশি হারে।
ঋণ হিসাবে বিতরণ করা অর্থ আদায় হচ্ছেও কম। এসব কারণে ব্যাংকগুলোতে তারল্য সংকট বেড়েছে।
এছাড়া বাজারে নিত্যপণ্যের দাম মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ায় মানুষের
সঞ্চয় করার মতো সক্ষমতা কমে গেছে। এমনকি আগের সঞ্চয় ভেঙে জীবিকা নির্বাহ করছে।
এতে করেও ব্যাংকে সঞ্চয় প্রবণতা বাড়ছে না। পাশাপাশি সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাংকগুলোতে নানা সংকটের কারণে গ্রাহকদের মধ্যে নানা ধরনের বিভ্রান্তিও তৈরি হয়েছে।
তারল্য সংকট ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক
মন্তব্য করুন
দাম কমানোর একদিন পরই আবারও ভরিতে ২ হাজার ১০০ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৪ হাজার ১৯০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা ৫০ মিনিট থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর করা হয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ১৪ হাজার ১৯০ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৯ হাজার টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৩ হাজার ৪২৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৫ হাজার ২০৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে গত ২৩ এপ্রিল দুই দিনের ব্যবধানে ভরিতে ৩ হাজার ১৩৮ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৬ হাজার ২৯০ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১০ হাজার ৯৯৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৫ হাজার ১৪৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৬ হাজার ৫৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা সেদিন বিকেল ৪টা থেকে কার্যকর হয়েছিল।
আর গত ২১ এপ্রিল একদিনের ব্যবধানে ভরিতে ৬৩০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৯ হাজার ৪২৮ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৭ হাজার ৭০৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৮ হাজার ৬৬২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা সেদিন বিকেল ৩টা ৩০ মিনিট থেকে কার্যকর হয়েছিল।
এছাড়া গত ২০ এপ্রিল সবচেয়ে ভালো মানের ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণ ৮৪০ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৯৮ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস। আর ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৩ হাজার ৩৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৭ হাজার ১৯৬ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৮ হাজার ২৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা সেদিন বিকেল ৩টা ৩০ মিনিট থেকে কার্যকর হয়েছিল।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের প্রথম চার মাসেই দেশের বাজারে ১২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৭ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ৫ বার। এর মধ্যে এপ্রিলেই দাম সমন্বয় হয়েছে ৭ বার। আর ২০২৩ সালে দাম সমন্বয় করা হয়েছিল ২৯ বার।
স্বর্ণ বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি বাজুস
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ ব্যাংক বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস বিসিএস
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন বাজুস
মন্তব্য করুন
দাম কমানোর একদিন পরই আবারও ভরিতে ২ হাজার ১০০ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৪ হাজার ১৯০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা ৫০ মিনিট থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর করা হয়েছে।