নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:০৪ পিএম, ০৪ মে, ২০১৮
বাজারে রোজাকেন্দ্রিক পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ থাকার পরও দাম বাড়ার অভিযোগ জানিয়েছেন ক্রেতারা। চাহিদার তুলনায় মজুদ পরিস্থিতি খুবই সন্তোষজনক। এমনকি কোনো কোনো পণ্যের মজুদ অনেক বেশি। বাণিজ্যমন্ত্রীর কাছে ব্যবসায়ীরা আশ্বাস দিয়েছিলেন এবার রমজানে প্রধান কয়েকটি পণ্যের দাম বাড়বেনা। তা সত্ত্বেও সপ্তাহ ব্যবধানে এসব পণ্যের দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা।
সপ্তাহ খানেক আগে যেখানে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজিতে ছোলা বিক্রি হয়েছে, এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকায়। এছাড়া চিনি ও পেঁয়াজের দামও কেজিতে বেড়েছে ৫ থেকে ৭ টাকা।
বৃহস্পতিবার ৩ মে রাজধানীর মোহাম্মদপুর টাউন হল বাজার ও আশেপাশের কয়েকটি বাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, উন্নতমানের অস্ট্রেলিয়ান ছোলা প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকায়। বিক্রেতারা বলছেন পাইকারি বাজারে ছোলার দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় খুচরা বাজারেও বেড়ে গেছে। গত বছর রমজানের আগে ছোলার দাম ছিল আরও বেশি। গতবছর রমজানে ১০০ টাকায় ছোলা বিক্রি হয়েছিল।
বাজার করতে আসা আসলাম বলেন, ‘এক কেজি ছোলা কিনলাম ৯০ টাকায়। কয়েক দুদিন আগে কিনেছি ৮০ টাকায়। রোজাকে সামনে রেখে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে এখনি দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।’
এদিকে টানা কয়েক দিনের বৃষ্টির কারণে সবজির দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। সবজির বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি টমেটো ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, গাজর ৫০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা, শিম ৫০ টাকা, মূলা ৩০ টাকা, পটল ৫০টাকা, ঝিঙ্গা ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, শসা ৬০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৪০ টাকা, মূলা ১৫ টাকা, আলু ১৬ টাকা টাকা।
কাঁচা মরিচের কেজিতে ১০ টাকা কমে ৪০থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে একদিনের ব্যবধানেই বাজারে রসুনের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ৫ থেকে ৬ টাকা। একই বাজারের রসুনের পাইকারি বিক্রেতা কামরুল বলেন, ‘গতকাল ৭৪ টাকা কেজিতে চায়না রসুন বিক্রি করলেও আজ তা ৮০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। দুদিনের ব্যবধানেই ৬ টাকা দাম বেড়েছে। তবে দেশি রসুনের দাম স্থিতিশীল রয়েছে।’ একই ধরণের তথ্য জানিয়ে আরেক বিক্রেতা শফিকুল হাসান বলেন, ‘চায়না রসুন বৃহস্পতিবার ৭৫ টাকা কেজিতে বিক্রি করলেও শুক্রবার তা ৮৫ টাকা কেজিতে বিক্রি করতে হবে। তবে দেশি রসুন ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।’
এছাড়া, চালের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মিনিকেট ৫২ থেকে ৬১ টাকা, নাজির ৬৪ থেকে ৭২ টাকা ও কাটারিভোগ ৭২ থেকে ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
প্রতি কেজি গরুর মাংস ৪৫০-৪৭০ টাকা, খাসির মাংস ৭০০-৭৫০ টাকা ও ব্রয়লার মুরগি ১৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সোনালি মুরগি প্রতি পিস সাইজ অনুযায়ী ২০০-২২০ টাকা পর্যন্ত দামে বিক্রি হচ্ছে।
বাংলা ইনসাইডার/ এসএ/জেডএ
মন্তব্য করুন
ব্যাংকগুলোর পিছু ছাড়ছে না তারল্য সংকট। দৈনন্দিন কার্যক্রম মেটাতেও
এখন ধার করতে হচ্ছে। গেল বুধবার (২৪ এপ্রিল) এক দিনে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো ধার করেছে
২৩ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর মধ্যে বিশেষ তারল্য সহায়তার আওতায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে
ধার করেছে ২০ হাজার ৬৫৭ কোটি টাকা।
কলমানি মার্কেট ও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকে বিভিন্ন স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি
ধার করেছে আড়াই হাজার কোটি টাকার বেশি। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এক ব্যাংক আরেক ব্যাংক
থেকে ধার করেছে ৪ হাজার কোটি টাকার বেশি।
সূত্র জানায়, ঈদের আগে ব্যাংকগুলোতে গ্রাহকের বাড়তি চাহিদা ছিল
টাকা তোলার। এ কারণে ওই সময়ে তারল্য সংকট বেড়েছিল। ঈদের পর গ্রাহকদের চাপ কমে গেছে।
তারপরও ব্যাংকগুলোতে তারল্য সংকট রয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাংক একীভূত করার ঘোষণা দেওয়ায় দুর্বল ব্যাংক
থেকে গ্রাহকরা নগদ টাকা তুলে নিচ্ছেন। এমনকি দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয়ী প্রকল্পে জমা রাখা
অর্থও তুলে নিচ্ছেন। এতে করে কিছু দুর্বল ব্যাংকে তারল্য সংকট বেড়েছে। ওইসব ব্যাংক
এখন ধারের প্রবণতা বাড়িয়ে দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) কলমানি মার্কেট থেকে কিছু দুর্বল ব্যাংক
৩ হাজার ৯০০ কোটি টাকা ধার করেছে। এতে সর্বোচ্চ সুদ ছিল সাড়ে ৯ শতাংশ। সর্বনিম্ন সুদ
ছিল ৮ শতাংশ। এ সুদহার কেন্দ্রীয় ব্যাংক নানাভাবে মৌখিক নির্দেশনা দিয়ে একটি সীমার
মধ্যে রেখে দিয়েছে। এছাড়া স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি ধার করেছে প্রায় ২৫০ কোটি টাকা। এতে
সুদহার ছিল ১০ থেকে প্রায় ১২ শতাংশ।
এর আগে, ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে এক দিনে সর্বোচ্চ ২৬
হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত ধার করেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানান, ব্যাংকগুলো আমদানি ব্যয়
মেটাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ডলার কেনায় মোটা অঙ্কের অর্থ কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আটকে
গেছে। এছাড়া বিভিন্ন ট্রেজারি বিল ও বন্ডেও বিনিয়োগ করেছে। ট্রেজারি বিল পুনরায় কিনে
নেওয়ার চুক্তি বা রেপোর আওতায় ওইসব অর্থ ব্যাংকগুলোকে স্বল্পমেয়াদে ধার দিচ্ছে।
এদিকে, ব্যাংকগুলোতে এখনো আমানত বাড়ার চেয়ে ঋণ বাড়ছে বেশি হারে।
ঋণ হিসাবে বিতরণ করা অর্থ আদায় হচ্ছেও কম। এসব কারণে ব্যাংকগুলোতে তারল্য সংকট বেড়েছে।
এছাড়া বাজারে নিত্যপণ্যের দাম মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ায় মানুষের
সঞ্চয় করার মতো সক্ষমতা কমে গেছে। এমনকি আগের সঞ্চয় ভেঙে জীবিকা নির্বাহ করছে।
এতে করেও ব্যাংকে সঞ্চয় প্রবণতা বাড়ছে না। পাশাপাশি সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাংকগুলোতে নানা সংকটের কারণে গ্রাহকদের মধ্যে নানা ধরনের বিভ্রান্তিও তৈরি হয়েছে।
তারল্য সংকট ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক
মন্তব্য করুন
দাম কমানোর একদিন পরই আবারও ভরিতে ২ হাজার ১০০ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৪ হাজার ১৯০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা ৫০ মিনিট থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর করা হয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ১৪ হাজার ১৯০ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৯ হাজার টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৩ হাজার ৪২৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৫ হাজার ২০৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে গত ২৩ এপ্রিল দুই দিনের ব্যবধানে ভরিতে ৩ হাজার ১৩৮ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৬ হাজার ২৯০ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১০ হাজার ৯৯৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৫ হাজার ১৪৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৬ হাজার ৫৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা সেদিন বিকেল ৪টা থেকে কার্যকর হয়েছিল।
আর গত ২১ এপ্রিল একদিনের ব্যবধানে ভরিতে ৬৩০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৯ হাজার ৪২৮ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৭ হাজার ৭০৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৮ হাজার ৬৬২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা সেদিন বিকেল ৩টা ৩০ মিনিট থেকে কার্যকর হয়েছিল।
এছাড়া গত ২০ এপ্রিল সবচেয়ে ভালো মানের ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণ ৮৪০ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৯৮ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস। আর ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৩ হাজার ৩৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৭ হাজার ১৯৬ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৮ হাজার ২৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা সেদিন বিকেল ৩টা ৩০ মিনিট থেকে কার্যকর হয়েছিল।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের প্রথম চার মাসেই দেশের বাজারে ১২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৭ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ৫ বার। এর মধ্যে এপ্রিলেই দাম সমন্বয় হয়েছে ৭ বার। আর ২০২৩ সালে দাম সমন্বয় করা হয়েছিল ২৯ বার।
স্বর্ণ বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি বাজুস
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ ব্যাংক বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস বিসিএস
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন বাজুস
মন্তব্য করুন
দাম কমানোর একদিন পরই আবারও ভরিতে ২ হাজার ১০০ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৪ হাজার ১৯০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা ৫০ মিনিট থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর করা হয়েছে।