নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:০৯ পিএম, ২৬ জুলাই, ২০১৮
কারিগরি শিক্ষায় ঘাটতি থাকায় বিশ্বের বড় ক্রেতাদের সঙ্গে সঠিকভাবে দরকষাকষি করতে পারছেন না বাংলাদেশের কর্মীরা। ফলে তৈরি পোশাক খাতে অন্যান্য দেশের তুলনায় অন্তত ১০ শতাংশ কম মূল্য পাচ্ছে বাংলাদেশ।
গতকাল বুধবার বন্দরনগরী চট্টগ্রামের একটি পাঁচতারকা হোটেলে আয়োজিত ‘ড্রাইভিং ট্রান্সফরমেশন ইন বাংলাদেশ অ্যাপারেল ইন্ডাস্ট্রি’ শীর্ষক এক সেমিনারে বিকেএমইএর সাবেক সভাপতি ফজলুল হক একথা বলেন। সেমিনারটি প্রাইসওয়াটারহাউজকুপারসের (পিডব্লিউসি) উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়।
ফজলুল হক বলেন, ‘বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা তৈরি পোশাক খাতের উন্নয়নের জন্য যথেষ্ট নয়। উচ্চশিক্ষিত অনেকেরই যোগাযোগ দক্ষতা, বোঝানোর ক্ষমতা ইত্যাদি বিষয়ে পর্যাপ্ত জ্ঞানের অভাব দেখা যায়। এ কারণে বিদেশি ক্রেতার সঙ্গে দরকষাকষিতে আমাদের পণ্যের মূল্য অন্তত ১০ শতাংশ কমে যাচ্ছে।’
দক্ষ কর্মীর অভাবে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক নির্মাতা অনেক প্রতিষ্ঠান বিদেশ থেকে কর্মী এনে অনেক বেতন দিয়ে রাখতে বাধ্য হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এখন কারিগরি শিক্ষায় জোর দিচ্ছে উল্লেখ করে ফজলুল হক বলেন, ‘বাংলাদেশেও সরকারকে গতানুগতিক পড়াশোনার পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষায় বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।’
সেমিনারে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশ তৈরি পোশাকের বৈশ্বিক বাজারে অনেক ভালো অবস্থানে রয়েছে এবং সংস্কারমূলক বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে এই খাতে ব্যাপক গুণগত পরিবর্তন এসেছে।’
দেশের পোশাক খাত এখন চট্টগ্রাম বন্দরের ওপর নির্ভরশীল, একথা উল্লেখ করে জিল্লুর রহমান অভিযোগ করেন, ‘বন্দর কার্যত অকার্যকর করে রাখা হয়েছে। একটি বিদেশী জাহাজকে কেন পাঁচ থেকে ১০ দিন খালাসের জন্য অপেক্ষা করতে হবে?’ এই ব্যাপারে তিনি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘সরকার কিন্তু ব্যবসায়ীদের বাজার খুঁজে দেয়নি। ব্যবসায়ীরাই তৈরি পোশাকের বাজার খুঁজে বের করেছে।’
পিডব্লিউসির পরিচালনা পর্ষদের কর্মকর্তা পল্লব দে বলেন, ২০১১ সালে ৮৯ শতাংশ বিদেশী ক্রেতা বাংলাদেশ থেকে কাপড় কিনতে আগ্রহী থাকলেও ২০১৭ সালে এ হার গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৪৯ শতাংশে। তৈরি পোশাক খাতে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিতে হলে দক্ষ শ্রমিক, ভালো ব্যবসায়িক চিন্তাভাবনা, কার্যকর পরিকল্পনা গ্রহণ, শিল্পপ্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণসহ নানামুখী পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সেমিনারে অন্যান্য ব্যবসায়ীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এশিয়ান গ্রুপের চেয়ারম্যান এমএ সালাম, বিজিএমইএর পরিচালক আবু তৈয়ব, পিডব্লিউসির পরিচালক অরুণ রায়চৌধুরী প্রমুখ।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি
মন্তব্য করুন
অর্থনৈতিক সংকট বাংলাদেশ ব্যাংক আইএমএফ ডলার সংকট
মন্তব্য করুন
এক লাফে ডলারের দাম ৭ টাকা উন্নীত করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যার ফলে দীর্ঘদিন ১১০ টাকায় থাকা ডলারের অফিসিয়াল দাম একদিনে ১১৭ টাকা হয়েছে।
জানা গেছে, বাজারে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের শর্তের কারণে এই দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। বুধবার (৮ মে) একটি সার্কুলার জারি করে এ দাম ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সার্কুলারে বলা হয়, এখন থেকে ক্রলিং পেগ নামের নতুন পদ্ধতিতে ডলার কেনা-বেচা হবে। এ পদ্ধতিতে ডলারের রেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১১৭ টাকা। গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে ডলারের দাম ছিল ১১০ টাকা। যা ছিল অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার বাংলাদেশ (এবিবি) এবং বাফেদা নির্ধারিত ডলার রেট।
ডলারের দাম বাংলাদেশ ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
মাত্র ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে স্বর্ণের দাম প্রতি ভরিতে বেড়েছে সাড়ে চার হাজার টাকা। বুধবার (৮ মে) থেকে ২২ ক্যারেটের ভরিপ্রতি বিক্রি হবে এক লাখ ১৫ হাজার ৪৫০ টাকা।
মঙ্গলবার (৭ মে) বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি-বাজুস এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে তাল মিলিয়ে এই সমন্বয় করা হয়েছে। দাম সমন্বয়ের ঘোষণা দেয়া হয়েছে ২১,১৮ ক্যারেট ও সনাতনী স্বর্ণের ক্ষেত্রেও।
নতুন দাম অনুযায়ী- প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৫ হাজার ৪৫০ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১০ হাজার ২০১ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৪ হাজার ৪৫৫ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৮ হাজার ৯০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে ৬ ও ৫ মে দু'দফায় স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়েছে। ৬ মে প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৩৫ টাকা এবং ৫ মে প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৫০ টাকা বাড়ানো হয়। এখন আবার দাম বাড়ানোর ফলে তিন দফায় ভরিতে স্বর্ণের দাম বাড়লো ৬ হাজার ২৮৭ টাকা।
মন্তব্য করুন
সোনার দাম বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি বাজুস
মন্তব্য করুন
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
ক্রমশ তীব্র হচ্ছে অর্থনৈতিক সংকট। এক লাফে ডলারের দাম ৭ টাকা বৃদ্ধি, ব্যাংক ঋণের সুদের হার বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়া সহ বিভিন্ন সিদ্ধান্ত অর্থনৈতিক সংকটের ইঙ্গিত বহন করে। ঋণ করে ঘি খাওয়ার লোভে আইএমএফ-এর লোন পেতে মরিয়া সরকার শেষ পর্যন্ত আইএমএফ-এর প্রেসক্রিপশনেই এই ধরনের বিষয়গুলো করেছেন বলে দাবি করেন অর্থনীতিবিদরা। আর এর ফলে তার বিরূপ প্রভাব পড়বে বাজারে, ব্যবসা বাণিজ্যে। অর্থনৈতিক সংকট আরও তীব্র হবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
মাত্র ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে স্বর্ণের দাম প্রতি ভরিতে বেড়েছে সাড়ে চার হাজার টাকা। বুধবার (৮ মে) থেকে ২২ ক্যারেটের ভরিপ্রতি বিক্রি হবে এক লাখ ১৫ হাজার ৪৫০ টাকা। মঙ্গলবার (৭ মে) বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি-বাজুস এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে তাল মিলিয়ে এই সমন্বয় করা হয়েছে। দাম সমন্বয়ের ঘোষণা দেয়া হয়েছে ২১,১৮ ক্যারেট ও সনাতনী স্বর্ণের ক্ষেত্রেও।