নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:১৭ পিএম, ৩১ অগাস্ট, ২০১৮
ঈদুল আজহার রেশ কেটেছে অনেকটাই। আপনজনদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করে নাড়ির টানে ঘরে ফেরা মানুষগুলো পুনরায় ফিরে এসেছে ঢাকায়। সেইসঙ্গে রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলো ফিরে পেয়েছে তাদের পুরানো রূপ। আজ শুক্রবার সকাল থেকেই ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভিড় ছিল কাঁচাপণ্যের বাজারগুলোতে। যদিও ঈদের পর গত কয়েকদিন রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে তেমন ক্রেতা সমাগম ছিল না, কিন্তু আজ সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় কাঁচাপণ্যের বাজারগুলো আবার জমে উঠেছে। ঈদ পরবর্তী চলতি সপ্তাহেই কিছু পণ্যের দাম কমেছে, বেড়েছে কিছু পণ্যের দাম, আবার কিছু পণ্যের দাম রয়েছে অপরিবর্তিত।
আজ শুক্রবার রাজধানীর মোহাম্মদপুরের টাউন হল কাঁচাবাজারে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ঈদের আগের তুলনায় কমেছে মুরগি ও ডিমের দাম। একই সঙ্গে আগের চেয়ে কম দামে পাওয়া যাচ্ছে অধিকাংশ সবজি।
সাদা ব্রয়লার মুরগি ১৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে, যার ঈদ পূর্ববর্তী মূল্য ছিল ১৫০-১৬০ টাকা কেজিপ্রতি। লাল লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২০০-২২০ টাকা কেজিতে, যা ঈদের আগে ২৫০ টাকার ওপরে বিক্রি হয়েছিলো।
দেশি মুরগি কেজি প্রতি বিক্রি হয়েছিলো ৪৫০ টাকা, যা ঈদ পরবর্তী সময়েও অপরিবর্তিত আছে।
এদিকে, ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ৯০-৯৫ টাকা ডজন, যা ঈদের আগে ১০০ টাকার বেশি ছিল।
বাজারে গরুর মাংসের দোকানে ক্রেতা সমাগম কম। কোরবানী ঈদের সপ্তাহখানেক পরে বাজারটা এমন থাকবে এটাই স্বাভাবিক। ঈদের আগে ৫০০ টাকা দরে বিক্রি হওয়া গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৪৮০ টাকায়।
এসব দোকানে সিটি কর্পোরেশন থেকে নির্ধারিত কেজি প্রতি ৪৮০ টাকার কমেও দরদাম করে ক্রেতারা গরুর মাংস কিনছেন।
বাজারে অপরিবর্তিত আছে খাসির মাংসের দাম। ঈদের আগে ও পরে খাসির মাংস কেজি প্রতি ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যদিও খাসির মাংসের ক্রেতা নেই বললেই চলে। বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট ও অনুষ্ঠানের অর্ডার থাকার কারণে খাসি জবাই দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন খাসির মাংস বিক্রেতারা।
ঈদের পরে মাছ বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই। অন্যান্য মাছের তুলনায় বাজারে ইলিশের সমাগম প্রচুর। প্রতিপিস ইলিশ ৬০০-১৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
প্রতিকেজি রুই মাছ ২৫০-৩০০, চিংড়ি ৫৫০-১১০০, পাবদা ৫৫০-৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ঈদ পূর্ববর্তী সময়ে এসব মাছের দাম একই ছিল।
মাছের দাম প্রসঙ্গে মাছ বিক্রেতারা জানান, পাইকারি বাজারে মাছের দাম না কমায় খুচরা বাজারে বেশি দামেই ক্রেতাদের মাছ কিনতে হচ্ছে।
ক্রেতার মোটেও চাপ নেই চাল ও মসলার পাইকারি বাজারে। পাইকারি চালের বাজারে দেখা যায়, বিক্রেতারা অলস সময় কাটাচ্ছেন। ঈদের পর চালের দাম অপরিবর্তিত আছে বলে জানান চাল বিক্রেতারা।
এদিকে, একই চিত্র দেখা যায় মসলার বাজারে। ঈদের পর মসলার বাজার একেবারেই ফাঁকা।
একটানা মাংস খেতে খেতে হাঁপিয়ে উঠেছেন অনেকেই, তাই তারা ছুটছেন সবজির বাজারে। এ ধরনের ক্রেতাদের বাজারে নতুন আসা সবজির প্রতিই চাহিদা বেশি। অধিকাংশ সবজি ৩০-৪০ টাকা কেজির মধ্যে বিক্রি হলেও বেশি দামেই বিক্রি হচ্ছে শীতের আগাম সবজি। শিম, টমেটো, গাজর, ফুলকপি ও পাতাকপি চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে। এদিকে, কাঁচামরিচসহ উস্তা, বরবটি, কাকরল, করলা, পটল, ঝিঙা, ধুন্দল, ঢেঁড়স, লাউ-এর দাম কমেছে।
বেড়েছে আলু ও আমদানিকৃত পেঁয়াজের দাম। ৩-৫ টাকা বেড়ে ২৫-৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি গোল আলু। এছাড়া আমদানিকৃত ভারতীয় পেঁয়াজ ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকায়।
সবজির মূল্য বৃদ্ধির ব্যাপারে সবজি বিক্রেতা রহমত মিয়া জানান, ঈদের পর মাছ ও সবজিতে ক্রেতা শূন্য ছিল। কিন্তু ছুটির দিনে চাহিদা বাড়ায় এগুলার দাম একটু বেড়েছে।
তবে বাজার করতে আসা ব্যাংক কর্মকর্তা আবু জাফর উদ্দিন দাবি করেন, দোকানদাররা ইচ্ছে খুশি মতই পণ্যের দাম বাড়ান। চাহিদা কম বা বাড়ার সঙ্গে পণ্যের দামেরসম্পর্ক নেই। বরং কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর কারণে সারাবছর পণ্যের দামের এমন হের ফের থাকে। এ ব্যাপারে সরকারের বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা প্রয়োজন।
বাংলা ইনসাইডার/বিকে
মন্তব্য করুন
ব্যাংকগুলোর পিছু ছাড়ছে না তারল্য সংকট। দৈনন্দিন কার্যক্রম মেটাতেও
এখন ধার করতে হচ্ছে। গেল বুধবার (২৪ এপ্রিল) এক দিনে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো ধার করেছে
২৩ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর মধ্যে বিশেষ তারল্য সহায়তার আওতায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে
ধার করেছে ২০ হাজার ৬৫৭ কোটি টাকা।
কলমানি মার্কেট ও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকে বিভিন্ন স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি
ধার করেছে আড়াই হাজার কোটি টাকার বেশি। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এক ব্যাংক আরেক ব্যাংক
থেকে ধার করেছে ৪ হাজার কোটি টাকার বেশি।
সূত্র জানায়, ঈদের আগে ব্যাংকগুলোতে গ্রাহকের বাড়তি চাহিদা ছিল
টাকা তোলার। এ কারণে ওই সময়ে তারল্য সংকট বেড়েছিল। ঈদের পর গ্রাহকদের চাপ কমে গেছে।
তারপরও ব্যাংকগুলোতে তারল্য সংকট রয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাংক একীভূত করার ঘোষণা দেওয়ায় দুর্বল ব্যাংক
থেকে গ্রাহকরা নগদ টাকা তুলে নিচ্ছেন। এমনকি দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয়ী প্রকল্পে জমা রাখা
অর্থও তুলে নিচ্ছেন। এতে করে কিছু দুর্বল ব্যাংকে তারল্য সংকট বেড়েছে। ওইসব ব্যাংক
এখন ধারের প্রবণতা বাড়িয়ে দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) কলমানি মার্কেট থেকে কিছু দুর্বল ব্যাংক
৩ হাজার ৯০০ কোটি টাকা ধার করেছে। এতে সর্বোচ্চ সুদ ছিল সাড়ে ৯ শতাংশ। সর্বনিম্ন সুদ
ছিল ৮ শতাংশ। এ সুদহার কেন্দ্রীয় ব্যাংক নানাভাবে মৌখিক নির্দেশনা দিয়ে একটি সীমার
মধ্যে রেখে দিয়েছে। এছাড়া স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি ধার করেছে প্রায় ২৫০ কোটি টাকা। এতে
সুদহার ছিল ১০ থেকে প্রায় ১২ শতাংশ।
এর আগে, ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে এক দিনে সর্বোচ্চ ২৬
হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত ধার করেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানান, ব্যাংকগুলো আমদানি ব্যয়
মেটাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ডলার কেনায় মোটা অঙ্কের অর্থ কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আটকে
গেছে। এছাড়া বিভিন্ন ট্রেজারি বিল ও বন্ডেও বিনিয়োগ করেছে। ট্রেজারি বিল পুনরায় কিনে
নেওয়ার চুক্তি বা রেপোর আওতায় ওইসব অর্থ ব্যাংকগুলোকে স্বল্পমেয়াদে ধার দিচ্ছে।
এদিকে, ব্যাংকগুলোতে এখনো আমানত বাড়ার চেয়ে ঋণ বাড়ছে বেশি হারে।
ঋণ হিসাবে বিতরণ করা অর্থ আদায় হচ্ছেও কম। এসব কারণে ব্যাংকগুলোতে তারল্য সংকট বেড়েছে।
এছাড়া বাজারে নিত্যপণ্যের দাম মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ায় মানুষের
সঞ্চয় করার মতো সক্ষমতা কমে গেছে। এমনকি আগের সঞ্চয় ভেঙে জীবিকা নির্বাহ করছে।
এতে করেও ব্যাংকে সঞ্চয় প্রবণতা বাড়ছে না। পাশাপাশি সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাংকগুলোতে নানা সংকটের কারণে গ্রাহকদের মধ্যে নানা ধরনের বিভ্রান্তিও তৈরি হয়েছে।
তারল্য সংকট ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক
মন্তব্য করুন
দাম কমানোর একদিন পরই আবারও ভরিতে ২ হাজার ১০০ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৪ হাজার ১৯০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা ৫০ মিনিট থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর করা হয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ১৪ হাজার ১৯০ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৯ হাজার টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৩ হাজার ৪২৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৫ হাজার ২০৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে গত ২৩ এপ্রিল দুই দিনের ব্যবধানে ভরিতে ৩ হাজার ১৩৮ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৬ হাজার ২৯০ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১০ হাজার ৯৯৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৫ হাজার ১৪৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৬ হাজার ৫৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা সেদিন বিকেল ৪টা থেকে কার্যকর হয়েছিল।
আর গত ২১ এপ্রিল একদিনের ব্যবধানে ভরিতে ৬৩০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৯ হাজার ৪২৮ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৭ হাজার ৭০৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৮ হাজার ৬৬২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা সেদিন বিকেল ৩টা ৩০ মিনিট থেকে কার্যকর হয়েছিল।
এছাড়া গত ২০ এপ্রিল সবচেয়ে ভালো মানের ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণ ৮৪০ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৯৮ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস। আর ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৩ হাজার ৩৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৭ হাজার ১৯৬ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৮ হাজার ২৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা সেদিন বিকেল ৩টা ৩০ মিনিট থেকে কার্যকর হয়েছিল।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের প্রথম চার মাসেই দেশের বাজারে ১২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৭ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ৫ বার। এর মধ্যে এপ্রিলেই দাম সমন্বয় হয়েছে ৭ বার। আর ২০২৩ সালে দাম সমন্বয় করা হয়েছিল ২৯ বার।
স্বর্ণ বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি বাজুস
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ ব্যাংক বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস বিসিএস
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন বাজুস
মন্তব্য করুন
দাম কমানোর একদিন পরই আবারও ভরিতে ২ হাজার ১০০ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৪ হাজার ১৯০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা ৫০ মিনিট থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর করা হয়েছে।