নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৫২ পিএম, ০৫ অক্টোবর, ২০১৮
ইকবাল হোসেন, পেশায় বেসরকারি চাকুরে। ব্যস্ততার কারণে সারা সপ্তাহের বাজার ছুটির দিন শুক্রবারেই সেরে ফেলেন। আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি। সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠেই একহাতে ছেলে মুনিরের হাত ও অন্যহাতে বাজারের ব্যাগ নিয়ে ছুটলেন মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের উদ্দেশ্যে। প্রথমেই ঢুকলেন মাছের বাজারে। কেননা ছেলেটা মাছের মধ্যে শুধু ইলিশই খায়, আবার তার স্ত্রীরও ইলিশ খুব প্রিয়। গতমাসের মাঝামাঝি বেশ সস্তা দরেই কিনেছিলেন একহালি ইলিশ। এর মধ্যে অবশিষ্ট আছে মাত্র একটা। কিছু ইলিশ কিনে ফিজে রেখে দেওয়ার ইচ্ছা তাঁর। এদিকে, ‘ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০১৮’ এর আওতায় ৭-২৮ অক্টোবর ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। নিষেধাজ্ঞার আগে এটাই শেষ শুক্রবার হওয়ায় আজই ইলিশ তাঁকে কিনতেই হবে।
বাজারে ঢুকেই খুশিতে চোখ চকচক করে উঠল ইকবাল হোসেনের। কেননা অধিকাংশ মাছ বিক্রেতাই আজ ইলিশ নিয়ে বসেছেন। সবারই সামনের ঝুড়িতে মাঝারি ও বড় বড় সাইজের ইলিশ। বাজারে ইলিশ ক্রেতাও কম নয়। একএকজনের গাঁ ঘেঁষে দরদাম করছেন অন্যজন। কিন্তু প্রত্যেকের চোখে মুখেই যেন বিরক্তির ছাপ। এগিয়ে গেলেন তিনিও। মাঝারি সাইজের ইলিশের দাম জিজ্ঞাসা করলেন এক ইলিশ বিক্রেতার কাছে। দাম হাঁকাল ১৯০০ টাকা। শুনেই চমকে গেলেন তিনি। কেননা গত মাসেই এমন সাইজের ইলিশ তিনি ৯০০ টাকায়। এবার প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ায়, আর ইলিশ বিক্রি ও ধরার নিষেধাজ্ঞার সময়কাল ঘনিয়ে আসায় ভেবেছিলেন ইলিশ সস্তাতেই পাবেন। কিন্তু এ কি? সস্তা তো নয়ই বরং কয়েকদিনের আগের দামের চেয়েও বেশি দাম হাঁকাচ্ছেন তারা। ইকবাল হোসেনের মতো আশাহত হয়েছেন বাজারে আসা অন্যান্য ইলিশ ক্রেতারা।
হঠাৎ করেই ইলিশের দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে বিক্রেতারা জানান, এই কয়দিনে ইলিশের চাহিদা খুব বেড়েছে। সেই অনুযায়ী চালান কমে গেছে। এজন্য আড়ত থেকেই তাদের প্রতি হালি মাছ ৩০০-৪০০ টাকা বেশি করে কিনতে হচ্ছে। এরই প্রভাব পড়েছে ইলিশের খুচরা বাজারে।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের কাঁচাবাজারে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, গরুর মাংসের দোকানে ক্রেতা গতসপ্তাহের চেয়ে একটু বেশি। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৪৮০-৫০০ টাকায়। অপরিবর্তিত আছে খাসির মাংসের দাম। গত সপ্তাহের মতো এ সপ্তাহেও খাসির মাংস কেজি প্রতি ৭৫০ টাকা।
বয়লার মুরগির দামও অপরিবর্তিত রয়েছে। সাদা বয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১২০-১৩০ টাকা দরে। লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৮০-২১০ টাকায়, আর দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৩৫০-৪১০ টাকায়।
আসন্ন শীত উপলক্ষ্যে ক্রেতাদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে হাঁস বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। প্রতি কেজি হাঁস ৩৫০-৩৭০ টাকায় বিক্রি করছেন তারা।
দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৮-৫০ টাকা কেজি। আর আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকা কেজি প্রতি।
এদিকে, বাজারের অন্যান্য মাছের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। প্রতিকেজি রুই মাছ ৩০০-৩৫০, কাতলা ২৫০-৩০০, চিংড়ি ৫৫০-১১০০, পাবদা ৫৫০-৬০০, কৈ মাছ দেশি ২৫০ টাকা ও পাঙ্গাস মাছ ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজার দর প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কৃষি মার্কেটে কাঁচাবাজারের ক্রেতা সুরাইয়া পারভীন বলেন, সবধরনের শীতকালীন সবজির দাম একটু বাড়তি। দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে তারা মুখস্ত করা কথা বলে, চালান সংকট। এসব ভুয়া কথা। সব সংকটই এদের নিজেদের তৈরি।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
ব্যাংকগুলোর পিছু ছাড়ছে না তারল্য সংকট। দৈনন্দিন কার্যক্রম মেটাতেও
এখন ধার করতে হচ্ছে। গেল বুধবার (২৪ এপ্রিল) এক দিনে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো ধার করেছে
২৩ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর মধ্যে বিশেষ তারল্য সহায়তার আওতায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে
ধার করেছে ২০ হাজার ৬৫৭ কোটি টাকা।
কলমানি মার্কেট ও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকে বিভিন্ন স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি
ধার করেছে আড়াই হাজার কোটি টাকার বেশি। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এক ব্যাংক আরেক ব্যাংক
থেকে ধার করেছে ৪ হাজার কোটি টাকার বেশি।
সূত্র জানায়, ঈদের আগে ব্যাংকগুলোতে গ্রাহকের বাড়তি চাহিদা ছিল
টাকা তোলার। এ কারণে ওই সময়ে তারল্য সংকট বেড়েছিল। ঈদের পর গ্রাহকদের চাপ কমে গেছে।
তারপরও ব্যাংকগুলোতে তারল্য সংকট রয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাংক একীভূত করার ঘোষণা দেওয়ায় দুর্বল ব্যাংক
থেকে গ্রাহকরা নগদ টাকা তুলে নিচ্ছেন। এমনকি দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয়ী প্রকল্পে জমা রাখা
অর্থও তুলে নিচ্ছেন। এতে করে কিছু দুর্বল ব্যাংকে তারল্য সংকট বেড়েছে। ওইসব ব্যাংক
এখন ধারের প্রবণতা বাড়িয়ে দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) কলমানি মার্কেট থেকে কিছু দুর্বল ব্যাংক
৩ হাজার ৯০০ কোটি টাকা ধার করেছে। এতে সর্বোচ্চ সুদ ছিল সাড়ে ৯ শতাংশ। সর্বনিম্ন সুদ
ছিল ৮ শতাংশ। এ সুদহার কেন্দ্রীয় ব্যাংক নানাভাবে মৌখিক নির্দেশনা দিয়ে একটি সীমার
মধ্যে রেখে দিয়েছে। এছাড়া স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি ধার করেছে প্রায় ২৫০ কোটি টাকা। এতে
সুদহার ছিল ১০ থেকে প্রায় ১২ শতাংশ।
এর আগে, ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে এক দিনে সর্বোচ্চ ২৬
হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত ধার করেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানান, ব্যাংকগুলো আমদানি ব্যয়
মেটাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ডলার কেনায় মোটা অঙ্কের অর্থ কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আটকে
গেছে। এছাড়া বিভিন্ন ট্রেজারি বিল ও বন্ডেও বিনিয়োগ করেছে। ট্রেজারি বিল পুনরায় কিনে
নেওয়ার চুক্তি বা রেপোর আওতায় ওইসব অর্থ ব্যাংকগুলোকে স্বল্পমেয়াদে ধার দিচ্ছে।
এদিকে, ব্যাংকগুলোতে এখনো আমানত বাড়ার চেয়ে ঋণ বাড়ছে বেশি হারে।
ঋণ হিসাবে বিতরণ করা অর্থ আদায় হচ্ছেও কম। এসব কারণে ব্যাংকগুলোতে তারল্য সংকট বেড়েছে।
এছাড়া বাজারে নিত্যপণ্যের দাম মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ায় মানুষের
সঞ্চয় করার মতো সক্ষমতা কমে গেছে। এমনকি আগের সঞ্চয় ভেঙে জীবিকা নির্বাহ করছে।
এতে করেও ব্যাংকে সঞ্চয় প্রবণতা বাড়ছে না। পাশাপাশি সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাংকগুলোতে নানা সংকটের কারণে গ্রাহকদের মধ্যে নানা ধরনের বিভ্রান্তিও তৈরি হয়েছে।
তারল্য সংকট ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক
মন্তব্য করুন
দাম কমানোর একদিন পরই আবারও ভরিতে ২ হাজার ১০০ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৪ হাজার ১৯০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা ৫০ মিনিট থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর করা হয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ১৪ হাজার ১৯০ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৯ হাজার টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৩ হাজার ৪২৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৫ হাজার ২০৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে গত ২৩ এপ্রিল দুই দিনের ব্যবধানে ভরিতে ৩ হাজার ১৩৮ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৬ হাজার ২৯০ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১০ হাজার ৯৯৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৫ হাজার ১৪৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৬ হাজার ৫৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা সেদিন বিকেল ৪টা থেকে কার্যকর হয়েছিল।
আর গত ২১ এপ্রিল একদিনের ব্যবধানে ভরিতে ৬৩০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৯ হাজার ৪২৮ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৭ হাজার ৭০৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৮ হাজার ৬৬২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা সেদিন বিকেল ৩টা ৩০ মিনিট থেকে কার্যকর হয়েছিল।
এছাড়া গত ২০ এপ্রিল সবচেয়ে ভালো মানের ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণ ৮৪০ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৯৮ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস। আর ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৩ হাজার ৩৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৭ হাজার ১৯৬ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৮ হাজার ২৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা সেদিন বিকেল ৩টা ৩০ মিনিট থেকে কার্যকর হয়েছিল।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের প্রথম চার মাসেই দেশের বাজারে ১২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৭ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ৫ বার। এর মধ্যে এপ্রিলেই দাম সমন্বয় হয়েছে ৭ বার। আর ২০২৩ সালে দাম সমন্বয় করা হয়েছিল ২৯ বার।
স্বর্ণ বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি বাজুস
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ ব্যাংক বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস বিসিএস
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন বাজুস
মন্তব্য করুন
দাম কমানোর একদিন পরই আবারও ভরিতে ২ হাজার ১০০ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৪ হাজার ১৯০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা ৫০ মিনিট থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর করা হয়েছে।