নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:০৬ পিএম, ০৩ মার্চ, ২০১৯
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র নির্বাচন নিয়ে জল ঘোলা হতে শুরু করেছে। আগের দুটি প্যানেল সম্মিলিত পরিষদ ও ফোরাম বিনা ভোটে সমঝোতার মাধ্যমে কমিটি গঠন করতে চাইছে। কিন্তু তাদের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে নতুন করে গড়ে ওঠা আরেকটি প্যানেল স্বাধীনতা পরিষদ।
গত বছর জানুয়ারি মাসে আত্মপ্রকাশ করে স্বাধীনতা পরিষদ। ভোটবিহীন নির্বাচনের বিপক্ষে তাদের অবস্থান। সম্মিলিত পরিষদ ও ফোরাম সমঝোতার মাধ্যমে যে কমিটি করতে চায়, তারা সেটি প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছে। তাদের দাবী, বিনা ভোটে নির্বাচিত নেতা সাধারণ সদস্যদের কাছে দায়বদ্ধ থাকেন না। এ কারণে সদস্যদের সুবিধা-অসুবিধার বিষয়টিও গুরুত্ব পায় না। তাই শীর্ষ নেতৃত্বকে জবাবদিহির আওতায় আনতেই তারা নির্বাচনে অংশ নিতে চান।
২০১৩ সালে বিজিএমইএতে সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তখন সংগঠনের সভাপতি নির্বাচিত হন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সদ্য নির্বাচিত মেয়র আতিকুল ইসলাম। এর পরের মেয়াদে ২০১৫ সালে ভোট গ্রহণ ছাড়াই দুই প্যানেল সমঝোতার মাধ্যমে কমিটি গঠন করে। তখন বিজিএমইএর সভাপতি হন সম্মিলিত পরিষদের সিদ্দিকুর রহমান।
দুই মেয়াদের জন্য প্যানেল দুটির মধ্যে এই সমঝোতা চুক্তি হয়েছিল। সেই অনুযায়ী ২০১৭ সালে ফোরাম থেকে সভাপতি হওয়ার কথা ছিল। বিজিএমইএ’র কমিটির মেয়াদ দুই বছর পার হলেও বর্তমান সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান দফায় দফায় দেড় বছরেরও বেশি সময় বাড়িয়ে নেন। অবশেষে আগামী ৬ এপ্রিল বিজিএমইএ’র নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে।
সমঝোতা চুক্তি অনুযায়ী, এবার সভাপতি নির্বাচিত হবেন ফোরাম থেকে। এরইমধ্যে মোহাম্মদী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুবানা হককে সভাপতি পদের জন্য মনোনীত করেছেন ফোরামের নেতারা। তিনি বিজিএমইএ ও ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই এর সাবেক সভাপতি এবং প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের স্ত্রী। তবে স্বাধীনতা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য মনোনয়ন পত্র জমা দেয়ায় সমঝোতার পথে বাধা সৃষ্টি হয়েছে।
স্বাধীনতা পরিষদের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছেন, যে কোনো মূল্যে তাঁরা নির্বাচনে অংশ নিতে চান। সাধারণ সদস্যদের অধিকার রক্ষার জন্যই নির্বাচনের ধারা ফিরিয়ে আনতে চান তাঁরা। গত ২ মার্চ তাঁরা বিজিএমইএ ভবনে মনোনয়ন জমা দিতে গেলে তাদের ওপর হামলা করা হয় বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তবে কোনোভাবেই স্বাধীনতা পরিষদ নির্বাচন থেকে সরে আসবে না বলে জানান জাহাঙ্গীর আলম।
অন্যদিকে, সমঝোতার ভিত্তিতেই এবার বিজিএমইএ’র কমিটি গঠন হবে বলে এখনো আশাবাদী সম্মিলিত পরিষদ ও ফোরামের নেতারা। বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি ও ফোরাম নেতা আনোয়ার উল আলম পারভেজ জানিয়েছেন, চুক্তি অনুযায়ী এবার ফোরাম থেকে সভাপতি নির্বাচিত হবে। অন্যান্য পদেও চুক্তি অনুযায়ী নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে।
বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেছেন, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে যে কেউ নির্বাচনে অংশ নিতেই পারে। তবে সংগঠনের স্বার্থে স্বাধীনতা পরিষদ কোনো ধরনের অপতৎপরতা চালাবে না বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
বাংলা ইনসাইডার/এসএ/এমআর
মন্তব্য করুন
ব্যাংকগুলোর পিছু ছাড়ছে না তারল্য সংকট। দৈনন্দিন কার্যক্রম মেটাতেও
এখন ধার করতে হচ্ছে। গেল বুধবার (২৪ এপ্রিল) এক দিনে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো ধার করেছে
২৩ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর মধ্যে বিশেষ তারল্য সহায়তার আওতায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে
ধার করেছে ২০ হাজার ৬৫৭ কোটি টাকা।
কলমানি মার্কেট ও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকে বিভিন্ন স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি
ধার করেছে আড়াই হাজার কোটি টাকার বেশি। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এক ব্যাংক আরেক ব্যাংক
থেকে ধার করেছে ৪ হাজার কোটি টাকার বেশি।
সূত্র জানায়, ঈদের আগে ব্যাংকগুলোতে গ্রাহকের বাড়তি চাহিদা ছিল
টাকা তোলার। এ কারণে ওই সময়ে তারল্য সংকট বেড়েছিল। ঈদের পর গ্রাহকদের চাপ কমে গেছে।
তারপরও ব্যাংকগুলোতে তারল্য সংকট রয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাংক একীভূত করার ঘোষণা দেওয়ায় দুর্বল ব্যাংক
থেকে গ্রাহকরা নগদ টাকা তুলে নিচ্ছেন। এমনকি দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয়ী প্রকল্পে জমা রাখা
অর্থও তুলে নিচ্ছেন। এতে করে কিছু দুর্বল ব্যাংকে তারল্য সংকট বেড়েছে। ওইসব ব্যাংক
এখন ধারের প্রবণতা বাড়িয়ে দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) কলমানি মার্কেট থেকে কিছু দুর্বল ব্যাংক
৩ হাজার ৯০০ কোটি টাকা ধার করেছে। এতে সর্বোচ্চ সুদ ছিল সাড়ে ৯ শতাংশ। সর্বনিম্ন সুদ
ছিল ৮ শতাংশ। এ সুদহার কেন্দ্রীয় ব্যাংক নানাভাবে মৌখিক নির্দেশনা দিয়ে একটি সীমার
মধ্যে রেখে দিয়েছে। এছাড়া স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি ধার করেছে প্রায় ২৫০ কোটি টাকা। এতে
সুদহার ছিল ১০ থেকে প্রায় ১২ শতাংশ।
এর আগে, ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে এক দিনে সর্বোচ্চ ২৬
হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত ধার করেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানান, ব্যাংকগুলো আমদানি ব্যয়
মেটাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ডলার কেনায় মোটা অঙ্কের অর্থ কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আটকে
গেছে। এছাড়া বিভিন্ন ট্রেজারি বিল ও বন্ডেও বিনিয়োগ করেছে। ট্রেজারি বিল পুনরায় কিনে
নেওয়ার চুক্তি বা রেপোর আওতায় ওইসব অর্থ ব্যাংকগুলোকে স্বল্পমেয়াদে ধার দিচ্ছে।
এদিকে, ব্যাংকগুলোতে এখনো আমানত বাড়ার চেয়ে ঋণ বাড়ছে বেশি হারে।
ঋণ হিসাবে বিতরণ করা অর্থ আদায় হচ্ছেও কম। এসব কারণে ব্যাংকগুলোতে তারল্য সংকট বেড়েছে।
এছাড়া বাজারে নিত্যপণ্যের দাম মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ায় মানুষের
সঞ্চয় করার মতো সক্ষমতা কমে গেছে। এমনকি আগের সঞ্চয় ভেঙে জীবিকা নির্বাহ করছে।
এতে করেও ব্যাংকে সঞ্চয় প্রবণতা বাড়ছে না। পাশাপাশি সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাংকগুলোতে নানা সংকটের কারণে গ্রাহকদের মধ্যে নানা ধরনের বিভ্রান্তিও তৈরি হয়েছে।
তারল্য সংকট ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক
মন্তব্য করুন
দাম কমানোর একদিন পরই আবারও ভরিতে ২ হাজার ১০০ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৪ হাজার ১৯০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা ৫০ মিনিট থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর করা হয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ১৪ হাজার ১৯০ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৯ হাজার টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৩ হাজার ৪২৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৫ হাজার ২০৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে গত ২৩ এপ্রিল দুই দিনের ব্যবধানে ভরিতে ৩ হাজার ১৩৮ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৬ হাজার ২৯০ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১০ হাজার ৯৯৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৫ হাজার ১৪৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৬ হাজার ৫৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা সেদিন বিকেল ৪টা থেকে কার্যকর হয়েছিল।
আর গত ২১ এপ্রিল একদিনের ব্যবধানে ভরিতে ৬৩০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৯ হাজার ৪২৮ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৭ হাজার ৭০৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৮ হাজার ৬৬২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা সেদিন বিকেল ৩টা ৩০ মিনিট থেকে কার্যকর হয়েছিল।
এছাড়া গত ২০ এপ্রিল সবচেয়ে ভালো মানের ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণ ৮৪০ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৯৮ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস। আর ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৩ হাজার ৩৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৭ হাজার ১৯৬ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৮ হাজার ২৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা সেদিন বিকেল ৩টা ৩০ মিনিট থেকে কার্যকর হয়েছিল।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের প্রথম চার মাসেই দেশের বাজারে ১২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৭ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ৫ বার। এর মধ্যে এপ্রিলেই দাম সমন্বয় হয়েছে ৭ বার। আর ২০২৩ সালে দাম সমন্বয় করা হয়েছিল ২৯ বার।
স্বর্ণ বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি বাজুস
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ ব্যাংক বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস বিসিএস
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন বাজুস
মন্তব্য করুন
দাম কমানোর একদিন পরই আবারও ভরিতে ২ হাজার ১০০ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৪ হাজার ১৯০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা ৫০ মিনিট থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর করা হয়েছে।