নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৪৬ পিএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২১
অর্থবছরের নয় মাস পেরিয়ে গেলেও বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) অর্ধেক অর্থও খরচ করতে পারেনি বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ। মার্চ পর্যন্ত এডিপির বাস্তবায়ন ৪২ শতাংশের নিচে, যা গত ৫ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।
পরিকল্পনা কমিশনের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের (২০২০-২১) জন্য ২ লাখ ১৪ হাজার ৬১১ কোটি টাকার এডিপি প্রণয়ন করা হয়েছিল। পরে তা থেকে কমিয়ে সংশোধিত এডিপির আকার দাঁড়ায় ২ লাখ ৯ হাজার ২৭২ কোটি টাকা। এর মধ্যে মার্চ পর্যন্ত খরচ হয়েছে মাত্র ৮৭ হাজার ৭৩৫ কোটি টাকা। বাস্তবায়ন হার ৪১ দশমিক ৯২ শতাংশ। গত বছর প্রথম নয় মাসে বাস্তবায়ন হার ছিল ৪৫ শতাংশ। ব্যয় হয়েছিল ৯০ হাজার ৭০৪ কোটি টাকা।
তথ্য মতে, নয় মাসে এডিপি বাস্তবায়ন ৫ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে গত অর্থবছরের (২০১৯-২০) জুলাই-মার্চ সময়ে বাস্তবায়ন হার ছিল ৪৫.০৮ শতাংশ, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৪৭.২২ শতাংশ, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৪৫.৬৫ শতাংশ এবং ২০১৬-১৭ অর্থবছরে জুলাই-মার্চ সময়ে ৪৫ দশমিক ১৫ শতাংশ এডিপির অর্থ খরচ হয়েছিল।
এদিকে সংশোধিত এডিপিতে জিওবি (সরকারি কোষাগারের অর্থ) অংশ ১ লাখ ৩৪ হাজার ৬৪৩ কোটি টাকা, প্রকল্প সাহায্য ৬৩ হাজার কোটি টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ১১ হাজার ৬২৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে মার্চ পর্যন্ত জিওবি ৫৫ হাজার ৭৭৫ কোটি টাকা, প্রকল্প সাহায্য অংশে ২৯ হাজার ২৮৫ কোটি টাকা এবং সংস্থাগুলোর নিজস্ব অর্থ থেকে ২ হাজার ৪৬৫ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। এর মধ্যে শুধু মার্চে এডিপিতে খরচ হয়েছে ১৫ হাজার ১৩১ কোটি টাকা বা ৭ দশমিক ২৩ শতাংশ অর্থ।
সবচেয়ে বেশি অর্থ বরাদ্দ পাওয়া ১০ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের গত ৯ মাসে খরচ হয়েছে বরাদ্দের ৪৪ শতাংশ। এছাড়া সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ ৩৮ শতাংশ, বিদ্যুৎ বিভাগ ৫১ শতাংশ, রেলপথ মন্ত্রণালয় ৪৯ শতাংশ, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ ২০.৯৯ শতাংশ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ৫৪.০৩ শতাংশ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ৩৬.২২ শতাংশ, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ ৪৯.৭৬ শতাংশ, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ২৭.৯১ শতাংশ এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ৩৬.৮১ শতাংশ এডিপি বাস্তবায়ন করেছে।
সবচেয় কম এডিপির অর্থ খরচ হওয়া ১০ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ ৪.৩৯ শতাংশ, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (বিপিএসসি) ১০.৫৯ শতাংশ, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ ১২.১৭ শতাংশ, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় ১৪.৯৬ শতাংশ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ১৮.১৫ শতাংশ, আইন ও বিচার বিভাগ ১৮.৯৩ শতাংশ, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ ২০.৯৯ শতাংশ, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ২২.০৯ শতাংশ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ ২২.২৪ শতাংশ, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ২৪.১৪ শতাংশ এডিপি বাস্তবায়ন করেছে।
মন্তব্য করুন
ব্যাংকগুলোর পিছু ছাড়ছে না তারল্য সংকট। দৈনন্দিন কার্যক্রম মেটাতেও
এখন ধার করতে হচ্ছে। গেল বুধবার (২৪ এপ্রিল) এক দিনে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো ধার করেছে
২৩ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর মধ্যে বিশেষ তারল্য সহায়তার আওতায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে
ধার করেছে ২০ হাজার ৬৫৭ কোটি টাকা।
কলমানি মার্কেট ও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকে বিভিন্ন স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি
ধার করেছে আড়াই হাজার কোটি টাকার বেশি। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এক ব্যাংক আরেক ব্যাংক
থেকে ধার করেছে ৪ হাজার কোটি টাকার বেশি।
সূত্র জানায়, ঈদের আগে ব্যাংকগুলোতে গ্রাহকের বাড়তি চাহিদা ছিল
টাকা তোলার। এ কারণে ওই সময়ে তারল্য সংকট বেড়েছিল। ঈদের পর গ্রাহকদের চাপ কমে গেছে।
তারপরও ব্যাংকগুলোতে তারল্য সংকট রয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাংক একীভূত করার ঘোষণা দেওয়ায় দুর্বল ব্যাংক
থেকে গ্রাহকরা নগদ টাকা তুলে নিচ্ছেন। এমনকি দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয়ী প্রকল্পে জমা রাখা
অর্থও তুলে নিচ্ছেন। এতে করে কিছু দুর্বল ব্যাংকে তারল্য সংকট বেড়েছে। ওইসব ব্যাংক
এখন ধারের প্রবণতা বাড়িয়ে দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) কলমানি মার্কেট থেকে কিছু দুর্বল ব্যাংক
৩ হাজার ৯০০ কোটি টাকা ধার করেছে। এতে সর্বোচ্চ সুদ ছিল সাড়ে ৯ শতাংশ। সর্বনিম্ন সুদ
ছিল ৮ শতাংশ। এ সুদহার কেন্দ্রীয় ব্যাংক নানাভাবে মৌখিক নির্দেশনা দিয়ে একটি সীমার
মধ্যে রেখে দিয়েছে। এছাড়া স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি ধার করেছে প্রায় ২৫০ কোটি টাকা। এতে
সুদহার ছিল ১০ থেকে প্রায় ১২ শতাংশ।
এর আগে, ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে এক দিনে সর্বোচ্চ ২৬
হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত ধার করেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানান, ব্যাংকগুলো আমদানি ব্যয়
মেটাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ডলার কেনায় মোটা অঙ্কের অর্থ কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আটকে
গেছে। এছাড়া বিভিন্ন ট্রেজারি বিল ও বন্ডেও বিনিয়োগ করেছে। ট্রেজারি বিল পুনরায় কিনে
নেওয়ার চুক্তি বা রেপোর আওতায় ওইসব অর্থ ব্যাংকগুলোকে স্বল্পমেয়াদে ধার দিচ্ছে।
এদিকে, ব্যাংকগুলোতে এখনো আমানত বাড়ার চেয়ে ঋণ বাড়ছে বেশি হারে।
ঋণ হিসাবে বিতরণ করা অর্থ আদায় হচ্ছেও কম। এসব কারণে ব্যাংকগুলোতে তারল্য সংকট বেড়েছে।
এছাড়া বাজারে নিত্যপণ্যের দাম মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ায় মানুষের
সঞ্চয় করার মতো সক্ষমতা কমে গেছে। এমনকি আগের সঞ্চয় ভেঙে জীবিকা নির্বাহ করছে।
এতে করেও ব্যাংকে সঞ্চয় প্রবণতা বাড়ছে না। পাশাপাশি সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাংকগুলোতে নানা সংকটের কারণে গ্রাহকদের মধ্যে নানা ধরনের বিভ্রান্তিও তৈরি হয়েছে।
তারল্য সংকট ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক
মন্তব্য করুন
দাম কমানোর একদিন পরই আবারও ভরিতে ২ হাজার ১০০ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৪ হাজার ১৯০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা ৫০ মিনিট থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর করা হয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ১৪ হাজার ১৯০ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৯ হাজার টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৩ হাজার ৪২৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৫ হাজার ২০৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে গত ২৩ এপ্রিল দুই দিনের ব্যবধানে ভরিতে ৩ হাজার ১৩৮ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৬ হাজার ২৯০ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১০ হাজার ৯৯৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৫ হাজার ১৪৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৬ হাজার ৫৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা সেদিন বিকেল ৪টা থেকে কার্যকর হয়েছিল।
আর গত ২১ এপ্রিল একদিনের ব্যবধানে ভরিতে ৬৩০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৯ হাজার ৪২৮ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৭ হাজার ৭০৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৮ হাজার ৬৬২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা সেদিন বিকেল ৩টা ৩০ মিনিট থেকে কার্যকর হয়েছিল।
এছাড়া গত ২০ এপ্রিল সবচেয়ে ভালো মানের ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণ ৮৪০ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৯৮ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস। আর ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৩ হাজার ৩৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৭ হাজার ১৯৬ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৮ হাজার ২৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা সেদিন বিকেল ৩টা ৩০ মিনিট থেকে কার্যকর হয়েছিল।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের প্রথম চার মাসেই দেশের বাজারে ১২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৭ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ৫ বার। এর মধ্যে এপ্রিলেই দাম সমন্বয় হয়েছে ৭ বার। আর ২০২৩ সালে দাম সমন্বয় করা হয়েছিল ২৯ বার।
স্বর্ণ বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি বাজুস
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ ব্যাংক বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস বিসিএস
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন বাজুস
মন্তব্য করুন
দাম কমানোর একদিন পরই আবারও ভরিতে ২ হাজার ১০০ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৪ হাজার ১৯০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা ৫০ মিনিট থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর করা হয়েছে।