ক্লাব ইনসাইড

বর্ষবরন ও মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় পার করছে জাবির চারুকলার শিক্ষার্থীরা

প্রকাশ: ০৮:৩৫ পিএম, ১৩ এপ্রিল, ২০২৩


Thumbnail

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) চলছে বাংলা নববর্ষ বরণের সর্বশেষ প্রস্তুতি। বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের উদ্যোগে মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজনে রঙ-তুলির শেষ আঁচড় দিচ্ছেন শিল্পীরা। নববর্ষ বরণে এবারে মূল প্রতিপাদ্য রাখা হয়েছে ‘বরিষ ধরা-মাঝে শান্তির বারি’।

এবারে মঙ্গল শোভাযাত্রায় মুখোশ পরে অংশগ্রহণ করা না গেলেও মুখোশ হাতে নেওয়া যাবে। এ ছাড়াও রঙ ছিটাতে নিষেধ করা হয়েছে। কেউ রঙ ছিটালে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানের সঙ্গে সামঞ্জস্যতা রেখে বিভিন্ন অনুষদ ও বিভাগ নিজ নিজ উদ্যোগে নানা আয়োজন হাতে নিয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন কলা ভবনের সামনে পুরোদমে চলছে বর্ষবরণের প্রস্তুতি। সেখানে ঘুরে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা ব্যস্ত মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন নিয়ে। এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের মঙ্গল শোভাযাত্রার তিনটি 'মোটিফ' রাখা হয়েছে। এর মধ্যে একটি পায়রা এবং অন্য দুটি হলো টেপা পুতুল।

মোটিফের ব্যাপারে জিজ্ঞাস করলে চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী রিফাত হোসেন রাব্বি বলেন, "কবুতর শান্তির প্রতীক। দেশে দেশে যে হানাহানি, যুদ্ধ-বিগ্রহ, দারিদ্রতা, অসাম্য এসব বন্ধের লক্ষ্যে পায়রাকে শান্তির প্রতীক হিসেবে দেখানো হয়েছে। আমরা মাটিতেই বড় হয়েছি। আমাদের সঙ্গে এই মাটির অনেক যোগসূত্র আছে। মোটিফ হিসেবে পোড়া মাটির টেপা পুতুল দুটোকে বাংলা লোকশিল্পের ঐতিহ্য হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে।"

এবার মঙ্গল শোভাযাত্রার সাজ-সজ্জা কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে থাকা চারুকলা বিভাগের সভাপতি ফারহানা তাবাসসুম বলেন,'পহেলা বৈশাখের আয়োজন মূলত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ থেকে করা হয়েছে। চারুকলা বিভাগ সেখানে মঙ্গল শোভাযাত্রার সাজ-সজ্জার দায়িত্ব নিয়েছে। আমাদের কাজ প্রায় শেষ; শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা প্রচুর পরিশ্রম করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধের মধ্যেও পহেলা বৈশাখ উৎযাপন হবে এটা ভেবে আমরা আনন্দিত।'

সরেজমিন দেখা যায়, পরিকল্পনা অনুযায়ী নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। প্রতিপাদ্যের সঙ্গে মিল রেখে পুরাতন কলা ভবনের সামনের জায়গাটিতে অনেকে মিলে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে তৈরি করছেন শান্তির প্রতীক ‘পায়রা’। ভবনের অনেকেই ব্যস্ত টেপা পুতুল তৈরিতে। আবার চারুশিল্পীদের মধ্যে কেউ গভীর মনোযোগ দিয়ে আঁকছেন জলরঙের ছবি, কেউ নকশা করছেন মাটির সরায়। এছাড়া কাগজ কেটে ফুল, প্যাঁচা, পাখপাখালি তৈরি করছেন শিক্ষার্থীরা।


চারুকলা বিভাগের ৪৮ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সাজিয়া শারমিন শ্রাবণী বলেন, 'আমরা প্রতিবছর পহেলা বৈশাখের এ আয়োজনের জন্য অপেক্ষার প্রহর গুনি। এবার রমজান হওয়ায় আয়োজন কিছুটা স্তমিত হয়ে পড়েছে। আয়োজন কম হলেও রমজানে পহেলা বৈশাখ ভিন্ন রকম আমেজ ছড়াচ্ছে। এবারের নববর্ষের শোভাযাত্রা সুন্দর হবে বলে প্রত্যাশা রাখছি।'

বাংলা বর্ষবরণকে ঘিরে চারুকলা বিভাগের উদ্যোগে পুরাতন কলা ভবনের ফটক সামনে ‘বৈশাখী হাট ১৪৩০' নামক একটি অস্থায়ী দোকান বসানো হয়েছে। দোকানটিতে শিক্ষার্থীদের তৈরি বিভিন্ন বস্তুর মুখোশ সংবলিত ভাস্কর্য, চিত্র, শোপিস পাওয়া যাচ্ছে।

চারুকলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শামীম রেজা বলেন, "এবারের প্রতিপাদ্য বরিষ ধরা-মাঝে শান্তির বারি এর সঙ্গে মিল রেখে এবারের আমরা শান্তির প্রতীক পায়রা তৈরি করেছি। শোলাশিল্পের সূক্ষ্ম কাজের আদলে পায়রাটি তৈরি করা হয়েছে। আমাদের ঐতিহ্য মৃৎশিল্পের নিদর্শন হিসেবে দুটি টেপা পুতুল তৈরি করা হয়েছে। সেইসঙ্গে তৈরি করা হয়েছে পেঁচা, বাঘ, হাতি, ঘোড়ার আদলে মুখোশ। তিনি আরও বলেন, ‘এবার বিভাগ থেকে আলাদা কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মঙ্গল শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগুলো করা হবে।"

বিশ্ববিদ্যালয়ের চুক্তিভিত্তিক রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ স্বাক্ষরিত বর্ষবরণ ও পহেলা বৈশাখ ১৪৩০ উৎযাপন সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। 

শুক্রবার সকাল পৌনে ১০ টায় কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে বিভিন্ন অনুষদ, বিভাগ, অফিস, হল, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল ও কলেজের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষার্থী এবং মহিলা ক্লাব ও ক্যাম্পাসের সকলের অংশগ্রহণে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ ভবন থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু হয়ে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে গিয়ে শেষ হবে।

এর পুর্বে সকাল সোয়া ৮টা থেকে সোয়া ৯টা পর্যন্ত থাকছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলমের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শুভেচ্ছা বিনিমিয় হবে। 

কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনু্যায়ী এবারের পহেলা বৈশাখে কিছু নির্দেশনা রাখা হয়েছে। এর মধ্যে-পহেলা বৈশাখের দিন দাপ্তরিক কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিরা ক্যাম্পাসে মোটরসাইকেল নিয়ে আসতে পাবেন না। ওই দিন বহিরাগত প্রাইভেট গাড়ি চলাচল সীমিত রাখা হবে এবং কেন্দ্রীয় মসজিদের পশ্চিমে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল ও কলেজের মাঠে গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা রাখা হবে। এ বছর নববর্ষের মঙ্গল শোভাযাত্রার একটি মাত্র ব্যানার থাকবে। পহেলা বৈশাখে কোনো রং ছিটানো যাবে না। কেউ রং ছিটালে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মুখোশ পরে মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করা যাবে না, তবে মুখোশ হাতে নেওয়া যাবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসূচির সাথে সমন্বয় করে বিভিন্ন অনুষদ, বিভাগ, হল ও অফিস নিজ নিজ উদ্যোগে পহেলা বৈশাখ উৎযাপনের কর্মসূচি পালন করবে। ঢাকা শহরে অবস্থানরত শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ক্যাম্পাসে আসা যাওয়ার জন্য যানবাহনের ব্যবস্থা করা হবে। বাস প্রচলিত রুটে ছেড়ে আসবে।



মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

ঢাবি ক্যাম্পাসে মোবাইলে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ

প্রকাশ: ১০:০১ এএম, ১৫ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এলাকায়  রোববার মধ্যরাতে ফোর–জি নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এতে ওই এলাকায় মোবাইলে ইন্টারনেট সেবা পাওয়া যাচ্ছে না।

সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের অবমাননা করা হয়েছে উল্লেখ করে রোববার রাত ১০টার পর বিভিন্ন হলে মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। পরে তারা রাজু ভাস্কর্যের সামনে এসে বিক্ষোভ করেন।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, মধ্যরাত থেকে তারা মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারছেন না। অনেকে মুঠোফোনে সরাসরি কলও দিতে পারছেন না। 

ফারুক আহমেদ নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, আধঘণ্টা ধরে ইন্টারনেটে ধীরগতি ছিল, তবে রাত একটা থেকে ইন্টারনেট সেবা একেবারেই পাচ্ছেন না তিনি।

অপারেটর সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ৪–জি নেটওয়ার্ক বন্ধ করার নির্দেশনা তারা পেয়েছেন। তাদের খুদে বার্তায় বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত ৪–জি নেটওয়ার্ক বন্ধ রাখতে।  


ঢাবি   ক্যাম্পাস   মোবাইল   ইন্টারনেট   বন্ধ   ফোর–জি  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

আন্দোলনকারীদের উপর হামলা-মামলার প্রতিবাদে জাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সংহতি সমাবেশ

প্রকাশ: ০৪:৪২ পিএম, ১৪ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) সারাদেশে চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা ও মামলা দায়েরের প্রতিবাদে এবং কোটা সংস্কারের এক দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সংহতি সমাবেশ করেছে শিক্ষার্থীরা।

 

রোববার (১৪ জুলাই) বেলা সাড়ে এগারোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে এ মিছিল শুরু হয়ে প্রধান ফটক ডেইরী গেট সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে একটি সমাবেশের মাধ্যমে আজকের কর্মসূচি সমাপ্ত হয়।

 

প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রান বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সোহেল আহমেদ বলেন, রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে আমরা শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা  নির্বাহী বিভাগ ও বিচার বিভাগের কাছে প্রত্যাশা করে তাদের প্রতি ন্যায় বিচার করা হবে, সমতা বিধান করা হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের সূযোগ সুবিধা দিতে হবে, কারন মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা এই বাংলাদেশকে পেয়েছি। গত দশ দিন থেকে শিক্ষার্থীরা রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে, গায়ের ঘাম পানি করে যে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে তা মূলত রাষ্ট্রের কল্যাণের জন্যই। তাই আমি শিক্ষক হিসেবে তাদের এই যৌক্তিক আন্দোলনকে সংহতি জানাচ্ছি।

 

সমাবেশে ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক গোলাম রব্বানী বলেন, আমি আজকের এই সংহতি সমাবেশের মাধ্যমে সারাদেশে আন্দোলনকারী সকল শিক্ষার্থীদেরকে ধন্যবাদ জানাতে চাই, আপনারা দীর্ঘদিন থেকে একনিষ্ঠভাবে যৌক্তিক দাবিতে কোটা বাতিল নয় কোটা সংস্কারের জন্য যে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন সেটি আসলেই প্রশংসার দাবিদার। আপনাদের দেখে আমার মনে হচ্ছে আপ্নারা সেই ৫২ র ভাষা আন্দোলনকারী শহিদদের উত্তরসুরী। একটা দেশে কোটা কখন প্রয়োজন হয় যখন এক শ্রেনির লোক সমাজে পিছিয়ে থাকে, মেইন্সট্রিমে তারা কিছু বলতে পারে না, তখন তাদেরকে এগিয়ে নেয়ার জন্য কোটা প্রয়োজন হয়। কিন্তু কোটা কখনো বৈষম্য তৈরি করতে পারে না। কোটার মাধ্যমে এই দেশকে মেধাশুন্য করে ফেলা হচ্ছে, এই আন্দোলন শুধু চাকরির আন্দোলন নয়, এই আন্দোলন দেশকে রক্ষা করার আন্দোলন কারন মেধা ছাড়া একটা দেশ কখনো উন্নত হতে পারে না। মেধাবীরা ছাড়া আপনি কোনো ভাবেই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে পারবেন না। তাই আমি আপনাদের এই যৌক্তিক আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানাচ্ছি।

 

বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থী আহসান লাবিব বলেন, কোটা সংস্কার করুন, মেধাবীদের সূযোগ দিন। আমরা দেখেছি আমাদের সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করা হয়েছে, গতকাল শাহবাগে মামলা করা হয়েছে। আমরা হুশিয়ার করে দিতে চাই ১৯৫২ সালে পাকিস্তানি স্বৈরাচার বাহিনী  শিক্ষার্থীদের উপর গুলি চালিয়েছে,  হামলা, মামলা করেছে  কিন্তু রুখতে পারে নাই, ১৯৬৯ এ একই ঘটনা ঘটেছে। শিক্ষার্থীরা যখন কোনো যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা ঘরে ফিরে যায়নি। তাই বলে দিতে চাই কোটা সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছেড়ে যাব না। যদি আপনারা এর বিরুদ্ধে কোনো পায়তারা চালানোর চেষ্টা করে তাহলে আন্দোলন আরও বেগবান হয়ে উঠবে।

 

প্রসঙ্গত, ৭ জুলাই ঘোষিত শিক্ষার্থীদের বর্তমান এক দফা দাবি হলো- সব গ্রেডে সকল প্রকার অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাশ করে কোটা পদ্ধতিকে সংশোধন করতে হবে।


কোটা আন্দোলন   জবি   বিক্ষোভ মিছিল  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

রাবির কোটা আন্দোলনকারীদের দুইদিনের জনসংযোগের ঘোষণা

প্রকাশ: ০২:৪৭ পিএম, ১১ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

আগামী দুইদিন (শুক্র শনিবার) জনসংযোগের মাধ্যমে সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোটা পদ্ধতি সংস্কার আন্দোলন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সংগঠকরা। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেটের আমতলায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানান তারা।

সংবাদ সম্মেলনে কোটা পদ্ধতি সংস্কার আন্দোলন, রাবি' অন্যতম সমন্বয়ক আশিকুল্লাহ মুহিব বলেন, ‘আমরা ঢাকার আন্দোলনকারীদের সাথে কথা বলে আগামী ছুটির দুইদিন জনসংযোগ বাড়ানোর সিদ্ধান্তে উপনিত হয়েছি। আমরা এই দুইদিন আমাদের সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি করে সারাদেশের সাথে সমন্বয় করে দেশের সকল প্রতিষ্ঠান একই দিনে একই ধরনের প্রোগ্রাম রাখবো। আজ আগামী দুইদিন নিবন্ধন পরীক্ষায় আমাদের ছাত্রছাত্রীদের মাঝে যাতে ব্যাঘাত না ঘটে, কেউ যেন আমাদের আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে না পারে, সেজন্য আমরা এইসকল সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

পরবর্তী কর্মসূচি বিষয়ে আরেক সমন্বয়ক রেজওয়ান গাজি মহারাজ বলেন, ‘আমরা আমাদের আন্দোলনকে শক্তিশালী করতে আগামীকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সামাজিক সংগঠনগুলোর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করবো। আমরা প্রত্যেক ডিপার্টমেন্টের বর্ষভিত্তিক ক্লাস প্রতিনিধি হল প্রতিনিধি ঘোষণা করবো। সামাজিক সংগঠন তাদের প্রতিনিধিদের সাথে বসে কিভাবে আন্দোলনকে শক্তিশালী করা যায়, সে বিষয়ে ভেবে পরবর্তী কর্মসূচি দিবো।

আরেক সমন্বয়ক আমানুল্লাহ খান বলেন, ‘আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত, নির্বাহী বিভাগ থেকে সদুত্তর না আসা পর্যন্ত এবং যতদিন পর্যন্ত নতুন একটা পরিপত্র জারি করা হচ্ছে, যাতে করে শিক্ষার্থীদের অধিকার নিশ্চিত হয় এবং আইনগত জটিলতা নিরসন হয়, ততদিন পর্যন্ত সারাদেশের সাথে সমন্বয় করে আন্দোলন চলবে। আজকের এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আমরা এটাই জানাতে চাই যে, আমাদের আন্দোলন থামছে না, আমাদের আন্দোলন চলবে।

এসময় কোটা পদ্ধতি সংস্কার আন্দোলন, ‘রাবি' সমন্বয়ক স্বেচ্ছাসেবীরাসহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ রাজশাহী প্রকৌশল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন করে প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।


কোটা আন্দোলন   রাবি   জনসংযোগ  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

জবি ছাত্রলীগ সভাপতির চাঁদাবাজির মামলা তদন্তে সিআইডি

প্রকাশ: ১২:৩৬ পিএম, ০৮ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

চাঁদাবাজি ও পিস্তর ঠেকিয়ে ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ফোন-টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহীম ফরাজিসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলার পুনঃতদন্ত করছে সিআইডি। আগামী ২২ জুলাই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য করেছেন আদালত। 

 

ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শেখ সাদীর আদালতে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য রয়েছে। আজ রবিবার (৭ জুলাই) মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী জহির কামাল বিষয়টি জানান। তিনি বলেন, গত ১৩ জুন মামলার পুনঃতদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু সিআইডি থেকে প্রতিবেদন দাখিল না করায় আগামী ২২ জুলাই দিন ধার্য করেন আদালত।

 

এর আগে ওয়ারী থানার পুলিশ তদন্ত করে আসামিদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। তবে প্রতিবেদনের ওপর নারাজি দিয়ে পুনরায় তদন্ত করার আবেদন করেন বাদী। আদালত সিআইডিকে পুনরায় তদন্ত করতে নির্দেশ দেন।

 

এর আগে ২০২৩ সালের ১৫ মার্চ মশিউর রহমান নামে এক ব্যবসায়ী বাদী হয়ে আদারতে এ মামলা করেন। মশিউর কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসম্পাদক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। এ মামলার অন্য ৪ আসামি হলেন- ফরহাদ ব্যাপারী, আরশাদ আকাশ, রাসেল চাকলাদার ও টুটুল আহম্মেদ। 

 

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০২২ সালের ২৫ আগস্ট আসামি ফরহাদ ব্যাপারী ভুক্তভোগী মশিউর রহমানের কাছে থেকে ব্যবসার কথা বলে চার লাখ টাকা ধার নেয় এবং ব্যবসায় লাভ হলে লভ্যাংশ দেবে বলে জানান। কিছু দিন পর আসামির কাছে টাকা চাইলে তিনি জানান, ব্যবসায় লস হয়েছে এবং শিগগিরই টাকা ফেরত দেবে বলে জানান। এরপর গত ৫ অক্টোবর পাওনা টাকা চাইলে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেন। আসামি ইব্রাহিম ফরাজি তাদের সমস্যার সমাধান করে দেবে বলে জানান এবং তাকে দেখা করতে বলে। গত ১৮ নভেম্বর ফরাজির কথামতো তার ঠিকানায় গেলে আসামিরা তাকে রুমের ভেতর নিয়ে গিয়ে চড়থাপ্পড় মারতে থাকে।

 

এরপর আসামি আরশাদ আকাশ পুলিশ পরিচয় দিয়ে ভুক্তভোগীকে পিস্তল ঠেকিয়ে একটি আইফোন এবং এগারো হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন। হাতে পিস্তল দিয়ে ছবি তুলে তার বিরুদ্ধে মামলা দেবে বলে হুমকি দেন। পরে তার মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নিয়ে আরো দুই লাখ টাকা দাবি করেন। এসব বিষয়ে কাউকে কিছু জানালে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে ক্রসফায়ার দিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দেন। এরপর ২৬ নভেম্বর মোবাইল ফোন ও মোটরসাইকেল আনতে গেলে পাঁচ লাখ সাড়ে ১২ হাজার টাকা রেখে তা ফেরত দেন।


জবি   ছাত্রলীগ   চাঁদাবাজি   মামলা   তদন্ত   সিআইডি  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

কোটা আন্দোলন: উত্তাল রাবির প্যারিস রোড, ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন

প্রকাশ: ০৫:২৬ পিএম, ০৭ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

কোটা বিরোধী সাংস্কৃতিক আন্দোলনে উত্তাল হয়ে উঠেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) এতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ডাক দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। রোববার (৭ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে ঘটনা ঘটে।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয় আমানুল্লাহ খান বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন চলছে, চলবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। আগামীকাল থেকে সকল ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করছি। ক্যাম্পাসের বাসের চাকা ঘুরবে না। এসময় শিক্ষার্থীরা জাগরণী গান, কবিতা আবৃত্তি, পথ নাটকের মাধ্যমে  প্রতিবাদ করেন।

শিক্ষার্থীদের দাবি, ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকুরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল  মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখা, অযৌক্তিক বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে এবং কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে৷ সেক্ষেত্রে সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে, সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে৷

আন্দোলন বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলগুলো থেকে শত শত শিক্ষার্থী প্যারিস রোডে জমায়েত হচ্ছে।


রাবি   কোটা আন্দোলন   প্যারিস রোড  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন