আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে তফসিল ঘোষণা করার প্রতিবাদে ভিন্ন ভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা ছাত্রদলের দুই গ্রুপের নেতাকর্মীরা।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৭টায় শেখ মুজিবুর রহমান
হলের যুগ্ম আহবায়ক হুমায়ূন হাবিব হিরন এর নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের
উপস্থিতিতে জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটি স্কুল এন্ড কলেজ সংলগ্ন রাস্তা থেকে মিছিলটি
শুরু হয়ে বিশমাইলে পরিবহন ডিপোতে গিয়ে শেষ হয়।
পরবর্তীতে রাত ৯টায় ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের যুগ্ম সাধারণ
সম্পাদক ও জাবি শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম সৈকতের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়
সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে আরেকটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
বিক্ষোভ-মিছিলে নেতাকর্মীরা অবিলম্বে ঘোষিত তফসিল
বাতিল করার জোর দাবি জানান। অন্যথায় যে কোন মূল্যে নির্বাচন প্রতিহত করার হুশিয়ারি
দেন।
বিক্ষোভ-মিছিল পরবর্তীত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে শাখা ছাত্রদলের
সাবেক ১নং সহ-সভাপতি মো: নবীনূর ইসলাম নবীন বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনের এক দফা দাবি
আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা গণতান্ত্রিক আন্দোলন চালিয়ে যাব। দাবি আদায়ে জাহাঙ্গীরনগর
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের প্রতিটি নেতাকর্মী প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
শেখ মুজিবুর রহমান হলের যুগ্ম আহবায়ক হুমায়ূন হাবিব হিরন
বলেন, 'ভোট চোর শেখ হাসিনার আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের অবৈধ তফসিল ছাত্রসমাজ মানে না।
স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পদত্যাগ নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
ছাত্রদল ঘরে ফিরবে না। বিশ্ববিদ্যালয় সকল ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনের সহাবস্থান নিশ্চিত
করতে হবে। ক্যাম্পাস কারো বাবা তালুকদারী নয়।'
ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও
জাবি শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম সৈকত বলেন, 'গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমান দেশ রক্ষার যে ডাক দিয়েছেন, জাহাঙ্গীরনগর
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল তা বাস্তবায়নে দৃঢ় অঙ্গীকারবদ্ধ। জনগন এই তফসিল ঘৃণাভরে প্রত্যাখান
করেছে। এই তফসিল ঘোষণার মধ্য দিয়ে এই ফ্যাসিস্ট সরকার মুলত নিজের পতনের দিন-ক্ষণ নিদিষ্ট
করেছে। এখন থেকে এই ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের ঠিকানা হয় রাজপথ
না হয় কারাগার।
ছাত্র দল নেতা নাইমুল হাসান কৌশিক বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদী
সরকারের দল দাস নির্বাচন কমিশনের অবৈধ তফসিল মানি না। অবিলম্বে ফ্যাসিস্ট সরকারকে পদত্যাগে
বাধ্য করা হবে, তামাশার নির্বাচন এদেশে আর হতে দেয়া হবে না।
ছাত্রদল নেতা হুমায়ূন হাবিব হিরনের নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভ
মিছিলে অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের
সদ্য সাবেক সহ-সভাপতি নবীনুর ইসলাম নবিন, সদ্য সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওয়াসিম আহমেদ
অনিক, শেখ মুজিবুর রহমান হলের যুগ্ম আহবায়ক মেহেদী হাসান, ছাত্রনেতা মশিউর রহমান রোজেন,
আল বেরুনী হলের যুগ্ম আহ্বায়ক জার্জিস মোঃ ইব্রাহিম, ছাত্রনেতা রায়হান হোসাইন মিল্টন
প্রমুখ।
এছাড়া জাবি শাখা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুর
রহিম সৈকতের নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভ মিছিলে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাবি শাখা
ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক
গালিব ইমতেয়াজ নাহিদ, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক হাফিজুর রহমান সোহান,
সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল বিপ্লব, জাবি শাখা ছাত্রদলের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর
রহমান হল শাখার যুগ্ম আহবায়ক রাকিবুল হাসান শুভ, ছাত্রনেতা সেলিম রেজা, রফিক জব্বার
হলের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল কাদির মার্জুক, মীর মশাররফ হোসেন হলের যুগ্ম আহবায়ক ইকবাল
হোসাইন, ছাত্রদল নেতা রাশেদ হোসাইন বাদল, সাহানুর রহমান সুইট, এম আর মুরাদ, রাজু আহমেদ
রাজন, নিশাত আব্দুল্লাহ, আল আমিন, রাজু, জিল্লুর, মুজাহিদ, ফুয়াদ, মাসুম প্রমুখ।
জাবি ছাত্র দল বিক্ষোভ মিছিল তফসিল ঘোষণা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
মন্তব্য করুন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এলাকায় রোববার মধ্যরাতে ফোর–জি নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এতে ওই এলাকায় মোবাইলে ইন্টারনেট সেবা পাওয়া যাচ্ছে না।
সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের অবমাননা করা হয়েছে উল্লেখ করে রোববার রাত ১০টার পর বিভিন্ন হলে মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। পরে তারা রাজু ভাস্কর্যের সামনে এসে বিক্ষোভ করেন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, মধ্যরাত থেকে তারা মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারছেন না। অনেকে মুঠোফোনে সরাসরি কলও দিতে পারছেন না।
ফারুক আহমেদ নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, আধঘণ্টা ধরে ইন্টারনেটে ধীরগতি ছিল, তবে রাত একটা থেকে ইন্টারনেট সেবা একেবারেই পাচ্ছেন না তিনি।
অপারেটর সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ৪–জি নেটওয়ার্ক বন্ধ করার নির্দেশনা তারা পেয়েছেন। তাদের খুদে বার্তায় বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত ৪–জি নেটওয়ার্ক বন্ধ রাখতে।
ঢাবি ক্যাম্পাস মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ ফোর–জি
মন্তব্য করুন
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) সারাদেশে চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা ও মামলা দায়েরের প্রতিবাদে এবং কোটা সংস্কারের এক দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সংহতি সমাবেশ করেছে শিক্ষার্থীরা।
রোববার (১৪ জুলাই) বেলা সাড়ে এগারোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে এ মিছিল শুরু হয়ে প্রধান ফটক ডেইরী গেট সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে একটি সমাবেশের মাধ্যমে আজকের কর্মসূচি সমাপ্ত হয়।
প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রান বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সোহেল আহমেদ বলেন, রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে আমরা শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা নির্বাহী বিভাগ ও বিচার বিভাগের কাছে প্রত্যাশা করে তাদের প্রতি ন্যায় বিচার করা হবে, সমতা বিধান করা হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের সূযোগ সুবিধা দিতে হবে, কারন মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা এই বাংলাদেশকে পেয়েছি। গত দশ দিন থেকে শিক্ষার্থীরা রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে, গায়ের ঘাম পানি করে যে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে তা মূলত রাষ্ট্রের কল্যাণের জন্যই। তাই আমি শিক্ষক হিসেবে তাদের এই যৌক্তিক আন্দোলনকে সংহতি জানাচ্ছি।
সমাবেশে ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক গোলাম রব্বানী বলেন, আমি আজকের এই সংহতি সমাবেশের মাধ্যমে সারাদেশে আন্দোলনকারী সকল শিক্ষার্থীদেরকে ধন্যবাদ জানাতে চাই, আপনারা দীর্ঘদিন থেকে একনিষ্ঠভাবে যৌক্তিক দাবিতে কোটা বাতিল নয় কোটা সংস্কারের জন্য যে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন সেটি আসলেই প্রশংসার দাবিদার। আপনাদের দেখে আমার মনে হচ্ছে আপ্নারা সেই ৫২ র ভাষা আন্দোলনকারী শহিদদের উত্তরসুরী। একটা দেশে কোটা কখন প্রয়োজন হয় যখন এক শ্রেনির লোক সমাজে পিছিয়ে থাকে, মেইন্সট্রিমে তারা কিছু বলতে পারে না, তখন তাদেরকে এগিয়ে নেয়ার জন্য কোটা প্রয়োজন হয়। কিন্তু কোটা কখনো বৈষম্য তৈরি করতে পারে না। কোটার মাধ্যমে এই দেশকে মেধাশুন্য করে ফেলা হচ্ছে, এই আন্দোলন শুধু চাকরির আন্দোলন নয়, এই আন্দোলন দেশকে রক্ষা করার আন্দোলন কারন মেধা ছাড়া একটা দেশ কখনো উন্নত হতে পারে না। মেধাবীরা ছাড়া আপনি কোনো ভাবেই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে পারবেন না। তাই আমি আপনাদের এই যৌক্তিক আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানাচ্ছি।
বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থী আহসান লাবিব বলেন, কোটা সংস্কার করুন, মেধাবীদের সূযোগ দিন। আমরা দেখেছি আমাদের সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করা হয়েছে, গতকাল শাহবাগে মামলা করা হয়েছে। আমরা হুশিয়ার করে দিতে চাই ১৯৫২ সালে পাকিস্তানি স্বৈরাচার বাহিনী শিক্ষার্থীদের উপর গুলি চালিয়েছে, হামলা, মামলা করেছে কিন্তু রুখতে পারে নাই, ১৯৬৯ এ একই ঘটনা ঘটেছে। শিক্ষার্থীরা যখন কোনো যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা ঘরে ফিরে যায়নি। তাই বলে দিতে চাই কোটা সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছেড়ে যাব না। যদি আপনারা এর বিরুদ্ধে কোনো পায়তারা চালানোর চেষ্টা করে তাহলে আন্দোলন আরও বেগবান হয়ে উঠবে।
প্রসঙ্গত, ৭ জুলাই ঘোষিত শিক্ষার্থীদের বর্তমান এক দফা দাবি হলো- সব গ্রেডে সকল প্রকার অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাশ করে কোটা পদ্ধতিকে সংশোধন করতে হবে।
কোটা আন্দোলন জবি বিক্ষোভ মিছিল
মন্তব্য করুন
আগামী দুইদিন (শুক্র ও শনিবার) জনসংযোগের মাধ্যমে সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোটা পদ্ধতি সংস্কার আন্দোলন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সংগঠকরা। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেটের আমতলায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে কোটা পদ্ধতি সংস্কার আন্দোলন, রাবি'র অন্যতম সমন্বয়ক আশিকুল্লাহ মুহিব বলেন, ‘আমরা ঢাকার আন্দোলনকারীদের সাথে কথা বলে আগামী ছুটির দুইদিন জনসংযোগ বাড়ানোর সিদ্ধান্তে উপনিত হয়েছি। আমরা এই দুইদিন আমাদের সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি করে সারাদেশের সাথে সমন্বয় করে দেশের সকল প্রতিষ্ঠান একই দিনে একই ধরনের প্রোগ্রাম রাখবো। আজ ও আগামী দুইদিন নিবন্ধন পরীক্ষায় আমাদের ছাত্রছাত্রীদের মাঝে যাতে ব্যাঘাত না ঘটে, কেউ যেন আমাদের আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে না পারে, সেজন্য আমরা এইসকল সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
পরবর্তী কর্মসূচি বিষয়ে আরেক সমন্বয়ক রেজওয়ান গাজি মহারাজ বলেন, ‘আমরা আমাদের আন্দোলনকে শক্তিশালী করতে আগামীকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সামাজিক সংগঠনগুলোর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করবো। আমরা প্রত্যেক ডিপার্টমেন্টের বর্ষভিত্তিক ক্লাস প্রতিনিধি ও হল প্রতিনিধি ঘোষণা করবো। সামাজিক সংগঠন ও তাদের প্রতিনিধিদের সাথে বসে কিভাবে আন্দোলনকে শক্তিশালী করা যায়, সে বিষয়ে ভেবে পরবর্তী কর্মসূচি দিবো।’
আরেক সমন্বয়ক আমানুল্লাহ খান বলেন, ‘আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত, নির্বাহী বিভাগ থেকে সদুত্তর না আসা পর্যন্ত এবং যতদিন পর্যন্ত নতুন একটা পরিপত্র জারি করা হচ্ছে, যাতে করে শিক্ষার্থীদের অধিকার নিশ্চিত হয় এবং আইনগত জটিলতা নিরসন হয়, ততদিন পর্যন্ত সারাদেশের সাথে সমন্বয় করে আন্দোলন চলবে। আজকের এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আমরা এটাই জানাতে চাই যে, আমাদের আন্দোলন থামছে না, আমাদের আন্দোলন চলবে।’
এসময় কোটা পদ্ধতি সংস্কার আন্দোলন, ‘রাবি'র সমন্বয়ক ও স্বেচ্ছাসেবীরাসহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন করে প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।’
মন্তব্য করুন
চাঁদাবাজি ও পিস্তর ঠেকিয়ে ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ফোন-টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহীম ফরাজিসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলার পুনঃতদন্ত করছে সিআইডি। আগামী ২২ জুলাই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য করেছেন আদালত।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শেখ সাদীর আদালতে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য রয়েছে। আজ রবিবার (৭ জুলাই) মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী জহির কামাল বিষয়টি জানান। তিনি বলেন, গত ১৩ জুন মামলার পুনঃতদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু সিআইডি থেকে প্রতিবেদন দাখিল না করায় আগামী ২২ জুলাই দিন ধার্য করেন আদালত।
এর আগে ওয়ারী থানার পুলিশ তদন্ত করে আসামিদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। তবে প্রতিবেদনের ওপর নারাজি দিয়ে পুনরায় তদন্ত করার আবেদন করেন বাদী। আদালত সিআইডিকে পুনরায় তদন্ত করতে নির্দেশ দেন।
এর আগে ২০২৩ সালের ১৫ মার্চ মশিউর রহমান নামে এক ব্যবসায়ী বাদী হয়ে আদারতে এ মামলা করেন। মশিউর কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসম্পাদক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। এ মামলার অন্য ৪ আসামি হলেন- ফরহাদ ব্যাপারী, আরশাদ আকাশ, রাসেল চাকলাদার ও টুটুল আহম্মেদ।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০২২ সালের ২৫ আগস্ট আসামি ফরহাদ ব্যাপারী ভুক্তভোগী মশিউর রহমানের কাছে থেকে ব্যবসার কথা বলে চার লাখ টাকা ধার নেয় এবং ব্যবসায় লাভ হলে লভ্যাংশ দেবে বলে জানান। কিছু দিন পর আসামির কাছে টাকা চাইলে তিনি জানান, ব্যবসায় লস হয়েছে এবং শিগগিরই টাকা ফেরত দেবে বলে জানান। এরপর গত ৫ অক্টোবর পাওনা টাকা চাইলে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেন। আসামি ইব্রাহিম ফরাজি তাদের সমস্যার সমাধান করে দেবে বলে জানান এবং তাকে দেখা করতে বলে। গত ১৮ নভেম্বর ফরাজির কথামতো তার ঠিকানায় গেলে আসামিরা তাকে রুমের ভেতর নিয়ে গিয়ে চড়থাপ্পড় মারতে থাকে।
এরপর আসামি আরশাদ আকাশ পুলিশ পরিচয় দিয়ে ভুক্তভোগীকে পিস্তল ঠেকিয়ে একটি আইফোন এবং এগারো হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন। হাতে পিস্তল দিয়ে ছবি তুলে তার বিরুদ্ধে মামলা দেবে বলে হুমকি দেন। পরে তার মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নিয়ে আরো দুই লাখ টাকা দাবি করেন। এসব বিষয়ে কাউকে কিছু জানালে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে ক্রসফায়ার দিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দেন। এরপর ২৬ নভেম্বর মোবাইল ফোন ও মোটরসাইকেল আনতে গেলে পাঁচ লাখ সাড়ে ১২ হাজার টাকা রেখে তা ফেরত দেন।
জবি ছাত্রলীগ চাঁদাবাজি মামলা তদন্ত সিআইডি
মন্তব্য করুন
কোটা বিরোধী সাংস্কৃতিক আন্দোলনে উত্তাল হয়ে উঠেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি)। এতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ডাক দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। রোববার (৭ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে এ ঘটনা ঘটে।
শিক্ষার্থীদের দাবি, ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকুরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখা, অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে এবং কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে৷ সেক্ষেত্রে সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে, সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে৷
আন্দোলন বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলগুলো থেকে শত শত শিক্ষার্থী প্যারিস রোডে জমায়েত হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এলাকায় রোববার মধ্যরাতে ফোর–জি নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এতে ওই এলাকায় মোবাইলে ইন্টারনেট সেবা পাওয়া যাচ্ছে না। সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের অবমাননা করা হয়েছে উল্লেখ করে রোববার রাত ১০টার পর বিভিন্ন হলে মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। পরে তারা রাজু ভাস্কর্যের সামনে এসে বিক্ষোভ করেন।