তীব্র তাপদাহ উপেক্ষা
করে আগামী ৩০ এপ্রিল থেকে সশরীরে যাবতীয় শ্রেণী কার্যক্রম ও পরীক্ষা নেওয়ার
সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) কর্তৃপক্ষ।
রবিবার (২৮ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট ও ডিনদের নিয়ে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবু তাহের, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সেকান্দর চৌধুরী, বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও সিন্ডিকেট সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এবিষয়ে উপ-উপাচার্য (প্রশাসনিক) অধ্যাপক ড. মোঃ সেকান্দর চৌধুরী বলেন, দেশের চলমান দাবদাহ বিবেচনা করে আগামী ৩০ এপ্রিল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস ও পরীক্ষা সশরীরে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
চবি শ্রেণী কার্যক্রম পরীক্ষা তীব্র তাপদাহ
মন্তব্য করুন
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘রোল অব দ্য নিউক্লিয়ার সায়েন্স ইন আনরেভেলিং দ্য মিসটেরি অব দ্য ইভ্যুলুশন অব দ্য ইউনিভার্স’ বিষয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১৩ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্যালারী-২ তে সকাল সাড়ে ১১টায় পদার্থ বিজ্ঞান ও রসায়ন বিভাগ সেমিনারটি আয়োজন করে।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন। বিশেষ অতিথি ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কে এম সালাহ্ উদ্দীন এবং বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ফজলুল হক।
অধ্যাপক ড. মো. খায়রুল হকের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পাবিপ্রবির সহযোগি অধ্যাপক ও জেআইএনআর, রাশিয়ার পোস্ট ডক্টরিয়াল ফেলো ড. প্রীতম কুমার দাস।
এ সময় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিকৃবি) রুম দখল নিয়ে ছাত্রলীগের দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১৭ জন। রোববার (১২ মে) বিকাল ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুস সামাদ আজাদ হলে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।
সিকৃবির আব্দুস
সামাদ আজাদ হলের ৫০৭ নম্বর রুমকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। জানা যায়, দীর্ঘদিন
থেকে রুমটি ফাঁকা পড়ে থাকায় হল থেকে রুম বরাদ্দ পাওয়া কয়েকজন ছাত্রকে রুমে তুলে দেন
সভাপতির অনুসারী রিয়াজুল ইসলাম রিয়াদ গ্রুপের নেতা-কর্মীর। এতে আপত্তি জানায় সাংগঠনিক
সম্পাদক আরমান হোসেন গ্রুপের নেতা-কর্মীরা। তারা রুমটি নিজেদের বলে দাবি করে। এনিয়ে
কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দু’পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। পরে বিষয়টি সমাধানের জন্য ছাত্র পরামর্শ, প্রক্টর, প্রভোস্টরা ছাত্রলীগের সঙ্গে বসলে কথাকাটাকাটির জেরে দ্বিতীয় দফায় আবার সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে মাঠে অবস্থান করে ছাত্রলীগের এই দুই পক্ষ।
সিকৃবির চিফ
মেডিকেল
অফিসার
ডা.
অসিম
রঞ্জন
রায়
জানান,
দুই
দফা
সংঘর্ষে
১৭
জন
আহত
হয়েছেন।
এর
মধ্যে
দুজনকে
ওসমানী
মেডিকেল
কলেজে
পাঠানো
হয়েছেন।
আব্দুস সামাদ আজাদ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক মীর মোঃ ইকবাল হাসান বলেন, ক্যাম্পাসে একটি রুমকে নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষ হয়। এতে কয়েকজন ছাত্র আহত হয়েছেন। ওই রুমটা তালা মেরে রাখা হয়েছে। ছাত্রলীগের
নেতা-কর্মীরা নিজেরা বসে বিষয়টা সমাধান করবে বলে জানিয়েছে।
সিকৃবির প্রক্টর অধ্যাপক ড. সাদ উদ্দিন মাহফুজ বলেন, ‘আব্দুস সামাদ আজাদ হলের একটি রুম নিয়ে ছাত্রলীগের দুগ্রুপের ঝামেলা হয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। আমরা সকলের সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেছি। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। কারা এ ঝামেলায় জড়িত খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কোনো সমস্যা হলে প্রশাসন থেকে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
সিকৃবি ছাত্রলীগ আব্দুস সামাদ আজাদ হল রুম দখল
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের এক কর্মচারীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। রোববার (১২ মে) সকাল সাড়ে ছয়টায় সোহরাওয়ার্দী হলের গেটে এই ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী কর্মচারী মনিরুল ইসলাম। তিনি ঐ হলের গার্ডের দায়িত্বে আছেন। অন্যদিকে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা একই হলের সহ-সভাপতি ও ইনিস্টিউট অব এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ (আইইআর) বিভাগের আতিকুর রহমান, মাদার বখ্শ হল ছাত্রলীগ কর্মী এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী শামসুল আরিফিন খান সানি এবং একই বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী ও মতিহার হল ছাত্রলীগ কর্মী আজিজুল হক আকাশসহ আরও কয়েকজন। সকলেই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর অনুসারী বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগী কর্মচারী মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘সকালে সাড়ে ছয়টার দিকে আতিকের নেতৃত্বে আকাশ, সানিসহ বেশ কয়েকজন আমাকে মারধর করে। আমি নাকি নিয়াজ মোর্শেদকে সহযোগিতা করেছি, সেজন্য তারা আমাকে হাতে-গালে-মাথায় কিল-ঘুষি ও লাঠি দিয়ে আঘাত করে। আমি বিষয়টি হল প্রভোস্টকে জানিয়েছি। তারা আমাকে অভিযোগপত্র দিতে বলেছেন। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মী আজিজুল হক আকাশ বলেন, ‘আমরা সকালে হলে যাই। সেখানে গিয়ে গার্ডকে আমাদের সন্দেহ হয়। আমরা তার ফোন চেক করে দেখতে পাই সে শিবির-ছাত্রদল ও নিয়াজ মোর্শদকে আমাদের তথ্য পাচার করেছে৷ মারধরের তেমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবে দু-একটা চড়-থাপ্পর দেওয়া হয়েছে।’
আরেক অভিযুক্ত মাদার বখ্শ ছাত্রলীগ কর্মী শামসুল আরিফিন খান সানি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘এটার সাথে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। মারধরের ঘটনা ঘটেছে কিনা সেটাও আমার জানা নেই।’
এ বিষয়ে জানতে রাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর সাথে ফোন কল এবং মেসেজের মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের প্রাধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বলেন, ‘গতকালকের ঘটনার পরে আমরা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রাতে হলেই অবস্থান করি। এরপর আজ সকালে আতিকের নেতৃত্বে সানি, আকাশসহ বেশ কয়েকজন হলের গার্ড মনিরুল ইসলামকে প্রচণ্ড মারধর করে। আজ ছাত্রকে মারছে, কর্মচারীকে মারছে যারা আমাদের হলকে নিরাপত্তা দেয়। কয়েকদিন পর হয়তো আমাদেরও মার খেতে হবে। এই ঘটনায় আমরা ওই কর্মচারীকে অভিযোগ দিতে বলেছি। আজ সন্ধ্যায় আমাদের একটা মিটিং আছে। আমরা দ্রুত একটা তদন্ত কমিটি গঠন করব।’
এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, সকালের ঘটনা আমরা জেনেছি। যেহেতু এটি হলের বিষয় তাই হল প্রশাসনকে বিষয়টি দেখতে বলা হয়েছে। হল প্রশাসন এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবে।
প্রসঙ্গত, গতকাল দিবাগত রাতে রাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব গ্রুপ এবং সোহরাওয়ার্দী হল সভাপতি নিয়াজ মোর্শেদের গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সেখানে দেশীয় অস্ত্র প্রদর্শন, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে। তিন ঘণ্টা পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন। সেখানেই নিয়াজ মোর্শেদকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার সন্দেহে সোহরাওয়ার্দী হলের গার্ডকে মারধরের ঘটনা ঘটে।
মন্তব্য করুন
বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে মুট কোর্ট ক্লাবের উদ্বোধন করা হয়েছে। রবিবার (১২ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও মানবাধিকার বিভাগের আয়োজনে এসে প্রধান অতিথি হিসেবে এটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন এ ক্লাবের উদ্বোধন করে৷
আইন বিভাগের কো-অর্ডিনেটর প্রফেসর আবু নাসের মোঃ ওয়াহিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মাগুরা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখর ও উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা।
জানা গেছে, উদ্বোধন পর্ব শেষে মুট কোর্টে প্রতীকী বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনা করেন এটর্নি জেনারেল ও রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোঃ জিয়াউর রহমান। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা মামলার বাদী, সাক্ষী, আসামি, আদালতের কর্মচারী ও আইনজীবীর ভূমিকায় ছিলেন।
মুট কোর্ট পর্বে বিচারক ছিলেন রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জিয়াউর রহমান, ব্যারিস্টার মোহাম্মদ আশরাফ আলি ও অ্যাডভোকেট মো. মাসুদ হাসান চৌধুরী। মুট কোর্টের বিষয়বস্তু ছিল নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা। উভয়পক্ষ ট্রায়ালে একের পর এক সাক্ষ্য প্রমাণ ও আইনি-যুক্তি স্থাপন এবং খন্ডন করেন। শেষে পক্ষদ্বয়ের আইনজীবীদের মধ্যে চলতে থাকে যুক্তিতর্ক এবং কাক্সিক্ষত বিচার প্রার্থনা। এসময় শিক্ষার্থীদের অভাবনীয় নৈপুণ্যে বিচারক মহোদয় অত্যন্ত মুগ্ধ হন।
এটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘আইনের ছাত্ররা একজন দক্ষ আইনজীবী হিসেবে গড়ে উঠলে দেশ ও জাতির কল্যানে কাজ করতে পারবে। এজন্য অনুশীলনের কোন বিকল্প নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের এগিয়ে নেবে।’
এদিকে দুপুরে সিনেট হলে ‘ওয়ে ফরওয়ার্ড ইন লিগাল প্রফেশন’ শীর্ষক একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন অ্যাটর্নি জেনারেল। সেমিনারে অতিথি বক্তা ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মিনহাজুল হক চৌধুরী ও ব্যারিস্টার মুহাম্মদ আশরাফ আলী।
এসময় কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক আবু নাসের মো. ওয়াহিদ সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘শুধু প্রাতিষ্ঠানিক আইনশিক্ষাই নয়, বরং বাস্তব জীবনে আইনের প্রয়োগভিত্তিক কার্যপ্রণালী হাতেকলমে শেখার জন্য এ মক ট্রায়াল রুম তৈরি করা হয়েছে।’
সেমিনারে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ফয়জার রহমান, রেজিস্ট্রার সুরঞ্জিত মন্ডল, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক পারমিতা জামান, আইন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন