কালার ইনসাইড

সত্যঘটনা অবলম্বনে নির্মিত এই ৫ টি ওয়েব সিরিজ দেখতে ভুলবেন না

প্রকাশ: ১০:০৭ পিএম, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২


Thumbnail সত্যঘটনা অবলম্বনে নির্মিত এই ৫ টি ওয়েব সিরিজ দেখতে ভুলবেন না

বর্তমান সময়ে ওয়েব সিরিজের মাধ্যমে আমরা নতুন কিছু দেখার সুযোগ পাচ্ছি। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম অর্থাৎ ওটিটি প্ল্যাটফর্ম এমন একটি শক্তিশালী ঘাঁটিতে পরিণত হয়েছে যেখানে প্রতিটি পরিচালক এবং শিল্পী খোলামেলাভাবে ওয়েব সিরিজের মাধ্যমে তাদের প্রতিভা প্রদর্শন করতে পারছেন। এখানে সময়ের অভাব নেই আবার সেন্সর বোর্ডের ভয় নেই। OTT প্ল্যাটফর্মের এই সুবিধার পরিপ্রেক্ষিতে, দেশে এমন অনেক ওয়েব সিরিজ প্রকাশিত হয়েছে যা সত্য ঘটনা অবলম্বনে তৈরি হয়েছে। এই অনলাইন সিরিজগুলির বড় সুবিধা হল তারা জনসাধারণের কাছে কুখ্যাত এবং জনপ্রিয় গল্প কাহিনির অজানা দিকগুলো দর্শকদের সামনে তুলে ধরা যায়। নোংরা রাজনীতি এবং জঘন্য অপরাধ থেকে শুরু করে জালিয়াতির গল্প এই ডিজিটাল ওয়েব সিরিজের মাধ্যমে প্রতিটি মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়। আজকের এই পোস্টে আপনাদের এরকমই বাস্তব ঘটনার উপর ভিত্তি করে তৈরি কিছু ওয়েব সিরিজের তালিকা সম্পর্কে জানাবো।

Delhi Crime

দিল্লির নির্ভয়া গণধর্ষণ কান্ডের কথা ভোলা মনে হয় কারোর পক্ষেই সম্ভব নয়। এই নৃশংস ঘটনা গোটা দেশে তোলপাড় সৃষ্টি করেছিল। দেশবাসী নির্ভয়ার ন্যায়বিচার পেতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল। Delhi Crime ওয়েব সিরিজ একই গণধর্ষণ মামলার উপর ভিত্তি করে তৈরি। এই সিরিজটিতে, নির্ভয়ার সাথে ঘটে যাওয়া ভয়াবহতা এবং তারপরে তার ন্যায়বিচারের যাত্রা দেখানো হয়েছে৷ এই ওয়েবসিরিজটিতে, শেফালি শাহ একজন পুলিশ অফিসারের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন যার সাথে আদিল হুসেন, রাজেশ তাইলাং এবং রসিকা দুগ্গালকেও এই ওয়েবসিরিজে দেখা গেছে।

আপনারা Netflix এ Delhi Crime দেখতে পারবেন৷

SCAM 1992

SCAM 1992 -The Harshad Mehta Story একজন ভারতীয় স্টক ব্রোকারের গল্প। এই ওয়েব সিরিজটি ওটিটি প্ল্যাটফর্মে আসার সাথে সাথে রাতারাতি সাফল্য পেয়েছে। এই সিরিজটি হর্ষদ মেহতার বাস্তব গল্পের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে, একটি নাম যেটি 90 এর দশকে ভারতীয় স্টক মার্কেটে আবির্ভূত হয়েছিল, যেখানে একটি নিম্ন মিডিয়া ক্লাস থেকে একজন গুজরাটি ছেলের বিলিয়নেয়ার হওয়ার যাত্রা এবং ইন্টারেস্টিং ভাবে এই যাত্রায় সরকারের সাথে প্রতারণা করার দিকটিও দেখানো হয়েছে।

Scam 1992 – The Harshad Mehta Story, SonyLiv-এ দেখা যাবে।

Jamtara

প্রথমেই বলে রাখি Jamtara হল ঝাড়খণ্ড রাজ্যের একটি শহর এবং এই শহরের ছেলেদের দ্বারা সংঘটিত কেলেঙ্কারিগুলি এই ওয়েব সিরিজে দেখানো হয়েছে। ওটিটি প্ল্যাটফর্মে প্রকাশিত এই ওয়েব সিরিজটিতে Phishing এর মতো অনলাইন হ্যাক এবং জালিয়াতির কাহিনি উপস্থিত রয়েছে। 2014 থেকে 2018 সাল পর্যন্ত, Jamtara সত্যিই একটি Phishing হাব হয়ে উঠেছিল এবং এই ওয়েব সিরিজে দেখানো হয়েছে যে কীভাবে লোকেদের ফোন করে তাদের ব্যাঙ্কিং এর ডিটেলস নিয়ে নেওয়া হয় আর অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা বের করে নেওয়া হয়। এই সিরিজে সাইবার ক্রাইমের সত্য ঘটনা দেখা যাবে।

আপনারা Jamtara – Sabka Number Ayega, Netflix এ দেখতে পারবেন৷

Mumbai Diaries 26/11

26/11 ভারতের ইতিহাসে এমন একটি অন্ধকার দিন ছিল, যেদিন সমুদ্রপথে দেশে প্রবেশকারী কিছু ছেলে সমগ্র ভারতকে নতজানু করে দিয়েছিল। মুম্বাই সন্ত্রাসী হামলার ক্ষোভ এখনও আমাদের হৃদয়ে। OTT প্ল্যাটফর্মের এই ওয়েব সিরিজটি দেখলে আপনাদের একদিন যন্ত্রণা হবে অন্যদিকে ভয় লাগবে। 26 নভেম্বর 2008-এ জঙ্গিরা মুম্বাইয়ের বোম্বে জেনারেল হাসপাতালে প্রবেশ কলে কী ঘটেছিল? এই মেডিকেল ড্রামা সিরিজটি সেই হাসপাতালে উপস্থিত ডাক্তার, নার্স, স্টাফ এবং রোগীদের নিয়ে তৈরি । সিরিজটিতে তাজমহল প্যালেস হোটেলের হাইজ্যাকও দেখানো হয়েছে।

মুম্বাই ডায়েরি 26/11 অ্যামাজন প্রাইম ভিডিওতে দেখা যাবে।

Queen

প্রথমে একজন অভিনেতা এবং তারপর একজন রাজনীতিবিদ হওয়া দক্ষিণ ভারতের বিখ্যাত রানী জয়ললিতার জীবনের উপর ভিত্তি করে তৈরি। এই ওয়েবসিরিজটিতে জয়ললিতার চলচ্চিত্র সিনেমা জগত থেকে রাজনীতি পর্যন্ত সমস্ত দিক দেখানো হয়েছে। পুরুষশাসিত সমাজে নিজের অধিকার ও স্বপ্নের জন্য লড়াই করে জয়ললিতা কীভাবে কোটি কোটি মানুষের প্রিয় হয়ে উঠেছিলেন, এই সিরিজে সেই সব কিছু ঘটনাই দেখানো হয়েছে। জানিয়ে দেওয়া যাক বাহুবলী ছবিতে শিবগামীর ভূমিকায় অভিনয় করা রাম্যা কৃষ্ণন এও সিরিজে জয়ললিতা হয়েছেন।

MX প্লেয়ারে দেখা যাবে ‘Queen’ ।


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

মুভি রিভিউ: মহারাজা

প্রকাশ: ০৮:১৮ পিএম, ২৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

বিজয় সেতুপতির ৫০তম সিনেমা 'মহারাজা'র ট্রেইলার প্রকাশিত হয় গেল মে মাসে।  তামিল ভাষায় নির্মিত অ্যাকশন-প্যাকড এই থ্রিলারটি তখন থেকেই দর্শকদের মাঝে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি করে।  গেল মাসে ছবিটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির পর আয় করে নেয় ১০০ কোটিরও বেশি রুপি।  সম্প্রতি এটি মুক্তি পেয়েছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্সে।  সেখানে স্ট্রিমিংয়ের পর থেকেই ছবিটি জনপ্রিয়তার তুঙ্গে রয়েছে। 
  
প্লট:  
কাহিনী শুরু হয় চেন্নাইয়ের পল্লিকারানাইয়ের একটি নাপিতের দোকানে কাজ করা মহারাজা (বিজয় সেতুপতি) নামে এক নাপিতের জীবন নিয়ে।  তার জীবন তার নিজের কাজ এবং মেয়ে জ্যোতিকে ঘিরেই  আবর্তিত।  তার সরল জীবনটা বদলে যায় যখন তার জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস চুরি হয়ে যায়। মহারাজা থানায় রিপোর্ট করে যে তিনজন ডাকাত তার বাড়িতে ঢুকে তাকে অজ্ঞান করে দেয়।  তবে তারা কোন সোনাদানা বা টাকাপয়সা কিছুই নেয়নি, বরং নিয়ে গেছে তার লক্ষ্মীকে।  তবে, এই লক্ষ্মী তার স্ত্রী, সন্তান কিংবা অন্যকেউ নয়।  বরং এটি একটি পুরানো ডাস্টবিন।  আর এই ডাস্টবিন ফিরে পাওয়ার জন্যই তার যে লড়াই সেটিকে ঘিরেই এগিয়েছে ছবির কাহিনী। 

পুলিশ প্রথমে মহারাজার কথা গুরুত্ব না দিলেও, মহারাজা ডাস্টবিনটি ফিরে পেতে তাদের ঘুষের প্রস্তাব দিলে তারা কিছুটা সক্রিয় হয় এবং ডাস্টবিনটি খুজে দেবে বলে আশ্বাস দেয়।  পাশাপাশি তাদের মধ্যে এমন একটি ধারণা তৈরি হয় যে, এরমধ্যে নিশ্চয়ই মূল্যবান কিছু লুকানো ছিল।  যদিও পুলিশকে মহারাজা জানায়, ডাস্টবিনে কিছুই ছিলো না।  ডাস্টবিনটি একসময়ে অলৌকিকভাবে তার মেয়ের জীবন বাঁচিয়েছিল । তাই এটির প্রতি তার এমন গভীর আবেগ।  যদিও, মহারাজার কথা বিশ্বাস হয়না পুলিশের। এক পর্যায়ে ঘুষের লোভে ডাস্টবিনটি উদ্ধারে মাঠে নামে পুলিশ।  যদিও, ছবিটির কাহিনী এতটা সহজ নয়।  এর ভেতরেও লুকানো রয়েছে ভিন্ন এক রহস্য।  মূলত, সিনেমাটি দুই বাবার জীবনকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে।  একজন বিজয় সেতুপতি এবং আরেকজন অনুরাগ কাশ্যপ। 
 
অভিনয়:  
বিজয় সেতুপতি তার ৫০তম সিনেমায় মহারাজা চরিত্রে চমৎকার অভিনয় করেছেন।  শরীরী ভাষা থেকে আবেগের ভারসাম্য সব কিছুতেই তার চরিত্রের সূক্ষ্মতা তিনি বেশ ভালোভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।  তার চরিত্রটি যেমন তার মেয়ের জন্য অতি কোমল হৃদয়ের, পাশাপাশি একইসঙ্গে প্রচন্ড প্রতিশোধপ্রবণ।  তিনি এই দ্বৈততা একইসাথে খুব ভালোভাবে ফুটিয়ে তুলতে সক্ষম হয়েছেন।  

অনুরাগ কাশ্যপও তার চরিত্রে অসাধারণ অভিনয় করেছেন।  এই সিনেমাটিতে অনুরাগ কাশ্যপ ও বিজয় সেতুপতি একজন আরেকজন এর প্রতিপক্ষ হলেও বিজয় সেতুপতির মতো অনুরাগ কাশ্যপও তার মেয়ে ও পরিবারের প্রতি অতি কোমল হৃদয়ের, পাশাপাশি একইসঙ্গে প্রচন্ড হিংস্র।  বিজয় সেতুপতির মতো অনুরাগ কাশ্যপও এই দ্বৈততা বেশ ভালোভাবেই ফুটিয়ে তুলতে সক্ষম হয়েছেন।  

তবে, সিনেমাটির একটি দুর্বল দিক হলো, নির্মাতা শুধু বিজয় সেতুপতির চরিত্রের ওপর বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। অনুরাগ কাশ্যপসহ অন্যান্য জনপ্রিয় অভিনেতাদের চরিত্রগুলো সেভাবে গড়ে ওঠেনি।  সিনেমাটিতে তারা বিশেষ কোন স্থান দখল করতে পারেনি।  সিনেমাটি আরও গতি পেতো যদি অন্যান্য চরিত্রগুলোও  ভালোভাবে বিকাশ ঘটানো যেত।   
 
স্ক্রিন প্লে ও পরিচালনা  
পরিচালক নিতিলান স্বামীনাথানের গল্প বলার ভঙ্গিমা 'মহারাজা'র অন্যতম সেরা দিক। তিনি একটি সরল পথে গল্পটি বলতে পারতেন, কিন্তু তিনি একটি নন-লিনিয়ার ফরম্যাটে গল্পটি বলেছেন যা সিনেমাটিকে আলাদাভাবে উপস্থাপন করেছে।  সিনেমায় কিছু বিভ্রান্তিকর মুহূর্ত থাকলেও এটি পুরো সময়জুড়ে দর্শকের মনোযোগ ধরে রাখতে সক্ষম।  গল্পে কী ঘটতে যাচ্ছে তা জানার আগ্রহ তৈরি করতে পরিচালক সফল হয়েছেন। 

সম্পাদনা ও চিত্রগ্রহণ
নন-লিনিয়ার স্ক্রিনপ্লে ও বিভিন্ন সময়ের ফ্রেমগুলো ছবিটিকে আকর্ষণীয় করে তুলেছে।  সিনেমার একদম শেষ পর্যন্ত পরিচালক দর্শকের মস্তিষ্কের সাথে এক ধরনের খেলা খেলে গেছেন।  যদিও শেষের দিকে এসে অনেকটাই অনুমেয় ছিল কি ঘটতে যাচ্ছে।  এরপরও এই সিনেমা যেভাবে এর নন লিনিয়ার স্টাইলে গল্প বলে গেছে তাতে ছবিটি শেষ পর্যন্ত দেখে মুগ্ধ হবেন যে কেউ। 

সিনেমাটিতে কোনো গান কিংবা অতিরঞ্জিত কিছু ছিলনা।  ভায়োলেন্স যা আছে তা সিনেমার গল্প অনুযায়ী মানানসই।  কিছু কিছু দুর্বলতা থাকলেও এটি দর্শকদের অনেকদিন মনে রাখার মতো একটি ছবি।


মহারাজা   সিনেমা   রিভিউ  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

টরন্টো চলচ্চিত্র উৎসবে মেহজাবীনের প্রথম ছবি ‘সাবা’

প্রকাশ: ০৩:৫৬ পিএম, ২৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

মেহজাবীন চৌধুরীর প্রথম চলচ্চিত্র 'সাবা' মুক্তির আগেই টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ডিসকভারি প্রোগ্রামে নির্বাচিত হয়েছে। মাকসুদ হোসেনের পরিচালনায় ছবিটি প্রযোজনা করেছেন মেহজাবীন নিজেই।

৪৯তম টরন্টো উৎসব শুরু হবে ৫ সেপ্টেম্বর এবং চলবে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।

'সাবা' ছবিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন মেহজাবীন চৌধুরী। এই চলচ্চিত্রের মাধ্যমে টিভিতে ১৪ বছর অভিনয়ের পর বড় পর্দায় নাম লিখিয়েছেন তিনি। রোকেয়া প্রাচী ও মোস্তফা মনওয়ারও ছবিটিতে অভিনয় করেছেন। সিনেমাটির গল্প ও চিত্রনাট্য লিখেছেন ত্রিলোরা খান ও মাকসুদ হোসেন।

ডিসকভারি প্রোগ্রামে বিভিন্ন দেশের নতুন এবং উদীয়মান পরিচালকদের প্রথম ও দ্বিতীয় চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়। এ বছর 'সাবা'সহ মোট ২৪টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। এই বিভাগে সেরা চলচ্চিত্রের পুরস্কার ২০ হাজার ডলার।

ডিসকভারি প্রোগ্রামে পুরস্কারজয়ী পরিচালকদের মধ্যে রয়েছেন আলফনসো কোয়ারন, ক্রিস্টোফার নোলান, ইয়োর্গোস লানতিমোস, ব্যারি জেনকিন্স, ইলদিকো এনিয়েদি, মারেন আদে এবং এমা সেলিগম্যান।


মেহজাবীন চৌধুরী   সিনেমা   টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

লাইফ সাপোর্টে সংগীতশিল্পী হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল

প্রকাশ: ০১:০১ পিএম, ২৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী ও টেলিভিশন অনুষ্ঠান প্রযোজক হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল বর্তমানে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। গত ১১ বছর ধরে ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন তিনি এবং এ সময়ে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

জুয়েলের স্ত্রী সংগীতা গণমাধ্যমকে জানান, ‘মঙ্গলবার রাতে হঠাৎ করেই জুয়েলের শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা তাকে আইসিইউতে ভর্তি করেন এবং বর্তমানে তিনি ৭২ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।’

সংগীতা আরও জানান, জুয়েলের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং প্লাটিলেট সংখ্যা কমে গেছে। তিনি সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন যেন জুয়েল দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন।

২০১১ সালে জুয়েলের লিভার ক্যানসার ধরা পড়ে। পরে ক্যানসার ফুসফুস ও হাড়েও ছড়িয়ে পড়ে। সাম্প্রতিক দুই মাসে তার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি ঘটেছে।

জুয়েলের কর্মজীবন শুরু হয় ১৯৮৬ সালে ঢাকায় আসার পর। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সাথে যুক্ত হন। প্রথম অ্যালবাম ‘কুয়াশা প্রহর’ প্রকাশিত হয় ১৯৯২ সালে। সংগীতশিল্পী হিসেবে তিনি দশটির মতো অ্যালবাম প্রকাশ করেছেন। এছাড়াও, টেলিভিশন অনুষ্ঠান প্রযোজনা এবং ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।


জুয়েল   ক্যানসার   চিকিৎসাধীন  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

শাফিন আহমেদের মৃত্যুতে জন কবিরের শোকবার্তা

প্রকাশ: ১০:৩৬ এএম, ২৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

জনপ্রিয় ব্যান্ড তারকা শাফিন আহমেদ (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন) আর আমাদের মাঝে নেই। বৃহস্পতিবার সকালে যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে, ৬৩ বছর বয়সে তার মৃত্যু হয়।

শাফিন আহমেদের হঠাৎ চলে যাওয়ায় শোবিজ অঙ্গনে নেমে এসেছে গভীর শোকের ছায়া। প্রখ্যাত গায়ক ও অভিনেতা জন কবির তার শোকবার্তায় লিখেছেন,

"শাফিন ভাইকে নিয়ে কিছু বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। তার এভাবে চলে যাওয়া কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না। চার দশক ধরে শ্রোতাদের হৃদয় আন্দোলিত করে আসা এই কিংবদন্তিকে এভাবে বিদায় জানানো সম্ভব নয়। দেশের সেরা এই রকস্টারের প্রতি একটাই অভিযোগ, কেন নিজের শরীরের যত্ন নেননি। শিল্পীজীবন বেছে নিয়েছেন বলে শ্রোতাদের জন্য নিজেকে বিলীন করে দিতে হবে- এটাও মেনে নেওয়া যায় না। জানি, শাফিন আহমেদ তার কালজয়ী গানের মধ্য দিয়ে যুগের পর যুগ বেঁচে থাকবেন। তারপরও তার শূন্যতা কখনও পূরণ হবে না।"


শাফিন আহমেদ   জন কবির   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

শাফিন আহমেদের মৃত্যুতে কুমার বিশ্বজিৎ এর শোক

প্রকাশ: ১০:০৭ এএম, ২৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশের ব্যান্ড সঙ্গীতের অন্যতম বড় তারকা শাফিন আহমেদ। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই তরুণদের মধ্যে আলাদা প্রভাব বিস্তার করেছিলেন এই গায়ক। মেধা, রুচি এবং ব্যক্তিত্বের সমন্বয়ে তিনি নিজেকে নিয়ে গিয়েছিলেন এক অনন্য উচ্চতায়। তাই তার মৃত্যুর পর অনেকেই তাকে কিংবদন্তি হিসেবে আখ্যা দিচ্ছেন।

শাফিন আহমেদের আকস্মিক মৃত্যু কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না শিল্পীসমাজ। শোবিজ অঙ্গনে নেমে এসেছে গভীর শোকের ছায়া। প্রখ্যাত গায়ক কুমার বিশ্বজিৎ শোক প্রকাশ করে লিখেছেন,

"শাফিন ভাই এভাবে চলে গেলেন! উনার আত্মার চির শান্তি কামনা করছি।"

১৯৭৯ সালে গঠিত হয় বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় ব্যান্ড মাইলস। "চাঁদ তারা সূর্য," "জ্বালা জ্বালা," "ফিরিয়ে দাও," "জন্মদিন"সহ অসংখ্য জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছে শাফিন ও তার ব্যান্ড। ব্যান্ডের বাইরেও শাফিনের বহু জনপ্রিয় গান রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার একটি হাসপাতালে বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই ব্যান্ড সংগীতের তারকা। তার মৃত্যুর খবরে দেশের সংগীতাঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।


শাফিন আহমেদ   মাইলস   ব্যান্ড   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন