কালার ইনসাইড

নিজের দেশে দেশছাড়া মানুষগুলো ঘরে ফিরুক: ফিলিস্তিন নিয়ে জয়া আহসান

প্রকাশ: ০৫:০৪ পিএম, ১৯ নভেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

হামাসকে নিশ্চিহ্ন করতে গাজায় ইসরায়েলের লাগাতার হামলার ঘটনায় উত্তপ্ত গোটা বিশ্ব। গত দেড় মাসে যেন মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত হয়েছে গাজা। একের পর এক হামলায় ইতোমধ্যে ১২ হাজারের মতো ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। হাসপাতাল, স্কুল, মসজিদ বা অ্যাম্বুলেন্স কোনও কিছুই হামলা থেকে বাদ যাচ্ছে না। এতে প্রাণ যাচ্ছে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের। গাজার সবচেয়ে বড় আল শিফা হাসপাতালটিকে ‘ডেথ জোন’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

ফিলিস্তিনিদের এমন অবস্থা দেখে দূর থেকেও মন কাঁদছে দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসানের। অথচ বর্তমানে ক্যারিয়ারের চূড়ান্ত সুসময় পার করছেন এই অভিনেত্রী। কদিন আগেই ঘরে তুলেছেন শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর ৫ম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। পশ্চিমবঙ্গে পর পর দুটি ছবি (অর্ধাঙ্গিনী ও দশম অবতার) হিট। ২০ নভেম্বর থেকে টানা আটদিন কাটাবেন গোয়া ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে; কারণ ভারতের এই ঐতিহ্যবাহী উৎসবে তিনি একাই নেতৃত্ব দেবেন তিন ভাষায় অভিনীত নিজের পাঁচ সিনেমার! এতো কিছুর মাঝেও ভীষণ ভীষণ বিষণ্নতায় ডুবেছেন জয়া আহসান।

রোববার (১৯ নভেম্বর) সকালে ফেসবুক পোস্টে জয়া লিখেছেন, ‘রোজ রোজ ফিলিস্তিনের ছবি দেখছি নানা গণমাধ্যমে। নির্বিচারে বোমা ফেলা হচ্ছে নিরীহ মানুষজনের ওপর। আক্রমণ চলছে হাসপাতালেও! একটি ছবিতে দেখেছিলাম পরিবারের সবাই মারা পড়েছেন, আর সবার লাশের সামনে বসে আছেন বেঁচে যাওয়া একজন মাত্র মানুষ। এরমধ্যে মারা গেছে চার হাজারেরও বেশি শিশু।’

জয়ার ভাষায়, ‘ভাঙা মনটাকে সরিয়ে কাজে নেমে পড়ি ঠিকই। নতুন মুক্তি পাওয়া ছবির প্রচারে যাচ্ছি, যোগ দিচ্ছি পুরস্কার অনুষ্ঠানে, গোয়া চলচ্চিত্র উৎসবে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। এর জন্য মনে অপরাধ–অপরাধও লাগে। আমার বা আমাদের জীবন তো চলছে, কিন্তু ওদের জীবন তো প্রতিটা মুহূর্তে মৃত্যুর মুখোমুখি। তাদের অসহায়তা দেখে গলাটা বুজে আসে বার বার।’

জয়া আহসান তীব্র কণ্ঠে বিশ্ব নেতাদের প্রতি দাবি করেন, ‘এই হত্যাকাণ্ড থামুক। শিশুরা খেলা করুক রোদেলা মাঠে, খেজুর গাছের নিচে। নিজের দেশে দেশছাড়া এই মানুষগুলো নিজেদের ঘরে ফিরুক। ওদের বাঁচানোর জন্য পৃথিবীর বড় বড় মানুষেরা কি এক হতে পারেন না? এটা কি খুব বড় প্রত্যাশা?’

এই প্রত্যাশা রেখেই গোয়ার উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়লেন জয়া আহসান। কারণ ২০ নভেম্বর উদ্বোধন হতে যাওয়া গোয়া চলচ্চিত্র উৎসবে জয়ার জন্য অধীর অপেক্ষায় আছে তার পাঁচটি চলচ্চিত্র আর অসংখ্য সিনেমা সমালোচক। ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত চলা এই উৎসবে প্রিমিয়ার হচ্ছে জয়ার প্রথম হিন্দি সিনেমা ‘কড়ক সিং’ এবং প্রথম ইরানি ছবি ‘ফেরেশতে’। 

এর বাইরে বিভিন্ন বিভাগে লড়াই করবে জয়া অভিনীত টলিউডি সিনেমা কৌশিক গাঙ্গুলির ‘অর্ধাঙ্গিনী’, সুমন মুখোপাধ্যায়ের ‘পুতুল নাচের ইতিকথা’ আর সায়ন্তন মুখোপাধ্যায়ের ‘ঝরা পালক’।


ফিলিস্তিন   ইসরায়েল   জয়া আহসান   আল শিফা হাসপাতাল  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

মুভি রিভিউ: মহারাজা

প্রকাশ: ০৮:১৮ পিএম, ২৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

বিজয় সেতুপতির ৫০তম সিনেমা 'মহারাজা'র ট্রেইলার প্রকাশিত হয় গেল মে মাসে।  তামিল ভাষায় নির্মিত অ্যাকশন-প্যাকড এই থ্রিলারটি তখন থেকেই দর্শকদের মাঝে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি করে।  গেল মাসে ছবিটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির পর আয় করে নেয় ১০০ কোটিরও বেশি রুপি।  সম্প্রতি এটি মুক্তি পেয়েছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্সে।  সেখানে স্ট্রিমিংয়ের পর থেকেই ছবিটি জনপ্রিয়তার তুঙ্গে রয়েছে। 
  
প্লট:  
কাহিনী শুরু হয় চেন্নাইয়ের পল্লিকারানাইয়ের একটি নাপিতের দোকানে কাজ করা মহারাজা (বিজয় সেতুপতি) নামে এক নাপিতের জীবন নিয়ে।  তার জীবন তার নিজের কাজ এবং মেয়ে জ্যোতিকে ঘিরেই  আবর্তিত।  তার সরল জীবনটা বদলে যায় যখন তার জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস চুরি হয়ে যায়। মহারাজা থানায় রিপোর্ট করে যে তিনজন ডাকাত তার বাড়িতে ঢুকে তাকে অজ্ঞান করে দেয়।  তবে তারা কোন সোনাদানা বা টাকাপয়সা কিছুই নেয়নি, বরং নিয়ে গেছে তার লক্ষ্মীকে।  তবে, এই লক্ষ্মী তার স্ত্রী, সন্তান কিংবা অন্যকেউ নয়।  বরং এটি একটি পুরানো ডাস্টবিন।  আর এই ডাস্টবিন ফিরে পাওয়ার জন্যই তার যে লড়াই সেটিকে ঘিরেই এগিয়েছে ছবির কাহিনী। 

পুলিশ প্রথমে মহারাজার কথা গুরুত্ব না দিলেও, মহারাজা ডাস্টবিনটি ফিরে পেতে তাদের ঘুষের প্রস্তাব দিলে তারা কিছুটা সক্রিয় হয় এবং ডাস্টবিনটি খুজে দেবে বলে আশ্বাস দেয়।  পাশাপাশি তাদের মধ্যে এমন একটি ধারণা তৈরি হয় যে, এরমধ্যে নিশ্চয়ই মূল্যবান কিছু লুকানো ছিল।  যদিও পুলিশকে মহারাজা জানায়, ডাস্টবিনে কিছুই ছিলো না।  ডাস্টবিনটি একসময়ে অলৌকিকভাবে তার মেয়ের জীবন বাঁচিয়েছিল । তাই এটির প্রতি তার এমন গভীর আবেগ।  যদিও, মহারাজার কথা বিশ্বাস হয়না পুলিশের। এক পর্যায়ে ঘুষের লোভে ডাস্টবিনটি উদ্ধারে মাঠে নামে পুলিশ।  যদিও, ছবিটির কাহিনী এতটা সহজ নয়।  এর ভেতরেও লুকানো রয়েছে ভিন্ন এক রহস্য।  মূলত, সিনেমাটি দুই বাবার জীবনকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে।  একজন বিজয় সেতুপতি এবং আরেকজন অনুরাগ কাশ্যপ। 
 
অভিনয়:  
বিজয় সেতুপতি তার ৫০তম সিনেমায় মহারাজা চরিত্রে চমৎকার অভিনয় করেছেন।  শরীরী ভাষা থেকে আবেগের ভারসাম্য সব কিছুতেই তার চরিত্রের সূক্ষ্মতা তিনি বেশ ভালোভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।  তার চরিত্রটি যেমন তার মেয়ের জন্য অতি কোমল হৃদয়ের, পাশাপাশি একইসঙ্গে প্রচন্ড প্রতিশোধপ্রবণ।  তিনি এই দ্বৈততা একইসাথে খুব ভালোভাবে ফুটিয়ে তুলতে সক্ষম হয়েছেন।  

অনুরাগ কাশ্যপও তার চরিত্রে অসাধারণ অভিনয় করেছেন।  এই সিনেমাটিতে অনুরাগ কাশ্যপ ও বিজয় সেতুপতি একজন আরেকজন এর প্রতিপক্ষ হলেও বিজয় সেতুপতির মতো অনুরাগ কাশ্যপও তার মেয়ে ও পরিবারের প্রতি অতি কোমল হৃদয়ের, পাশাপাশি একইসঙ্গে প্রচন্ড হিংস্র।  বিজয় সেতুপতির মতো অনুরাগ কাশ্যপও এই দ্বৈততা বেশ ভালোভাবেই ফুটিয়ে তুলতে সক্ষম হয়েছেন।  

তবে, সিনেমাটির একটি দুর্বল দিক হলো, নির্মাতা শুধু বিজয় সেতুপতির চরিত্রের ওপর বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। অনুরাগ কাশ্যপসহ অন্যান্য জনপ্রিয় অভিনেতাদের চরিত্রগুলো সেভাবে গড়ে ওঠেনি।  সিনেমাটিতে তারা বিশেষ কোন স্থান দখল করতে পারেনি।  সিনেমাটি আরও গতি পেতো যদি অন্যান্য চরিত্রগুলোও  ভালোভাবে বিকাশ ঘটানো যেত।   
 
স্ক্রিন প্লে ও পরিচালনা  
পরিচালক নিতিলান স্বামীনাথানের গল্প বলার ভঙ্গিমা 'মহারাজা'র অন্যতম সেরা দিক। তিনি একটি সরল পথে গল্পটি বলতে পারতেন, কিন্তু তিনি একটি নন-লিনিয়ার ফরম্যাটে গল্পটি বলেছেন যা সিনেমাটিকে আলাদাভাবে উপস্থাপন করেছে।  সিনেমায় কিছু বিভ্রান্তিকর মুহূর্ত থাকলেও এটি পুরো সময়জুড়ে দর্শকের মনোযোগ ধরে রাখতে সক্ষম।  গল্পে কী ঘটতে যাচ্ছে তা জানার আগ্রহ তৈরি করতে পরিচালক সফল হয়েছেন। 

সম্পাদনা ও চিত্রগ্রহণ
নন-লিনিয়ার স্ক্রিনপ্লে ও বিভিন্ন সময়ের ফ্রেমগুলো ছবিটিকে আকর্ষণীয় করে তুলেছে।  সিনেমার একদম শেষ পর্যন্ত পরিচালক দর্শকের মস্তিষ্কের সাথে এক ধরনের খেলা খেলে গেছেন।  যদিও শেষের দিকে এসে অনেকটাই অনুমেয় ছিল কি ঘটতে যাচ্ছে।  এরপরও এই সিনেমা যেভাবে এর নন লিনিয়ার স্টাইলে গল্প বলে গেছে তাতে ছবিটি শেষ পর্যন্ত দেখে মুগ্ধ হবেন যে কেউ। 

সিনেমাটিতে কোনো গান কিংবা অতিরঞ্জিত কিছু ছিলনা।  ভায়োলেন্স যা আছে তা সিনেমার গল্প অনুযায়ী মানানসই।  কিছু কিছু দুর্বলতা থাকলেও এটি দর্শকদের অনেকদিন মনে রাখার মতো একটি ছবি।


মহারাজা   সিনেমা   রিভিউ  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

টরন্টো চলচ্চিত্র উৎসবে মেহজাবীনের প্রথম ছবি ‘সাবা’

প্রকাশ: ০৩:৫৬ পিএম, ২৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

মেহজাবীন চৌধুরীর প্রথম চলচ্চিত্র 'সাবা' মুক্তির আগেই টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ডিসকভারি প্রোগ্রামে নির্বাচিত হয়েছে। মাকসুদ হোসেনের পরিচালনায় ছবিটি প্রযোজনা করেছেন মেহজাবীন নিজেই।

৪৯তম টরন্টো উৎসব শুরু হবে ৫ সেপ্টেম্বর এবং চলবে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।

'সাবা' ছবিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন মেহজাবীন চৌধুরী। এই চলচ্চিত্রের মাধ্যমে টিভিতে ১৪ বছর অভিনয়ের পর বড় পর্দায় নাম লিখিয়েছেন তিনি। রোকেয়া প্রাচী ও মোস্তফা মনওয়ারও ছবিটিতে অভিনয় করেছেন। সিনেমাটির গল্প ও চিত্রনাট্য লিখেছেন ত্রিলোরা খান ও মাকসুদ হোসেন।

ডিসকভারি প্রোগ্রামে বিভিন্ন দেশের নতুন এবং উদীয়মান পরিচালকদের প্রথম ও দ্বিতীয় চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়। এ বছর 'সাবা'সহ মোট ২৪টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। এই বিভাগে সেরা চলচ্চিত্রের পুরস্কার ২০ হাজার ডলার।

ডিসকভারি প্রোগ্রামে পুরস্কারজয়ী পরিচালকদের মধ্যে রয়েছেন আলফনসো কোয়ারন, ক্রিস্টোফার নোলান, ইয়োর্গোস লানতিমোস, ব্যারি জেনকিন্স, ইলদিকো এনিয়েদি, মারেন আদে এবং এমা সেলিগম্যান।


মেহজাবীন চৌধুরী   সিনেমা   টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

লাইফ সাপোর্টে সংগীতশিল্পী হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল

প্রকাশ: ০১:০১ পিএম, ২৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী ও টেলিভিশন অনুষ্ঠান প্রযোজক হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল বর্তমানে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। গত ১১ বছর ধরে ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন তিনি এবং এ সময়ে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

জুয়েলের স্ত্রী সংগীতা গণমাধ্যমকে জানান, ‘মঙ্গলবার রাতে হঠাৎ করেই জুয়েলের শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা তাকে আইসিইউতে ভর্তি করেন এবং বর্তমানে তিনি ৭২ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।’

সংগীতা আরও জানান, জুয়েলের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং প্লাটিলেট সংখ্যা কমে গেছে। তিনি সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন যেন জুয়েল দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন।

২০১১ সালে জুয়েলের লিভার ক্যানসার ধরা পড়ে। পরে ক্যানসার ফুসফুস ও হাড়েও ছড়িয়ে পড়ে। সাম্প্রতিক দুই মাসে তার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি ঘটেছে।

জুয়েলের কর্মজীবন শুরু হয় ১৯৮৬ সালে ঢাকায় আসার পর। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সাথে যুক্ত হন। প্রথম অ্যালবাম ‘কুয়াশা প্রহর’ প্রকাশিত হয় ১৯৯২ সালে। সংগীতশিল্পী হিসেবে তিনি দশটির মতো অ্যালবাম প্রকাশ করেছেন। এছাড়াও, টেলিভিশন অনুষ্ঠান প্রযোজনা এবং ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।


জুয়েল   ক্যানসার   চিকিৎসাধীন  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

শাফিন আহমেদের মৃত্যুতে জন কবিরের শোকবার্তা

প্রকাশ: ১০:৩৬ এএম, ২৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

জনপ্রিয় ব্যান্ড তারকা শাফিন আহমেদ (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন) আর আমাদের মাঝে নেই। বৃহস্পতিবার সকালে যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে, ৬৩ বছর বয়সে তার মৃত্যু হয়।

শাফিন আহমেদের হঠাৎ চলে যাওয়ায় শোবিজ অঙ্গনে নেমে এসেছে গভীর শোকের ছায়া। প্রখ্যাত গায়ক ও অভিনেতা জন কবির তার শোকবার্তায় লিখেছেন,

"শাফিন ভাইকে নিয়ে কিছু বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। তার এভাবে চলে যাওয়া কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না। চার দশক ধরে শ্রোতাদের হৃদয় আন্দোলিত করে আসা এই কিংবদন্তিকে এভাবে বিদায় জানানো সম্ভব নয়। দেশের সেরা এই রকস্টারের প্রতি একটাই অভিযোগ, কেন নিজের শরীরের যত্ন নেননি। শিল্পীজীবন বেছে নিয়েছেন বলে শ্রোতাদের জন্য নিজেকে বিলীন করে দিতে হবে- এটাও মেনে নেওয়া যায় না। জানি, শাফিন আহমেদ তার কালজয়ী গানের মধ্য দিয়ে যুগের পর যুগ বেঁচে থাকবেন। তারপরও তার শূন্যতা কখনও পূরণ হবে না।"


শাফিন আহমেদ   জন কবির   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

শাফিন আহমেদের মৃত্যুতে কুমার বিশ্বজিৎ এর শোক

প্রকাশ: ১০:০৭ এএম, ২৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশের ব্যান্ড সঙ্গীতের অন্যতম বড় তারকা শাফিন আহমেদ। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই তরুণদের মধ্যে আলাদা প্রভাব বিস্তার করেছিলেন এই গায়ক। মেধা, রুচি এবং ব্যক্তিত্বের সমন্বয়ে তিনি নিজেকে নিয়ে গিয়েছিলেন এক অনন্য উচ্চতায়। তাই তার মৃত্যুর পর অনেকেই তাকে কিংবদন্তি হিসেবে আখ্যা দিচ্ছেন।

শাফিন আহমেদের আকস্মিক মৃত্যু কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না শিল্পীসমাজ। শোবিজ অঙ্গনে নেমে এসেছে গভীর শোকের ছায়া। প্রখ্যাত গায়ক কুমার বিশ্বজিৎ শোক প্রকাশ করে লিখেছেন,

"শাফিন ভাই এভাবে চলে গেলেন! উনার আত্মার চির শান্তি কামনা করছি।"

১৯৭৯ সালে গঠিত হয় বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় ব্যান্ড মাইলস। "চাঁদ তারা সূর্য," "জ্বালা জ্বালা," "ফিরিয়ে দাও," "জন্মদিন"সহ অসংখ্য জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছে শাফিন ও তার ব্যান্ড। ব্যান্ডের বাইরেও শাফিনের বহু জনপ্রিয় গান রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার একটি হাসপাতালে বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই ব্যান্ড সংগীতের তারকা। তার মৃত্যুর খবরে দেশের সংগীতাঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।


শাফিন আহমেদ   মাইলস   ব্যান্ড   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন