কালার ইনসাইড

সালমানের বিয়ে না করার কারণ জানালেন ভগ্নিপতি

প্রকাশ: ০২:৪১ পিএম, ২৮ নভেম্বর, ২০২১


Thumbnail সালমানের বিয়ে না করার কারণ জানালেন ভগ্নিপতি

বয়স পঞ্চাশ ছুঁই ছুঁই। এরপরও দেশের ‘মোস্ট এলিজেবল ব্যাচেলর’র তালিকায় তার নাম রয়েছে সবার উপরে। বহু বছর ধরে বিয়ে নিয়ে নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছেন। কখনো কখনো এ নিয়ে রেগেও যান। কখনো আবার মজা করে জবাবও দেন। নাম তার সালমান খান। কিন্তু এবার সালমানের ভগ্নিপতি ও সহ-অভিনেতা আয়ুষ শর্মা জানালেন সালমানের বিয়ে না করার আসল কারণ। আয়ুষের মতে, সালমানের বিয়ে করার সময়ই নেই!

আর জে সিদ্ধার্থ কন্ননকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আয়ুষ জানান, সালমানের সঙ্গে আড্ডা দেওয়ার সময় সাধারণত এ বিষয়ে কোনো কথা তোলেন না তিনি।

তিনি আরও জানান, সালমানকে তিনি যেভাবে দেখেছেন, যেভাবে সারাদিন তিনি ব্যস্ত থাকেন, কাজ করতে থাকেন, তার আপাতত বিয়ে করার সময়ই নেই। উনি যেমন আছেন দারুণ খুশি রয়েছেন। নিজের জীবনের ফয়সালা তিনি নিজেই করতে পারেন।

সালমানের ভগ্নিপতি ও ‘অন্তিম’ তারকা আরও বলেন, সাধারণ জীবনযাত্রায় বিশ্বাসী ভাইজান। একেবারে ঠিক সেভাবে জীবনযাপন করেন তিনি। আয়ুষ নিজেও তার মতো সাধারণভাবে থাকার কথা ভাবতেই পারেন না।

আয়ুষের কথায়, ‘সালমান ভীষণ অল্পতেই খুশি। উনি যেমন থাকেন, যে লাইফস্টাইল সবমিলিয়ে ভীষণ সাধারণ। বিশ্বাস করুন, আমি নিজেও ওর মতো এতো সাধারণভাবে থাকতে পারবো না। দু-তিন বছরের পুরোনো ফোন নিয়েও দিব্যি কাজ চালিয়ে নেন উনি। ওসব নিয়ে কোনো মাথাব্যথাই ওর নেই। তবে হ্যাঁ, ভালো সিনেমা নিয়ে আগ্রহ রয়েছে ওর। যদি কখনো তিন ঘণ্টা একা থেকে টানা ভালো ছবি দেখে সময় কাটিয়ে দিতে পারে ভাই।’




মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

রাব্বানীর কথায়, নূরের সুরে প্রথমবার ফোক গানে ন্যানসি

প্রকাশ: ০৩:৫৫ পিএম, ২০ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

প্রথমবারের মতো ফোক গানে কণ্ঠ দিলেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ন্যানসি। সম্প্রতি লংপ্লে রেকর্ডিং স্টুডিওতে ‌‌'হাঁসফাঁস' শিরোনামের গানটিতে কণ্ঠ দেন। গোলাম রাব্বানীর লেখা ও মুরাদ নূরের সুরে গানটির সংগীত আয়োজন করছেন মুশফিক লিটু। 

ন্যানসি বলেন, ‌'শুরু থেকেই আমি ভয়ে ছিলাম ফোক গান আমাকে দিয়ে হবে কিনা। কয়েকবার ভেবেছিলাম গানটা না করি। কি জানি কি হয়। গাওয়ার পর মনে হলো যতটা ভয় পেয়েছিলাম তারচেয়ে ভালো হয়েছে। আমার শ্রােতাদের জন্য এটি হবে একটা নতুন চমক।'

গোলাম রাব্বানী বলেন, হঠাৎ করে একটা মানুষের যদি কথা বন্ধ হয়ে যায় হাসি বন্ধ হয়ে যায়, তখন যে একটা হাঁসফাঁস অবস্থা তৈরি হয় সেই ফিলটাই মূলত এই গানে পাওয়া যাবে।

সুরকার মুরাদ নূর বলেন, গুণী শিল্পী ন্যান্সির প্রথমবার ফোক গান বাঁধা একটু চ্যালেঞ্জই ছিলো। সুরের ক্ষেত্রে আমি আদি ফোকের টাচ রেখেছি। বিচ্ছেদ ও আনন্দ এই দুইয়ের সমন্বয়ের একটা ফ্লেভার পাওয়া যাবে গানটিতে।

সংগীতায়োজক মুশফিক লিটু বলেন, অনেক দিন পর একটা নতুন ধরনের গান করলাম। এটা ঠিক রোমান্টিক বা বিরহর গানও না। কখনো কখনো মনে হতে পারে দুটোই। মজাটা এখানেই। ন্যানসিকে নতুনভাবে পাওয়া যাবে।

গানটি নিয়ে তৈরি হবে একটি মিউজিক্যাল ফিল্ম। শিগগিরই এটি প্রকাশ করা হবে। 

ন্যানসি   ফোক গান   মুরাদ নূর  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

বিয়ের আগেই হানিমুনে মালাইকা!

প্রকাশ: ০৩:৫০ পিএম, ২০ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

অর্জুন মালাইকার সম্পর্ক নিয়ে কম আলোচনা হয় না। দুজনের বয়সের মধ্যে যে বিভেদ রয়েছে সেটি নেটিজেনদের নিকট আলোচ্য বিষয়। আরবাজ খানের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ, অন্যদিকে ছেলের মা হিসেবে নানান কর্তব্য পালন করতে দেখা যায় মালাইকাকে। কিন্তু অর্জুনের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে নানান মন্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায়।

বিয়ে করছেন না কেন? এই প্রশ্ন যে কতবার শুনেছেন তার ঠিক নেই! এক ছেলের মা হওয়ার কারণেই মালাইকাকে নিয়ে বেশি উত্তেজনা সোশ্যাল মিডিয়ায়। কিন্তু আসলেই বিয়ে কবে করছেন? ইন্ডাস্ট্রিতে একে একে বিয়ে সেরেছেন অনেকেই। 

এই  প্রসঙ্গে মালাইকার বক্তব্য, আমরা প্রি হানিমুনে রয়েছি। প্রত্যেকটা মুহূর্ত আমরা উপভোগ করছি। তবে, এখনও বিয়ে কবে করব সেই নিয়ে ভাবনা চিন্তা করলেও সিক্রেট তো থাকেই না। গুরুত্ব দিয়ে ভেবেছি। কিন্তু সব ভাবনা বিয়েতে শুরু আর বিয়েতে শেষ কেন? কিন্তু বিয়ে না করে প্রি হানিমুন! চোখ কপালে নেটজনতার।

অর্জুনের সঙ্গে যে সময় কাটাতে চান একথা আগেই জানিয়েছিলেন। আরবাজ খানের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ, তারপর থেকেই অর্জুনের সঙ্গে প্রেম…মালাইকা জানিয়েছেন, অর্জুনই তাঁর মনের মানুষ। বিয়ের বিষয়ে ভাবলে সেই নিয়ে অবশ্যই খোলাখুলি কথা বলবেন দুজনে। এদিকে, অর্জুনের বন্ধুদের দলে এখন বেশিরভাগই গাঁটছড়া বেঁধেছেন। পরিবারেও এখন অনেকেই সেটেল্ড। কিন্তু বনি কাপুরের পুত্র এখন কবে গাঁটছড়া বাঁধেন সেটাই দেখার।

এদিকে, ছেলের দিকেও সম্পূর্ণ সময় দিচ্ছেন মালাইকা। প্রাক্তন স্বামী আরবাজ এবং তিনি দুজনে মিলেই ছেলের সমস্ত দিকটা সামলান। অভিনেত্রী বলেছিলেন, এই যে বন্ধুত্ব এটাই সবথেকে সুন্দর এবং ভাল। এতে আমরা ভাল আছি।

অর্জুন   মালাইকা  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

দিতি নেই সাত বছর

প্রকাশ: ০৩:২৮ পিএম, ২০ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

চলচ্চিত্রের সোনালি সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পারভীন সুলতানা দিতি ২০১৬ সালের ২০ মার্চ ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে না ফেরার দেশে চলে যান। আজ তাঁর সপ্তম মৃত্যুবাষির্কী। দিনটি স্মরণ করে তার পরিবার বিশেষ আয়োজন করেছে। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে অভিনেত্রীর গ্রামের বাড়িতে দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে। বাংলা ইনসাইডারের  পক্ষ থেকে রইলো এই অভিনেত্রীর প্রতি শ্রদ্ধা। 

সোনারগাঁ পৌরসভার দত্তপাড়া গ্রামের মেয়ে পারভীন সুলতানা দিতি। ছোটবেলা থেকেই তিনি সংগীতের সাথে জড়িত ছিলেন। স্কুলজীবনে স্থানীয় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দিতি ছিলেন পরিচিত নাম। গান গেয়ে সোনারগাঁয়ের দর্শকদের মন জয় করেছেন তিনি।

স্থানীয় স্কুল, কলেজ ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করে বরাবরই তিনি বিভিন্ন পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। একসময় তার প্রতিভা সোনারগাঁয়ের গন্ডি পেরিয়ে ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। পড়াশোনার সুবাদে সোনারগাঁ ছেড়ে দিতি পাড়ি জমান রাজধানী ঢাকায়। পড়াশোনার পাশাপাশি বাংলাদেশ টেলিভিশন ও রেডিওতে নিয়মিত গান করতেন দিতি।

সংগীতজীবনে পারভীন সুলতানা দিতির একাধিক গানের অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে। দিতির প্রথম গানের অ্যালবাম হচ্ছে ‘তোমার ও চোখে’। একসময় দিতির সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে মুগ্ধ হয়ে বিভিন্ন চলচ্চিত্র নির্মাতা তার প্রতি আকৃষ্ট হন।

১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন নতুন মুখের সন্ধানের মাধ্যমে নবাগত নায়ক-নায়িকা বাছাই করে। এতে দক্ষতার সঙ্গে স্থান পান দিতি। দিতিকে নিয়ে তৈরি হয় একের পর এক ব্যবসাসফল চলচ্চিত্র। একজন সংগীতশিল্পী থেকে হয় ওঠেন চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। শুধু তাই নয়, দিতির অসামান্য অভিনয় দক্ষতার কারণে ‘স্বামী-স্ত্রী’ ছবিতে অভিনয় করে অর্জন করেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।

১৯৮৫ সালে আমজাদ হোসেনের ‘হীরামতি’ সিনেমায় চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরীর সঙ্গে অভিনয় করতে গিয়েই প্রেমে পড়েন দুজন। পরে তারা দুজনে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। ১৯৮৭ সালে জন্ম নেন মেয়ে লামিয়া চৌধুরী আর ১৯৮৯ সালে জন্ম নেন ছেলে দীপ্ত। যদিও সোহেল চৌধুরী-দিতির সংসার স্থায়ী হয়নি। তারপর ১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাত দুইটার দিকে বনানীর ট্রাম্পস ক্লাবে খুন হন সোহেল চৌধুরী। পরে দিতি তার সর্বাধিক চলচ্চিত্রের জুটি ইলিয়াস কাঞ্চনকে বিয়ে করলেও সে বিয়েও স্থায়ী হয়নি। আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদের মাধ্যমে সমাপ্তি ঘটে এ সংসারেও।

দিতি অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলো হলো : ‘হীরামতি’, ‘দুই জীবন’, ‘ভাই বন্ধু’, ‘উছিলা’, ‘লেডি ইন্সপেক্টর’, ‘খুনের বদলা’, ‘দুর্জয়’, ‘আজকের হাঙ্গামা’, ‘স্নেহের প্রতিদান’, ‘শেষ উপহার’, ‘চরম আঘাত’, ‘স্বামী-স্ত্রী’, ‘অপরাধী’, ‘কালিয়া’, ‘কাল সকালে’, ‘মেঘের কোলে রোদ’, ‘আকাশ ছোঁয়া ভালোবাসা’, ‘মুক্তি’, ‘কঠিন প্রতিশোধ’, ‘জোনাকীর আলো’, ‘তবুও ভালোবাসি’, ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী’, ‘হৃদয় ভাঙা ঢেউ’, ‘মাটির ঠিকানা’, ‘নয় নম্বর বিপদ সংকেত’ ইত্যাদি।

অভিনেত্রী   পারভীন সুলতানা দিতি  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

ফের সালমানকে খুনের হুমকি, নিরাপত্তা জোরদার

প্রকাশ: ০৩:১৯ পিএম, ২০ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

ফের খুনের হুমকির পাওয়ার পর সালমান খানের নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে। হুমকি দেওয়ার জন্য গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই, গোল্ডি ব্রার এবং অন্য একজনের বিরুদ্ধে আইপিসি ধারা ৫০৬(২), ১২০(বি) ও ৩৪-এর অধীনে বান্দ্রা থানায় একটি মামলাও দায়ের করা হয়েছে।

নিউজ এজেন্সি এএনআই টুইট করে জানিয়েছে, সালমান খানকে ই-মেইলের মাধ্যমে হুমকি দেওয়ার পরে মুম্বাই পুলিশ তার বাড়ির বাইরে নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো করেছে। বান্দ্রা পুলিশ আইপিসির ৫০৬(২), ১২০(বি) ও ৩৪ ধারায় মামলা দায়ের করেছে। এর আগে (১৮ মার্চ) শনিবার মুম্বাই পুলিশ অভিনেতা সালমান খানের অফিসে হুমকিমূলক ই-মেইল পাঠানোর অভিযোগে জেলে থাকা গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই, গোল্ডি ব্রার ও রোহিত গর্গের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।

জানা গেছে, ই-মেইলটি রোহিত গর্গ নামে একজন পাঠিয়েছিলেন এবং উল্লেখ করেছিলেন যে কানাডিয়ান গ্যাংস্টার গোল্ডি ব্রার সালমান খানের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে কথা বলতে চান। এতে গ্যাংস্টার বিষ্ণোইয়ের সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারের কথাও উল্লেখ আছে যেখানে বিষ্ণোই বলেছেন সালমানকে হত্যা করাই তার জীবনের অন্যতম লক্ষ্য।

এদিকে এ ঘটনায় লরেন্স ও গোল্ডির বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। এর আগে লরেন্স, যিনি আপাতত তিহার জেলে আছেন। এক সক্ষাৎাকারে বলেছিলেন, সালমানকে বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের কাছে গিয়ে ক্ষমা চাইতে হবে। তার জন্য যেতে হবে তাদের গ্রামের মন্দিরে। অন্যথায় পরিণতির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।

লরেন্সের জাতি কৃষ্ণসার হরিনকে তাদের গ্রামের লোক দেবতা রূপে পূজা করে। সেই হরিণ মেরে বড় অন্যায় করেছেন খান। গোটা বিষ্ণোই সম্প্রদায়কে আঘাত দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালে সালমান খানের ওপর যোদপুরে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ ফিল্মের শুটিং চলাকালীন দুটি কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার অভিযোগ রয়েছে। তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডও দেওয়া হয়েছিল।

সালমান খান  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

ধর্ষক হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার পুলিশ রিপোর্টে শাকিব খানের নাম

প্রকাশ: ০৩:১০ পিএম, ২০ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

চলচ্চিত্রপাড়া গেল কয়েকদিন ধরেই সরগরম চিত্রনায়ক শাকিব খানের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী এক প্রযোজকের কিছু অভিযোগ নিয়ে। রহমত উল্লাহ নামের ওই প্রযোজকের দাবি, তিনি শাকিব খান অভিনীত ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার প্রযোজক। শাকিব খানের বিরুদ্ধে তিনি অসদাচরণ, মিথ্যা আশ্বাস ও ধর্ষণের মতো গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। 

১৫ মার্চ প্রযোজক রহমত উল্লাহ লিখিত আকারে বিস্তর অভিযোগ জমা দেন প্রযোজক-পরিবেশক, পরিচালক, শিল্পী সমিতি ও ক্যামেরাম্যান সমিতিতে। এরপর বিষয়টি সমঝোতার চেষ্টায় ১৬ মার্চ ঢাকার একটি রেস্তোরাঁয় বসেন শাকিব খান ও রহমত উল্লাহ। সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রযোজক নেতা খোরশেদ আলম খসরু, চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাসও। কিন্তু সেখানে কোনো সমঝোতার হয়নি।

গত ১৮ মার্চ অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে গেছেন প্রযোজক রহমত উল্লাহ। সেদিন রাতে তার বিরুদ্ধে মামলা করতে গুলশান থানায় শাকিব। প্রায় দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা বসে থেকে তিনি মামলা না করেই ফিরে আসেন। এরপর গতকাল তিনি ডিবি কার্যালয়ে গিয়ে মামলা করেছেন বলে জানা গেছে। সেসময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে শাকিব দাবি করেন, ওই প্রযোজক ভুয়া, মিথ্যাবাদী। তিনি শাকিবের নামে মিথ্যাচার করে পালিয়ে গেছেন। 

তার বিপক্ষেও অস্ট্রেলিয়া থেকে মন্তব্য করেছেন প্রযোজক রহমত উল্লাহ। তিনি বলেন, ‘আমি পালিয়ে আসিনি। কাজের টানেই অস্ট্রেলিয়া এসেছি। কারো ভয়ে পালিয়ে আসিনি। আমি আবার আসব। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই হয়তো সকল প্রমাণ নিয়ে দেখা হচ্ছে।’

এদিকে গণমাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ান পুলিশের একটি রিপোর্ট পাঠান প্রযোজক। ২৬ পৃষ্ঠার সেই পিডিএফ ফাইলে দেখা যায়, বর্বর এক ধর্ষণের বর্ণনা। পুলিশের নথিতে উঠে এসেছে মামলার বাদী ধর্ষণের শিকার হওয়া নারী অ্যানি সাবরিন নিজেই। মামলার স্বাক্ষী প্রযোজক রহমত উল্লাহ। যাকে রিপোর্টে অ্যানির ‘আংকেল’ উল্লেখ করা হয়েছে। মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তার নাম ম্যাথিউ জন ক্রুকসন।

মামলাটি করা হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের সেন্ট জর্জ পুলিশ স্টেশনে। রিপোর্টে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত শাকিব খান ওরফে রানা। ক্যারিয়ারের প্রথমবার অস্ট্রেলিয়া গিয়েই এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন ঢাকাই সিনেমার এই নায়ক। শাকিব খানের বিষয়ে পুলিশ রিপোর্টে এমন তথ্যই মিলেছে। 



পুলিশ রিপোর্টে আরও জানা যায়, ২০১৬ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর রাতে নভোটেল দ্য গ্র্যান্ড প্যারেড অ্যাপার্টমেন্ট ৭২১ ব্রাইটন লা স্যান্ডস হোটেল কক্ষে রাত ২টা থেকে ৪টা পর্যন্ত, দুই ঘণ্টা অ্যানিকে ধর্ষণ করেন শাকিব খান। সেসময় ওই নারীর ওপর পাশবিক নির্যাতন চালান ঢালিউডের শীর্ষ নায়ক। 

অস্ট্রেলিয়ার পুলিশ ইনভেস্টিগেশন করে মেডিকেল রিপোর্ট অনুযায়ী, ধর্ষণকারী শাকিব খান মাতাল হয়ে অ্যানি সাবরিনকে যোনি ও পায়ুপথে নির্মমভাবে যৌনচার চালিয়েছেন। 

পুলিশ সেই প্রতিবেদনে আরও বলেছে, শাকিব খান রানা একজন বাংলাদেশি চলচ্চিত্র অভিনেতা। ভুক্তভোগী অ্যানি সাবরিন তার আঙ্কেল রহমত উল্লাহ’র ফিল্ম প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানে প্রডিউসার হিসেবে কাজ করেন। সাবরিন ও উল্লাহ বাংলাদেশি সিনেমার কাজ শুরু করেছে। যার শুটিং অস্ট্রেলিয়া, থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশে হবে। অস্ট্রেলিয়ায় শাকিব খানের সঙ্গে অ্যানি সাবরিনের প্রথম দেখা হয়  ২০১৬ সালের ৩১ আগস্ট। এরপর থেকে অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়া শাকিব খানের নিয়মিত ট্রান্সপোর্ট, হোটেল, খাওয়া-দাওয়া ও যাবতীয় বিষয়াদি দেখাশোনা করেন অ্যানি।

এই পুলিশ রিপোর্টের বিষয়ে জানতে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে শাকিব খানের কাছ থেকে কোনো সাড়া মেলেনি।

ধর্ষণ   শাকিব খান  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন