কালার ইনসাইড

প্রতিমন্ত্রী থেকে 'রকস্টার' ডা. মুরাদ হাসান, মাতালেন মঞ্চ

প্রকাশ: ০৪:৪৪ পিএম, ২৮ নভেম্বর, ২০২১


Thumbnail প্রতিমন্ত্রী থেকে 'রকস্টার' ডা. মুরাদ হাসান , মাতালেন মঞ্চ

যিনি রাজনীতির মঞ্চে কথার ঝড় তোলেন। বক্তৃতায় মাঠ কাঁপান। সেই তথ্য প্রতিমন্ত্রী যে সাংস্কৃতিক মঞ্চেও 'রকস্টার' হয়ে নাচে-গানে মাতিয়ে তুলতে পারেন। সেটা আর একবার প্রমাণ করলেন অভিনয়শিল্পী সংঘের সাধারণ সভায় অতিথি হয়ে আসা তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান।

যদিও কিছুদিন আগে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। সেখানে ডা. মুরাদকে গাইতেও দেখা গিয়েছিল। সবাইকে অবাক করে দিয়ে বক্তৃতা শেষ করে আবার মঞ্চে এলেন। গাইলেন একে একে অনেকগুলো গান।

সঙ্গীতানুষ্ঠানে অভিনেত্রী তারিনের সঙ্গে মঞ্চে ওঠেন ডা. মুরাদ। দুজনে কণ্ঠ মেলান একসঙ্গে। গাইলেন 'আমায় ডেকো না, ফেরানো যাবে না, ফেরারি পাখিরা...'। অভাবনীয় সাফল্য, শিল্পকলার মূল মিলনায়তন মুহূর্মূহু করতালিতে ভরে গেল। দেয়ালে হতে লাগলো প্রতিধ্বনি। একজন অভিনেত্রী আরেকজন রাজনীতিক। দুজন সঙ্গীতে এসে যে পারফর্ম করলেন তাতে মুগ্ধতা বেড়ে গেল দর্শকের, সেই সঙ্গে চাহিদা। গানের অনুরোধ পেতে থাকলেন প্রতিমন্ত্রী মুরাদ।

এবার তিনি একা দাঁড়ালেন। কি বোর্ড, ড্রাম, প্যাড, লিড গিটার, বেজ গিটার চেক করে নিলেন। চলে এলেন মঞ্চের একেবারে সামনে, চিরপরিচিত রকস্টারের ভূমিকা অবতীর্ণ হলেন। কণ্ঠে নামলো সুর-ঐ দূর পাহাড়ের ধারে, দিগন্তেরই কাছে, নিঃসঙ্গ বসে একটি মেয়ে, গাইছে, আপন সুরে... সামনের সারির দর্শকেরা উঠে পড়েছে।

নাচের সুর শরীরকে স্থির রাখতে পারলো না... উর্মিলা শ্রাবন্তী, বিজরী বরকতুল্লাহ, সুইটি... সকলেই মিলে মঞ্চের সামনেই মেতে উঠলে নাচে। আর বাকি দর্শকদের কণ্ঠে প্রতিধ্বনিত হতে থাকলো 'আপন সুরে, আপন সুরে, আপন সুরে...'

নাচে গানে যখন মাতোয়ারা সবাই। তখন শুরু হলো ওরে মালেকা ওরে সালেকা, 'ওরে ফুলবানু পারবি না বাঁচাতে...' প্রাণ রায়, মামুন অপু বা আরো অনেক শিল্পীই উঠে এসেছেন মঞ্চে। মন্ত্রীকে ঘিরে শুরু করে দিয়েছেন নাচ।

যেন এক সুরের লহরী ঘুরছে মিলনায়তনেরে ঘরে। রীতিমতো একজন ব্যান্ডের মূল ভোকালিস্ট হয়ে উঠেছেন ডা. মুরাদ কিংবা একজন রকস্টার।

ক্লান্থিবিহীন কণ্ঠে এবার চড়লো আজম খানের বিখ্যাত বাংলাদেশ গান। রেললাইনের ওই বস্তিতে, জন্মে ছিল একটি ছেলে মা তার কাঁদে, ছেলেটি মরে গেছে, হায়রে হায় বাংলাদেশ... বাংলাদেশ... বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার দেয়ালে দেয়ালে ইটে ইটে ছড়িয়ে পড়লো বাংলাদেশ...

তারও অনেক পরে রন এন রোল থেমেছিল। শিরোনামে রকস্টার এসেছে, 'যেন রকস্টার' প্রতিমন্ত্রী বলতেই পারেন যেন রকস্টার কেন? আমি তো রকস্টার। তার এই কথাকে ফেলে কিভাবে দেওয়া যাবে, কারণ তিনি সত্যিই একটি ব্যান্ডের লিড ভোকালিস্ট। ব্যান্ডের নাম রকস্ট্রিট। এটাও জানালেন যে এই নাট্যশালায় একদম বিনামূল্যে তাঁর দলের কনসার্ট করবেন।



মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

'সেই ভয়ংকর মানুষকেই তো বিয়ে করে বাচ্চা নিলো পরী'

প্রকাশ: ০৫:৫৪ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

গত ২০ সেপ্টেম্বর রাতে ফেসবুক স্ট্যাটাসে ডিভোর্সের বিষয়টি নিশ্চিত করেন পরীমনি। পাশাপাশি রাজের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ করেন। তাকে ভয়ংকর মানুষ বলেও মন্তব্য করেন পরীমনি। অবশেষে এসব বিষয়ে মুখ খুললেন শরিফুল রাজ।

এ অভিনেতা বলেন— আমরা কেউই শিশু নই। আমার স্বার্থটাই বা কিসের? আমি যেহেতু ভয়ংকর মানুষ, সেই ভয়ংকর মানুষকেই তো দেখছি বিয়ে করল, সংসার করে বাচ্চাও নিল! আমাকে ডিভোর্স দিয়েছে ভালো কথা, কিন্তু আমাকে নিয়ে মিথ্যাচার না করলে ভালো হয়। কারণ আমার একটা পরিবার আছে। সেখানে মা–বাবা, আত্মীয়-স্বজন, পাড়া–প্রতিবেশী সবাই আছেন।

রাজের দাবি পরীমনি মিথ্যাচার করছেন। তার ভাষায়, একটা কথা পরিষ্কার করে বলতে চাই, আমি বিয়ের পর পরী বা বাবুকে ছাড়া অন্য কিছু ভাবিনি। একটা বছর আমি আমার কাজ থেকে দূরে ছিলাম। আশপাশের কারও ফোন কল ধরিনি। কারও সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করিনি। যতটুকু পেরেছি স্ত্রী ও সন্তানের যত্ন করার চেষ্টা করেছি। আমাকে নিয়ে পরীর এ ধরনের মিথ্যাচার করার সুযোগ নেই। আমি এমন কিছু করিনি, যার জন্য প্রশ্নবিদ্ধ হতে হবে। আমি বারবার হেনস্তা হয়েছি। এসব নিয়ে আর বলতেও চাই না। পরী এখন যেটা চাচ্ছে, সেটার প্রতি আমার শ্রদ্ধা আছে। এর বাইরে অন্য অভিযোগ এলে তা প্রশ্রয় দিতে চাই না।

পরীমনি তার স্ট্যাটাসের এক জায়গায় লিখেছেন, ঘটনার সে পুনরাবৃত্তি করেছে। বারবার। সরি বলা, না খেয়ে থাকা, পা ধরে মাফ করে দাও, আর হবে না— এমনকি সুইসাইডের মতো হুমকিতেও ব্ল্যাকমেলের শিকার হতে হয়েছে আমাকে।

পরীমনির এসব অভিযোগ অস্বীকার করে রাজ বলেন, আমি এসবের কিছুই করিনি। আমার নামে এসব মিথ্যাচার। এটা পরীমনি, তার সঙ্গে বারবার এ রকম কিছু হবে; বারবার সে ক্ষমা করে দেবে! এটা পরীমনি নয়। আমি স্ট্রংলি বলছি, পরীমনির সঙ্গে এমন কিছু করিনি যে বারবার আমাকে অনুতপ্ত হতে হবে। তালাকের নোটিশের পর পরীমনি যে ধরনের মিথ্যচার করছে, এগুলো ঠিক না। এগুলো বাদে সে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তার প্রতি শ্রদ্ধা–ভক্তি সবই আছে।

তিনি আরও বলেন, পরীমনি আমার এক্স ওয়াইফ, আমার সন্তানের মা, তাকে নিয়ে আমি আসলে এর বাইরে কোনো কথা বলতে চাই না। সন্তানের মা বলেই তো কখনও কোনও কিছু নিয়ে মুখ খুলিনি। আমি আসলে কখনও কিছু বলতে চাইনি বলেই, এটার সুযোগ সবাই সব সময় নিয়েছে। পরীমনি আমার সন্তানের মা, ওকে সেই সম্মান দেওয়া উচিত। পরীমনি যেভাবে এখন ভালো থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেভাবেই থাকুক।

পরীমনির পাঠানো ডিভোর্স লেটার হাতে পেয়েছেন রাজ। বাকি যে প্রক্রিয়া তা নিয়ম অনুযায়ী সম্পন্ন হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর বিয়ে করেন চিত্রনায়িকা পরীমনি ও চিত্রনায়ক শরিফুল রাজ। তবে পারিবারিকভাবে ২০২২ সালের ২২ জানুয়ারি ঘরোয়াভাবে আবার তাদের বিয়ে হয়। ২০২২ সালের ১০ আগস্ট তাদের ছেলে শাহীম মুহাম্মদ রাজ্যের জন্ম হয়।



পরীমনি   রাজ   রাজ্য   ডিভোর্স  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

পরীমণির ডিভোর্সের সিদ্ধান্তে রাজ বললেন ‘আলহামদুলিল্লাহ’

প্রকাশ: ০৫:৩৬ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

১৮ সেপ্টেম্বর স্বামী শরীফুল রাজকে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়েছেন জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা পরীমণি। বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন রাজ। তিনি পরীর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। ডিভোর্স লেটার হাতে পেয়েছেন জানিয়ে রাজ গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমার প্রাক্তনের পাঠানো চিঠি (ডিভোর্স লেটার) হাতে পেয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ! তার এই সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাচ্ছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘পরীকে ধন্যবাদ দিতে চাই আমার জীবনের সেরা অর্জন রাজ্যকে উপহার দেওয়ার জন্য। রাজ্যের জন্য যা কিছু ভালো, বাবা হিসেবে আজীবন তা করার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। আমার শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছে অনুরোধ, আমার বাচ্চার মায়ের অসম্মান হয় এমন কোনো কাজ থেকে বিরত থাকবেন আশা করি। একই সঙ্গে আগামীতে আমার ব্যক্তিগত জীবন একান্তই আমার থাকবে, সেই চেষ্টায় আপনাদের সহযোগিতা আশা করছি ‘

উল্লেখ্য, ২০২১ সালে গুণী নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ‘গুণিন’ সিনেমার সেটে শরিফুল রাজ-পরীমণির পরিচয় ও প্রেম হয়। একই বছরের ১৭ অক্টোবর ঘরোয়া আয়োজনে বিয়ে করেন। ২০২২ সালের ১০ আগস্ট এই দম্পতির ঘর আলো করে আসে পুত্রসন্তান শাহীম মুহাম্মদ রাজ্য। এর এক বছর পরই আলাদা হয়ে গেল এই দম্পতি।

শরীফুল রাজ   চিত্রনায়িকা পরীমণি  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

পরীর ডিভোর্স লেটার গ্রহণ করেছেন রাজ

প্রকাশ: ০৫:৪১ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

পরীমণির বিচ্ছেদ নোটিশ হাতে পেয়েছেন শরিফুল রাজ। গণমাধ্যমকে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন এ অভিনেতা। রাজ বলেন, ‘আমার প্রাক্তনের পাঠানো চিঠি হাতে পেয়েছি। তার এই সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাচ্ছি। আমি ধন্যবাদ দিতে চাই আমাকে আমার জীবনের সেরা অর্জন রাজ্যকে উপহার দেওয়ার জন্য। রাজ্যের জন্য যা কিছু ভালো, বাবা হিসেবে আজীবন তা করার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেছেন,  ‘প্রিয় শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছে অনুরোধ, আমার বাচ্চার মায়ের অসম্মান হয়, এমন কোনো কাজ থেকে বিরত থাকবেন আশা করি। একইসঙ্গে আগামীতে আমার ব্যক্তিগত জীবন একান্তই আমার থাকবে। সেই চেষ্টায় আপনাদের সহযোগিতা আশা করছি।’

এর আগে ১৮ আগস্ট শরিফুল রাজকে ডিভোর্স লেটার পাঠান পরীমণি। এরপর ২০ সেপ্টেম্বর বিষয়টি জানাজানি হয়। 

বিচ্ছেদের কারণ হিসেবে মনের অমিল হওয়া, বনিবনা না হওয়া, খোঁজখবর না নেওয়া ও মানসিক অশান্তির কথা উল্লেখ করেছেন পরীমণি। এ ছাড়া পরে গণমাধ্যমের কাছে তার আইনজীবী জানান, রাজের নারী আসক্তিও বিচ্ছেদের অন্যতম প্রধান কারণ। 

মুসলিম আইন অনুযায়ী তিন মাস পর এই ডিভোর্স কার্যকর হয়ে যাবে। তবে চাইলে এখনও নতুনভাবে সংসার শুরু করতে পারবেন রাজ-পরী। 

২০২২ সালের ১০ জানুয়ারি প্রকাশ্যে আসে রাজ-পরীর সম্পর্কের খবর। গত বছরের ২২ জানুয়ারি দুই পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে ১০১ টাকার দেনমোহরে ঘরোয়া আয়োজনে তাঁদের বিবাহ সম্পন্ন হয়। ২১ জানুয়ারি হয় তাদের গায়েহলুদের অনুষ্ঠান। সংসারজীবনের ১০ মাসের মাথায় তাঁর কোলজুড়ে আসে সন্তান তাদের প্রথম সন্তান রাজ্য। 

দেড় বছরের দাম্পত্য জীবনে নানা ঘটনা আলোচনায় এসেছেন এই তারকা দম্পতি। কখনও বিদ্যা সিনহা মিম, কখনও সুনেরাহ বিনতে কামালসহ অন্য কাউকে ঘিরে রাজের প্রতি সন্দেহের তির ছুড়েছেন পরীমণি। এসব নিয়ে কম জল ঘোলা হয়নি।



পরী   ডিভোর্স   রাজ  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

জিডির বিষয়ে নিয়ে এবার মুখ খুললেন অপু বিশ্বাস

প্রকাশ: ০৪:৩২ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

সম্প্রতি চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস ও তার অ্যাডমিন জাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে হাতিরঝিল থানায়, ইউটিউব চ্যানেল হ্যাক করে বন্ধ করার অভিযোগ দিয়ে প্রযোজক সিমি ইসলাম কলি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

বিষয়টি নিয়ে অপু বিশ্বাসের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বাংলাইনসাইডারকে বলেন, ‘আবেদনকারী তো আমার যোগ্যই নয়। তাঁর সম্পর্কে কী বলব? আমার অ্যাডমিনের যোগ্যতার কাতারে সে। তাই আমার অ্যাডমিনই বিষয়টি দেখছেন। আমার  চ্যানেলের কনটেন্ট চুরি করে তিনিই আবার আমাদের বিরুদ্ধে জিডি করেন। এটি হাস্যকর। তাঁর চ্যানেল তো সাসপেন্ড করেছে ইউটিউব কর্তৃপক্ষ। এখানে আমাদের কী?’

অপু বিশ্বাস আরও বলেন, ‘শুনেছি, আমাকে হেয় করে কথা বলেন তিনি। ওনার কী যোগ্যতা আছে আমাকে নিয়ে কথা বলার? কোথায় আগরতলা, কোথায় চৌকির তলা! এসব মানুষের জন্যই তো আমাদের চলচ্চিত্রের এই দুর্দশা। আমাকে বলা হয়, আমি নাকি ফিতা কাটি নায়িকা। আরে যোগ্যদেরই তো এ ধরনের অনুষ্ঠানে ডাকা হয়। তারকা ভ্যালুর কারণেই আমাদের মতো তারকাদের দিয়ে এ ধরনের অনুষ্ঠান করা হয়। দেখেন না, ক্রিকেটের বড় বড় তারকাকেও নতুন প্রতিষ্ঠানে উদ্বোধন, ফিতা কাটতে ডাকা হয়।’

অপু বিশ্বাস প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘তাহলে তাঁকে ডাকে না কেন? কারণ, ওনার সেই যোগ্যতা নেই। আমাকে নিয়ে কথা বলার সাহস তাঁকে কে দিয়েছে?’ অপু জানান, মাস দেড়েক আগের ঘটনা। ‘অপু বিশ্বাস’ ও ‘অপু বিশ্বাস অফিশিয়াল’ থেকে দুটি কনটেন্ট হুবহু কপি করে ‘এসকে ফিল্মস ইন্টারন্যাশনাল’ নামে একটি ইউটিউব চ্যানেলে প্রচার করা হচ্ছে। পরে জানতে পারেন, এই চ্যানেলের মালিক সিমি ইসলাম কলি। তিনি নাকি প্রযোজক ও নায়িকা। আগে তাঁকে চিনতেন না অপু। তিনি বলেন, ‘যেহেতু আমাদের চ্যানেলের কনটেন্ট আমি নিয়ম করে একটা স্ট্রাইক মারি। এর তিন–চার দিন পর দেখি, আরও তিন-চারটি  ভিডিও তাঁর চ্যানেলে চালাচ্ছে। পরে আমি আরও স্ট্রাইক মারি। এরপর ইউটিউব টিম যাচাই–বাছাই করে ওনার চ্যানেল থেকে আমার ভিডিওগুলো সরিয়েছে ফেলে।

এদিকে অপু বিশ্বাসের অ্যাডমিন জাহিদুল ইসলাম বলেন  সিমি ইসলাম কলি আমাকে ফোন দিয়ে বলেন, “তুই কি আমার চ্যানেল স্ট্রাইক দিয়েছিস? তুই আমার চ্যানেলে স্ট্রাইক দেওয়ার কারণে আমার চ্যানেল বাদ হয়ে গেছে।” আমি ( জাহিদুল ইসলাম)  বললাম, আপু, স্ট্রাইক খেলে তো চ্যানেল বাদ হবেই। আপনি অন্য চ্যানেল থেকে ভিডিও কপি করে চালাচ্ছেন। আপনি অনুমতি নিয়েছেন? তখন তিনি বলেন, “আমি প্রযোজক, আমি নায়িকার ভিডিও চালাতেই পারি। অনুমতি নিতে হবে কেন?” তখন আমি বলি, না, ইউটিউবে এ ধরনের কোনো রুল নেই যে প্রযোজক নায়িকার ভিডিও ব্যবহার করলে কোনো ক্ষতি হবে না। এই ফুটেজ তো আপনার কোনো সিনেমার নয়। ফুটেজগুলো অপু বিশ্বাসের সন্তান আব্রামের ও পরীমনির ছেলের জন্মদিনের অনুষ্ঠানের। আপনি অনুমতি ছাড়া ভিডিও ব্যবহার করেছেন, আমি স্ট্রাইক দিয়েছি। এখন আপনি ইউটিউব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে পারেন। এরপরও তিনি বলেন, “আমি এত কিছু বুঝি না। তুই স্ট্রাইক তুলে দে।” এরপর আমি ফোন রেখে দিয়েছি। এরপর থেকেই তিনি আমাকে নানাভাবে ফোনে, হোয়াটসঅ্যাপে বিরক্ত করতে থাকেন। কখনো কখনো হুমকিও দেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘এর কিছুদিন পরে আমাকে আবার ফোন দিয়ে তিন বলেন, “তুই কি স্ট্রাইকগুলো তুলবি না?” আমি বলি, না, আমি তুলব না। কারণ, আমি এসবের অ্যাডমিন, মালিক নয়। তখন তিনি বলেন, “দেখ, বেয়াদবি করার কারণে নায়িকা দিঘীকে হাইকোর্ট দেখিয়েছি। তুই যদি স্ট্রাইক না তুলিস, তোকে জেল খাটাব।” আমি তাঁকে বললাম, অপরাধ তো করেছেন আপনি। উল্টো আমাকে ভয় দেখাচ্ছেন কেন? এরপর অপু বিশ্বাসের সঙ্গে কথা বলছি বলে ফোন রেখে দেন তিনি। চার-পাঁচ দিন পরে জানতে পারলাম আমাদের নামে জিডি করেছেন ওই প্রযোজক।’



অপু বিশ্বাস   চলচ্চিত্র   নায়িকা   জিডি   সিমি ইসলাম কলি  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

‘অন্তর্জাল’ মুক্তি পাচ্ছে আজ, সিনেমাটি নিয়ে যা বললেন নির্মাতা

প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

সাইবারজগতের কারিকুরি নিয়ে নির্মিত 'অন্তর্জাল' সিনেমাটি মুক্তি পাচ্ছে আজ শুক্রবার (২২ সেপ্টম্বর)। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে একই দিনে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার দেড় শ হলে প্রদর্শিত হচ্ছে সিনেমাটি। বলা হচ্ছে, এটিই বাংলাদেশের প্রথম সাইবার থ্রিলার সিনেমা।

‘অন্তর্জাল’ নিয়ে নির্মাতা দীপংকর বাংলা ইনসাইডারকে বলেন, এই সিনেমায় এমন কিছু বিষয় তুলে আনা হয়েছে, যেগুলো বাংলা সিনেমায় আগে আসেনি। এছাড়া‘হ্যাকাথন নিয়ে সাধারণ মানুষের খুব একটা ধারণা নেই। বাংলাদেশের সিনেমায় এটি সেভাবে আসেনি। আমি নিজেও হ্যাকাথন সম্বন্ধে খুব একটা জানতাম না। গবেষণা করতে গিয়ে জানলাম, বাংলাদেশে হ্যাকাথন কতটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। দেশে বহু প্রোগ্রামার রয়েছেন, তবে প্রোগ্রামারের জীবনসংগ্রামকে চলচ্চিত্রে দেখিনি। পর্দায় আশপাশের সেই না–দেখা গল্পই তুলে ধরেছি।’ বলেন দীপন।

লুমিনকে রাজশাহীতে গিয়ে ‘কুড়িয়ে’ পেয়েছেন দীপন, তাঁর আদলে চরিত্রটি নির্মাণ করা হয়েছে। এই চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেতা সিয়াম আহমেদ। নিশাদ চরিত্রে বিদ্যা সিনহা মিম, প্রিয়ম চরিত্রে রয়েছেন সুনেরাহ বিনতে কামাল।

ঢাকা অ্যাটাক, অপারেশন সুন্দরবন নির্মাতা দীপনের ভাষ্য, ‘মানুষ সিনেমা হলে শিখতে আসেন না, অভিজ্ঞতা নিতে আসেন। এটা এই সিনেমায় আছে। মিম বাইরে থেকে পড়াশোনা করে দেশে এসে সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করেন। এই চরিত্রটিও আমাদের চারপাশেই আছে। তবে এই চরিত্রটা আগে দেশের সিনেমায় দেখিনি কেউ।’

আর ‘যতক্ষণ দেখবেন, মনে হবে অন্য এক জগতে আছেন। গল্পের মধ্যে মোচড় আছে, গল্পটাও আনপ্রেডিক্টেবল; স্মার্ট পরিবেশনা, ভালো চরিত্র, আবেগ—দর্শকের পছন্দ করার মতো সবই আছে।’

নিজের চরিত্র নিয়ে সিয়াম বলেন, ‘ছবিটি দেখে তরুণেরা লুমিন হতে চাইবেন।’সরকারের আইসিটি ডিভিশনের উদ্যোগে নির্মিত সিনেমাটি প্রযোজনা করেছে মোশন পিপল স্টুডিও ও স্পেলবাউন্ড লিও বার্নেট। পরিচালনার পাশাপাশি সিনেমার চিত্রনাট্যও লিখেছেন দীপন। যৌথভাবে গল্প লিখেছেন সাইফুল্লাহ রিয়াদ ও আশা জাহিদ; সংলাপও লিখেছেন রিয়াদ।

সিনেমাটি ঢাকার স্টার সিনেপ্লেক্স, ব্লকবাস্টার সিনেমাসসহ দেশের ৪০টি সিনেমা হলে মুক্তি পাচ্ছে। দেশে সিনেমাটি পরিবেশনা করছে দ্য অভি কথাচিত্র। কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রে পরিবেশনা করছে স্বপ্ন স্কেয়ারক্রো।


অন্তর্জাল   মিম   সিয়াম   নির্মাতা দীপংকর  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন