নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৪০ পিএম, ২৫ জুলাই, ২০২১
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জের সখিপুরে ৪৪নং তারাবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আযহারুল ইসলাম বেপারীর (৫৬) বিরুদ্ধে এক সহকারী শিক্ষিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গতকাল শনিবার (২৪ জুলাই) প্রধান শিক্ষক বিরুদ্ধে সখিপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষিকা।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ওই সহকারী শিক্ষিকার সঙ্গে প্রধান শিক্ষক আযহারুল ইসলামের দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। গত ২২ জুলাই বিকেলে প্রধান শিক্ষক আযহারুলের স্ত্রী ও সন্তান তার শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে যায়। বাড়ি ফাঁকা থাকায় রাতে প্রধান শিক্ষক আযহারুল ওই শিক্ষিকাকে ফোন করে তার বাড়িতে আসতে বলেন।
আযহারুলের কথামতো রাত ১০টার দিকে ওই শিক্ষিকা সেখানে আসেন। তখন বিয়ের আশ্বাস দিয়ে একটি কক্ষে ওই শিক্ষিকাকে ধর্ষণ করেন আযহারুল। পরে বিয়ের কথা বললে আযহারুল ওই শিক্ষিকাকে চুপচাপ বাড়ি চলে যেতে বলেন। তবে ওই শিক্ষিকা বিয়ে না করা পর্যন্ত বাড়ি থেকে যেতে অস্বীকৃতি জানালে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়।
একপর্যায়ে শিক্ষিকাকে জোর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার চেষ্টা করলে স্থানীয়রা টের পেয়ে তাদের হাতেনাতে ধরে ফেলে। পরে শিক্ষিকাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয় ওই প্রধান শিক্ষক ও তার আত্মীয়রা।
এ ঘটনায় দুইদিন পরে গতকাল শনিবার (২৪জুলাই) প্রধান শিক্ষক আযহারুল ইসলাম বেপারীকে আসামী করে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন ওই নারী। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন প্রধান শিক্ষক আজাহারুল ইসলাম বেপারী।
সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ওই নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা নেওয়া হয়েছে। ভুক্তভোগী শিক্ষিকার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আর মামলার অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আযহারুলকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সরকার নির্ধারিত দামের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করে গরুর মাংস বিক্রি করতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাংস বিক্রেতারা।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের বেশ কয়েকটি বাজারে মাংস বিক্রির দোকান বন্ধ থাকতে দেখা যায়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা।
জানা যায়, সোমবার থেকে শহরের মাংস বিক্রেতারা বিক্রি বন্ধ রেখে সরকার নির্ধারিত দামের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করে প্রতিবাদ জানান।
দাম পুনঃবিবেচনা না করা পর্যন্ত মাংস বিক্রি বন্ধ রাখার কথা জানিয়েছেন তারা। তবে, কেউ যদি সরকার নির্ধারিত দামে মাংস বিক্রি করতে চাইলে তাতে বাঁধা দেওয়া হবেনা বলেও ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
শহরের প্রধান বাজার আনন্দ বাজার, ফারুকি বাজার, মেড্ডা বাজার, মৌড়াইলের বৌ বাজার, কাউতলী বাজারসহ জেলা শহরের অন্তত ৩ শতাধিক দোকানে গরুর মাংস বিক্রি বন্ধ রয়েছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, সোমবার সকালে কৃষি বিপনন অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে মাংসের দোকানে লিফলেট বিতরণ করা হয়। লিফলেটে গরুর মাংস ব্যবসায়ীদের ৬৬৪ টাকা ৩৯ পয়সা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। অথচ খামার বা ব্যাপারিদের কাছ থেকে প্রতি কেজি গরুর মাংস চামড়াসহ ক্রয় করতে হচ্ছে ৭২০ টাকা দরে। খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি মাংস ব্যবসায়ী বিক্রয় করে ৭৫০ টাকা দরে।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মাংস ব্যবসায়ী মালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক ফারুক আহমেদ জানান, তাদের দাবির বিষয়টি জেলা প্রশাসকের কাছে তুলে ধরা হবে।
এ দিকে বাজারে ক্রেতারা এসে মাংস কিনতে না পেরে তারা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, মাংস ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে চাচ্ছে, অন্য শহরের অন্যান্য ব্যবসায়ীরা যদি সরকার নির্ধারিত দামে মাংস বিক্রি করে লাভ করতে পারেন তাহলে এখানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাংস ব্যবসায়ীরা লাভ করতে পারবেন না কেন।
মন্তব্য করুন
কক্সবাজারের টেকনাফ হ্নীলার ছোয়াদ বিন আব্দুল্লাহ (৬) নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থী অপহরণের ঘটনা ঘটে। অপহরণের ৯ দিন পরও উদ্ধার করা যায়নি অপহৃত শিক্ষার্থীকে। এরই মধ্যে অপহৃত শিশুর পরিবারে ফোন করে ২০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে অপহরণকারীরা। এনিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় রয়েছে শিশুর স্বজনরা। এ ঘটনায় চক্রের ১ নারী সদস্যসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হলেও এখনও উদ্ধার করা যায়নি অপহৃত শিশুকে।
গত ৯ মার্চ দুপুরে ক্লাস শেষে বাড়ী ফিরছিল আবু হুরাইরা (রাঃ) মাদ্রাসার শিশু শিক্ষার্থী ছোয়াদ বিন আব্দুল্লাহ। মাদ্রাসার কিছুটা দূরে পৌঁছলে পথিমধ্যে তাকে থামিয়ে বোরকা পরিহিত এক নারী দুর্ঘটনায় মায়ের মাথা ফেটে যাওয়ার কথা জানায়। দুপুরে হাসপাতালে মাকে দেখতে যাওয়ার কথা বলে ছোয়াদ বিন আব্দুল্লাহ’কে ওই নারী অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ওইদিন সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী শিশুর মা নুরজাহান বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় এজাহার দায়ের করেন। পরে পুলিশ অভিযোগের প্রাথমিক তদন্তের পর ১০ মার্চ মামলাটি নথিভুক্ত করেন।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)ওসমান গনি বলেন, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় অপহৃত শিশু ছোয়াদ বিন আব্দুল্লাহ এর মা নুরজাহান বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামী করে থানায় এজাহার দায়ের করেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল ও আশপাশের সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করার পাশাপাশি গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রাখে। এক পর্যায়ে পুলিশ সিসিটিভির ফুটেজ দেখে অপহরণের ঘটনার কাজে ব্যবহৃত অটোরিকশাটি চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়। পরে গত ১০ মার্চ সন্ধ্যায় কক্সবাজার শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় অভিযান চালিয়ে অটোরিকশাসহ চালক নাছির উদ্দিনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।’
পরবর্তীতে সিসিটিভি ফুটেজ ও গ্রেপ্তার অটোরিকশা চালকের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, মঙ্গলবার (১২ মার্চ) টেকনাফ উপজেলার মোচনী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত আরও ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে বলেও তিনি জানান।
তিনি আরও বলেন, ‘গ্রেপ্তার আসামিদের মধ্যে উম্মে সালমা ঘটনায় জড়িত থাকার দায় স্বীকার করে বুধবার (১৩ মার্চ) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এছাড়া ঘটনায় গ্রেপ্তার আসামিদের দেওয়া তথ্য মতে জড়িত অন্যদেরও ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
এদিকে ঘটনায় জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার ও অপহৃত মাদ্রাসা ছাত্রকে উদ্ধারে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে বলে জানান ওসি ওসমান গনি।
বিভিন্ন সূত্র হতে জানা যায়, এনিয়ে ২০২৩ সালের মার্চ থেকে ২০২৪ এর মার্চ শুধু মাত্র টেকনাফে কেন্দ্রিক অপহরণের ঘটনা ঘটেছে ১০১ টি। যার মধ্যে ৫১ জন স্থানীয় এবং ৫০ জন রোহিঙ্গা। যেখানে ৪৬ জন মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন।
মন্তব্য করুন
চলতি রমজান মাসে খেটে খাওয়া মানুষের কাছে সরকারের বেঁধে দেওয়া ৬০০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি করছে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি)। সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুরে আরএমপির পুলিশ লাইন্সে ৯ মণ ওজনের একটি গরু জবাই করে বিক্রি করা হয়েছে।
পুলিশ লাইন্স সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা এই মাংস কেনেন। একজন সর্বোচ্চ দুই কেজি করে মাংস কিনতে পারেন। ৬০০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস কিনতে পেরে সন্তোষ প্রকাশ করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা। পাশাপাশি এমন উদ্যোগ নেওয়ার জন্য তারা পুলিশকে ধন্যবাদ জানান।
পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ১৫ মার্চ ২৯টি পণ্যের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করলেও রাজশাহী মহানগরীর বিভিন্ন বাজারে গরুর মাংস সরকার নির্ধারিত মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে না। বিষয়টি আরএমপি কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদারের নজরে আসলে তিনি খেটে খাওয়া মানুষের কথা ভেবে রমজান মাসে সরকার নির্ধারিত মূল্যে গরুর মাংস বিক্রির এই উদ্যোগ গ্রহণ করেন।
এর ফলে খেটে খাওয়া মানুষ একদিকে যেমন সরকার মূল্যে গরুর মাংস কিনতে পারছেন, তেমনি ব্যবসায়ীরাও নির্ধারিত মূল্যে মাংস বিক্রি করতে উদ্যোগী হবেন বলেও পুলিশের পক্ষ থেকে আশা করা হচ্ছে।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে আরএমপির মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার জামিরুল ইসলাম বলেন, ‘রমজানে খেটে খাওয়া মানুষের কথা চিন্তা করে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ৬০০ টাকায় মাংস বিক্রির কথা মানুষের মুখে মুখে আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে লোকজন এসে মাংস কিনে নিয়ে যান।’
তিনি আরও জানান, এ কার্যক্রমের ব্যাপ্তি আরও বৃদ্ধি করা হবে। মাংসের পাশাপাশি কৃষকের কাছ থেকে শাক-সবজি কিনে এনে কেনা দামেই সাধারণ মানুষের কাছে বিক্রির পরিকল্পনাও তারা করছে।
রাজশাহী গরুর মাংস সরকার নির্ধারিত মূল্য
মন্তব্য করুন
কক্সবাজারের টেকনাফ হ্নীলার ছোয়াদ বিন আব্দুল্লাহ (৬) নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থী অপহরণের ঘটনা ঘটে। অপহরণের ৯ দিন পরও উদ্ধার করা যায়নি অপহৃত শিক্ষার্থীকে। এরই মধ্যে অপহৃত শিশুর পরিবারে ফোন করে ২০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে অপহরণকারীরা। এনিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় রয়েছে শিশুর স্বজনরা। এ ঘটনায় চক্রের ১ নারী সদস্যসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হলেও এখনও উদ্ধার করা যায়নি অপহৃত শিশুকে।