বাংলাদেশ
ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, সিনিয়র
সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী ও সাবেক সাধারণ
সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগসহ
ফেডারেশনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশ
দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (১৫
মে) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে
গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আজ রিটের
পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের
পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে
শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ।
এর আগে রোববার
(১৪ মে) দুর্নীতি তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টের
সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
ব্যারিস্টার
সুমন বলেন, দুর্নীতির কারণে বাংলাদেশের ফুটবলের উন্নয়ন হচ্ছে না। ফুটবলকে বাঁচাতে হলে
তাদেরকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
বাফুফে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন বাংলাদেশ ফুটবল দুর্নীতি কাজী সালাউদ্দিন আব্দুস সালাম মুর্শেদী আবু নাঈম সোহাগ
মন্তব্য করুন
দুর্নীতির মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু এবং বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান ও তার স্ত্রী সাবেরা আমানের আপিল খারিজ করে বিচারিক আদালতের সাজার রায় বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।
রায়ে আদালত ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর ৯ বছরের কারাদণ্ড, আমান উল্লাহ আমানের ১৩ বছরের কারাদণ্ড ও তার স্ত্রী সাবেরা আমানের ৩ বছরের কারাদণ্ড বহাল রেখেছেন। পূর্ণাঙ্গ রায় পাওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে তাদেরকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ মে) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ পৃথক পৃথক মামলায় তাদের এ সাজা বহাল রাখার রায় ঘোষণা করেন। জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার আদালতে রায়ের মূল অংশ পড়ে শোনান।
রায় ঘোষণার সময় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ ও এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান। টুকু-আমানের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট সাইফুল্লাহ মামুন।
এদিকে বিএনপির শীর্ষ দুই নেতার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সকাল থেকে সংশ্লিষ্ট হাইকোর্ট বেঞ্চে পুলিশি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।
গত ১৭ মে দুর্নীতি মামলায় সাজার বিরুদ্ধে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর আপিলের রায়ের জন্য মঙ্গলবার (৩০ মে) দিন ধার্য করা হয়।
অন্যদিকে গত ১৪ মে দুর্নীতির মামলায় বিএনপির নেতা আমান উল্লাহ আমান ও তার স্ত্রী সাবেরা আমানের খালাসের রায় বাতিল করে হাইকোর্টে আপিলের পুনঃশুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়।
ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু
চার কোটি ৯৬ লাখ ১১ হাজার ৯১৬ টাকার সম্পত্তির হিসাব ও আয়ের উৎস গোপন করার অভিযোগে দুদকের উপপরিচালক শাহরিয়ার চৌধুরী ২০০৭ সালের মার্চে সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী টুকুর বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় দুর্নীতির মামলাটি দায়ের করেন। দুদকের উপপরিচালক এস এম এম আখতার হামিদ ভূঞা ওই বছরের ২৮ জুন মহানগর হাকিম আদালতে এ মামলায় অভিযোগপত্র দেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর বিচারিক আদালত এ মামলার রায়ে টুকুকে ৯ বছরের কারাদণ্ড দেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে টুকু আপিল করলে ২০১১ সালের ১৫ জুন তাকে খালাস দেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে দুদক আপিল করলে ২০১৪ সালের ২১ জানুয়ারি খালাসের রায় বাতিল করে পুনঃশুনানির আদেশ দেন আপিল বিভাগ। সে অনুযায়ী হাইকোর্টে শুনানি হয়।
আমান উল্লাহ আমান ও তার স্ত্রী সাবেরা আমান
সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আমান দম্পতির বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ৬ মার্চ রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক। ওই বছরের ২১ জুন বিশেষ জজ আদালতের রায়ে আমানকে ১৩ বছরের ও সাবেরাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে তারা হাইকোর্টে আপিল করেন।
২০১০ সালের ১৬ আগস্ট হাইকোর্ট সেই আপিল মঞ্জুর করে তাদের খালাস দেন।
হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে দুদক আপিল করলে ২০১৪ সালের ২৬ মে আপিল বিভাগ সে রায় বাতিল করে হাইকোর্টকে মামলাটির আপিল পুনঃশুনানির নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ী হাইকোর্টে শুনানি শেষে আজ রায় দিলেন।
মন্তব্য করুন
লক্ষ্মীপুরে ছাত্রলীগ নেতা মেহদী হাছান জসিমকে গুলি করে হত্যার দায়ে ৮ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার (২৯ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আমিনা ফারহিন এ রায় দেন।
লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, এ মামলায় ১২ আসামির বিরুদ্ধে পুলিশ অভিযোগপত্র দাখিল করে। এরমধ্যে চারজন মারা গেছেন। অন্য আট আসামিকে আজ মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায়ের সময় সাতজন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। দণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামি হিজবুর রহমান স্বপন পলাতক রয়েছেন।
বিস্তারিত আসছে...
মন্তব্য করুন
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) কর্তৃক ফৌজদারি মামলা দায়েরের ওপর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেছেন হাইকোর্ট। এর ফলে বিজিবি এখন থেকে মামলা করতে পারবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
বুধবার (২৪ মে) বিচারপতি এসএম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি শাহেদ নুরউদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এ স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেন।
তবে বিজিবির মামলা দায়েরের এখতিয়ার নিয়ে জারি করা রুল বহাল রেখেছেন আদালত।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী।
এর আগে মঙ্গলবার (২৩ মে) বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) কর্তৃক ফৌজদারি মামলা দায়েরের ওপর স্থগিতাদেশ দেন আদালত।
বিজিবি কর্তৃক দায়ের করা এক মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আসামির করা আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এসএম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি শাহেদ নুরউদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এই আদেশ দেন। একইসঙ্গে মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। আগামী ১৪ জুন এই রুলের ওপর শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত।
২০২২ সালে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় পণ্য আটক করে বিজিবি। ওই ঘটনায় ওইদিনই বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫(বি) ধারায় আসামিদের বিরুদ্ধে চোরাচালানের অভিযোগ এনে কসবার আখাউড়া রেলওয়ে থানায় মামলা করে বিজিবি। ওই মামলার তদন্ত শেষে চার্জশিট দেয় পুলিশ। চার্জশিট আমলে নেন আদালত। একইসঙ্গে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ব্রাক্ষণবাড়িয়ার আদালত। এই অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেন আসামি কামরুজ্জামান খান।
ওই আবেদনের শুনানিতে ফৌজদারি মামলা দায়ের করার বিজিবির আইনগত এখতিয়ার রয়েছে কি না তা নিয়ে আলোচনা হয়। এ পর্যায়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ১৫৪ ধারা অনুযায়ী যেকেউ মামলা দায়ের করতে পারেন। সেক্ষেত্রে বিজিবিও এর বাইরে নয়। আদালত বলেন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ আইনের কোথাও বিজিবিকে মামলা দায়েরের ক্ষমতা দেওয়ার বিষয়টি দেখতে পাওয়া গেল না। শুনানি শেষে হাইকোর্ট মামলার কার্যক্রম স্থগিতের পাশাপাশি রুল জারি করেন।
মন্তব্য করুন
নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ আটজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তৎকালীন সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম। এর মধ্যে দিয়ে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হলো।
মঙ্গলবার (২৩ মে) কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে ঢাকার ৯ নম্বর (অস্থায়ী) বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে তিনি সাক্ষ্য দেন। এদিন তার সাক্ষ্য শেষ না হওয়ায় আদালত আগামী ২০ জুন সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী দিন ধার্য করেন।
গত ১৯ মার্চ একই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন এবং মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আজ দিন ধার্য করেন।
২০০৭ সালে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলাটি দায়ের করে দুদক। দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম বাদী হয়ে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেছিলেন। ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে দুদক আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়।
অন্য আসামিরা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান সেলিম ভূঁইয়া ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।
এর মধ্যে এ কে এম মোশাররফ হোসেন ও ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান মারা যাওয়ায় মামলার দায় হতে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
দুদকের অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে সরকারে থাকাকালে খালেদা জিয়াসহ বেশ কয়েকজন ক্ষমতার অপব্যবহার করে কানাডার কোম্পানিটিকে অবৈধভাবে গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের সুবিধা পাইয়ে দেয়। অভিযোগপত্রে আসামিদের বিরুদ্ধে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।
নাইকো দুর্নীতি মামলা সাক্ষ্যগ্রহণ
মন্তব্য করুন
গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা নোবেল জয়ী ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে ১১শ’ কোটি টাকা কর ফাঁকির মামলা হাইকোর্টে শুনানি শুরু হয়েছে। গত বুধবার (১৭ মে) বিচারপতি মোহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে বিচারাধীন এই মামলা শুনানি শুরু হয়। আজ (২৩ মে) আবারও শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ৯ মে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে ১১শ’ কোটি টাকা কর ফাঁকির মামলাটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছিলেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ। গত ৭ মে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১১শ’ কোটি টাকা কর ফাঁকি দিয়েছেন বলে হাইকোর্টকে জানায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। হাইকোর্টকে এনবিআরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২০১২ থেকে ২০১৭ এই পাঁচ বছরে ১১শ’ কোটি টাকা কর ফাঁকি দেওয়া হয়েছে।
মুহাম্মদ ইউনূস ট্রাস্ট, ফ্যামিলি ট্রাস্ট এবং ইউনূস সেন্টারের নামে ৭৭ কোটি ৩৭ লক্ষ ৬৯ হাজার টাকা স্থানান্তরিত হয়েছে বলে অভিযোগ বিচারাধীন আছে। এসব অর্থ তিনি দান করেছেন বলে দাবি করেছিলেন ড. ইউনূস। যা কর আইন ১৯৯০ এর ৪ ধারা অনুযায়ী অব্যাহতিযোগ্য নয় বলে সে সময় আয়কর বিভাগ জানিয়ে দিয়েছিলেন। এরপর তিন বছরের আয়কর রিটার্নের বিরুদ্ধে দান করা সেই মামলা চালু করে ২০১৪ সালের ২৬ জানুয়ারি সর্বোমোট ১৫ কোটি ৪১ লক্ষ ১৬ হাজার ৮০০ টাকা জরিমানা ধার্য্য করে।
মুহাম্মদ ইউনূস জরিমানা আদেশের বিরুদ্ধে আপীল করেন এবং তার আপীল একই বছরের ৩০ এপ্রিল খারিজ করা হয়। এরপর কর আপীলাত কর্তৃপক্ষের আপীল আদেশের বিরুদ্ধে আপীলাত ট্রাইব্যুনালে পুনঃরায় আপীল করেন তিনি। আপীলাত ট্রাইবুনালের ডিভিশন ১ নং বেঞ্চ আপীল খারিজের আদেশ বহাল রাখে।
আইনী বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস ৩ কোটি ৬১ লক্ষ ৭০ হাজার ৪৪৮ টাকা জরিমানার প্রেক্ষিতে সুপ্রীম কোর্টের ডিভিশনের জন্য ২০১৫ সালের ৫ মার্চ পৃথক ৩ টি রেফারেন্স দায়ের করান (যার নম্বর -১০৮, ১০৯ , ১১০/২০১৫ইং)।
উক্ত রেফারেন্সের আলোকে মহামান্য হাইকোর্ট ২০১৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর মামলাটি নিস্পত্তি হবার পূর্ব পর্যন্ত জরিমানা তথা কর দাবী আদায়ের উপর স্থগিতাদেশ প্রদান করেন।
অন্যদিকে নোবেল বিজয়ী এই অর্থনীতিবিদের ব্যক্তিগত এবং তার প্রতিষ্ঠিত ৯টি প্রতিষ্ঠানের কর সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে এনবিআরের কাছে চিঠি দিয়েছে দুদক। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে এনবিআরের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সংশ্লিষ্ট সার্কেল এবং জরিপ দপ্তরকে মৌখিক নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়।
এনবিআরে পাঠানো দুদকের চিঠি থেকে আরও জানা যায়, ড. মুহাম্মদ ইউনূস সম্পর্কে অনুসন্ধানের জন্য উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধানকে দলনেতা করে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে দুদক। অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে এরই মধ্যে ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং ৯টি প্রতিষ্ঠানের কর সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে এনবিআরের কর অঞ্চল ১৪-এর আওতাধীন সার্কেল ২৮৭-এর উপকর কমিশনারকে চিঠি দিয়েছে এই কমিটি। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে গ্রামীণ টেলিকম, গ্রামীণ কল্যাণ, গ্রামীণ কল্যাণ ট্রাস্ট, গ্রামীণ নিটওয়্যার, গ্রামীণ শিক্ষা, গ্রামীণ হেলথ কেয়ার সার্ভিস এবং গ্রামীণ ফ্যাশন অ্যান্ড ফেব্রিকসের আয়কর সংক্রান্ত তথ্য চাওয়া হয়েছে। আর ড. মুহাম্মদ ইউনূস, প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ট্রাস্ট এবং ইউনুস ফ্যামিলি ট্রাস্টের দান করা অর্থ সম্পর্কিত তথ্য চেয়েছে অনুসন্ধান কমিটি।
এনবিআরের কর অঞ্চল ১৪ এর সার্কেল ২৮৭ মূলত কোম্পানির আয়কর সংক্রান্ত বিষয়ে দায়িত্ব পালন করে। উল্লেখিত কোম্পানিগুলো এই সার্কেলে রিটার্ন দাখিল করে। এ কারণেই দুদক থেকে সরাসরি এই সার্কেলের উপকমিশনারকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এনবিআর কর্তৃক মুহাম্মদ ইউনূসের আয়কর মামলা বর্তমান আদালতে বিচারাধীন একটি বিষয়। এখন এনবিআর দুদক এবং আদালতের মাধ্যমে বিষয়টির সমাধানের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস কর ফাঁকি মামলা শুনানি
মন্তব্য করুন
২০২২ সালে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় পণ্য আটক করে বিজিবি। ওই ঘটনায় ওইদিনই বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫(বি) ধারায় আসামিদের বিরুদ্ধে চোরাচালানের অভিযোগ এনে কসবার আখাউড়া রেলওয়ে থানায় মামলা করে বিজিবি। ওই মামলার তদন্ত শেষে চার্জশিট দেয় পুলিশ। চার্জশিট আমলে নেন আদালত। একইসঙ্গে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ব্রাক্ষণবাড়িয়ার আদালত। এই অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেন আসামি কামরুজ্জামান খান।
মুহাম্মদ ইউনূস ট্রাস্ট, ফ্যামিলি ট্রাস্ট এবং ইউনুস সেন্টারের নামে ৭৭ কোটি ৩৭ লক্ষ ৬৯ হাজার টাকা স্থানান্তরিত হয়েছে বলে অভিযোগ বিচারাধীন আছে। এসব অর্থ দান করেছেন বলে দাবি করেছিলেন ড. ইউনূস। যা কর আইন ১৯৯০ এর ৪ ধারা অনুযায়ী অব্যাহতিযোগ্য নয় বলে সে সময় আয়কর বিভাগ জানিয়ে দিয়েছিলেন। এরপর তিন বছরের আয়কর রিটার্নের বিরুদ্ধে দান করা সেই মামলা চালু করে ২০১৪ সালের ২৬ জানুয়ারি সর্বোমোট ১৫ কোটি ৪১ লক্ষ ১৬ হাজার ৮০০ টাকা জরিমানা ধার্য্য করে।