কোর্ট ইনসাইড

পিনাকী ভট্টাচার্যকে অভিযুক্ত করে সিটিটিসির চার্জশিট

প্রকাশ: ০৩:৫০ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

মিথ্যা তথ্য ও গুজব ছড়ানোর অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্যকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) বিভাগ।

রোববার (২৮ এপ্রিল) আদালতে রমনা থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখা সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

এ মামলায় প্রধান আসামি হিসেবে ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মফিজুর রহমান আশিককে অভিযুক্ত করা হয়। তবে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ না পাওয়ায় আরেক আসামি খালেদা জিয়ার উপ-প্রেস সচিব মুশফিকুল ফজল আনসারীকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতির আবেদন করা হয়।

এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সিটিটিসি উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ রাহাত হোসেন বলেন, মামলার অভিযোগ প্রাথমিকভাবে সত্য হওয়ায় দুজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছি। তবে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ না পাওয়ায় একজনকে অব্যাহতির সুপারিশ করেছি। সাক্ষীরা প্রকাশ্য আদালতে সাক্ষ্য দিয়ে ঘটনা প্রমাণ করবেন।

মামলার চার্জশিটে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর পরিচিত এবং তারা দেশের সার্বভৌমত্বকে আঘাত করার প্রয়াসে বিভিন্ন সময়ে উসকানিমূলক তথ্য প্রচারে সর্বদা লিপ্ত থাকে। বর্তমান সময়ে আসামি পিনাকী ভট্টাচার্য তার ফেসবুক পেজ ও আইডিতে বিভিন্ন সময়ে উসকানিমূলক মিথ্যা-ভিত্তিহীন তথ্য গুজব আকারে প্রচার করছে। তিনি সামাজিকমাধ্যমে বর্তমান সময়েও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির প্রয়াসে গুজব ও মিথ্যা তথ্য সম্প্রচার করছে। যা উসকানিমূলক ও এজাহারের বিষয়বস্তুর সদৃশ্য কর্মকাণ্ডকে প্রতিনিধিত্ব করে।

চার্জশিটে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, আসামি মো. মফিজুর রহমান আশিক ইচ্ছাকৃতভাবে নিজ মোবাইল ফোন ব্যবহার করে ডিজিটাল উপায়ে ফেক আইডি দিয়ে তার প্রেরিত ও প্রকাশিত ছবিগুলো মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্যের মাধ্যমে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ও সুনাম ক্ষুণ্ন হয় এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তোলেন। যা পরবর্তীতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটার উপক্রম হয়। এই ছবি মোবাইলে ধারণ, প্রেরণ ও প্রচার করে দেশে-বিদেশে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রেরণ করে বিভ্রন্তিকর ও প্রোপাগান্ডামূলক মিথ্যা পোস্ট করা ও প্রচার-প্রচারণায় যুক্ত থাকায় ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৪-২৫-৩১-৩৫ ধারার অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়।

আসামি মো. মফিজুর রহমান আশিক ছবিসমূহ প্রচার প্রচারণার অংশ হিসেবে তার সহযোগী পিনাকী ভট্টাচার্যকে ফেসবুকে প্রেরণ করেন। উক্ত বিষয় সম্পর্কে উভয়ের মধ্যে ফেসবুক আইডিতে চ্যাটিংয়ের তথ্য পাওয়ায় সহযোগী হিসেবে পিনাকীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫-৩১-৩৫ ধারার অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়। অপর আসামি মুশফিকুল ফজল আনসারীর বিরুদ্ধে মামলা প্রমাণে সহায়ক কোনো সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ১৫ অক্টোবর রাজধানীর রমনা থানায় পিনাকী ভট্টাচার্যসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) বিভাগের উপপরিদর্শক এম আব্দুল্লাহিল মারুফ বাদী হয়ে মামলা করেন। এ মামলায় মফিজুর রহমান ও মুশফিকুল ফজল আনসারী নামের অপর দুজনকে আসামি করা হয়।

পিনাকী ভট্টাচার্য ছাড়াও এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- কনটেন্ট ক্রিয়েটর নাজমুল ইসলাম, শাহরিয়ার হোসেন সাকিব (এসএইচ), ফেসবুক ‘ফাইট ফর ডেমোক্রেসি’র অ্যাডমিন শাকিল আহমেদ, মো. হাসান মিয়া (হাসান), মো. আব্দুল হাদী ও মো. রেজউল করিম।

জানা গেছে, সম্প্রতি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি বিকৃত ও এডিট করে ব্যঙ্গাত্মকভাবে ফেসবুকে প্রচার ও ভাইরাল করায় এ মামলা করা হয়।

পিনাকী ভট্টাচার্য   কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম   ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন  


মন্তব্য করুন


কোর্ট ইনসাইড

জেলকোডের ৯৮০ বিধি অসাংবিধানিক: হাইকোর্ট

প্রকাশ: ০২:৫৬ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। রায়ে আদালত একইসঙ্গে জেলকোডের ৯৮০ বিধি অসাংবিধানিক ঘোষণা করেছেন।

সোমবার (১৩ মে) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের  হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার। সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নাসিম ইসলাম রাজু। আইনজীবীরা বলেছেন, এটা একটা ঐতিহাসিক রায়।

এর আগে ২০২৩ সালের ১২ ডিসেম্বর মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা কেন বেআইনি হবে না এবং কেন জেলকোডের ৯৮০ বিধি অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, এই মর্মে জারি করা রুলের শুনানি শেষ হয়।

বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানি শেষে মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন।

গত বছরের ৫ এপ্রিল মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা কেন বেআইনি হবে না এবং কেন জেলকোডের ৯৮০ বিধি অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে কনডেম সেলে থাকা বন্দিদের বিষয়ে ছয় মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত। বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

২০২২ সালের ৩ সেপ্টেম্বর মামলা চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি হওয়ার আগে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে কনডেম সেলে রাখার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।

চট্টগ্রাম কারাগারে কনডেম সেলে থাকা জিল্লুর রহমানসহ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন বন্দির পক্ষে আইনজীবী শিশির মনির এ রিট দায়ের করেন।

রিট আবেদনকারী হলেন– চট্টগ্রাম কারাগারের কনডেম সেলে থাকা সাতকানিয়ার জিল্লুর রহমান, সিলেট কারাগারে থাকা সুনামগঞ্জের আব্দুর বশির ও কুমিল্লা কারাগারে থাকা খাগড়াছড়ির শাহ আলম। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এই তিন আসামির আপিল হাইকোর্ট বিভাগে বিচারাধীন রয়েছে।


জেলকোড   অসাংবিধানিক   হাইকোর্ট  


মন্তব্য করুন


কোর্ট ইনসাইড

ধর্ম নিয়ে কটূক্তি: জবি শিক্ষার্থী তিথির ৫ বছর কারাদণ্ড

প্রকাশ: ০২:১৮ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে কটূক্তির দায়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী তিথি সরকারকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। সোমবার (১৩ মে) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত এ রায় ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম শামীম বলেন, এ মামলায় তিথি সরকারের ৫ বছরের সাজা হয়েছে। তবে আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তার এক বছরের প্রবেশন মঞ্জুর করেছেন। এই সময়ের মধ্যে তার আচরণগত কোনো পরিবর্তন হলে তাকে সাজা ভোগ কর‍তে হবে না।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)কে নিয়ে ফেসবুকে ও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিরূপ মন্তব্য করে আসছিলেন তিথি সরকার। পরে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ছাত্র সংগঠন ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা তিথি সরকারের বহিষ্কার দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ২০২০ সালের ২৩ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে তিথি সরকারকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।

এরপর তার পরিবার থেকে অভিযোগ আসে তিথি নিখোঁজ। ওই বছরের ৩১ অক্টোবর সিআইডির সাইবার মনিটরিং টিম দেখতে পায়, সিআইডির মালিবাগ কার্যালয়ের চারতলা থেকে তিথি সরকারকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে বলে একটি মিথ্যা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করা হয়। এটি ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। প্রকৃতপক্ষে সিআইডিতে এ রকম কোনো ঘটনা ঘটেনি। এ ঘটনার তদন্তে নেমে গুজব রটনাকারী নিরঞ্জন বড়াল নামের একজনকে রামপুরার বনশ্রী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। নিরঞ্জনসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ২ নভেম্বর পল্টন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়।

২০২১ সালের ১৯ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের এসআই মেহেদী হাসান তাদের দুইজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০২১ সালের ৪ নভেম্বর তিথি সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। তবে তার স্বামী শিপলু সরকার মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেন আদালত।


ধর্ম   কটূক্তি   জবি  


মন্তব্য করুন


কোর্ট ইনসাইড

আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন যুথি

প্রকাশ: ০৫:৫১ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনকেন্দ্রিক সহিংসতার ঘটনায় শাহবাগ থানায় করা মামলায় জামিন পেয়েছেন স্বতন্ত্র সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ও যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের স্ত্রী অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথী।

রোববার (১২ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আহম্মেদের আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক জামিন মঞ্জুর করেন।


এদিন তার পক্ষে সিনিয়র অ্যাডভোকেট এহসানুল হক সমাজী জামিন চেয়ে শুনানি করেন। আদালতে শাহবাগ থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক নিজাম উদ্দিন ফকির বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন। 

গত ৮ মার্চ রাতে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সালের দুই দিনব্যাপী নির্বাচনে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল, হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনায় রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করা হয়। সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুর রহমান চৌধুরী সাইফ বাদী হয়ে তাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে এ মামলা দায়ের করেন।


মামলায় অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ ২০ জনকে আসামি করা হয়। অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের স্ত্রী।

মামলায় অন্য আসামিরা হলেন অ্যাড. মো. জাকির হোসেন ওরফে মাসুদ (৫৫), অ্যাডভোকেট শাকিলা রৌশন, অ্যাডভোকেট কাজী বশির আহম্মেদ, ব্যারিস্টার উসমান, অ্যাড. আরিফ, অ্যাডভোকেট সুমন, অ্যাডভোকেট তুষার, রবিউল, ব্যারিস্টার চৌধুরী মৌসুমী ফাতেমা (কবিতা), সাইদুর রহমান জুয়েল (৪০), অলিউর, যুবলীগ নেতা জয়দেব নন্দী, মাইন উদ্দিন রানা, মশিউর রহমান সুমন, কামাল হোসেন, আসলাম রাইয়ান, অ্যাডভোকেট তরিকুল ও অ্যাডভোকেট সোহাগ। এছাড়া মামলায় ৩০/৪০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে।

নাহিদ সুলতানা যুথী   সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি   নির্বাচন   শেখ ফজলে শামস পরশ   শেখ ফজলে নূর তাপস  


মন্তব্য করুন


কোর্ট ইনসাইড

জিএম কাদেরের চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালনে বাধা নেই: আপিল বিভাগ

প্রকাশ: ১১:০৬ এএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

গঠনতন্ত্র অনুযায়ী জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদেরের দায়িত্ব পালনের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এর ফলে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে জি এম কাদেরের কার্যক্রম চালাতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

রোববার (১২ মে) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে হাইকোর্টের দেওয়া রুল নিষ্পত্তি করতে বলেছেন আপিল বিভাগ। 

আদালতে জি এম কাদেরের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. অজি উল্লাহ, অ্যাডভোকেট শেখ সিরাজুল ইসলাম। অপরপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা।

এর আগে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদেরের দায়িত্ব পালনে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে লিভ টু আপিল দায়ের করা হয়।

২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর গঠনতন্ত্র অনুযায়ী জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদেরের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞার আদেশ স্থগিত করেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি রুল জারি করেন আদালত। বিচারপতি শেখ আবদুল আউয়ালের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে জিএম কাদেরের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম। পরে এই আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করা হয়।

২০২২ সালের ৪ অক্টোবর জাপা থেকে বহিষ্কৃত নেতা দলটির সাবেক এমপি জিয়াউল হক মৃধা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদেরের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে মামলা করেন। বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ৩১ অক্টোবর ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালত জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে জিএম কাদেরের দলীয় যাবতীয় কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞার অস্থায়ী আদেশ দেন।

পরে শেখ সিরাজুল ইসলাম, কলিম উল্যাহ মজুমদারসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী জি এম কাদেরের পক্ষে এ আবেদন করেন। আবেদনে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের ওপর গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দলের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রত্যাহার চাওয়া হয়েছে। গত ২৪  নভেম্বর এই আবেদনের শুনানির জন্য জেলা জজ আদালতে মিস আপিল দায়ের করা হয়। সেই আবেদন নামঞ্জুর করেন জেলা জজ আদালত। জেলা জজ আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করেন জিএম কাদের।


জিএম কাদের   চেয়ারম্যান   আপিল বিভাগ  


মন্তব্য করুন


কোর্ট ইনসাইড

অস্ত্র মামলায় জামিন পেলেন ৪ হত্যা মামলার আসামি জাকির খান

প্রকাশ: ১০:৩৩ এএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

নারায়ণগঞ্জের আলোচিত শীর্ষ সন্ত্রাসী জাকির খানকে (৪৯) অস্ত্র মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। রোববার (১২ মে) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে জাকির খানের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

গত বছরের ১৫ জুন নারায়ণগঞ্জের আলোচিত শীর্ষ সন্ত্রাসী  জাকির খানকে (৪৯) অস্ত্র মামলায় জামিন দেন হাইকোর্ট। পরে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী জাকির খান দেওভোগ এলাকার দয়াল মাসুদ নামে অপর এক শীর্ষ সন্ত্রাসীকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করেন। সর্বশেষ ২০০৩ সালে সাব্বির আলম হত্যাকাণ্ডের পর তিনি দেশ ছেড়ে থাইল্যান্ডে পাড়ি জমান। তার বিরুদ্ধে ৪টি হত্যা মামলাসহ অসংখ্য মামলা রয়েছে। ২০২২ সালের ২ সেপ্টেম্বর বসুন্ধরার ভটারা এলাকায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্রসহ তাকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-১১।


অস্ত্র   মামলা   জাকির খান  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন