নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৪৮ এএম, ২৭ অক্টোবর, ২০২১
রাজধানীর বনানীতে দ্য রেইনট্রি হোটেলে জন্মদিনের পার্টিতে দুই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনায় আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে করা মামলার রায় দ্বিতীয় বারের মতো পেছালো।
আজ বুধবার (২৭ অক্টোবর) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক মোসাম্মৎ কামরুন্নাহার এ মামলার রায় ঘোষণা করার কথা ছিল।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ট্রাইব্যুনালের পেশকার মোহাম্মদ ইলিয়াস।
মোহাম্মদ ইলিয়াস বলেন, আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদার মারা যাওয়ায় আজ আদালত বসবে না। তাই এ মামলার রায় আজ ঘোষণা করা হবে না।
এর আগে ১২ অক্টোবর রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু বিচারক অসুস্থ থাকায় রায় পিছিয়ে ২৭ অক্টোবর দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৮ মার্চ রাত ৯টা থেকে পরদিন সকাল ১০টা পর্যন্ত হোটেলে জন্মদিনের পার্টিতে দুই শিক্ষার্থীকে একাধিকবার ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই বছরের ৬ মে সাফাতসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে বনানী থানায় ধর্ষণ মামলা হয়। তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ৭ জুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের (ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার) পরিদর্শক ইসমত আরা এমি পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
একই বছরের ১৯ জুন একই ট্রাইব্যুনাল আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। ওই বছরের ১৩ জুলাই ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক শফিউল আজম পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচারের আদেশ দেন। অভিযোগপত্রে আসামি সাফাত আহমেদ ও নাঈম আশরাফ ওরফে এইচ এম হালিমের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় ধর্ষণের অভিযোগ করা হয়। মামলার অন্য তিন আসামি সাদমান সাকিফ, আলী ও বিল্লাল হোসেনের বিরুদ্ধেও একই আইনের ৩০ ধারায় ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগ আনা হয়।
এ মামলার আসামিরা হলেন- আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদ, তার বন্ধু সাদমান সাকিফ, দেহরক্ষী রহমত আলী ও গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন এবং নাঈম আশরাফ ওরফে এইচ এম হালিম।
মন্তব্য করুন
আগামী ৫ জুন অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ঝিনাইদহ-১ (শৈলকূপা) আসনের উপ-নির্বাচন
স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (৬ মে) বিচারপতি মো. জাকির হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ
দেন।
গত ১৬ মার্চ ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই মারা যান। শূন্য হওয়া এই আসনে আগামী ৫ জুন উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
মন্তব্য করুন
১৩ বছরের সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমান চিকিৎসার জন্য
বিদেশ যেতে অনুমতি দিয়েছেন আপিল বিভাগ। সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা শেষে ১ মাসের মধ্যে তাকে
দেশে ফিরতে হবে বলে আদেশে বলা হয়েছে।
সোমবার (৬ মে) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল
বিভাগ এ আদেশ দেন।
আদালতে আমানের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।
দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।
গত ৩০ এপ্রিল ১৩ বছরের সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমান
চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে আবেদনের শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ।
এর আগে ৩০ মার্চ আমানউল্লাহ আমান চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে আদালতে আবেদন করেন।
গত ২০ মার্চ অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদ বিবরণীতে তথ্য গোপনের অভিযোগের
মামলায় ১৩ বছরের সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমানকে জামিন দেন আপিল বিভাগ।
তবে বিদেশ যেতে হলে তাকে আদালতের অনুমতি নিতে হবে বলে আদেশে বলা হয়। প্রধান বিচারপতি
ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৫ বিচারপতির আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন।
আদালতে আমানের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।
দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। পরে তিনি কারামুক্ত হন।
এর আগে ২০২৩ সালের ১২ সেপ্টেম্বর দুর্নীতির মামলায় ১৩ বছরের সাজার
বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করেন বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমান। আপিল আবেদনে তিনি খালাস চেয়েছেন।
পাশাপাশি জামিন আবেদন করেন তিনি।
আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় তার আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন
খোকন এ আপিল দায়ের করেন।
২০০৭ সালের ৬ মার্চ সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ
অর্জনের অভিযোগে রাজধানীর কাফরুল থানায় আমান দম্পতির বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। ওই
বছরের ২১ জুন আমান উল্লাহ আমানকে ১৩ বছর এবং তার স্ত্রী সাবেরাকে তিন বছরের কারাদণ্ড
দেন বিশেষ জজ আদালত। এরপর ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন তারা। ২০১০ সালের
১৬ আগস্ট হাইকোর্ট তাদের খালাস দেন।
পরে হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আপিল করে দুদক। আপিল
বিভাগ ২০১৪ সালের ২৬ মে হাইকোর্টের রায় বাতিল করে আপিলটি পুনঃশুনানির নির্দেশ দেন।
এরপর ২০২৩ সালের ৩০ মে হাইকোর্টের একই বেঞ্চ দুর্নীতি দমন কমিশনের
(দুদক) মামলায় আমানের ১৩ বছর ও তার স্ত্রী সাবেরা আমানের ৩ বছরের কারাদণ্ড বহাল রেখে
আদেশ দেন।
মন্তব্য করুন
সদ্য প্রয়াত সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল
ও সিনিয়র আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আজ রোববার বন্ধ থাকবে সুপ্রিম
কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকাজ।
রোববার (০৫ মে) সকাল সাড়ে ১০টার পর
আপিল বিভাগ ও বেলা ১১টার পর হাইকোর্টের কোনো বেঞ্চ বসবেন না।
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এ সিদ্ধান্তের
কথা জানান। তিনি বলেন, আইনজীবীরা শুধু আজ তাদের মামলা মেনশন করার সুযোগ পাবেন। মেনশনের
সুবিধার্থে আপিল বিভাগ সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ও হাইকোর্ট বিভাগ সকাল ১১ টা পর্যন্ত বসবেন।
এর আগে, সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে প্রধান
বিচারপতির নেতৃত্বে চারজন বিচারপতি আপিল বিভাগের এক নম্বর বেঞ্চে বসেন।
গত ২ মে মারা যান এ জে মোহাম্মদ আলী।
সিঙ্গাপুরের স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে দেশটির মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন
অবস্থায় মারা যান তিনি।
সিনিয়র আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ২০০৫
থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের দ্বাদশ অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
তার বাবা এম. এইচ. খন্দকার ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম অ্যাটর্নি জেনারেল। তিনি বিএনপি
চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ছিলেন।
এ জে মোহাম্মদ আলী সুপ্রিম কোর্ট বিচারকাজ
মন্তব্য করুন
শিক্ষামন্ত্রী লিগ্যাল নোটিশ মহিবুল হাসান চৌধুরী
মন্তব্য করুন
মিল্টন সমাদ্দার ডিবি চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার
মন্তব্য করুন