বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার রায় পিছিয়ে ৮ ডিসেম্বর (বুধবার) নির্ধারণ করেছেন বিচারক। রোববার (২৮ নভেম্বর) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান বেলা ১২টা ৭ মিনিটে এজলাসে এসে রায় পেছানোর এ আদেশ দেন।
তিনি বলেন, ‘উভয়পক্ষের যুক্তিতর্কের ভিত্তিতে রায় প্রস্তুতে আরও সময় প্রয়োজন। এজন্য নতুন তারিখ ধার্য করা হলো।’
সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর আবু আব্দুল্লাহ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, সকাল সাড়ে ৯টার পর কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ঢাকার কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২২ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তাদের আদালতে হাজতখানা রাখা হয়।
এরপর বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে আসামিদের আদালতের হাজতখানা থেকে সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের এজলাসে হাজির করা হয়। পরে আদালত রায়ের জন্য নতুন এ তারিখ নির্ধারণ করেন।
এজাহারে থাকা আসামিরা হলেন- মেহেদী হাসান রাসেল, অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ সকাল, মেহেদী হাসান রবিন, মেফতাহুল ইসলাম জিওন, মুনতাসির আলম জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, মুজাহিদুর রহমান, মুহতাসিম ফুয়াদ, মনিরুজ্জামান মনির, আকাশ হোসেন, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মাজেদুল ইসলাম, শামীম বিল্লাহ, মোয়াজ আবু হুরায়রা, এ এস এম নাজমুস সাদাত, মোর্শেদুজ্জামান জিসান ও এহতেশামুল রাব্বি তানিম।
এজাহারবহির্ভূত ছয় আসামি হলেন- ইশতিয়াক আহমেদ মুন্না, অমিত সাহা, মিজানুর রহমান ওরফে মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত, এস এম মাহমুদ সেতু ও মোস্তবা রাফিদ।
পলাতক তিনজন হলেন- মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মোস্তবা রাফিদ। এদের মধ্যে প্রথম দুজন এজাহারভুক্ত।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে আবরারকে তার কক্ষ থেকে ডেকে নিয়ে যান বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। তারা ২০১১ নম্বর কক্ষে নিয়ে গিয়ে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করে। পরে রাত ৩টার দিকে শেরে বাংলা হলের সিঁড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ওই বছরের ৭ অক্টোবর রাজধানীর চকবাজার থানায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
পুলিশ পরে ২২ জনকে গ্রেফতার করে। এর মধ্যে আটজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এদের সবাই বুয়েট ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।
আবরার ফাহাদ বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শেরে বাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন।
মন্তব্য করুন
সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন
মন্তব্য করুন
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত
সম্পদ অর্জনের মামলায় তিন বছরের দণ্ডিত রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদকে
হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিতে চেয়ে আবেদনের শুনানি
১৫ অক্টোবর।
সোমবার
(২ অক্টোবর) আপিল বিভাগের চেম্বার
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম
এ দিন ধার্য করেন।
আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ
আলম খান।
এর আগে অবৈধ সম্পদ
অর্জনের মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ড
প্রাপ্ত রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদের জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করে
দুদক।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর অবৈধ
সম্পদ অর্জনের মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ডের
মামলায় রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদকে ৬ মাসের জামিন
দেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার
(১৪ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানের একক
বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
দুদকের
আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বিষয়টি
নিশ্চিত করেছেন।
গত ৪ সেপ্টেম্বর এ
মামলায় তার আপিল শুনানির
জন্য গ্রহণ করেছিলেন হাইকোর্ট।
ওই দিন আদালতে দুর্নীতি
দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম
খান। সাহেদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দ জাহাঙ্গীর হোসেন।
গত ২১ আগস্ট ঢাকার
বিশেষ জজ আদালত-৭
এর বিচারক প্রদীপ কুমার ওই রায় দেন।
রায়ে এক লাখ টাকা
জরিমানা করা হয়। ৬০
কর্মদিবসের মধ্যে জরিমানার টাকা সরকারি কোষাগারে
জমা দেওয়া হয়।
সাহেদের
বিরুদ্ধে দুটি অভিযোগ গঠন
করা হলেও ২০০৪ সালের
দুদক আইনের ২৬(২) ধারায়
এ দণ্ড দেওয়া হয়।
তবে ২৭(১) ধারায়
অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় তাকে
খালাস দেওয়া হয়।
রায়
ঘোষণার জন্য কারাগারে থাকা
সাহেদকে এদিন আদালতে হাজির
করা হয়। রায় ঘোষণা
শেষে তাকে সাজা পরোয়ানাসহ
কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর তিনি
আপিল করেন।
২০২০
সালের ১৫ জুলাই সাহেদকে
সাতক্ষীরা থেকে গ্রেপ্তার করে
র্যাব। এরপর তার নামে
প্রতারণা, অনিয়মের নানা অভিযোগ সামনে
আসতে থাকে। পরে ঢাকাসহ দেশের
বিভিন্ন স্থানে সাহেদ ও তার সহযোগীদের
বিরুদ্ধে একের পর এক
মামলা হয়।
কারাগারে
থাকাকালে ২০২০ সালের ৫
নভেম্বর সম্পদের হিসাব চেয়ে সাহেদকে নোটিশ
পাঠায় দুদক। নোটিশে ২১ কার্যদিবসের মধ্যে
তাকে সম্পদের বিবরণী জমা দিতে বলা
হয়। বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে তিনি সম্পদ বিবরণী
জমা না দেওয়ায় অতিরিক্ত
আরও ১৫ কার্যদিবস সময়
দেওয়া হয়। সাহেদ এরপরও
তা জমা দেননি।
এরপর
সম্পদের হিসাব না দেওয়া ও
অবৈধভাবে এক কোটি ৬৯
লাখ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০২১ সালের ১
মার্চ দুদকের উপ-পরিচালক ফরিদ
আহমেদ পাটোয়ারী বাদী হয়ে দুদকের
ঢাকা জেলা সমন্বিত কার্যালয়-১ এ মামলা
করেন।
গত বছরের ২ ফেব্রুয়ারি দুদক
আদালতে চার্জশিট জমা দেয়। এরপর
গত বছরের ১৭ জুলাই সাহেদের
বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর
আদেশ দেন আদালত। মামলার
বিচার চলাকালে আদালত ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ
করা হয়।
সাহেদের
বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে বেশ কয়েকটি মামলা
হয়। এর মধ্যে অস্ত্র
আইনের একটি মামলায় ২০২০
সালের ২৮ সেপ্টেম্বর তাকে
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দেন একটি
আদালত।
মন্তব্য করুন
অবৈধ
উপায়ে অর্জিত প্রায় ৫৭ কোটি টাকা
সম্পদের খোঁজ মিলেছে পররাষ্ট্র
মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেনের।
মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায়
হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করেননি আপিল বিভগের চেম্বার আদালত। তবে তার পাসপোর্ট
দাখিল করার শর্তে বহাল রাখা হয়েছে জামিন।
আদালতের
অনুমতি ছাড়া তিনি দেশ
ছাড়তে পারবেন না। বিষয়টি নিশ্চিত
করেছেন দুদকের সিনিয়র অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ খুরশীদ আলম খান। ওই
কর্মকর্তা বর্তমানে মন্ত্রণালয়ে কর্মরত বলে জানান আইনজীবী।
জাকির
হোসেনের জামিন বাতিল চেয়ে দুদকের করা
আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) আপিল
বিভাগের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহীমের
চেম্বার আদালত এ আদেশ দেন।
আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট
মোহাম্মদ খুরশীদ আলম খান।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের
একটি দ্বৈত বেঞ্চ তার জামিন মঞ্জুর
করে আদেশ দেন। পরে
ওই জামিন স্থগিত ও বাতিল চেয়ে
আপিল বিভাগে আবেদন করে দুর্নীতি দমন
কমিশন (দুদক)। সে
আবেদনের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত
হয়েছে আজ।
গত ১৪ মার্চ জাকির
হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলায়
তার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ১৫ কোটি ৪০
লাখ টাকার সম্পদ অর্জন ও ভোগদখলের অভিযোগ
আনা হয়। জাকির হোসেনের
জমা দেওয়া আয়কর নথি ধরে
অনুসন্ধান চালিয়ে দুদক তার অবৈধভাবে
অর্জিত সম্পদের তথ্য পায়। ২০২১-২২ আয়কর নথি
অনুযায়ী, জাকির হোসেনের নামে ধানমন্ডির ১
নম্বর সড়কে ৫০ লাখ
৮৪ হাজার ৮০০ টাকা মূল্যের
একটি ফ্ল্যাট, খিলগাঁওয়ের নন্দীপাড়ায় ২৬৩ অজুতাংশ জমির
ওপর ৭৫ লাখ ৭৫
হাজার ৭০০ টাকা খরচ
করে পাঁচতলা ভবন নির্মাণসহ মোট
১ কোটি ৫১ লাখ
১০ হাজার ২০০ টাকার স্থাবর
সম্পদ পাওয়া যায়। এছাড়া ১৩
কোটি ৩০ লাখ টাকার
সঞ্চয়পত্র, ৩৮ লাখ ৯৫
হাজার টাকা মূল্যের টয়োটা
গাড়ি, নগদ ১৯ লাখ
১৯ হাজার ৯৭০ টাকা ও
ব্যাংক হিসাবে রক্ষিত ৭২ হাজার ৫০৬
টাকাসহ মোট ১৩ কোটি
৮৮ লাখ ৮৭ হাজার
৪৭৬ টাকার অস্থাবর সম্পদের তথ্য রয়েছে আয়করে।
সব মিলিয়ে জাকির হোসেনের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের মূল্য দাঁড়ায় ১৫ কোটি ৩৯
লাখ ৯৭ হাজার ৬৭৬
টাকা।
ওই সম্পদের বিপরীতে আয়ের উৎস সম্পর্কে
তিনি সঠিক তথ্য প্রদর্শন
করতে সক্ষম হননি বলে ওই
সম্পদ তার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত
মর্মে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়।
তাছাড়া
অনুসন্ধানে আসামির নামীয় ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, বাগেরহাট শাখায় বিভিন্ন সময়ে ৭টি অ্যাকাউন্টের
মাধ্যমে ৩১ কোটি ৭০
লাখ ৬০ হাজার নয়শ
১৩ টাকা, সোনালী ব্যাংক লিমিটেড ভিকারুননিসা নুন স্কুল শাখার
১টি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ৪ কোটি ৩
লাখ ১০ হাজার নয়শ
৩০ টাকা এবং পদ্মা
ব্যাংক লিমিটেডের ধানমন্ডি শাখায় এফডিআর হিসাবে ৫ কোটি ৬২
লাখ ৩৫ হাজার একশ
৫৯ টাকাসহ সর্বমোট ৪১ কোটি ৩৬
লাখ ৭ হাজার টাকার
লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।
ব্যাংকগুলোতে লেনদেন করা ওই অর্থের
বৈধ উৎস সংক্রান্ত কোনো
রেকর্ডপত্র অনুসন্ধানের সময় পাওয়া যায়নি।
মামলার
বিবরণীতে আরও বলা হয়েছে,
আসামিরা আরও অনেক অবৈধ
সম্পদ অর্জন করেছেন, যেগুলোর আয়ের উৎস উল্লেখ নেই।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ
ক্রিকেট দলের হেড কোচ
চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে অব্যাহতি ও ওপেনার তামিম
ইকবালকে বিশ্বকাপ দলে অন্তর্ভুক্ত করতে
লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
বুধবার
(২৭ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ক্রিকেট সাপোর্ট গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুনের পক্ষে
এ নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রাসেল আল মামুন।
বাংলাদেশ
ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) এ নোটিশ পাঠানো
হয়।
এর আগে মঙ্গলবার সারাদিন
নাটকীয়তার পর রাতে বিশ্বকাপ জার্সি
উন্মোচন এবং বিশ্বকাপ
দল ঘোষণা করা হয়।
১৫ সদস্যের এ দলে জায়গা
হয়নি তামিম ইকবালের। দলকে নেতৃত্ব দেবেন
সাকিব আল হাসান। তামিমের
বদলে ওপেনিং পজিশনে সুযোগ মিলেছে আরেক তামিম-তানজিদ
হাসানের।
এদিকে
বিশ্বকাপের দল ঘোষণার আগেরদিন
রাত থেকেই নানান গুঞ্জন চাউর হয় সামাজিক
যোগাযোগমাধ্যমে। গুঞ্জন ওঠে, বিশ্বকাপে পাঁচ
ম্যাচ খেলতে চান তামিম। তবে
তামিমের ঘনিষ্ঠ সূত্রের মন্তব্য, এমন কিছুই তামিম
বলেননি। নির্বাচকরাও অকপটে বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
অন্যদিকে
আকস্মিকভাবে লাল-সবুজের এই
ওপেনারের বাদপড়ার পর নানান প্রশ্নের
উত্থান হয়েছে। যদিও দাবি করা
হচ্ছে, ফিটনেস ইস্যুতে বাদ পড়েছেন তামিম।
আর টিম ম্যানেজমেন্টও এই
ওপেনারকে নিয়ে ঝুঁকি নিতে
চায়নি।
নানান
গুঞ্জনের মধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন
তামিম। সেখানে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে নানান প্রশ্নোত্তর
দেওয়ার কথা জানিয়েছেন।
ফেসবুকে
তামিম ইকবাল লিখেছেন, আজকে বাংলাদেশ জাতীয়
দল ভারতের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার পর
একটি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে আমি সবাইকে বিগত
কয়েক দিনের ঘটে যাওয়া ব্যাপারে
কিছু কথা বলব।
তিনি আরও লিখেছেন, গত কয়েক দিন অনেক কথাই গণ মাধ্যমগুলোতে এসেছে। আমি মনে করি বাংলাদেশ দলের এবং আমার ভক্ত-সমর্থক সবারই পরিষ্কার ভাবে সব কিছু জানার অধিকার রাখে।
হাথুরুসিংহে তামিম লিগ্যাল নোটিশ বিশ্বকাপ
মন্তব্য করুন
নবনিুক্ত
দেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি
হিসেবে আজ শপথ নেবেন
আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন প্রধান
বিচারপতিকে শপথ বাক্য পাঠ
করাবেন।
মঙ্গলবার
(২৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় বঙ্গভবনের
দরবার হলে শপথ পাঠ
অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
এর আগে গত ১২
সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের বিচারপতি
ওবায়দুল হাসানকে বাংলাদেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি
নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। আইন,
বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের
আইন ও বিচার বিভাগের
সচিব মো. গোলাম সারওয়ারের
সই করা এক প্রজ্ঞাপনে
বলা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের
সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদে
প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারক
বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দিয়েছেন।
এই নিয়োগ শপথ গ্রহণের তারিখ
থেকে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে
উল্লেখ করা হয়েছে।
বিচারপতি
ওবায়দুল হাসান ১৯৫৯ সালের ১১
জানুয়ারি নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মরহুম
ডা. আলাকুল হোসাইন আহমেদ মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। তিনি গণপরিষদ সদস্য
হিসেবে স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের সংবিধান
রচনায় সক্রিয় অংশ নেন এবং
সংবিধান রচনার পর তাতে স্বাক্ষর
করেন।
ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসএস, এমএসএস
ও এলএলবি ডিগ্রি অর্জনের পর বিচারপতি ওবায়দুল
হাসান ১৯৮৬ সালে জেলা
আদালত, ১৯৮৮ সালে হাইকোর্ট
বিভাগ এবং ২০০৫ সালে
আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।
২০০৯
সালের ৩০ জুন তিনি
হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি এবং ২০১১ সালের
৬ জুন স্থায়ী বিচারপতি
হিসেবে নিয়োগ পান।
তিনি
১৯৯১ সালে বিচারপতি হাসান
নিয়মিত আইনজীবী হিসেবে হংকংয়ে অনুষ্ঠিত ‘ইন্টারন্যাশনাল ল’ইয়ারস কনফারেন্সে’
অংশ নেন। তিনি অনেক
সাংবিধানিক মোকদ্দমা পরিচালনা করেন।
বিচারপতি
হিসেবে যোগদানের আগে তিনি দেওয়ানি,
ফৌজদারি এবং সাংবিধানিক বিষয়াদি
সম্পর্কিত মোকদ্দমার একজন দক্ষ আইনজীবী
হিসেবে ব্যাপক পরিচিত লাভ করেন। তিনি
দীর্ঘদিন ধানমন্ডি ল’ কলেজের একজন
খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি
২০১২ সালের ২৫ মার্চ আন্তর্জাতিক
অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর একজন
সদস্য হিসেবে যোগদান করেন এবং পরবর্তীকালে
একই সালের ১৩ ডিসেম্বর থেকে
২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ওই ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান
হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
মন্তব্য করুন
অবৈধ উপায়ে অর্জিত প্রায় ৫৭ কোটি টাকা সম্পদের খোঁজ মিলেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেনের। মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করেননি আপিল বিভগের চেম্বার আদালত। তবে তার পাসপোর্ট দাখিল করার শর্তে বহাল রাখা হয়েছে জামিন।