কোর্ট ইনসাইড

নটর ডেম শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে রিট

প্রকাশ: ১০:৫০ এএম, ২৯ নভেম্বর, ২০২১


Thumbnail

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ময়লার গাড়িচাপায় নটর ডেম কলেজের শিক্ষার্থী নাঈম হাসান নিহতের ঘটনায় আপাতত তার পরিবারকে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদন করা হয়েছে।

গতকাল রোববার (২৮ নভেম্বর) গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদন যুক্ত করে জনস্বার্থে ‘জন অধিকার ফাউন্ডেশন’ নামে একটি সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক ও ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্য আইনজীবী পারভীন আক্তারের পক্ষে রিট করেন আইনজীবী মনোজ কুমার ভৌমিক।

আজ সোমবার (২৯ নভেম্বর) রিট আবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন আইনজীবী মনোজ কুমার ভৌমিক। রিটে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, বিআরটিএ চেয়ারম্যান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও মহাব্যবস্থাপককে (যানবাহন) বিবাদী করা হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন ৫০ লাখ টাকা ছাড়াও নাঈমের পরিবারকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে রিটে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, রিট আবেদনটি হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চের আজকের কার্যতালিকায় রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২৪ নভেম্বর বেলা ১১টা ২০ মিনিটে পল্টন মডেল থানার গুলিস্তান বঙ্গবন্ধু স্কয়ার গোল চত্বরের দক্ষিণ পাশে নাঈম হাসান (১৮) রাস্তা পার হওয়ার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ওই সময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের একটি ট্রাক (ঢাকা-মেট্রো-শ-১১-১২৪৪) বেপরোয়া গতিতে নাঈমকে ধাক্কা দেয়। ওই সময় গাড়িচালক ছিলেন রাসেল খান।



মন্তব্য করুন


কোর্ট ইনসাইড

অস্ত্র মামলায় সাহেদের জামিন নিয়ে আপিলের আদেশ আজ

প্রকাশ: ০৮:৪৫ এএম, ২৮ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের লিভ টু আপিলের শুনানি শেষ হয়েছে। সোমবার শুনানি শেষে বিচারপতি মো. নূরুজ্জামানের নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ আদেশের জন্য মঙ্গলবার দিন ধার্য করেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী ও সাহেদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান। ২০২০ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর এ মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ আদালত।

পরে হাইকোর্টে আপিল করে জামিন চেয়েছেন সাহেদ। ২০২২ সালের ৭ জুন তাকে জামিন দেন হাইকোর্ট। রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে ১২ জুন তা স্থগিত করেন চেম্বার আদালত। এরপর রাষ্ট্রপক্ষ লিভ টু আপিল করে।

২০২০ সালের ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালে করোনাভাইরাস পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট প্রদান এবং চিকিৎসার নামে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ১৫ জুলাই সাহেদকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। এরপর তাকে নিয়ে উত্তরায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।



মন্তব্য করুন


কোর্ট ইনসাইড

ঢাবি শিক্ষার্থীকে মারধর, 'প্রলয় গ্যাংয়ের' দুই সদস্য কারাগারে

প্রকাশ: ০৫:৪৭ পিএম, ২৭ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী জোবায়ের ইবনে হুমায়ুনকে মারধরের মামলায় ‘প্রলয়’ গ্যাংয়ের দুই সদস্যকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট (সিএমএম)। এরা হলেন সাকিব ফেরদৌস ও নাইমুর রহমান দুর্জয়।

সোমবার (২৭ মার্চ) দুপুরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আহাম্মদ তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এর আগে রোববার জোবায়েরের মা শাহবাগ থানায় ১৯ জনকে পরিচয়ে এবং ৬/৭জনকে অজ্ঞাত রেখে অভিযোগ দায়ের করেন। তার প্রেক্ষিতে মামলা নিয়ে (মামলা নম্বর ৫০) সোমবার তাদেরকে কোর্টে পাঠানো হয়।

এর মধ্যে সাকিব ফেরদৌস অ্যাকাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগ ও স্যার এ এফ রহমান হলের ও নাইমুর রহমান দুর্জয় নৃবিজ্ঞান বিভাগ ও কবি জসীমউদ্দীন হলের শিক্ষার্থী। দুজনই ২০২০-২১ সেশনের ছাত্র। 

গত শনিবার রাত ৮ টার সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসীমউদ্দিন হলের (হলপাড়া) সামনে অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী জোবায়ের ইবনে হুমায়ুনকে ‘তুচ্ছ কারণে’ মারধর করা হয়। এরপর গণমাধ্যমের অনুসন্ধানে উঠে আসে প্রলয় গ্যাংয়ের নাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা এ গ্যাং চালাতেন।

শাহবাগ থানার ওসি নুর মোহাম্মদ বলেন, ‘মামলার তদন্ত আরও চলতে থাকবে।’ 

এর আগে দুপুর ১২টায় জোবায়েরের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন ও উপাচার্য বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। 

ঢাবি   প্রলয় গ্যাং  


মন্তব্য করুন


কোর্ট ইনসাইড

বগুড়ার সেই অতিরিক্ত জেলা জজ প্রত্যাহার

প্রকাশ: ০৬:২১ পিএম, ২৩ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail বগুড়ার সেই অতিরিক্ত জেলা জজ প্রত্যাহার।

বগুড়ায় অভিভাবককে পা ধরতে বাধ্য করার অভিযোগে অতিরিক্ত জেলা জজ রুবাইয়া ইয়াসমিনকে প্রত্যাহার করে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। তাকে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করে সুপ্রিম কোর্টের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (প্রশাসন ও বিচার) মো. মিজানুর রহমানের স্বাক্ষরে সার্কুলার জারি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) সুপ্রীম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতির নির্দেশক্রমে বেগম রুবাইয়া ইয়াসমিনকে প্রত্যাহার করে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর মাকে বিচারক বেগম রুবাইয়া ইয়াসমিন তার পায়ে ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করেছেন; -এমন অভিযোগে স্কুলের সামনের রাস্তায় জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এর প্রতিবাদে গত মঙ্গলবার বিকেলে স্কুলের সামনের রাস্তা বন্ধ করে কয়েক দফায় প্রতিবাদ জানায় শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রুবাইয়া ইয়াসমিনের মেয়ে ওই স্কুলের অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। স্কুলের নিয়ম অনুযায়ী, সব শিক্ষার্থীর পালাক্রমে শ্রেণিকক্ষ ঝাড়ু দেওয়ার কথা থাকলেও বিচারকের মেয়ে কখনোই শ্রেণিকক্ষ ঝাড়ু দেয় না। বিষয়টি নিয়ে সহপাঠীদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় তার।

২০ মার্চ রাতে স্কুলের একটি ফেসবুকে সহপাঠীদের কটাক্ষ করে একটি পোস্ট লেখে বিচারকের মেয়ে। এতে কয়েকজন সহপাঠী ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিবাদ জানায়।

পরদিন মঙ্গলবার সকালে স্কুলের অভিভাবক সমাবেশে এসে বিচারক রুবাইয়া ইয়াসমিন ৩ শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবককে শিক্ষকের মাধ্যমে ডেকে আনেন। ফেসবুকে তাকে ও তার মেয়েকে নিয়ে ‘অপমানজনক কথা’ বলা হয়েছে এমন দাবি করে সাইবার অপরাধের অভিযোগে মামলা করার হুমকি দেন তিনি। শিক্ষার্থীরা জানান, অভিভাবকদের ডেকে নিয়ে মামলার হুমকি দেওয়ার এক পর্যায়ে এক শিক্ষার্থীর মাকে পা ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করেন ওই বিচারক। সেসময় স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোছা. রাবেয়া খাতুন সেই বিচারকের পক্ষ নিয়ে শিক্ষার্থীদের শাসান।

এ বিষয়টি জানাজানি হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানাতে থাকেন নেটিজেনরা।


বগুড়া   অতিরিক্ত জেলা জজ   প্রত্যাহার  


মন্তব্য করুন


কোর্ট ইনসাইড

মেয়র জাহাঙ্গীরকে সাময়িক বরখাস্তের বৈধতা প্রশ্নে জারি করা রুল শুনানি

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ২২ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail মেয়র জাহাঙ্গীরকে সাময়িক বরখাস্তের বৈধতা প্রশ্নে জারি করা রুল শুনানি।

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্তের বৈধতা প্রশ্নে জারি করা রুলের শুনানি শুরু হয়েছে। গত ১৫ মার্চ রুলের প্রাথমিক শুনানি হয়েছে। পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ২৮ মার্চ দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।

বুধবার (২২ মার্চ) জাহাঙ্গীরের অন্যতম আইনজীবী ব্যারিস্টার বেলায়েত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গত ১৫ মার্চ রুলের প্রাথমিক শুনানি হয়েছে। আওয়ামী লীগ থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়েছে, এ বিষয়টি আদালতে উপস্থাপন করেছি। আগামী ২৮ মার্চ এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি হবে। ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ জাহাঙ্গীরের পক্ষে শুনানি করবেন।

গত ১ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে তাকে ক্ষমা করা হয় বলে জানা যায়। ওবায়দুল কাদের স্বাক্ষরিত জাহাঙ্গীরকে দেওয়া ওই চিঠিতে বলা হয়, ‘শুভেচ্ছা গ্রহণ করবেন। আপনার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বার্থ, আদর্শ, শৃঙ্খলা তথা গঠনতন্ত্র ও ঘোষণাপত্র পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ততার জন্য এর আগে আপনাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার/অব্যাহতি প্রদান করা হয়।’

গত বছরের ২৩ আগস্ট গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। স্থানীয় সরকার সচিবসহ সংশিষ্টদের দুই সপ্তহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

আদালতে জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন ও মশিউর রহমান সবুজ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী। শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, জাহাঙ্গীর আলমকে যেসব অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে, তার বিরুদ্ধে তদন্ত এখনও চলমান রয়েছে।  

রিটের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ বলেন, যে অভিযোগে জাহাঙ্গীর আলমকে যে অভিযোগে বরখাস্ত করা হয়েছে, তার বিরুদ্ধে আগেও একই অভিযোগ আনা হয়েছিল। তখন মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি অভিযোগের সত্যতা পায়নি।

গত বছরের ১৪ আগস্ট গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া জাহাঙ্গীর আলম পদ ফিরে পেতে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। রিটে তাকে সাময়িক বরখাস্তের আইনগত বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়। ব্যারিস্টার মশিউর রহমান সবুজ জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষে এ রিট দায়ের করেন।

 ২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের নিয়ে কটাক্ষ করার অভিযোগে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার হওয়া জাহাঙ্গীর আলমকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। 

ওইদিন নিজ দপ্তরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, গাজীপুরের মেয়র পদ থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সেখানে একজনকে ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে।

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, গাজীপুরের মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ এসেছে।আইন অনুযায়ী কোনো নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে যদি অভিযোগ আসে এবং সে অভিযোগ তদন্তের জন্য বা নিষ্পত্তির জন্য আমলে নেওয়া হয়, তাহলে আইন অনুযায়ী তাকে সাময়িক বরখাস্ত করার নিয়ম আছে। সে কারণে গাজীপুরের বর্তমান মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।


মেয়র   জাহাঙ্গীর   সাময়িক   বরখাস্ত   বৈধতা প্রশ্ন   রুল   শুনানি  


মন্তব্য করুন


কোর্ট ইনসাইড

মাদারীপুরে রাজিব হত্যা মামলায় ২৩ জনের ফাঁসির আদেশ

প্রকাশ: ০৬:৪৫ পিএম, ২১ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

মাদারীপুর সদরে রাজীব সরদার (২৬) হত্যা মামলায় ১১ বছর পর রায়ে ২৩ জনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ৬ জনকে  যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ মার্চ) বিকেলে মাদারীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ লায়লাতুল ফেরদৌস এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন- আব্দুল হাই হাওলাদার, আব্দুল হক হাওলাদার, জহিরুল হাওলাদার, রাসেল হাওলাদার, রাজা হাওলাদার, কালু হাওলাদার, সোবহান হাওলাদার, তুষার শরীফ, ইউসুফ হাওলাদার, আজিজুল হাওলাদার, রহিম হাওলাদার, রেজাউল হাওলাদার, শামিম হাওলাদার, আহাদ হাওলাদার, দলিল উদ্দিন হাওলাদার, অলিল উদ্দিন হাওলাদার, জসিম হাওলাদার, মনির হাওলাদার, সুমন শরীফ, সাগর শরীফ, হাফিজুল কাজী, কালু কাজী, আলাউদ্দিন কাজী।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- সেকেন হাওলাদার, উজ্জ্বল হাওলাদার, জামাল হাওলাদার, রুবেল হাওলাদার, নুরুল আমিন হাওলাদার, বাকিবিল্লা হাওলাদার।

মামলার বিবরণ ও আদালত সূত্র জানায়, গত ২০১২ সালের ১ সেপ্টেম্বর সকালে মামা আলী হাওলাদারের নার্সারিতে কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন রাজীব সরদার। এ সময় তিনি পৌর শহরের হরিকুমারিয়া এলাকায় আসলে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে অভিযুক্তরা দেশিয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর যখম করে। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ও পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়ার পথে মারা যায় রাজীব।

এ ঘটনার ৩ দিন পর নিহতের মামা আলী হাওলাদার বাদী হয়ে জামাল হাওলাদার, রহিম হাওলাদার, আছাদ হাওলাদারসহ ৪৭ জনকে আসামি করে মাদারীপুর সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে সদর থানার তৎকালীন পুলিশের উপ-পরিদর্শক রাজীব হোসেন তদন্তের পর ২০১২ সালের ৩১ ডিসেম্বর ৩৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। এরপর আদালত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ ১৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে। পরে বিচারিক আদালতে দীর্ঘ ১১ বছর যুক্তিতর্ক শেষে উপযুক্ত সাক্ষী প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে ২৩ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ৬ জনকে যাবজ্জীবন ও প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন। এদিকে এ রায় ঘোষণার সময় ২২ জন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

মাদারীপুর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. সিদ্দিকুর রহমান সিং বলেন, এটি একটি ঐতিহাসিক রায়। দীর্ঘ ১১ বছর যুক্তিতর্ক শেষে আদালত এই মামলায় ২৩ জনকে ফাঁসির আদেশ দেন। আমরা রাষ্ট্রপক্ষ এই রায়ে সন্তুষ্ট। 

মাদারীপুর   রাজিব হত্যা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন