নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:৫৪ পিএম, ২০ মে, ২০২১
রাজধানীর পল্লবীতে প্রকাশ্য দিবালোকে ছেলের সামনে বাবাকে কুপিয়ে হত্যার মামলায় আরও দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা মিরপুর বিভাগ।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন মো. সুমন বেপারী (৩৩) ও মো. রকি তালুকদার (২৫)। বুধবার দিবাগত রাতে পল্লবী ও রায়েরবাগ এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে গোয়েন্দা মিরপুর জোনাল টিম।
গত ১৬ মে বিকাল ৪টায় জমির বিরোধের বিষয়ে মীমাংসার কথা বলে সাহিনুদ্দিন নামে এক ব্যক্তিকে পল্লবী থানার ডি ব্লকের একটি গ্যারেজের ভেতর নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। সেখানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ছেলের সামনে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে তাকে হত্যা করা হয়। প্রকাশ্য দিবালোকে লোমহর্ষক এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ভিকটিমের মায়ের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ১৭ মে পল্লবী থানায় হত্যা মামলা করা হয়।
গোয়েন্দা মিরপুর বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. আহসান খান জানান, ১৯ মে থেকে মামলার তদন্ত শুরু করে গোয়েন্দা মিরপুর জোনাল টিম। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় যাত্রাবাড়ী থানার রায়েরবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যার পরিকল্পনা ও নেতৃত্বদানকারী সুমনকে গ্রেফতার করা হয়। সুমনের দেওয়া তথ্যমতে পল্লবী থানার স্কুল ক্যাম্প কালাপানি এলাকা হতে অপর অভিযুক্ত রকিকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার দুজনের প্রত্যেকের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদনসহ নথি আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে সাহিনুদ্দিন হত্যার ঘটনায় সাবেক সংসদ সদস্য এম এ আউয়ালকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার (২০ মে) সকালে র্যাব সদর দফতর থেকে পাঠানো এক ক্ষুদে বার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
এম এ আউয়াল লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান, তরিকত ফেডারেশনের সাবেক মহাসচিব।
বিষয়টি নিশ্চিত করে র্যাব সদর দফতরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, র্যাবের অভিযানে ভৈরব থেকে এম এ আউয়ালকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি রাজধানীর পল্লবীতে সন্তানের সামনে বাবাকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ও হত্যা মামলার ১ নং আসামি।
এর আগে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা তদন্তকালে ১৬ মে পল্লবী এলাকা হতে মো. মুরাদ এবং ১৮ মে দিপু নামে দুজনকে গ্রেফতার করে পল্লবী থানা পুলিশ।
মন্তব্য করুন
মাহমুদা খানম মিতু পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
দুদক দুর্নীতি রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিএসএমএমইউ দুর্নীতি মামলা ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সরকার টানা চতুর্থবারের মতো ক্ষমতা গ্রহণ করছে। গত ১১ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করেছে। এর আগে তিন মেয়াদে যারা বিভিন্ন সময়ে মন্ত্রী ছিলেন এবং সরকারের ভিতর গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন, তাদের অনেকেরই দায়িত্ব পালনের সময়টি স্বচ্ছতার ছিল না। তারা নিজেদেরকে বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখতে পারেননি। আর এ কারণেই তাদের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। গত তিন মেয়াদ এ রকম অন্তত এক ডজন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এই দুর্নীতির অভিযোগ এখন বিভিন্ন সংস্থাগুলো তদন্ত করছে।