নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৩১ এএম, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ড টোল প্লাজা এলাকা থেকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে সাগর মিজি নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে র্যাব। গতকাল রবিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
জানা যায়, গ্রেফতার সাগর মিজির বাড়ি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা। তিনি পেশায় ঝালাইমিস্ত্রি। মাত্র চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করলেও নিজেকে তিনি স্নাতকোত্তর পাস পরিচয় দিতেন ভার্চুয়াল জগতে। একাধিক ভুয়া ফেসবুক আইডিও রয়েছে তার। আর এসব আইডি ব্যবহার করে নারীদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলতেন তিনি। সর্বশেষ চট্টগ্রামের এক তরুণীর সঙ্গে একই কৌশলে সম্পর্ক গড়ে তোলেন সাগর। এরপর গত ২০ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারের একটি রিসোর্টে ওই তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে তিনি পালিয়ে যান।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১০-এর পরিচালক অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক মাহ্ফুজুর রহমান জানান, গত ১৮ সেপ্টেম্বর সকালে কক্সবাজারের কলাতলী এলাকার একটি রিসোর্টে কক্ষ ভাড়া নেন সাগর মিজি। এসময় তিনি হোটেল কর্তৃপক্ষকে জানান, ২০ সেপ্টেম্বর তার স্ত্রী ঢাকা থেকে আসবেন। তখন দুজন থাকতে পারবেন, এমন একটি কক্ষ ভাড়া নেবেন। এরপর ২০ সেপ্টেম্বর সাগর স্ত্রী পরিচয় দিয়ে এক নারীকে নিয়ে ওই হোটেলে অবস্থান করেন। পরদিন সকালে হোটেল কর্তৃপক্ষ ওই কক্ষে কোনো সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে তরুণীর লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে ওই তরুণীর লাশ উদ্ধার করে।
র্যাব জানায়, হোটেলে দেয়া মোবাইল নম্বর ও অন্যান্য সূত্রের মাধ্যমে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় সাগর মিজিকে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ওই তরুণীকে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন। তাকে কক্সবাজার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাগর জানিয়েছেন, রিসোর্টের কক্ষে ওই তরুণীকে তিনি ধর্ষণ করেন। এ সময় নারীর সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় তার। একপর্যায়ে ওই তরুণীর গলা চেপে ধরে দেয়ালের সঙ্গে ধাক্কা দিলে মেঝেতে পড়ে যান। তখন ওই তরুণীর গলা টিপে ধরে পাশে থাকা গ্লাস দিয়ে কয়েকবার মাথায় সজোরে আঘাত করে হত্যা করেন।
র্যাব কর্মকর্তা মাহ্ফুজুর রহমান আরো জানান, এরই মধ্যে নিশ্চিত হওয়া গেছে, ধরা পড়ার আগে তিনি অন্তত ১২ নারীকে ধর্ষণ করেছেন। তবে তাদের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তার ফাঁদে পা দেয়া নারীদের মধ্যে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া শিক্ষার্থীও রয়েছেন। এ বিষয়ে অনুসন্ধান করে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য করুন
মাহমুদা খানম মিতু পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
দুদক দুর্নীতি রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিএসএমএমইউ দুর্নীতি মামলা ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সরকার টানা চতুর্থবারের মতো ক্ষমতা গ্রহণ করছে। গত ১১ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করেছে। এর আগে তিন মেয়াদে যারা বিভিন্ন সময়ে মন্ত্রী ছিলেন এবং সরকারের ভিতর গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন, তাদের অনেকেরই দায়িত্ব পালনের সময়টি স্বচ্ছতার ছিল না। তারা নিজেদেরকে বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখতে পারেননি। আর এ কারণেই তাদের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। গত তিন মেয়াদ এ রকম অন্তত এক ডজন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এই দুর্নীতির অভিযোগ এখন বিভিন্ন সংস্থাগুলো তদন্ত করছে।