প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৬ নভেম্বর, ২০২১
গত শুক্রবারে (১৯ নভেম্বর) আওয়ামী লীগের যে গুরুত্বপূর্ণ ওয়ার্কিং কমিটির মিটিং হয়, এ সম্বন্ধে বাংলা ইনসাইডারে এদেশের একজন খুবই বুদ্ধিবৃত্তিক কলামিস্ট সৈয়দ বোরহান কবীর সংক্ষেপে হলেও কিছু তথ্য উল্লেখ করেছেন। আমি আসলে আজকে তারই একটা তথ্যকে আরো একটু বিশ্লেষণ করে বলতে চাই। এক-এগারোর পূর্বে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে অনেক বাক গেছে এবং অনেক কঠিন সময় পার হয়েছে। বঙ্গবন্ধু সময় অত দূরে না গিয়ে শুধু নেত্রীর সময়ের কয়েকটি ঘটনা উল্লেখ করতে চাই। আওয়ামী লীগকে এবং বঙ্গবন্ধুর রাজনীতিকে টিকিয়ে রাখার জন্য এবং প্রান্তিক আওয়ামী লীগের সমর্থকদের আসলে একটা চাপা ক্ষোভের কারণেই এই দলকে এক রাখার জন্য বর্তমান রাষ্ট্র নায়ক শেখ হাসিনাকে আওয়ামী লীগের প্রধান করে দেশে ফেরার আগ্রহে সবাই তাকিয়ে থাকেন এবং নেত্রী বিশেষ করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আকাঙ্ক্ষার কারণেই তিনি দেশে ফিরে আসেন। কিন্তু দেশে ফিরে আসার পরে তখন ছিলো চাচার রাজনীতি। কারণ তিনি যাদের সাথে অল্প বয়সে রাজনীতি শুরু করেছিলেন আওয়ামী লীগের প্রধান হিসেবে। আর যারা আওয়ামী লীগের নেতা তারা অধিকাংশই চাচার পর্যায়ে সুতরাং এই চাচাদের নিয়েই তাকে চলতে হত। মিসেস ইন্দিরা গান্ধীর আগে যেরকম ভারতের কামরাজ এতই শক্তিশালী ছিলেন যে পিছন থেকে কংগ্রেসে কামরাজের বুদ্ধি এবং তার পরামর্শ অনুযায়ী কেউ নেতা হন, কেউ নেতা থেকে ঝরে পড়তেন। সেটাকে বন্ধ করতে ইন্দিরা গান্ধী দলে এসে কামরাসকেই দলের ভেতর থেকেই বের করে দিলেন। তাতে দেখা গেল যে ইন্দিরা গান্ধীর রাজনীতিতে ইন্দিরা গান্ধী একজন শক্তিশালী রাজনীতিবিদের পরিণত হলেন। ঠিক তেমনিভাবে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা দেশে ফিরে যখন দেখলেন যে চাচারা তাকে কিছুতেই সহ্য করতে পারতেছে না তখন তিনি নিজস্ব পদ্ধতিতে আগাতে থাকলেন। এর ফলে তখনকার জনাব আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগের একজন জনপ্রিয় এবং বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া নেতা। অর্থাৎ বঙ্গবন্ধু যে কয়েকজনকে নিজের হাতে গড়া বলতেই আব্দুর রাজ্জাক সাহেবের বিয়ে পর্যন্ত বঙ্গমাতা ঠিক করে দিয়েছিলেন। তিনি তখনকার নেত্রীকে প্রায় এতিম করে, আগে তো তিনি মা-বাপ তার ভাই, ভাইয়ের বউ, নিকটাত্মীয়দের হারিয়েছেন এবার তিনি রাজনৈতিক ক্ষেত্রে এতিম হলেন। কেননা অধিকাংশ নেতা যারা তখনকার দিনে পরিচিত আওয়ামী লীগের এবং যারা সত্যিকারে ক্ষমতাশালী জেলায়, বিভিন্ন জায়গায় তারা অধিকাংশই নেত্রীকে রেখে চলে গেলেন। কারণ তারা বিশ্বাস করতেন নেত্রী শেখ হাসিনা কয় দিনই বা আওয়ামী লীগের হাল ধরে থাকবে। কিন্তু এই পরিবেশে নেত্রী শূন্যের থেকে বলা চলে এমন ভাবে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করলেন যে এই আব্দুর রাজ্জাক সাহেবই আবার অনেক লোককে দিয়ে তদবির করে দলবলসহ আবার এসে নেত্রীর সাথে মিললেন।
একটা জিনিস খুব লক্ষ করার বিষয় যখন এক-এগারোতে নেত্রীর জন্য একটি রাজনৈতিক কঠিন সময় তখন কিন্তু যারা আওয়ামী লীগ ছেড়ে বাকশালে গিয়েছিল তারা প্রায় সবাই সংস্কারবাদী হয়ে গেলেন। সেই অবস্থাতেও কিন্তু নেত্রী তার মেধা দিয়ে, তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা দিয়ে এবং তিনি জানতেন যে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী এবং প্রান্তিক আওয়ামী লীগ সমর্থকগণ তাকে সমর্থন করবে এ কারণেই কিন্তু দল ভাগ হয়নি। এখানে অনেকেরই পজিটিভ, অনেকেরই অবদান আছে সেটি আমার কাছে মনে হয় খুব গুরুত্বপূর্ণ নয়। উল্লেখ করার বিষয় আসলে হচ্ছে মাথা ঠিক থাকলে সব ঠিক থাকে। আমরা যে যাই করি না কেন এর সম্পূর্ণ কৃতিত্ব রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাকে দিতে হয়। কারণ তিনি আমাদেরকে মুখের ভাষায়, চোখের ভাষায়, বডিল্যাঙ্গুয়েজ যে নির্দেশ দিয়েছেন সেই নির্দেশ যে বুঝতে পেরেছে সে ঠিক মত কাজ করেছে, যে বুঝতে পারেনি সে আবার আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। এমনকি নেত্রী যাদেরকে অনেক বিশ্বাস করে এনেছে তাদেরকেও তিনি আবার আস্তাকুড়ে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে। ওয়ান-ইলেভেনের পরে কিন্তু এই ভাইয়ের রাজনীতি কমে গেল, আগে কমলো চাচা। কারণ প্রথমে চাচারা কাকে নমিনেশন দিবে না দিবে এই ব্যাপারে একটি ইনফ্লুয়েন্স ছিল, সেই ইনফ্লুয়েন্সটা চলে গেল। এরপর ওয়ান-ইলেভেনের পরে ভাইদেরও ক্ষমতা যারা রিয়েল ক্ষমতাশালী তারা সবাই নেত্রীকে মাইনাস করার চেষ্টা করার ফলে তাদের ক্ষমতা ও অনেক কমে গেলো। কিন্তু একেবারে শূন্যের কোঠায় চলে গিয়েছে বলা ঠিক হবেনা কিছু ক্ষমতা ছিল। কার্যকরী কমিটির সভায় তিনি যেভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং যে বক্তব্য দিয়েছেন আমরা পত্র-পত্রিকায় যেটুকু পড়েছি এবং যেটুকু তার অন্তত দীর্ঘদিন চিনার ফলে তার চেয়ে মনোভাব বুঝেছি তাতে মনে করি যে ভাইদের তদবির করা এখন কবরে চলে গেলো। অর্থাৎ এখন আর নেত্রীর কাছে তদবির করার আর কেউ সাহসই করবেনা। এই যে তিনি বিভিন্ন যে সিদ্ধান্তগুলো গ্রহণ করলেন এবং আরো কিছু সিদ্ধান্ত বাকি আছে, এখন পর্যন্ত গুলো শুরু হয়নি আশা করি শুরু হবে যে। এই যে ইউনিয়ন পর্যায়ে কারা কারা পিছনে থেকে এই বিদ্রোহী প্রার্থী করলেন, কারা কারা আসলে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হেয় করার জন্যেই এই কাজটি করেছে। তাদেরকেও নেত্রী ইতিমধ্যে চিনে ফেলেছেন এবং তিনি জানেন যে কখন কোন সিদ্ধান্তটি কার্যকরী করতে হবে। সুতরাং উনি এই ভাবে করেন না জাস্ট ধরলাম, মারলাম, ছাড়লাম তা না। তিনি ঠিক সময়মতো অবশ্যই এদেরকে যে পদক্ষেপ সঠিক পদক্ষেপ নেওয়ার সেই পদক্ষেপ নিবেন এবং একটা জিনিস মনে রাখতে হবে নেত্রী কিন্তু নিজের বুদ্ধিমত্তার জন্যই অন্তত বাংলাদেশ কখনোই নেত্রীর কর্মীর কোন অভাব হবে না। নেত্রীর সাথে দাঁড়াবার জন্য হয়ত ওইসব লোক পাওয়া যাবে না যারা কিনা শ্লোগান দেয় নেত্রী তুমি এগিয়ে চলো আমরা আছি তোমার পিছে। অর্থাৎ নেত্রী তুমি যখন বিপদে পরবে তখন পিছন থেকে আমরা পালিয়ে যাবো। নেত্রীর পাশে থাকার লোকেরও অভাব নাই এবং তারা ঠিকই থাকবে, অতীতও প্রমাণ হয়েছে ভবিষ্যৎ ও প্রমাণ হবে। এইজন্য আমি মনে করি যে নেত্রী দলকে এবং দেশকে সঠিকভাবে সুসংগঠিত করার জন্য যেসকল ভাইরা কিছুটা হলেও তার জন্য অসুবিধা সৃষ্টি করতে ছিল তারা নিজেদের নির্বুদ্ধিতার কারণেই তারা শূন্যে পরিণত হল। এক-এগারোর আগে অনেকেরই মনে থাকার কথা অনেক নেতারাই বলতেন ‘আরে কাজ করব কিভাবে নেতৃত্ব কাজ দেয় না, নিজেই করে’। কিন্তু দেখা গেল যখন এক-এগারো আসলো যারা এসব কথা বলতেন তারা কিন্তু সকলেই নেত্রীর বিরুদ্ধে চলে গেলেন, তারা সকলেই সংস্কারবাদী হয়ে গেলেন। অর্থাৎ সঠিক পদক্ষেপ হলো এতদিন নেত্রী তাদের কোনো দায়িত্ব দেয় নাই এটা বুঝি দেননি এবং এই হচ্ছে বুদ্ধিবৃত্তিক রাজনীতির নিয়ম। আসলে এই উপমহাদেশে বুদ্ধিবৃত্তিক রাজনীতির গোড়াপত্তন করেছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। তাকে পানি ঢেলে ঢেলে আজকে মহিরুপে রূপান্তরিত করেছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। আল্লাহর রহমতে তিনি যেভাবে এগিয়ে চলেছে আর দশ পনেরো বছর যদি ইনশাআল্লাহ তিনি রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করতে পারেন তাহলে সঠিকভাবেই দেশ এগিয়ে যাবে এবং এমন একটি কাঠামোতে তখন আওয়ামী লীগ আসবে যে তখন ওই জোড়াতালি দিয়ে কেউ কিছু করে আওয়ামী লীগকে কোন স্পর্শ করতে পারবে না। সেই জন্যই নেত্রী এখন রাষ্ট্রের সবকিছুতেই সাকসেসফুল হয়েছে সেগুলোর আলাদা ইতিহাস বলার দরকার নেই। এখন তিনি দলের দিকে নজর দিয়েছেন এবং এখানেও তিনি সাকসেসফুল হবেন। আমি বিশ্বাস করি যৌক্তিক কারণ, নেত্রীকে জানার কারণে পরবর্তীতে যে ম্যাক্সিমাম হলে আগামী ২২ সালের ডিসেম্বরের মাঝে হয়ত আশা করি এর কিছু আগেই যে কাউন্সিল হবে সেই কাউন্সিলের নেতৃত্ব দেখেও অনেকে অবাক হয়ে যাবেন।
ইতিমধ্যে তিনি এরর দিয়ে বিভিন্ন নেতার তৈরি করা শুরু করেছেন এবং এরা হবে ইয়াং জেনারেশন আমাদের মত যারা জীবনের শেষপ্রান্তে তাদের দায়িত্ব হলো অ্যাডভাইজারি লিওনের মতো আমরা তাদের বিভিন্ন ব্যাপারে বলব তারা কেউ শুনবে কেউ শুনবে না সেটা আলাদা ব্যাপার কিন্তু মাঠে-ঘাটে ঠিক মতো দলকে ঠিক রাখতে হলে আওয়ামী লীগের মতো যেটাকে বঙ্গবন্ধু এমনভাবে করেছে যে বার বার কর্মীদের কাছে যেতে হবে কর্মীদের ভাষা বুঝতে হবে কর্মীদের আকাঙ্ক্ষা বুঝতে হবে সেই দিকে নজর দিয়েছে সব সময় তার নজর সব সময় ছিল দিয়েছেন বলাটা ভুল হবে তবে এখন আরও গুরুত্ব দিয়ে করছে আগামী দুই বছর আমাদের সকলের যারা আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাস করি নেত্রীর প্রদর্শিত পথে চলতে আগ্রহী তাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ সময় আমরা যেন নেত্রী ভাষা ঠিকমতো অনুধাবন করে আমরা জাতিকে এগিয়ে যেতে সহায়তা করি সে সহায়তা যৎসামান্য হোক না কেন সেটি অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে যেহেতু ভাইদের রাজনীতির খবর হয়েছে সুতরাং আমার মনে হয় সকলেরই এখন নেত্রীকে যে যেভাবে পারেন তাদের স্ব-স্ব স্থানে বসেই সহায়তা করা নৈতিক দায়িত্ব।
মন্তব্য করুন
ভিসা নিষেধাজ্ঞা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের নির্বাচন ভিসা নীতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের নির্বাচন ভিসা নীতি প্রাক পর্যবেক্ষণ দল
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের নির্বাচন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিউইয়র্ক পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
তৃণমূল বিএনপি নির্বাচন বিএনপি বিএনপি থেকে বহিস্কৃত সরকার শওকত মাহমুদ
মন্তব্য করুন
প্রথম পর্যায়ে ভিসা নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার পরপরই প্রশাসনের মধ্যে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়েছে। প্রশাসনের মধ্যে খোঁজ খবর নেওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন মহল টেলিফোনে একে অন্যকে জিজ্ঞেস করছেন যে, কারা কিভাবে ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় এলেন। এ সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানার জন্য এক ধরনের মরিয়া চেষ্টা দেখা গেছে। তবে লক্ষণীয় ব্যাপার যে প্রশাসনের মধ্যে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং বিচার বিভাগের কর্মকর্তাদের মধ্যে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক ব্যক্তি ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় এসেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফলশ্রুতিতে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর এক ধরনের ভয় এবং আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।
আমি জ্যোতিষী নই। ভবিষ্যৎ গণনা আমার কাজ না। বাংলাদেশে আগামী নির্বাচনের আগে কি ঘটতে পারে কোন জ্যোতিষীর পক্ষেও এখন বলা সম্ভব কিনা আমার সন্দেহ । হয়তো তা সময়ই বলে দেবে। কিন্তু পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে আগামী দিনের রাজনৈতিক ঘটনা প্রবাহের একটি ধারণা পাওয়া যেতেই পারে। ১০০ দিনের মধ্যে দেশে একটি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা। এ ব্যাপারে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। নির্বাচন কমিশন আগামী জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন করতে চায়। কিন্তু দেশে শেষ পর্যন্ত নির্বাচন হবে কিনা, তা এখন কোটি টাকার প্রশ্ন। নির্বাচন হলে সেই নির্বাচনে কি বিএনপি অংশ নেবে? বিএনপির অংশগ্রহণ ছাড়া নির্বাচন করা কি আদৌ সম্ভব হবে? সেরকম একটি নির্বাচন কি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃতি পাবে? ইত্যাদি নানা প্রশ্ন এখন বাংলাদেশের আকাশে-বাতাসে। অফিসে, রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে, চায়ের আড্ডায়, হাটে-বাজারে এসব নিয়ে নানা আলোচনা চলছে। অজানা এক গন্তব্যে বাংলাদেশ।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন কতটুকু অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ হবে, নির্বাচনের পরিবেশ কতটুকু আছে তা পর্যবেক্ষণ করতে যুক্তরাষ্ট্র সরকার নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একটি প্রতিনিধি দল আগামী অক্টোবরে বাংলাদেশে আসছে বলে জানা গেছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) এবং ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই) এর যৌথভাবে স্বাধীন নিরপেক্ষ প্রাক নির্বাচনী সমীক্ষা (পিইএএম) পরিচালনা করবে। ছয় সদস্যের এই প্রতিনিধি দল আগামী ৭ অক্টোবর থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশ সফর করবেন বলে জানা গেছে। নানা কারণে এই প্রতিনিধি দলের সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল। বিশেষ করে যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আগামী নির্বাচনের ব্যাপারে তাদের অনড় অবস্থান বারবার পুনরুক্ত করছে।
বাংলাদেশের ব্যাপারে পাঁচটি বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র কোনোরকম সমঝোতায় পৌঁছতে চাচ্ছে না। এ নিয়ে তাদের অনড় অবস্থানের এতটুকু পরিবর্তন হয়নি। সাম্প্রতিক সময়ে নিউইয়র্কে অবস্থান করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে এম আবদুল মোমেন। সেখানে তারা বিভিন্ন মার্কিন কূটনৈতিক কর্মকর্তার সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে বৈঠক করছেন। পররাষ্ট্র দপ্তরের কাউন্সিলর ডেরেক এইচ শোলেট এর সাথে গত মঙ্গলবার বৈঠক করেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র সচিব। এছাড়াও পররাষ্ট্র দফতরের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়ার সাথেও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বৈঠক করেছেন। উজরা জেয়ার সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারও বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
বিএনপি থেকে একঝাঁক নেতা তৃণমূল বিএনপিতে যাচ্ছে—এমন গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে বিএনপির ভিতর। শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় নেতারা নন, বিভিন্ন অঙ্গ সহযোগী নেতারা এমনকি বিভাগীয় জেলা পর্যায়ের নেতারাও তৃণমূল বিএনপিতে যাচ্ছেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, বিএনপির মধ্যে যে সমস্ত নেতারা এখন নিষ্ক্রিয় রয়েছেন তাদের একটি বিরাট অংশ তৃণমূল বিএনপিতে যেতে পারেন বলে অনেকে ধারণা করছেন।