কালার ইনসাইড

বলিউডে আইন-আদালত

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ১৫ মার্চ, ২০১৯


Thumbnail

আদালত, আইনজীবি, বিচারক বা জুরিদের কেন্দ্র করে যে সিনেমাগুলো ঘুরপাক খায়, সেগুলোই কোর্টরুম ড্রামা বলতে পারি। এই জনরাটি প্রচলিত আর দশরকমের চেয়ে অনেকটা ভিন্ন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কিছুটা ‘স্লো’ বা ‘বোরিং’ হয়। তবে এটা অস্বীকার করা সম্ভব নয়, একবার এই টাইপ সিনেমার মধ্যে ঢুকে গেলে নিঃশ্বাস আটকে আসা উত্তেজনা আর উৎকণ্ঠা পুরোপুরি পেয়ে বসবে। অনেক ক্ষেত্রেই কোর্টরুম ড্রামাগুলো হয় থ্রিলারের মত, কিছু কিছু ক্ষেত্রে ড্রামা। অনেক সময় সিনেমাগুলো সত্য ঘটনা অবলম্বেনে নির্মাণ হয় বলে দর্শকের আগ্রহের কমতি থাকে না।

বলিউডে এমন অনেক সিনেমা হয়েছে যার সমাপ্তি ঘটেছে কোর্ট রুমে গিয়ে। সিনেমার মূল আকর্ষণটা ছিল কোর্ট রুমকে ঘিরেই। সেখানেই চলে ক্যারেক্টারের চুলচেরা বিশ্লেষন। কোর্ট রুমের দরকারে সিনেমা এগিয়ে চলে। চলে থ্রিলিং, কখনোবা পক্ষ-বিপক্ষ উকিলের জেরা হাস্যরসের সৃষ্টি করে। আর এসব নিয়ে এই উপমহাদেশে কম সিনেমা নির্মাণ হয়নি। বলিউডের দিকে তাকে তাকালে যেসব সিনেমার কথা মনে পড়ে, এমন করেয়কটির কথা উল্লেখ করা হলো।

ও মাই গড (২০১২)

বলিউডের সুপারহিট এই সিনেমাটি কোর্টরুম ড্রামার তালিকায় দেখে ভ্রু কুঁচকানোর কোন কারণ নেই। অসাধারণ বুদ্ধিদীপ্ত এই রিলিজিয়াস স্যাটায়ার মূলত মানুষের বিশ্বাস নিয়ে খেলা করা কিছু লোকের মুখোশ উন্মোচন করার চিত্রপট। যার পটভূমি ছিল আদালত, এবং এই আদালতে আসামী ছিলেন স্বয়ং ঈশ্বর। কাঞ্জিলাল মেহতা নামে একজন ব্যবসায়ী। যিনি ধর্মীয় কাজে ব্যবহৃত জিনিসপত্রর যোগান দেয়। আকস্মিক এক ভূমিকম্পে তার দোকান ধ্বংস হয়ে যায়। দোকান ধ্বংসের ফলে সে ইন্স্যুরেন্সের কাছে টাকা দাবি করে। সেখান থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়, কারণ ভূমিকম্পের মত প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষের কিছু করার নাই, আইনের হাত সে পর্যন্ত পৌঁছে না। রাগে দুঃখে কাঞ্জিভাই শেষ পর্যন্ত মামলা ঠুকে দেয় ঈশ্বরের বিরুদ্ধেই। মামলা আদালত মঞ্জুরও করেন, এবং এরপর শ্বাসরুদ্ধকর ঘটনা আর দম ফাটানো কমেডিতে প্রকাশ পায় ধর্মব্যবসায়ীদের আসল চেহারা। সিনেমায় রয়েছে আরও টুইস্ট। পরেশ রাওয়াল ও অক্ষয় কুমার সিনেমাটির মূল চরিত্রে অভিনয় করেন।

জলি এলএলবি

২০১৩ সালে নির্মিত হয় এই কমেডি সিনেমা। ১৯৯৯ সালে সঞ্জীব নন্দ নামে এক শিল্পপতি পুত্রের মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে তিন পুলিশ অফিসার সহ ছয় ব্যক্তিকে গাড়ি চাপা দিয়ে হত্যার সত্য ঘটনার ছায়া অবলম্বনে নির্মিত সিনেমাটি সে বছর সেরা চলচ্চিত্র ক্যাটাগরিতে ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার লাভ করে। সিনেমাটির মূল চরিত্রে আরশাদ ওয়ার্সি ও বোমান ইরানি অভিনয় করেন। জলি এলএলবি নামের সিনেমাটা এলো ২০১৩ সালে, সামাজিক সমস্যা আর সংস্কার নিয়ে একটা মেসেজ দেয়ার মতো সিনেমা। সিনেমাটি ব্যবসায়িকভাবেও সফল হয়।

জলি এলএলবির সিক্যুয়েলও নির্মাণ হয়েছে।

জলি এলএলবি ২

জগদীশ মিশ্র ওরফে জলি (অক্ষয় কুমার) এক নামী উকিলের সহকারী। প্র্যাকটিস করে লখনৌ আদালতে। তার বাবা ছিলেন ওই নামী আইনজীবীর স্টেনোগ্রাফার। বাবার অনেক আশা ছিল ছেলেকে নিয়ে, যার কিছুই সফল হয়নি। অর্থ আর উচ্চাশায় পড়ে যায় জলি। একবার এক হিনা (সায়ানি গুপ্ত) নামে এক বিধবা আর সন্তানসম্ভবার মামলা নেয় সে। পুলিশ হেফাজতে তার স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। আর এর জন্য দায়ী ইনস্পেক্টর সূর্যবীর সিং (কুমুদ মিশ্র)। এই ইন্সপেক্টরটিই হিনার স্বামীকে এনকাউন্টারে হত্যা করেছে। হিনার সঙ্গে জলি প্রতারণা করলে সে আত্মহত্যা করে। হিনার মৃত্যুর পর জলির বিবেক জেড়ে ওঠে। সে তার জীবনধারাকে বদলে ফেলে। যে পুলিশ সদস্যরা হিনার স্বামীর মৃত্যুর জন্য দায়ী সে তাদের বিরুদ্ধে আইনি যুদ্ধ শুরু করে। সুবিচার নিশ্চিত করার জন্য জলি চরম পদক্ষেপ নেয়। এর মধ্যে আছে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে মামলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আসামিকে সাক্ষীকে জেল থেকে ছুটিয়ে আনা, পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে চুক্তি এবং আইনজীবীদের সংগঠন থেকে বহিষ্কার হবার ঝুঁকি। এছাড়া একজন তারকা উকিলের সঙ্গে তার বিরোধ সৃষ্টি হয়। এসব নিয়েই অক্ষয়ের ছবিটি বক্স অফিসে একদম খারাপ করেনি।

এইতরাজ

রোমান্টিক থ্রিলার সিনেমা। এই সিনেমার মাধ্যমে দেখানো হয়, শুধুমাত্র মেয়েরা নন, ছেলেরাও সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্টের শিকার হতে পারে। অক্ষয় কুমার থাকেন এই সিনেমার ভিক্টিম। তাকে কোর্টরুমে লড়ে রক্ষা করে নায়িকা কারিনা কাপুর। সিনেমায় প্রিয়াংকা চোপড়া নেগেটিভ চরিত্রে অভিনয় করেন।

সুরিয়া

সিনেমাটি আর্মি অফিসারের মধ্যে কোর্ট মার্শাল নিয়ে। এখানে দেখানো হয় জাভেদ খান নামে এক মুসলিম সেনা তার কমান্ডিং অফিসারকে হত্যা করে। যা নিয়ে তিনি কোর্ট মার্শালের মুখোমুখি হয়। অত:পর বাক বিতন্ডা চলে সেখানে।  সিনেমাটি হলিউডের ‘অ্যা ফিউ গুড ম্যান’ সিনেমা অবলম্বনে নির্মাণ হয়েছে।

রুস্তুম

১৯৫৯ সালে ভারতের বহুল চর্চিত কে এম নানাবতি মার্ডার কেস। যেখানে নানাবতি খুন করেন তাঁর স্ত্রীর প্রেমিককে। দোষী হয়েও শেষ পর্যন্ত শাস্তি হয় না নৌ বাহিনীর এই অফিসারের। অতএব বোঝাই যাচ্ছে সিনেমা তৈরির জন্য একেবারে আদর্শ প্লট। রুস্তুমের আগেও বেশ কয়েকবার এই ঘটনাকে ভিত্তি করে ফিল্ম তৈরি হয়েছে। `রুস্তম` নিয়ে দর্শক মহলে বেশ উত্তেজনা তৈরী হয়। অক্ষয় কুমার আর পরিচালক নিরাজ পাণ্ডের যুগলবন্দী দর্শক ও সমলোচকরা গ্রহণ করেছিল।

পিংক

বিগ-বি অভিনীত ও সুজিত সরকার এর প্রডাকশনের কোর্টরুম ড্রামা সিনেমা ‘পিংক’ প্রমাণ করে দিল, ছবির বিষয়বস্তু ঠিক ঠাক থাকলে কিভাবে অনায়াসে দারুণ ব্যবসা করে নেওয়া যায়। ছবিতে অমিতাভ বচ্চনের প্রতিটি সংলাপ ভারতীয় সমাজের মনে ঢেউ সৃষ্টি করেছে। অনবদ্যা অভিনয় করেছেন তাপসী পান্নুও।

এছাড়া এ সময়ে নির্মাণ হয়েছে কোর্ট রুম নিয়ে তাপসী পান্নুর ‘মুল্ক’, ঐশ্বরিয়ার ‘জাজবা’, শহীদ কাপুরের ‘বাত্তি গুল মিটার চালু’, রানী মুখার্জির ‘ভীর যারা’, রাজকুমার রাওয়ের ‘শহীদ’, রানী মুখার্জি ও বিদ্যা বালানের ‘নো ওয়ান কিলড জেসিকা’র মত সিনেমা।

একটু আগেকার বা ক্লাসিক সিনেমার মধ্যে সুনীল দত্তর ‘ওয়াক্ত’, দেব আনন্দের ‘বাত এক রাত কি’, বি আর চোপড়ার ‘কানুন’, গোবিন্দর ‘কিউ কি মে জুট নেহি বলতা’, সানী দেওলের ‘দামিনি’, অনিল কাপুরের ‘মেরি জাং’।


বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ



মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

বুবলীর উপযুক্ত চিকিৎসার দরকার, বললেন অপু বিশ্বাস

প্রকাশ: ০৬:১৮ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ঢালিউড প্রাঙ্গণের সুপারস্টার খ্যাত শাকিব খানের সাথে শবনম বুবলী ও অপু বিশ্বাসের গভীর সম্পর্কের কথা এখন সবার মুখে মুখে। দুজনই ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানের সাবেক ঘরনি ও অভিনেতার দুই সন্তানের মা। ভিন্ন মেরুতে অবস্থান করলেও মাঝেমধ্যেই অপু-শাকিব-বুবলী এই ত্রয়ীর সমীকরণ নিয়ে চর্চা উঠে আসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। খবরের শিরোনাম হন তারা।
 
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে শাকিব খানের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে নানা কথা বলেছেন বুবলী।  বলছেন, 'আইনগতভাবে আমি এখনো শাকিব খানের বৈধ স্ত্রী। তার সঙ্গে কোয়ালিটি টাইম পার করি, আমাদের সন্তান অনেক সময় সে সুযোগটাও করে দেয়।'

বুবলীর বক্তব্য প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে হেসে দেন অপু বিশ্বাস। হাসতে হাসতে তিনি বলেন, ‘শাকিবকে নিয়ে তার এত এত মন্তব্যে আমি ভাষা হারাচ্ছি, আবেগাপ্লুত হচ্ছি। আমি কী বলব, বুঝতে পারছি না।’

সম্প্রতি গণমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে অপু বিশ্বাস বলেন, ‘আমি একজন নারী হিসেবে বলব, উনি যথার্থ সম্মানীয় মানুষ। প্রতিটি মানুষের তার নিজের কাছে সম্মানের জায়গা খোঁজেন। তিনিও এতটা সময় ধরে তার ক্যারিয়ারের ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। তবে আমার মনে হয় নিজের প্রচারের স্বার্থে অন্যকে ব্যবহার করে নিজের ব্যক্তিত্ব বিলিয়ে দেয়াটা বুদ্ধিমানের লক্ষণ নয়। আর যদি এটাই সে মনে করে, তাহলে তার উপযুক্ত চিকিৎসার দরকার।’
 
তিনি আরও বলেন, ‘এই যে উনি শাকিবের একের পর এক হাঁড়ির খবর দিচ্ছেন, কিন্তু আমি কোনো হাঁড়ি খুঁজে পাচ্ছি না। কিন্তু মজার মজার খবর পাচ্ছি তার মুখ থেকে। এ ব্যাপারে আর কি-ই-বা বলব। ওনার মনে হয় ডাক্তার দেখানো উচিত।’
 
সবশেষে অপু বলেন, ‘এখন আমরা একটা পর্যায়ে আছি। আমাদের কথাবার্তা যেন যথাযথ হয়, খেয়াল রাখা উচিত। এখন এসব কথা হাস্যকর মনে হয়। অতি ভক্তি চোরের লক্ষণ। আমি মনে করি ওনার সুস্থ থাকা দরকার।’


অপু বিশ্বাস   শবনম বুবলী   শাকিব খান  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

তামান্না ভাটিয়াকে ভারতীয় সাইবার সেলে তলব

প্রকাশ: ০৪:০৪ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির আলোচিত অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়া এখন বলিউডেরও পরিচিত মুখ। বেশ দাপুটের সঙ্গে কাজ করছেন তিনি। ক্যারিয়ারে দুর্দান্ত সময় পার করছেন। কিন্তু এরই মধ্যে বিপাকে পড়লেন এ তারকা। তাকে তলব করেছে ভারতের মহারাষ্ট্র সাইবার সেল।

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সাইবার সেলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মহাদেব অনলাইন গেমিং এবং বেটিং অ্যাপ্লিকেশনের একটি সহায়ক অ্যাপে আইপিএল ম্যাচ দেখার জন্য কথিত প্রচারের জন্য তলব করা হয়েছে তামান্নাকে।

দক্ষিণী এই নায়িকাকে আগামী ২৯ এপ্রিল মহারাষ্ট্র সাইবার সেলে হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়েছে। সেখাতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। 

এর আগে, গত বছরও কিছু আইপিএল ম্যাচ অ্যাপে অবৈধভাবে স্ট্রিম করা হয়েছিল। এ ব্যাপারে একটি অভিযোগও রয়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সেই মামলায় সাক্ষী হিসেবে তার বক্তব্য রেকর্ড করার জন্য ডাকা হয়েছে।

ইতোমধ্যে এ মামলায় মহারাষ্ট্র সাইবার সেল গায়ক বাদশা, অভিনেতা সঞ্জয় দত্ত ও জ্যাকলিন ফার্নান্দেজের ম্যানেজারদের বক্তব্য নিয়েছে। আর মহাদেব অ্যাপটি অবৈথ অর্থ লেনদেন এবং বাজি ধরার জন্য বিভিন্ন তদন্ত সংস্থার মনিটরিংয়ে রয়েছে।

প্রসঙ্গত, তামান্না ভাটিয়া ‘বাহুবলী’ এবং নেটফ্লিক্স অ্যান্থলজি ‘লাস্ট স্টোরিজ-২’ এর জন্য দর্শকমহলে বহুল পরিচিত।


তামান্না ভাটিয়া   ভারতীয় সাইবার সেল   বলিউড  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

বাংলাদেশের 'নীল জোছনা' সিনেমায় পাওলি দাম

প্রকাশ: ১০:২২ এএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশের সরকারি অনুদানের 'নীল জোছনা' সিনেমায় অভিনয় করবেন ভারতের অভিনেত্রী পাওলি দাম। 

মোশতাক আহমেদের প্যারাসাইকোলজি বিষয়ক উপন্যাস 'নীল জোছনার জীবন' অবলম্বনে নির্মিত হবে সিনেমাটি।

সিনেমার প্রধান নারী চরিত্রে দেখা যাবে অভিনেত্রী পাওলি দামকে। তার বিপরীতে কে থাকছেন সেটা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। 

গত বুধবার (২৪ এপ্রিল) পাওলির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তি করেন নির্মাতা ফাখরুল আরেফীন খান।

তিনি বলেন, 'প্রায় ৬ বছর আগে 'নীল জোছনা' সিনেমার কাজ শুরু করেছিলাম। এরপর ২০১৯ সালে করোনা এবং আমার আরেকটি সিনেমার কারণে কাজটি বন্ধ ছিল।

এরপর আবার গত বছরের শুরু থেকে কাজ শুরু করি। সিনেমার দৃশ্যধারণ শুরু হবে মে মাসের শেষ দিকে।' 


পাওলি দাম   নীল জোছনা  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এফডিসির সামনে মানববন্ধন

প্রকাশ: ১০:২৪ এএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরীর নেতৃত্বে গণমাধ্যমকর্মীদের উপর নারকীয় হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে সাংবাদিকরা।

গতকাল বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে বিএফডিসি'র টেলিভিশন ক্যামেরাম্যান জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের (টিসিএ) উদ্যোগে বিএফডিসি'র সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধন বক্তৃতা রাখেন বিএফইউজে'র সভাপতি ওমর ফারুক, মহাসচিব দীপ আজাদ, ডিইউজের নব-নির্বাচিত অন্যতম সভাপতি সাজ্জাদ আলম তপু, সোহেল হায়দার চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মুজতবা ধ্রব, বাচসাস'র সভাপতি রাজু আলীম, সাধারণ সম্পাদক রিমন মাহফুজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবু প্রমুখ।

এসময় বক্তারা বলেন, সাংবাদিকরা নানাক্ষেত্রে আজ নির্যাতিত। তারা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নানাভাবে বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। চলচ্চিত্রে যারা অভিনয় করে তাদের আমরা মননশীল করি। কিন্তু তারা যখন মাস্তানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন, তখন তারা সমাজে কী বার্তা দেন নারকীয় এই হামলার নেতৃত্ব দেওয়া জয় চৌধুরী শিবা শানু, ও আলেকজান্ডার বো'সহ জড়িত সবাইকে শিল্পী সমিতি থেকে সদস্যপদ বাতিলসহ আইনের আওতায় আনার দাবি জানান মানববন্ধন থেকে বক্তারা।

মানববন্ধনে আরও অংশ নেয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত বিনোদন বিটের সাংবাদিকরা।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার বিকালে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নব-নির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে শিবা শানু, জয় চৌধুরী ও আলেকজান্ডার বো'র নেতৃত্বে সাংবাদিকদের ওপর হামলা করা হয়। এতে প্রায় ২০ জন সাংবাদিক আহত হন। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৪ জন। এ ঘটনার প্রতিবাদে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিনোদন সাংবাদিকসহ নানা বিটে কর্মরত সাংবাদিকরা।

এদিকে, ঘটনার তদন্তের জন্য ১১ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। যেখানে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি ও সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে পাঁচজন করে রাখা হয়েছে। আর উপদেষ্টা হিসেবে আছেন প্রযোজক আরশাদ আদনান। দশ জনের তদন্ত কমিটিতে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে লিমন আহমেদ, রাহাত সাইফুল, আহমেদ তৌকির, বুলবুল আহমেদ জয়, আবুল কালাম এবং শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে মিশা সওদাগর, ডি এ তায়েব, নানাশাহ, রুবেল, রত্না।


সাংবাদিকদের ওপর হামলা   এফডিসি   মানববন্ধন  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

এবার বিয়ে ও বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন জয়া

প্রকাশ: ০৯:৪৯ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত ও দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। ইতোমধ্যে ঢালিউড-টালিউড মাতিয়ে অভিনয়ের দ্যুতি ছড়িয়েছেন বলিউডেও। পর্দায় ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে নিজেকে ফুটিয়ে তোলেন এই নায়িকা। সাবলীল অঙ্গভঙ্গি আর অভিনয় দক্ষতায় বরাবরই দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়ে যান তিনি।

কাজের পাশাপাশি এই অভিনেত্রীর ঘরের খবর পেতেও মুখিয়ে থাকেন দর্শক। কবে বিয়ে করছেন, কেন একা থাকেন এসব জানার খুব শখ তাদের। বরাবরই তিনি মুখে কুলুপ এঁটে ছিলেন। তবে এবার সবকিছু নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে জয়া কথা বলেছেন বিয়ে ও বিচ্ছেদ নিয়ে।

বিয়ে নিয়ে জয়া বলেন, বর্তমান জীবন খুবই এনজয় করছি। দেখুন, পরিবার তো শুধু স্বামী-স্ত্রীকেই ঘিরে নয়, অথবা পার্টনার হলেই হয় না, পরিবারে আরও অনেকেই আছে। পরিবারে মা-বাবা আছেন, আমার বাড়িতে যেসব লোক কাজ করেন, তারা আছেন। আমি খুবই এনজয় করি।

একাকী জীবনযাপন নিয়ে এ অভিনেত্রী বলেন, আমি তো কোনোকিছু পরিকল্পনা করি না। যদি মনে করি যে সিঙ্গেল থেকে ডাবল হতে চাই, দরকার আছে, তখনই হবো। তবে এই মুহূর্তে আমার কোনো পরিকল্পনা নেই। কারণ, আমি খুবই ভালো আছি, শান্তিতে আছি চারদিকে। আমার আপাতত কোনো প্ল্যান নেই।

এদিকে প্রথমবারের মতো ওয়েব সিরিজে কাজ করতে যাচ্ছেন জয়া। এটি নির্মাণ করবেন মহানগর খ্যাত নির্মাতা আশফাক নিপুণ।


জয়া আহসান  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন