কালার ইনসাইড

প্রধানমন্ত্রী বড় বোনের মতো খোঁজ নিচ্ছিলেন হুমায়ূন আহমেদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪:৩৬ পিএম, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৩তম জন্মদিন আজ। শেখ হাসিনা ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জের মধুমতি নদী বিধৌত টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছার জ্যেষ্ঠ সন্তান এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি। এমন দিনে তিনি যে শুভেচ্ছায় ভাসবেন সেটাই স্বাভাবিক। সেই শুভেচ্ছা বার্তায় সুদীর্ঘ এক স্মৃতিচারণ লিখেছেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন। সেখানে লিখেছেন, তার প্রয়াত স্বামী কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের সাক্ষাত প্রসঙ্গে।

‘২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ২৫ তারিখ, এক রবিবার সকালে আমাদের বাসায় সাজ সাজ রব পড়ে গেল! বিশালদেহী কিছু আমেরিকান নিরাপত্তারক্ষী তন্নতন্ন করে বাসার আশপাশ দেখে নিরাপত্তা নিশ্চিত করল।

তখন আমি থাকি নিউইয়র্কের জ্যামাইকা এলাকায়। পুরো ঠিকানা ১৪৮-০১, ৯০ এভিনিউ, জ্যামাইকা, নিউইয়র্ক ১১৪৩৫। হুমায়ূন আহমেদের কর্কট রোগের সঙ্গে তখন যুদ্ধরত আমাদের পুরো পরিবার। ডাক্তার আর হাসপাতালের বাইরে মাঝে মাঝে বিকেলে ম্যানহাটনে ‘ইস্ট’ নদীর পারে ‘Pier 17’- এ বসে সময় কাটান হুমায়ূন আহমেদ। কেমোথেরাপি চলছিল নিয়মিত। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার কারণে বেশি মানুষের সংস্পর্শে আসা নিষেধ।

তার উপরে কেমোর প্রভাবে মাথার চুল পড়তে শুরু করেছে। কমে যাওয়া চুল নিয়ে খুব বেশি শংকিত না হলেও আয়নার দিকে তাকিয়ে একটু অস্বস্তিতে ভোগেন হুমায়ূন আহমেদ। অস্বস্তি ঢাকতে একখানা টুপি কিনে নিয়েছেন তিনি। বাড়ির বাইরে গেলে টুপিটা মাথায় দিয়ে বের হন। সেদিনও ব্যস্ত নিরাপত্তা রক্ষীদের দেখে টুপি বের করলেন তিনি। জ্যামাইকার ঐ বাড়ির আশেপাশে অনেক বাঙালির বসবাস।

তারা জানালা দিয়ে উঁকি-ঝুঁকি দিয়ে আমাদের বাড়ির কর্মতৎপরতা দেখছেন। আমার বড়পুত্র খানিকটা অবাক- কে আসবে বাসায়! হুমায়ূন উত্তর দিলেন বাংলাদেশ থেকে ভালোবাসা নিয়ে আসবেন একজন। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মমতাময়ী শেখ হাসিনা।

সাড়ে চার বছর বয়েসী পুত্র নিষাদ কিছু বুঝতে পারল কিনা জানি না। তবে সদ্য এক বছর পূর্ণ হওয়া নিনিত গম্ভীর মুখে মাথা নেড়ে বাবার কোলে চেপে বসল।

দুপুর ১২টা নাগাদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পৌঁছালেন। তাঁকে স্বাগত জানালেন হুমায়ূন আহমেদ। প্রধানমন্ত্রী একগুচ্ছ শাদা ফুল তুলে দিলেন হুমায়ূনের হাতে। তারপর ছোট্ট বসার ঘরটিতে বসলেন তিনি। একজন বড়বোনের মতোই হুমায়ূন আহমেদের শারীরিক অবস্থার সব খবরাখবর নিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। হুমায়ূন আহমেদও জানালেন চিকিৎসার সব তথ্য আর চিকিৎসকের মতামত।

আমি পাশের চেয়ারে বসে বোকার মতো তাকিয়ে আছি আর অবাক বিস্ময়ে ভাবছি, ‘ইনিই কি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী! তার প্রাণোচ্ছল হাসি, তার মমতাময় দৃষ্টি, কোনোরকম পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি ছাড়াই দেশের একজন লেখকের দুঃসময়ে তাকে দেখতে যাওয়া! এসব কি কোনো সরকার প্রধানের কাছে কোনোদিন আশা করবার কল্পনা করতে পেরেছি আমরা!’

বাকপটু হুমায়ূন আহমেদ খুব সাধারণ ভঙ্গিমায় কথা বলা এই অসাধারণ মানুষটিকে সামনে পেয়ে কেমন যেন অপ্রভিত, অপ্রস্তুত। জাতিসংঘের অধিবেশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ আয়োজনে অংশ নিতে আসা ব্যস্ততম একজন রাষ্ট্রপ্রধান নগণ্য এক লেখকের বাড়িতে!

‘কত জরুরি কাজে ব্যস্ত থাকেন আপনি। আপনার নিশ্চয় দেরি হয়ে যাচ্ছে!’ জবুথবু হুমায়ূন বলে বসেন। কিশোরীসুলভ একটা হাসি খেলে যায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর চোখে। মুচকি হেসে বলেন, ‘আমাকে কি তাড়াতাড়ি চলে যেতে বলছেন আপনি?’ অপ্রস্তুত হুমায়ূন হেসে ফেলেন।

প্রায় ৩০ মিনিট থাকলেন তিনি। আমাকে বললেন, যে কোনো প্রতিকূল পরিস্থিতিতে, যে কোনো বিপদে যেন তাঁকে জানানো হয়। সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি। যাওয়ার সময় দশ হাজার ডলারের চেকসহ একটি খাম তুলে দেন হুমায়ূন আহমেদের হাতে। লজ্জায় পড়ে যান হুমায়ূন। তার অস্বস্তি দেখে আমি বলি, ‘তুমি খামটা হাতে নাও। এখানে আছে তোমার জন্য প্রধানমন্ত্রী আর দেশের মানুষের দোয়া।’

বিনয়ের সঙ্গে চেকটি নেন হুমায়ূন আহমেদ। আমার ছোট্ট দুই পুত্রের মাথায় হাত রেখে আদর করে বিদায় নেন মমতাময়ী প্রধানমন্ত্রী।

কোলন সার্জারির আগে ২০১২-এর মে মাসে শেষবারের মতো যখন দেশে এসেছিলেন তখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের আগ্রহ প্রকাশ করেন লেখক নিজে। আমার মা বেগম তহুরা আলী তখন নবম জাতীয় সংসদের একজন সদস্য। তার মাধ্যমে লেখকের আগ্রহের কথা জেনে একদিন বিকেলে নিজ বাসভবনে সময় দেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। লেখক এবার স্বপ্রতিভ। মমতাময়ী মানুষটির জন্য সুদূর কলোরাডো থেকে কিনে এনেছেন উপহার- বেগুনি রঙের উজ্জ্বল একটুকরো ‘এমিথিস্ট’ পাথর। পাথরের ওপরের অংশ শক্ত আবরণে ঢাকা। তার ফাঁক দিয়ে ভেতরের বেগুনি আভার উজ্জ্বলতা ঠিকরে বেরোচ্ছে।

শুভ্র শাদা শাড়িতে বসার ঘরে এসে মাননীয় নেত্রী যখন ঘরোয়া ভঙ্গিতে জিজ্ঞেস করেন, ‘কেমন আছেন হুমায়ূন সাহেব ?’ তখন আর তাকে সরকার প্রধান মনে হয় না, পরমাত্মীয়ের মতো লাগে।

তার জন্য আনা উপহার হাতে নিয়ে হুমায়ূন আহমেদ বললেন, ‘এই পাথরটা দেখে আমার আপনার কথা মনে হয়েছে। এই পাথরটা যেমন বাইরে অনেক কঠিন কিন্তু আলো পড়লেই ভেতরের ঔজ্জ্বল্য দৃশ্যমান তেমনি চারপাশের কঠিন আবরণ আপনার ভেতরের উজ্জ্বলতাকে আটকে রাখতে পারে না, একটু আলোতেই ঝলমলিয়ে ওঠে।’

তিনি পরম যত্নে উপহার গ্রহণ করলেন। অন্দরমহল থেকে আসা বিভিন্ন ঘরোয়া নাস্তা দিয়ে আমাদের আপ্যায়ন করলেন। কার্পেটে বসে দেড় বছর বয়েসী নিনিতকে নিজ হাতে চিকেন কাটলেট টুকরো করে কেটে খাওয়ালেন! আমি আজও বিস্মিত হয়ে ভাবি-দেশের সর্বোচ্চ আসনে আসীন মানুষটির এ ধরনের সহজ আদুরে ব্যবহারের কথা!

ঠিক নিজ নাতি-নাতনির মতোই কোলে তুলে নিয়েছিলেন ছোট্ট নিনিতকে। আর নিষাদের দিকে তাকিয়ে বলেছিলেন, ‘কি... তুমি নাকি নিউইয়র্কে তোমার জন্য গিফট না নিয়ে যাওয়ায় আমার উপর ‘লাগ’ করেছ! এই নাও তোমার গিফট।’

খানিক আগেই ভেতর থেকে একজন সুন্দর কাগজে মোড়ানো তিনটি বাকসো কেন যে নিয়ে এসেছে তা ততক্ষণে বোঝা গেল! হুমায়ূন আহমেদ তার ‘নিউইয়র্কের নীলাকাশে ঝকঝকে রোদ’ বইটিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জ্যামাইকার বাসায় আগমন নিয়ে ‘তিনি এসেছিলেন’ শিরোনামের একটি কলামে উপহার না পেয়ে নিষাদের ‘লাগ’ করার কথা লিখেছিলেন। তার ফলাফল স্বরূপ আমার দুইপুত্র দুইখানা খেলনার বাকসো উপহার পেল। আচ্ছা ছয় মাস আগে দেখে আসা ছোট্ট একটি বাচ্চার অভিমান (বাচ্চাটির ভাষায় ‘লাগ’) একজন প্রধানমন্ত্রী মনে রাখতে পারেন! সেই বাচ্চার সঙ্গে বাচ্চাদের মতো মিশে গিয়ে প্যাকেট খুলে খেলনা বের করে খেলতে পারেন!

পারেন। বাংলাদেশের রূপকার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের সুযোগ্য কন্যা আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পারেন।

তিনি বাংলাদেশের ক্রিকেটের জয়ে শিশুদের মতো হাততালি দিয়ে উৎফুল্লতা প্রকাশ করতে পারেন। জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জোরে গলা মেলাতে পারেন! প্রটোকল ভুলে খালি পায়ে কক্সবাজারের সমুদ্রজলে পা ভেজাতে পারেন। রাষ্ট্রের প্রধান হিসেবে সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার সুযোগ থাকলেও নাতিকে কোলে নিয়ে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ভ্যানগাড়িতে করে নিজগ্রাম ঘুরে বেড়াতে পারেন। পুত্রের জন্মদিনে এখনো নিজ হাতে পোলাও মাংস রাঁধতে পারেন।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মমতাময়ী শেখ হাসিনা- ৭৩তম জন্মদিবসে আপনার জন্য অনেক শুভকামনা। আপনার মুখের দিকে তাকালে একজন সফল মাকে দেখা হয়ে যায়, একজন স্নেহময়ী বড়বোনকে দেখা হয়ে যায়। নাতি-নাতনি পরিবেষ্টিত একজন সুখী নানি-দাদিকে দেখা হয়ে যায়। সর্বসাধারনের নেত্রী এবং শিল্পসাহিত্য ও সংস্কৃতিবান্ধব একজন রাষ্ট্রপ্রধান দেখা হয়ে যায়।

জাতির জন্য নিজের জীবন বিলিয়ে দিলো যে বাবা, তার গালে কপাল ছোঁয়ানো কিশোরীসুলভ হাসির আদুরে কন্যাটিকে দেখতে বড় ভালো লাগে।’


বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ



মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

বুবলীর উপযুক্ত চিকিৎসার দরকার, বললেন অপু বিশ্বাস

প্রকাশ: ০৬:১৮ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ঢালিউড প্রাঙ্গণের সুপারস্টার খ্যাত শাকিব খানের সাথে শবনম বুবলী ও অপু বিশ্বাসের গভীর সম্পর্কের কথা এখন সবার মুখে মুখে। দুজনই ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানের সাবেক ঘরনি ও অভিনেতার দুই সন্তানের মা। ভিন্ন মেরুতে অবস্থান করলেও মাঝেমধ্যেই অপু-শাকিব-বুবলী এই ত্রয়ীর সমীকরণ নিয়ে চর্চা উঠে আসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। খবরের শিরোনাম হন তারা।
 
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে শাকিব খানের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে নানা কথা বলেছেন বুবলী।  বলছেন, 'আইনগতভাবে আমি এখনো শাকিব খানের বৈধ স্ত্রী। তার সঙ্গে কোয়ালিটি টাইম পার করি, আমাদের সন্তান অনেক সময় সে সুযোগটাও করে দেয়।'

বুবলীর বক্তব্য প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে হেসে দেন অপু বিশ্বাস। হাসতে হাসতে তিনি বলেন, ‘শাকিবকে নিয়ে তার এত এত মন্তব্যে আমি ভাষা হারাচ্ছি, আবেগাপ্লুত হচ্ছি। আমি কী বলব, বুঝতে পারছি না।’

সম্প্রতি গণমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে অপু বিশ্বাস বলেন, ‘আমি একজন নারী হিসেবে বলব, উনি যথার্থ সম্মানীয় মানুষ। প্রতিটি মানুষের তার নিজের কাছে সম্মানের জায়গা খোঁজেন। তিনিও এতটা সময় ধরে তার ক্যারিয়ারের ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। তবে আমার মনে হয় নিজের প্রচারের স্বার্থে অন্যকে ব্যবহার করে নিজের ব্যক্তিত্ব বিলিয়ে দেয়াটা বুদ্ধিমানের লক্ষণ নয়। আর যদি এটাই সে মনে করে, তাহলে তার উপযুক্ত চিকিৎসার দরকার।’
 
তিনি আরও বলেন, ‘এই যে উনি শাকিবের একের পর এক হাঁড়ির খবর দিচ্ছেন, কিন্তু আমি কোনো হাঁড়ি খুঁজে পাচ্ছি না। কিন্তু মজার মজার খবর পাচ্ছি তার মুখ থেকে। এ ব্যাপারে আর কি-ই-বা বলব। ওনার মনে হয় ডাক্তার দেখানো উচিত।’
 
সবশেষে অপু বলেন, ‘এখন আমরা একটা পর্যায়ে আছি। আমাদের কথাবার্তা যেন যথাযথ হয়, খেয়াল রাখা উচিত। এখন এসব কথা হাস্যকর মনে হয়। অতি ভক্তি চোরের লক্ষণ। আমি মনে করি ওনার সুস্থ থাকা দরকার।’


অপু বিশ্বাস   শবনম বুবলী   শাকিব খান  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

তামান্না ভাটিয়াকে ভারতীয় সাইবার সেলে তলব

প্রকাশ: ০৪:০৪ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির আলোচিত অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়া এখন বলিউডেরও পরিচিত মুখ। বেশ দাপুটের সঙ্গে কাজ করছেন তিনি। ক্যারিয়ারে দুর্দান্ত সময় পার করছেন। কিন্তু এরই মধ্যে বিপাকে পড়লেন এ তারকা। তাকে তলব করেছে ভারতের মহারাষ্ট্র সাইবার সেল।

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সাইবার সেলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মহাদেব অনলাইন গেমিং এবং বেটিং অ্যাপ্লিকেশনের একটি সহায়ক অ্যাপে আইপিএল ম্যাচ দেখার জন্য কথিত প্রচারের জন্য তলব করা হয়েছে তামান্নাকে।

দক্ষিণী এই নায়িকাকে আগামী ২৯ এপ্রিল মহারাষ্ট্র সাইবার সেলে হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়েছে। সেখাতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। 

এর আগে, গত বছরও কিছু আইপিএল ম্যাচ অ্যাপে অবৈধভাবে স্ট্রিম করা হয়েছিল। এ ব্যাপারে একটি অভিযোগও রয়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সেই মামলায় সাক্ষী হিসেবে তার বক্তব্য রেকর্ড করার জন্য ডাকা হয়েছে।

ইতোমধ্যে এ মামলায় মহারাষ্ট্র সাইবার সেল গায়ক বাদশা, অভিনেতা সঞ্জয় দত্ত ও জ্যাকলিন ফার্নান্দেজের ম্যানেজারদের বক্তব্য নিয়েছে। আর মহাদেব অ্যাপটি অবৈথ অর্থ লেনদেন এবং বাজি ধরার জন্য বিভিন্ন তদন্ত সংস্থার মনিটরিংয়ে রয়েছে।

প্রসঙ্গত, তামান্না ভাটিয়া ‘বাহুবলী’ এবং নেটফ্লিক্স অ্যান্থলজি ‘লাস্ট স্টোরিজ-২’ এর জন্য দর্শকমহলে বহুল পরিচিত।


তামান্না ভাটিয়া   ভারতীয় সাইবার সেল   বলিউড  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

বাংলাদেশের 'নীল জোছনা' সিনেমায় পাওলি দাম

প্রকাশ: ১০:২২ এএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশের সরকারি অনুদানের 'নীল জোছনা' সিনেমায় অভিনয় করবেন ভারতের অভিনেত্রী পাওলি দাম। 

মোশতাক আহমেদের প্যারাসাইকোলজি বিষয়ক উপন্যাস 'নীল জোছনার জীবন' অবলম্বনে নির্মিত হবে সিনেমাটি।

সিনেমার প্রধান নারী চরিত্রে দেখা যাবে অভিনেত্রী পাওলি দামকে। তার বিপরীতে কে থাকছেন সেটা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। 

গত বুধবার (২৪ এপ্রিল) পাওলির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তি করেন নির্মাতা ফাখরুল আরেফীন খান।

তিনি বলেন, 'প্রায় ৬ বছর আগে 'নীল জোছনা' সিনেমার কাজ শুরু করেছিলাম। এরপর ২০১৯ সালে করোনা এবং আমার আরেকটি সিনেমার কারণে কাজটি বন্ধ ছিল।

এরপর আবার গত বছরের শুরু থেকে কাজ শুরু করি। সিনেমার দৃশ্যধারণ শুরু হবে মে মাসের শেষ দিকে।' 


পাওলি দাম   নীল জোছনা  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এফডিসির সামনে মানববন্ধন

প্রকাশ: ১০:২৪ এএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরীর নেতৃত্বে গণমাধ্যমকর্মীদের উপর নারকীয় হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে সাংবাদিকরা।

গতকাল বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে বিএফডিসি'র টেলিভিশন ক্যামেরাম্যান জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের (টিসিএ) উদ্যোগে বিএফডিসি'র সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধন বক্তৃতা রাখেন বিএফইউজে'র সভাপতি ওমর ফারুক, মহাসচিব দীপ আজাদ, ডিইউজের নব-নির্বাচিত অন্যতম সভাপতি সাজ্জাদ আলম তপু, সোহেল হায়দার চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মুজতবা ধ্রব, বাচসাস'র সভাপতি রাজু আলীম, সাধারণ সম্পাদক রিমন মাহফুজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবু প্রমুখ।

এসময় বক্তারা বলেন, সাংবাদিকরা নানাক্ষেত্রে আজ নির্যাতিত। তারা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নানাভাবে বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। চলচ্চিত্রে যারা অভিনয় করে তাদের আমরা মননশীল করি। কিন্তু তারা যখন মাস্তানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন, তখন তারা সমাজে কী বার্তা দেন নারকীয় এই হামলার নেতৃত্ব দেওয়া জয় চৌধুরী শিবা শানু, ও আলেকজান্ডার বো'সহ জড়িত সবাইকে শিল্পী সমিতি থেকে সদস্যপদ বাতিলসহ আইনের আওতায় আনার দাবি জানান মানববন্ধন থেকে বক্তারা।

মানববন্ধনে আরও অংশ নেয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত বিনোদন বিটের সাংবাদিকরা।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার বিকালে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নব-নির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে শিবা শানু, জয় চৌধুরী ও আলেকজান্ডার বো'র নেতৃত্বে সাংবাদিকদের ওপর হামলা করা হয়। এতে প্রায় ২০ জন সাংবাদিক আহত হন। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৪ জন। এ ঘটনার প্রতিবাদে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিনোদন সাংবাদিকসহ নানা বিটে কর্মরত সাংবাদিকরা।

এদিকে, ঘটনার তদন্তের জন্য ১১ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। যেখানে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি ও সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে পাঁচজন করে রাখা হয়েছে। আর উপদেষ্টা হিসেবে আছেন প্রযোজক আরশাদ আদনান। দশ জনের তদন্ত কমিটিতে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে লিমন আহমেদ, রাহাত সাইফুল, আহমেদ তৌকির, বুলবুল আহমেদ জয়, আবুল কালাম এবং শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে মিশা সওদাগর, ডি এ তায়েব, নানাশাহ, রুবেল, রত্না।


সাংবাদিকদের ওপর হামলা   এফডিসি   মানববন্ধন  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

এবার বিয়ে ও বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন জয়া

প্রকাশ: ০৯:৪৯ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত ও দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। ইতোমধ্যে ঢালিউড-টালিউড মাতিয়ে অভিনয়ের দ্যুতি ছড়িয়েছেন বলিউডেও। পর্দায় ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে নিজেকে ফুটিয়ে তোলেন এই নায়িকা। সাবলীল অঙ্গভঙ্গি আর অভিনয় দক্ষতায় বরাবরই দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়ে যান তিনি।

কাজের পাশাপাশি এই অভিনেত্রীর ঘরের খবর পেতেও মুখিয়ে থাকেন দর্শক। কবে বিয়ে করছেন, কেন একা থাকেন এসব জানার খুব শখ তাদের। বরাবরই তিনি মুখে কুলুপ এঁটে ছিলেন। তবে এবার সবকিছু নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে জয়া কথা বলেছেন বিয়ে ও বিচ্ছেদ নিয়ে।

বিয়ে নিয়ে জয়া বলেন, বর্তমান জীবন খুবই এনজয় করছি। দেখুন, পরিবার তো শুধু স্বামী-স্ত্রীকেই ঘিরে নয়, অথবা পার্টনার হলেই হয় না, পরিবারে আরও অনেকেই আছে। পরিবারে মা-বাবা আছেন, আমার বাড়িতে যেসব লোক কাজ করেন, তারা আছেন। আমি খুবই এনজয় করি।

একাকী জীবনযাপন নিয়ে এ অভিনেত্রী বলেন, আমি তো কোনোকিছু পরিকল্পনা করি না। যদি মনে করি যে সিঙ্গেল থেকে ডাবল হতে চাই, দরকার আছে, তখনই হবো। তবে এই মুহূর্তে আমার কোনো পরিকল্পনা নেই। কারণ, আমি খুবই ভালো আছি, শান্তিতে আছি চারদিকে। আমার আপাতত কোনো প্ল্যান নেই।

এদিকে প্রথমবারের মতো ওয়েব সিরিজে কাজ করতে যাচ্ছেন জয়া। এটি নির্মাণ করবেন মহানগর খ্যাত নির্মাতা আশফাক নিপুণ।


জয়া আহসান  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন