কালার ইনসাইড

সকল প্রশ্নের উত্তর; অশ্লীল ‘আগস্ট ১৪’?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২:৩৭ পিএম, ১০ জুন, ২০২০


Thumbnail

বাংলাদেশের কোনো ভিজ্যুায়াল কন্টেন্টে (অশ্লীল সিনেমা যুগ ছাড়া) এর আগে এমনটা দেখা যায়নি। সেক্স, কিসিং সিন, দেদারসে গালাগালি, ছুড়ি হাতে উপুর্যুপুরি রক্তাক্ত করা এরকম সব সাহসী সিনে ভরপুর ওয়েব সিরিজ ‘আগস্ট ১৪’। মূলত বাংলাদেশের অন্যতম আলোচিত ঐশী কেসের গল্প নিয়েই সিরিজের প্লট। সিরিজে এমন দৃশ্যের অবতারণা কেন? পরিচালক শিহাব শাহীন ও ঐশী চরিত্রে অভিনয় করা তাসনুভা তিশা এর উত্তর দিয়েছেন।

‘১৪ আগষ্ট’ কি সেই ঐশীর ঘটনায় নির্মিত?

শিহাব শাহীন:
হ্যা আমরা ওই সময় ঘটে যাওয়া ঐশীর ঘটনাটি বেইসড করেই এই ওয়েব সিরিজটি করেছি। এটা যেহেতু একটি নিষ্পত্তি হওয়া ঘটনা। আমরা হাইকোর্টের রায়, নিম্ন আদালতের রায়, তারপর পুলিশের চার্জশিট, তদন্ত কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট কিছু ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে এই গল্পটি সাজিয়েছি। ওই ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এই ওয়েব সিরিজটি করেছি।

তুশি চরিত্রে আপনি কেন?

তাসনুভা তিশা: ‘তুশি চরিত্রের জন্য আমিই কেন?’। এমন চরিত্রের অফার পেয়ে আমার মাথাতেও এই কথাটিই প্রথম মাথায় ঘুরছিল। এমনভাবে ঘুরছিল যে সে পরিচালক শিহাব শাহীনকেও জিজ্ঞাস করেছি। গল্পটা এত সেন্সিটিভ। শিহাব শাহীন নির্মাণ করছেন। কেন আমাকে বলা হলো? আমি কি পারবো? শিহাব ভাই বলছেন, অনেক চিন্তাভাবনা করেই তোমাকে অফার করা হয়েছে। জানি না এটা কেমন হয় তৈরীর পর। কিন্তু আমাদের সবার জন্য কিন্তু খুব চ্যালেঞ্জিং একটা বিষয় হবে।

ঐশী (পর্দায় তুশি) চরিত্রে তাসনুভা তিশা পছন্দ কেন?

শিহাব শাহীন: তুশি চরিত্রের জন্য আমরা লুক অ্যালাইকের দিকে জোর দিচ্ছিলাম বেশি। দেখতে কতটা কাছাকাছি করা যায় চরিত্রটা। প্রসূনকেও পছন্দ করেছিলাম। কিন্তু ওর সমস্যা থাকার কারণে কাস্টিং করা হয়নি। পরে তাসনুভা তিশার সঙ্গে চরিত্রটা মিলাই। তার সঙ্গে চরিত্রের আলোচনা করে তার যে বাস্তব অভিজ্ঞতা জানলাম জীবন সম্পর্কে; সব মিলিয়ে আমাদের কাছে মনে হয়েছে সেই পারফেক্ট চয়েজ। লুকের সঙ্গে লাইফ এক্সপেরিয়েন্সটাও কাজ করেছে। তাকে তৈরী করার জন্য বেশ সময় দিয়েছি। সেও নিজেকে তৈরী করার জন্য বেশ সময় দিয়েছে। প্রচুর ক্রাইম থ্রিলার মুভি তাকে সাজেস্ট করেছি। ক্রাইম থ্রিলার বই পরতে বলেছি। আদালতের যে বিশ্লেষণ মেয়েটি সম্পর্কে এক ধরণের সাইকোলজিক্যাল সমস্যায় ভুগছিলো মেয়েটি। সে ডিসঅর্ডারে ভুগছিল বাবা মাকে হত্যা করার সময়। এটা আদালতেরই রায় ছিল। আমরাও সেই দিকটাই তুলে ধরতে চেয়েছিলাম, মানসিকভাবে বিকারগ্রস্থ কোন একটা মেয়েকে খুঁজছিলাম। তা তৈরীতে আমরা একসঙ্গে স্ক্রিপ্ট নিয়ে বসেছি, মুভি দেখেছি। তার সিগনেচার মুভ, সিগনেচার অ্যাকটিংয়ের দিকে নজর দেওয়ার চেষ্টা করেছি।

ওয়েব সিরেজের জন্য এই গল্পটি বেছে নেওয়ার কারণ কি?

শিহাব শাহীন: প্রথমত, এটি সেই সময়ে পুরো দেশের জন্য একটি আলোচিত ঘটনা ছিলো। পুরো দেশ থমকে গিয়েছিল এই ঘটনার সহিংসতায়। এটার আরেকটি মূল কারণ হচ্ছে আদালতের রায়ে যে সমস্ত পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন সেগুলো বাংলাদেশের সন্তান, বাবা মা, সর্বোপরি পরিবারের জন্য অত্যন্ত শিক্ষণীয় একটি বিষয় হয়ে থাকবে। সেগুলোকেই আমরা গল্পের মাধ্যমে তুলে ধরেছি। সেটিও একিটি বড় উদ্দেশ্য ছিল।

বোল্ড সিন আছে জেনেই অভিনয় করেছেন?

তাসনুভা তিশা: ‘আগস্ট ১৪’ সিরিজটিতে যেসব বোল্ড সিন আছে, অনস্ক্রিন সিগারেট খাওয়া, নেশা করা- এমন সবই খুঁটিনাটি শিহাব ভাই কাজের প্রস্তাবের সঙ্গে সঙ্গেই বলেছেন।শিহাব ভাইয়ের এই সততা আমাকে মুগ্ধ করেছে। এটা এমন না যে হুট করে আমাকে বললো আর আমি করে ফেললাম। এগুলো তিনি সবই বলেছেন যে চরিত্রটা এগুলো ডিমান্ড করে।

বোল্ড সিনের জন্য সমালোচনাকে কিভাবে দেখছেন?

শিহাব শাহীন: এটা যেহেতু অপরাধ জগতের গল্প। অপরাধীকে কেন্দ্র করেই গল্প। অপরাধীরা সাধারণ মানুষ না। অপরাধীদের মানসিক গঠন, ভাষা, এক্সপ্রেশন, চারিত্রিক বৈশিষ্ঠ্যটাই হয় ভিন্ন। আমার এই সিরিজটিতে কিন্তু গালি কেবল একটি চরিত্রই দেয়। সবাই কিন্তু গালি দেয় না। একমাত্র তুশি গালি দেয়। কারণ তার সাইকোলজিক্যালি সে অস্থির চিত্তের। আর সে ওই পরিবেশের সঙ্গে মিশে মিশে তার ভাষা বদলে গেছে। তার সঙ্গের কারেণেই এই ভাষাটা চলে এসেছে। এখানে তো মেয়েটা শুদ্ধ সুন্দর করে কথা বলার অবস্থায় ছিলো না। শুদ্ধ, সুন্দর করে কথা বলার নাটক তো করেই জীবনে অনেক। সেটা কি পারতাম না। কিন্তু সেটা রিয়েলিস্টিক হতো না। আর বোল্ডটা আপেক্ষিক। এতদিন আমরা বোল্ড করিনি, তারপরও আমি দেখেছি আমাদের অভিনেত্রীদের সামান্য কিছু দেখিয়ে কত কথা কি চলছে বাংলা নাটকে! সামান্য ওরনা ছাড়া জামা দেখিয়ে বলছে কি চলছে বাংলা নাটকে। এটি সম্পূর্ণরুপে আপেক্ষিক একটি বিষয়।আমার এখানে কিন্তু প্রয়োজন ছাড়া এমন কিছু নেই যেটা তথাকথিত বোল্ড কিছু করা হয়েছে।

সমালোচকদের অনেকে বলছেন, আলোচিত হওয়ার জন্যই নাকি বোল্ড সিন রেখেছেন?

শিহাব শাহীন: এখানে দর্শককে প্রলুব্ধ করার জন্য কোন স্কিন শো করিনি। চামড়া দেখাইনি কোথাও। কিন্তু ওই মেয়েটির আস্তে আস্তে কিভাবে বাবা মায়ের উদাসীনতা তাকে এই পর‌্যায়ে নিয়ে গেছে সেটা দেখানো হয়েছে। মা ব্যস্ত ছিলেন ডেসটিনির কাজ নিয়ে, বাবা তার পেশাগত কারণে সারাদিন বাইরে থাকতো। মেয়েটি একা বাসায় থাকতো। তার মধ্যে নানা ভাবনা খেলে গেছে। ধীরে ধীরে সেটাকে প্রশ্রয় দিতে শুরু করেছে। গাইডেন্স, প্যারেন্টিং এর অভাবে কিভাবে একটা মেয়ে অন্যদিকে চলে গেছে, স্বাভাবিকতা থেকে অস্বাবিকতার দিকে গেছে সেটা বুঝানোর জন্য কিছু দৃশ্য দেখানো হয়েছে।

আদালত পরিস্কারভাবে রায়ে বলেছেন, মৃত্যুদণ্ড থেকে যখন হাইকোর্ট তাকে যাবজ্জীবন দেয়, নিম্ন আদালতও পরিস্কারভাবে বলেছেন প্যারেন্টিং এর একটা সমস্যায় বয়ো:সন্ধিকালে যখন তার বাবা মায়ের খুব দরকার ছিলো, মায়ের উপস্থিতি দরকার ছিল তখন তারা অনুপস্থিত ছিলেন। অনুপস্থিতের শুন্যতায় কিভাবে অন্য কিছু প্রবেশ করেছে মেয়েটির জীবনে। সেই জন্যই এই দৃশ্যগুলো এসেছে। কোনটিই দর্শক ধরা বা প্রলুব্ধ করার জন্য নয়। আর বোল্ড বলতে আমাদের সংস্কৃতির কারণে হয়তো অনেকে অনেক সময় অনেককিছু দেখতে পারি না। যারা না দেখতে পারেন দেখার দরকার নেই। যাদের ১৮ বছর হয়েছে তারা দেখবে। বিশেষ করে বাবা মায়ের এটা দেখা খুব জরুরি।আলাদা করে হলেও তাদের এটা দেখতে বলবো। আর এই দৃশ্যগুলো অবশ্যই বাবা মায়ের জন্য বোল্ড নয়। তারা দেখতেই পারেন আলাদা বসে।

ড্রাগ অ্যাডিকশনকে সেক্স অ্যাডিকশন দর্শক ধরার জন্য বানিয়েছেন বলে অভিযোগ…

শিহাব শাহীন: এটি আদালতের কোথায় উল্লেখ নেই যে ড্রাগ এডিকশনটা্ তার সে সময় ছিলো। এডিকশনের কারণে এই ঘটনাটি ঘটেছে তারও কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাকে আটকে রাখা হয়েছিল। তার স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছিল। এটি হত্যার মূল কারণ ছিল। সে যখন নেশার জন্য রাত বিরাতে বাইরে থাকা শুরু করে, যখন সে বখে যায় সেখান থেকে বাবা মায়ের নজড়ে আসায় দেরি হয়ে গেছে। বাবা মা স্ট্রংলি কন্ট্রোল করার চেষ্টা করে। কন্ট্রোলের চেষ্টাতে সে রিবোল্ড করে। এডিকট বলতে এডিকট ছিলো না। সে খুনের আগে একমাস বন্দি ছিলো। সে খুনের পর যখন ডিবির অফিসে ছিলো তখন কোন কাপাকাপি, পাগলামি কিছু ছিলো না। সে ড্রাগ এডিক্ট নয়। তার মানসিক অবস্থা এমনভাবে ছিলো যে কারণে খুন করেছে। আর বয়ো:সন্ধিকালে প্যারেন্টিং এর অভাব। এই দুটো কারণে খুন করেছে। এই রায় আদালত দেখিয়েছেন। তার বহু বয়ফ্রেন্ড ছিলো। এটা প্রমাণিত সত্য। যে ঘটনাগুলো চিত্রায়ন হয়েছে সেটিও আমরা নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানতে পেরেছি।

বোল্ড সিনে অভিনয় কি আলোচনায় আসার জন্য?

তাসনুভা তিশা: আমি যতদূর জানি। শিহাব ভাই আমাকে বলেছেন এই ঘটনা ঘটেছিল। মেয়েটা এভাবে করে প্রথমে যে ছেলেটার সঙ্গে ফিজিক্যালি ইনভলব হয়, তারপর তার বন্ধুদের সাথে হয়। তো এটা একটা গল্পের গুরুত্বপূর্ণ দিক ছিল। আমার ক্যারেক্টারটা স্টাবলিশড হতো না এটা ছাড়া। আমি যদি নর্মালি একটা এডিকটেড ক্যারেক্টার করতাম, সেটার হয়তো একটা দিক থাকতো। কিন্তু এখানে মেয়েটার এই যে ফিজিক্যালি ইনভলব হওয়া কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। সে পরিচালক হিসেবে সেখানে আমাকে যেভাবে উপস্থাপন করেছেন তাতে তাকে সাধুবাদ জানাতেই হবে। যখন যে কাজটাই করি সেখানে সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করি। আর এই কাজটা সবকিছু মিলিয়ে একদম নতুন একটা বিষয়। আমি জানি না আমি কি করেছি। কিন্তু আমি ক্যারেক্টারে ঢুকেই করেছি।

চরিত্রটি করা কতটা কঠিন ছিল?

তাসনুভা তিশা: যেদিন খুনের দৃশ্য করা হয় ওইদিন ভোর ৫ টা পর্যন্ত কাজ করেছি। আমার মানসিকভাবে সমস্যা হচ্ছিল। মনে হচ্ছিল কাউকে খুন করতে যাবে আজ। খুনের দৃশ্য মানুষ দেখে এতটা ভয় পেয়েছে। তাহলে আমার অবস্থাটা কি হয়েছে? আমি তো ওটা ফিল করছি হ্যা ওনারা আমার বাবা মা। ওনাদের আমি খুন করতেছি। আমার নিজের গায়ের লোম দাঁড়িয়ে যাচ্ছিল। এই ফিলটা কাউকে বুঝাতে পারবো না। এই যে আমি মনিরা মিঠু আপা- শহীদুজ্জামান সেলিম ভাইয়ের ওপর গিয়ে ছুড়ির আঘাত করতেছি বারবার।এটা যে কতটা লোমহর্ষক, সেটা আমি জানি। আমার নিজেরও মেয়ে আছে। আমি নিজেও একজন বাবা মায়ের সন্তান। আমি জানি না। ওটা কিভাবে করেছি।

 



মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

ঢাকাই সিনেমায় অভিনয় করতে চাইলেন নাসিরুদ্দিন শাহ

প্রকাশ: ০৯:০৯ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

‘কান চলচ্চিত্র উৎসব’ এর ৭৭তম আসরে হাজির হয়েছেন বলিউডের কিংবদন্তী অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহ। উৎসবে চতুর্থ দিনে নাসিরুদ্দিন শাহ’র ‘মন্থন’ সিনেমাটি প্রদর্শিত হয়েছে ‘কান ক্লাসিকে’।

চার যুগ আগে ‘মন্থন’ সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন এই তারকা। যেটি ছিল অভিনেতার ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় চলচ্চিত্র। গুজরাটের দুগ্ধখামারীদের ওপর কর্পোরেট আগ্রাসন ঘিরে বর্ষীয়ান নির্মাতা শ্যাম বেনেগালের ধ্রুপদি এই সিনেমাকে সম্মান জানিয়ে এই বিভাগে ঠাই দিয়েছে উৎসব কর্তৃপক্ষ।

এই শ্যাম বেনেগালই নির্মাণ করেছেন বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক ‘মুজিব : একটি জাতির রূপকার’। যেখানে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেতা আরিফিন শুভ। এই অভিনেতার অভিনয় বেশ মনে ধরেছে বলিউডের বিখ্যাত এই তারকার।

নাসিরুদ্দিন শাহ বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক সিনেমাটি আমি দেখেছি। খুবই ভালো সিনেমা। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে বলতে হয়, শ্যাম বেনেগালের সিনেমাটি ব্যাপকভাবে প্রদর্শিত হয়নি। কিন্তু আমি মনে করি, মূল চরিত্রে যিনি (শুভ) অভিনয় করেছেন তিনি দারুণ করেছেন। আমি সিনেমাটি উপভোগ করেছি। সিনেমাটি দারুণ ইনফরমেটিভ, ইন্টারেস্টিং এবং নাটকীয়।’

এ সময় বাংলাদেশে অভিনয়ের আগ্রহও প্রকাশ করেন এই অভিনেতা। তিনি বলেন, ‘আমি কখনো বাংলাদেশে সিনেমা করার অফার পাইনি। পেলে খুব খুশি হতাম। যদিও আমি দুইবার গিয়েছি সেখানে থিয়েটারে পারফর্ম করতে। কিন্তু সিনেমাটা করা হয়নি। বাংলাদেশের নির্মাতাদের জন্য আমার দরজা সব সময় খোলা।’


ঢাকা   সিনেমা   অভিনয়   নাসিরুদ্দিন শাহ  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

সিনেমায় অভিনয়ের জন্য পারিশ্রমিক নেই না: শাহরুখ খান

প্রকাশ: ০৭:৫১ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

বলিউডের সুপারস্টার শাহরুখ খান। সিনেমায় অভিনয়ের ক্ষেত্রে এক পয়সাও নেন না বলিউডের এই বাদশাহ। ভারতের সাংবাদিক রজত শর্মার ‘আপ কি আদালত’ অনুষ্ঠানে এসে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। যেই ভিডিও ইতোমধ্যেই ভাইরাল।

ভিডিওটিতে শাহরুখের কাছে প্রশ্ন রাখা হয়, ‘সিনেমায় অভিনয়ের জন্য আপনার পারিশ্রমিক কেমন?’। উত্তরে শাহরুখ বলেন, ‘আমি বিভিন্ন শো’র জন্য পারিশ্রমিক নেই, এন্ডোর্সমেন্টের জন্য নেই, লাইভ শো’র জন্য নেই। কিন্তু কখনোই সিনেমায় অভিনয়ের জন্য পারিশ্রমিক নেই না। গেল ২০ বছরে কোনো নির্মাতা এই কথা বলতে পারবে না যে, আমি সিনেমায় অভিনয়ের জন্য তাদের কাছে অর্থ চেয়েছি। আমি নির্মাতাদের বলি- আপনারা সিনেমায় আমাকে নিন। যদি লাভ হয় আমাকে দিয়েন। না হলে আমাকে দেওয়ার প্রয়োজন নেই।’

এমন উত্তরের পর তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, ‘তাহলে তার আয়ের উৎস কী?’। এ সময় অভিনেতা আরও বলেন, ‘সিনেমায় অভিনয়ের জন্য আমি পারিশ্রমিক না নিলেও আমি সিনেমার বাইরে এত কাজ করি যে, তা দিয়েই আমার সংসার চলে যায়। কারণ সিনেমায় অভিনয় আমার কাছে পূজা করার মতো। এই কাজ করে আমি কখনোই পারিশ্রমিক নেই না।’


সিনেমা   অভিনয়   পারিশ্রমিক   শাহরুখ খান  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

মারা গেছেন ডা. খোদেজা বেগম মৃধা

প্রকাশ: ০৫:৩৭ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিশিষ্ট ডা. খোদেজা বেগম মৃধা মৃত্যুবরণ করেছেন। গত রবিবার (১২ মে) রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

প্রয়াত ডা. খোদেজা বেগম মৃধা কবি, সাহ্যিতিক ও গীতিকার জোবেদা খাতুনের জেষ্ঠ্য কন্যা ছিলেন। মৃতকালে তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। 

মরহুমার ভাই তবলা বাদক জাহাঙ্গীর মির্জা বাবুলের মহাখালীর নিজ বাড়িতে তার কুলখানি গতকাল শনিবার অনুষ্ঠিত হয়। কুলখানিতে দেশের বহু ব্যক্তিত্বদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন মরহুমার ভাগনি আঁখি আলমগীর, কবি খোশনূর আলমগীর, ফটো সাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমান মিন্টু এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।


ডা. খোদেজা বেগম মৃধা  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

ফারিণের সঙ্গে নতুন গান গাইতে আগ্রহী তাহসান

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

প্রথমবারের মতো হানিফ সংকেতের ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদিতে ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ সংগীতশিল্পী তাহসান খান গান গেয়েছিলেন। পেশাদার সংগীতশিল্পী না হয়েও তাহসানের সঙ্গে খুব চমৎকারভাবেই গানটি গেয়েছিলেন ফারিণ। এরপর তা ভক্তদের কাছে ব্যাপক প্রশংসিত হয়।

ফারিণের সঙ্গে নতুন করে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তাহসান খান। শুক্রবার (১৭ মে) গণমাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে তাহসান জানান, ভালোবাসার জন্য বছরের পর বছর ধরে গান করেন তিনি।

সংগীতশিল্পী তাহসান বলেন, আমাকে এবং তাসনিয়া ফারিণকে একসঙ্গে গান করার জন্য বলা হয়েছিল এবং কবির বকুল ভাইকে ধন্যবাদ জানাই তিনি সুযোগটা করে দিয়েছিলেন। আমরা ভেবেছি নতুন গান নিয়ে আরও কাজ করবো তবে এখন না। আমাদের যখন মনে হবে গানটা প্রকাশ করার সময় হয়ে গিয়েছে ঠিক তখন আমরা কাজ করবো।

রঙে রঙে রঙিন হব গানের বিষয়ে তাহসান বলেন, মানুষ যে গান ভালোবাসে এটা তারই বহিঃপ্রকাশ। কারণ আমাকে অনেকদিন পর এবার অনেকে বলেছে, ভাই গানটা খুব ভালো লেগেছে। তবে ঈদকে কেন্দ্র করে সামনে ব্যস্ততা রয়েছে আমার নতুন গান আসবে।


ফারিণ   তাহসান  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

মায়ের পৃথিবীর মঞ্চ ছাড়ার সময়ে ঢাকার মঞ্চে মোনালি

প্রকাশ: ০৩:০৪ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতীয় সংগীতশিল্পী অভিনেত্রী মোনালি ঠাকুর। জীবন থেকে কঠিন এক শিক্ষা পেলেন তিনি। ঢাকার মঞ্চে তিনি যখন গান গাইছেন। তখন পৃথিবীর মঞ্চ ছেড়ে তার মা মিনতি ঠাকুর না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন। বিষয়টি জানতে পেরেও গান থামান নি এই শিল্পী। শ্রোতাদের গেয়ে শুনিয়েছেন মায়ের প্রিয় গানতুমি রবে নীরবে

চলতি বছরের এপ্রিল মাসের শেষে মোনালির মাকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার দুটো কিডনিই কাজ করছিল না, ডায়ালাইসিস চলছিল। শুক্রবার (১৭ মে) দুপুরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

মায়ের একটি ছবি শেয়ার করে ইনস্টাগ্রামে মোনালি লিখেছেন, ‘শেকল ছিঁড়ে গেছে, অবশেষে কষ্টের অবসান।

বলিউডের অনেক সিনেমার গানে প্লেব্যাক করেছেন মোনালি। তার গাওয়া উল্লেখযোগ্য গানগুলো হলো— ‘জারা জারা টাচ মি’ (রেস), ‘গুডনাইট’ (দিল কাবাডি), ‘খুদায়া খায়ের’ (বিল্লু), ‘গোলামাল’ (গোলমাল থ্রি) প্রভৃতি। শুধু গান নয়, বলিউডের বেশকিছু সিনেমাতে অভিনয়ও করেছেন এই গায়িকা।

এর আগে একটি কনসার্টে অংশ নিতে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বাংলাদেশে এসেছিলেন মোনালি। রাজারবাগ পুলিশ লাইনসের ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার বিষয়টি অনেক আগেই ঠিক হয়ে ছিল।


মা   পৃথিবী   মোনালি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন