কালার ইনসাইড

সকল প্রশ্নের উত্তর; অশ্লীল ‘আগস্ট ১৪’?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২:৩৭ পিএম, ১০ জুন, ২০২০


Thumbnail

বাংলাদেশের কোনো ভিজ্যুায়াল কন্টেন্টে (অশ্লীল সিনেমা যুগ ছাড়া) এর আগে এমনটা দেখা যায়নি। সেক্স, কিসিং সিন, দেদারসে গালাগালি, ছুড়ি হাতে উপুর্যুপুরি রক্তাক্ত করা এরকম সব সাহসী সিনে ভরপুর ওয়েব সিরিজ ‘আগস্ট ১৪’। মূলত বাংলাদেশের অন্যতম আলোচিত ঐশী কেসের গল্প নিয়েই সিরিজের প্লট। সিরিজে এমন দৃশ্যের অবতারণা কেন? পরিচালক শিহাব শাহীন ও ঐশী চরিত্রে অভিনয় করা তাসনুভা তিশা এর উত্তর দিয়েছেন।

‘১৪ আগষ্ট’ কি সেই ঐশীর ঘটনায় নির্মিত?

শিহাব শাহীন:
হ্যা আমরা ওই সময় ঘটে যাওয়া ঐশীর ঘটনাটি বেইসড করেই এই ওয়েব সিরিজটি করেছি। এটা যেহেতু একটি নিষ্পত্তি হওয়া ঘটনা। আমরা হাইকোর্টের রায়, নিম্ন আদালতের রায়, তারপর পুলিশের চার্জশিট, তদন্ত কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট কিছু ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে এই গল্পটি সাজিয়েছি। ওই ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এই ওয়েব সিরিজটি করেছি।

তুশি চরিত্রে আপনি কেন?

তাসনুভা তিশা: ‘তুশি চরিত্রের জন্য আমিই কেন?’। এমন চরিত্রের অফার পেয়ে আমার মাথাতেও এই কথাটিই প্রথম মাথায় ঘুরছিল। এমনভাবে ঘুরছিল যে সে পরিচালক শিহাব শাহীনকেও জিজ্ঞাস করেছি। গল্পটা এত সেন্সিটিভ। শিহাব শাহীন নির্মাণ করছেন। কেন আমাকে বলা হলো? আমি কি পারবো? শিহাব ভাই বলছেন, অনেক চিন্তাভাবনা করেই তোমাকে অফার করা হয়েছে। জানি না এটা কেমন হয় তৈরীর পর। কিন্তু আমাদের সবার জন্য কিন্তু খুব চ্যালেঞ্জিং একটা বিষয় হবে।

ঐশী (পর্দায় তুশি) চরিত্রে তাসনুভা তিশা পছন্দ কেন?

শিহাব শাহীন: তুশি চরিত্রের জন্য আমরা লুক অ্যালাইকের দিকে জোর দিচ্ছিলাম বেশি। দেখতে কতটা কাছাকাছি করা যায় চরিত্রটা। প্রসূনকেও পছন্দ করেছিলাম। কিন্তু ওর সমস্যা থাকার কারণে কাস্টিং করা হয়নি। পরে তাসনুভা তিশার সঙ্গে চরিত্রটা মিলাই। তার সঙ্গে চরিত্রের আলোচনা করে তার যে বাস্তব অভিজ্ঞতা জানলাম জীবন সম্পর্কে; সব মিলিয়ে আমাদের কাছে মনে হয়েছে সেই পারফেক্ট চয়েজ। লুকের সঙ্গে লাইফ এক্সপেরিয়েন্সটাও কাজ করেছে। তাকে তৈরী করার জন্য বেশ সময় দিয়েছি। সেও নিজেকে তৈরী করার জন্য বেশ সময় দিয়েছে। প্রচুর ক্রাইম থ্রিলার মুভি তাকে সাজেস্ট করেছি। ক্রাইম থ্রিলার বই পরতে বলেছি। আদালতের যে বিশ্লেষণ মেয়েটি সম্পর্কে এক ধরণের সাইকোলজিক্যাল সমস্যায় ভুগছিলো মেয়েটি। সে ডিসঅর্ডারে ভুগছিল বাবা মাকে হত্যা করার সময়। এটা আদালতেরই রায় ছিল। আমরাও সেই দিকটাই তুলে ধরতে চেয়েছিলাম, মানসিকভাবে বিকারগ্রস্থ কোন একটা মেয়েকে খুঁজছিলাম। তা তৈরীতে আমরা একসঙ্গে স্ক্রিপ্ট নিয়ে বসেছি, মুভি দেখেছি। তার সিগনেচার মুভ, সিগনেচার অ্যাকটিংয়ের দিকে নজর দেওয়ার চেষ্টা করেছি।

ওয়েব সিরেজের জন্য এই গল্পটি বেছে নেওয়ার কারণ কি?

শিহাব শাহীন: প্রথমত, এটি সেই সময়ে পুরো দেশের জন্য একটি আলোচিত ঘটনা ছিলো। পুরো দেশ থমকে গিয়েছিল এই ঘটনার সহিংসতায়। এটার আরেকটি মূল কারণ হচ্ছে আদালতের রায়ে যে সমস্ত পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন সেগুলো বাংলাদেশের সন্তান, বাবা মা, সর্বোপরি পরিবারের জন্য অত্যন্ত শিক্ষণীয় একটি বিষয় হয়ে থাকবে। সেগুলোকেই আমরা গল্পের মাধ্যমে তুলে ধরেছি। সেটিও একিটি বড় উদ্দেশ্য ছিল।

বোল্ড সিন আছে জেনেই অভিনয় করেছেন?

তাসনুভা তিশা: ‘আগস্ট ১৪’ সিরিজটিতে যেসব বোল্ড সিন আছে, অনস্ক্রিন সিগারেট খাওয়া, নেশা করা- এমন সবই খুঁটিনাটি শিহাব ভাই কাজের প্রস্তাবের সঙ্গে সঙ্গেই বলেছেন।শিহাব ভাইয়ের এই সততা আমাকে মুগ্ধ করেছে। এটা এমন না যে হুট করে আমাকে বললো আর আমি করে ফেললাম। এগুলো তিনি সবই বলেছেন যে চরিত্রটা এগুলো ডিমান্ড করে।

বোল্ড সিনের জন্য সমালোচনাকে কিভাবে দেখছেন?

শিহাব শাহীন: এটা যেহেতু অপরাধ জগতের গল্প। অপরাধীকে কেন্দ্র করেই গল্প। অপরাধীরা সাধারণ মানুষ না। অপরাধীদের মানসিক গঠন, ভাষা, এক্সপ্রেশন, চারিত্রিক বৈশিষ্ঠ্যটাই হয় ভিন্ন। আমার এই সিরিজটিতে কিন্তু গালি কেবল একটি চরিত্রই দেয়। সবাই কিন্তু গালি দেয় না। একমাত্র তুশি গালি দেয়। কারণ তার সাইকোলজিক্যালি সে অস্থির চিত্তের। আর সে ওই পরিবেশের সঙ্গে মিশে মিশে তার ভাষা বদলে গেছে। তার সঙ্গের কারেণেই এই ভাষাটা চলে এসেছে। এখানে তো মেয়েটা শুদ্ধ সুন্দর করে কথা বলার অবস্থায় ছিলো না। শুদ্ধ, সুন্দর করে কথা বলার নাটক তো করেই জীবনে অনেক। সেটা কি পারতাম না। কিন্তু সেটা রিয়েলিস্টিক হতো না। আর বোল্ডটা আপেক্ষিক। এতদিন আমরা বোল্ড করিনি, তারপরও আমি দেখেছি আমাদের অভিনেত্রীদের সামান্য কিছু দেখিয়ে কত কথা কি চলছে বাংলা নাটকে! সামান্য ওরনা ছাড়া জামা দেখিয়ে বলছে কি চলছে বাংলা নাটকে। এটি সম্পূর্ণরুপে আপেক্ষিক একটি বিষয়।আমার এখানে কিন্তু প্রয়োজন ছাড়া এমন কিছু নেই যেটা তথাকথিত বোল্ড কিছু করা হয়েছে।

সমালোচকদের অনেকে বলছেন, আলোচিত হওয়ার জন্যই নাকি বোল্ড সিন রেখেছেন?

শিহাব শাহীন: এখানে দর্শককে প্রলুব্ধ করার জন্য কোন স্কিন শো করিনি। চামড়া দেখাইনি কোথাও। কিন্তু ওই মেয়েটির আস্তে আস্তে কিভাবে বাবা মায়ের উদাসীনতা তাকে এই পর‌্যায়ে নিয়ে গেছে সেটা দেখানো হয়েছে। মা ব্যস্ত ছিলেন ডেসটিনির কাজ নিয়ে, বাবা তার পেশাগত কারণে সারাদিন বাইরে থাকতো। মেয়েটি একা বাসায় থাকতো। তার মধ্যে নানা ভাবনা খেলে গেছে। ধীরে ধীরে সেটাকে প্রশ্রয় দিতে শুরু করেছে। গাইডেন্স, প্যারেন্টিং এর অভাবে কিভাবে একটা মেয়ে অন্যদিকে চলে গেছে, স্বাভাবিকতা থেকে অস্বাবিকতার দিকে গেছে সেটা বুঝানোর জন্য কিছু দৃশ্য দেখানো হয়েছে।

আদালত পরিস্কারভাবে রায়ে বলেছেন, মৃত্যুদণ্ড থেকে যখন হাইকোর্ট তাকে যাবজ্জীবন দেয়, নিম্ন আদালতও পরিস্কারভাবে বলেছেন প্যারেন্টিং এর একটা সমস্যায় বয়ো:সন্ধিকালে যখন তার বাবা মায়ের খুব দরকার ছিলো, মায়ের উপস্থিতি দরকার ছিল তখন তারা অনুপস্থিত ছিলেন। অনুপস্থিতের শুন্যতায় কিভাবে অন্য কিছু প্রবেশ করেছে মেয়েটির জীবনে। সেই জন্যই এই দৃশ্যগুলো এসেছে। কোনটিই দর্শক ধরা বা প্রলুব্ধ করার জন্য নয়। আর বোল্ড বলতে আমাদের সংস্কৃতির কারণে হয়তো অনেকে অনেক সময় অনেককিছু দেখতে পারি না। যারা না দেখতে পারেন দেখার দরকার নেই। যাদের ১৮ বছর হয়েছে তারা দেখবে। বিশেষ করে বাবা মায়ের এটা দেখা খুব জরুরি।আলাদা করে হলেও তাদের এটা দেখতে বলবো। আর এই দৃশ্যগুলো অবশ্যই বাবা মায়ের জন্য বোল্ড নয়। তারা দেখতেই পারেন আলাদা বসে।

ড্রাগ অ্যাডিকশনকে সেক্স অ্যাডিকশন দর্শক ধরার জন্য বানিয়েছেন বলে অভিযোগ…

শিহাব শাহীন: এটি আদালতের কোথায় উল্লেখ নেই যে ড্রাগ এডিকশনটা্ তার সে সময় ছিলো। এডিকশনের কারণে এই ঘটনাটি ঘটেছে তারও কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাকে আটকে রাখা হয়েছিল। তার স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছিল। এটি হত্যার মূল কারণ ছিল। সে যখন নেশার জন্য রাত বিরাতে বাইরে থাকা শুরু করে, যখন সে বখে যায় সেখান থেকে বাবা মায়ের নজড়ে আসায় দেরি হয়ে গেছে। বাবা মা স্ট্রংলি কন্ট্রোল করার চেষ্টা করে। কন্ট্রোলের চেষ্টাতে সে রিবোল্ড করে। এডিকট বলতে এডিকট ছিলো না। সে খুনের আগে একমাস বন্দি ছিলো। সে খুনের পর যখন ডিবির অফিসে ছিলো তখন কোন কাপাকাপি, পাগলামি কিছু ছিলো না। সে ড্রাগ এডিক্ট নয়। তার মানসিক অবস্থা এমনভাবে ছিলো যে কারণে খুন করেছে। আর বয়ো:সন্ধিকালে প্যারেন্টিং এর অভাব। এই দুটো কারণে খুন করেছে। এই রায় আদালত দেখিয়েছেন। তার বহু বয়ফ্রেন্ড ছিলো। এটা প্রমাণিত সত্য। যে ঘটনাগুলো চিত্রায়ন হয়েছে সেটিও আমরা নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানতে পেরেছি।

বোল্ড সিনে অভিনয় কি আলোচনায় আসার জন্য?

তাসনুভা তিশা: আমি যতদূর জানি। শিহাব ভাই আমাকে বলেছেন এই ঘটনা ঘটেছিল। মেয়েটা এভাবে করে প্রথমে যে ছেলেটার সঙ্গে ফিজিক্যালি ইনভলব হয়, তারপর তার বন্ধুদের সাথে হয়। তো এটা একটা গল্পের গুরুত্বপূর্ণ দিক ছিল। আমার ক্যারেক্টারটা স্টাবলিশড হতো না এটা ছাড়া। আমি যদি নর্মালি একটা এডিকটেড ক্যারেক্টার করতাম, সেটার হয়তো একটা দিক থাকতো। কিন্তু এখানে মেয়েটার এই যে ফিজিক্যালি ইনভলব হওয়া কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। সে পরিচালক হিসেবে সেখানে আমাকে যেভাবে উপস্থাপন করেছেন তাতে তাকে সাধুবাদ জানাতেই হবে। যখন যে কাজটাই করি সেখানে সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করি। আর এই কাজটা সবকিছু মিলিয়ে একদম নতুন একটা বিষয়। আমি জানি না আমি কি করেছি। কিন্তু আমি ক্যারেক্টারে ঢুকেই করেছি।

চরিত্রটি করা কতটা কঠিন ছিল?

তাসনুভা তিশা: যেদিন খুনের দৃশ্য করা হয় ওইদিন ভোর ৫ টা পর্যন্ত কাজ করেছি। আমার মানসিকভাবে সমস্যা হচ্ছিল। মনে হচ্ছিল কাউকে খুন করতে যাবে আজ। খুনের দৃশ্য মানুষ দেখে এতটা ভয় পেয়েছে। তাহলে আমার অবস্থাটা কি হয়েছে? আমি তো ওটা ফিল করছি হ্যা ওনারা আমার বাবা মা। ওনাদের আমি খুন করতেছি। আমার নিজের গায়ের লোম দাঁড়িয়ে যাচ্ছিল। এই ফিলটা কাউকে বুঝাতে পারবো না। এই যে আমি মনিরা মিঠু আপা- শহীদুজ্জামান সেলিম ভাইয়ের ওপর গিয়ে ছুড়ির আঘাত করতেছি বারবার।এটা যে কতটা লোমহর্ষক, সেটা আমি জানি। আমার নিজেরও মেয়ে আছে। আমি নিজেও একজন বাবা মায়ের সন্তান। আমি জানি না। ওটা কিভাবে করেছি।

 



মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

বারবার শিল্পী সমিতির আদালতের দারস্থ হওয়া লজ্জার : অভিনেতা সোহেল রানা

প্রকাশ: ০৪:০৭ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

বারবার শিল্পী সমিতির আদালতের দারস্থ হওয়া শিল্পীদের জন্য লজ্জার। একজনের জন্য সব শিল্পীকেই সেই দায়ভার বহন করতে হচ্ছে। গত নির্বাচনের আগ পর্যন্ত কেউ শিল্পী সমিতির অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে আদালতে যায়নি। ছোট ছোট যে সমস্যাগুলো হয়েছে তার সমাধান শিল্পীরাই করেছেন।

গতবার প্রথম নিপুণ আদালতে গেছেন। এবারও তাই করলেন। গতবার তার সঙ্গে প্যানেলের ১১ জন ছিলেন, এবার তার প্যানেল থেকে নির্বাচিত হওয়া তিনজন কিন্তু ইতোমধ্যে নতুন প্যানেলের সঙ্গে বসে মিটিং করেছেন। আগের কমিটির মতো আলাদা থাকেনি। এবার আদালতে যাওয়ার বিষয়টি অকল্পনীয় ব্যাপার, কল্পনাতীত। শিল্পী সমিতির আদালতের দারস্থ হওয়া শিল্পীদের জন্য লজ্জার বলে নিপুণের রিট প্রসঙ্গে এভাবেই বললেন গুণী অভিনেতা সোহেল রানা।

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি মানেই যেন আলোচনা-সমালোচনা। একে অন্যের বিরুদ্ধে কথা বলে সমালোচিত হয়েছেন শিল্পী সমিতির নেতারা। ২০২২-২৪ মেয়াদের নির্বাচনের পর আদালত পর্যন্ত গেছেন সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করা নিপুন আক্তার। পরে আদালতের হস্তক্ষেপে দায়িত্ব পালন করেন নিপুন। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচনের ফল বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেছেন তিনি। মঙ্গলবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি করা হয়। রিটে মিশা-ডিপজলের নেতৃত্বাধীন কমিটির দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়েছে। নির্বাচন মেনে নেওয়ার এক মাস পর তিনি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।


শিল্পী সমিতি   আদালত   অভিনেতা   সোহেল রানা  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

মিষ্টি জান্নাতকে চুমু খেতে চেয়েছেন জয়

প্রকাশ: ০৩:৪০ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

দেশের বিতর্কিত উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয়। নানা সময় অতিথিদের আপত্তিকর প্রশ্নের মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছেন তিনি। এবার শাকিব-মিষ্টির বিয়ের গুঞ্জনে যোগ দিয়েছেন জয়।

মিষ্টি জান্নাতকে নিয়ে জয় বলেছেন, ‘ওই মেয়ে ভাইরাল হতেই শাকিবকে জড়িয়ে এসব কথা বলছেন। শাকিব খানের সঙ্গে বিয়ে হলেও সেটা টিকবে না।এরপরই তার বিরুদ্ধে মুখ খুলেন মিষ্টি। তার দাবি, শাহরিয়ার নাজিম জয় তাকে চেনেন। তবুও না চেনার অভিনয় করেছেন।

অভিনেত্রী মিষ্টি বলেন, ‘‘জয় ভাইয়াকে দেখলাম, সে বলছেন, ‘ওই যে একটা মেয়ে, শাকিব খানকে নিয়ে ভাইরাল হতে চান। তিনি একজন ডাক্তার পাশাপাশি অভিনেত্রী, যেটা মিলে গেছে। তাদের বিয়ে হলেও সেটা টিকবে না।এটা উনি কীভাবে জানল? কীভাবে বলল? এটা আমার প্রশ্ন।’’

এরপর জয় তাকে নিয়মিত কু-প্রস্তাব দিয়েছেন জানিয়ে মিষ্টি জান্নাত আরও বলেন, ‘সে আমাকে চেনে। গত পরশুদিন আমাকে টেক্সট করে বলছে, মিষ্টি কোথায় আছো? চলো লং ড্রাইভে যাই। অথচ, এমন একটা ভাব নিল, সে আমাকে চেনেই না। সে বললো, ওই যে একটা মেয়ে। এটা কেন বলবে? আমি কষ্ট পেয়েছি। যদি সে সিনিয়র না হতেন, তাহলে তাকে ধরে থাপড়াতাম। তার প্রোগ্রামে গেলেও এমন করে। অফস্ক্রিনে চুমু দেওয়ার চেষ্টা করে। আমার কাছে সেসবের ভিডিও আছে। সে অনেক নেগেটিভ কথা বলে।


মিষ্টি   জান্নাত   চুমুজয়  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে কানে উড়াল দিলেন ঐশ্বরিয়া রাই

প্রকাশ: ০১:১৫ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

প্রতি বছরের ন্যায় ফ্রান্সের দক্ষিণ উপকূলীয় শহরে বসেছে চলচ্চিত্র দুনিয়ার সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ আসরকান চলচ্চিত্র উৎসব।শোবিজ দুনিয়ার অন্যতম বড় এই চলচ্চিত্র উৎসবের পর্দা উঠছে মঙ্গলবার (১৪ মে)

প্রতিবারের মতো এবারের আসরেও রেড কার্পেটে হাঁটবেন সাবেক বিশ্বসুন্দরী বলিউড অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রাই। সেই উদ্দেশেই বুধবার ভারত ছেড়েছেন তিনি। উড়াল দিয়েছেন কান উৎসবে যোগ দিতে। মেয়ে আরাধ্যকে সঙ্গে নিয়েই ভারত ছাড়তে দেখা গেছে ঐশ্বরিয়াকে।

তবে ঐশ্বরিয়া ভক্তদের মনে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে নতুন একটি বিষয়, সেটি হলো ঐশ্বরিয়ার ডান হাত! একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, ঐশ্বরিয়া কোনোভাবে ডান হাতে চোট পেয়েছেন। করা হয়েছে প্লাস্টার।

এত বড় একটি উৎসবের আগে হাতে কীভাবে ব্যাথা পেলেন ঐশ্বরিয়া, সেই প্রশ্ন তুলেছেন ভক্তরা। চোট নিয়ে এক ভক্ত লিখেছেন, ‘এভাবে চোট পাওয়া হাতে কানে হাঁটবে, ঈশ্বর আপনার মঙ্গল করুন।

২০০২ সালে  কান চলচ্চিত্র উৎসবে ভারী সোনার গয়না পরে হেঁটেছিলেন ঐশ্বরিয়া। ওই বছরই তার ছবি দেবদাস সেখানে প্রিমিয়ার হয়েছিল। সেবার অভিনেতা শাহরুখ খান এবং পরিচালক সঞ্জয় লীলা বানসালির সঙ্গে উপস্থিত হয়েছিলেন নায়িকা। এরপর থেকে প্রায় প্রতি বছরই উৎসবে হাজির থেকেছেন এই অভিনেত্রী। রিয়াল প্যারিসের অন্যতম ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসাবে রেড কার্পেট রেখেছেন মাতিয়ে।


কান   ঐশ্বরিয়া রাই  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

নিপুণের সমালোচনায় জায়েদ খান

প্রকাশ: ০৮:৫১ এএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনের ফলাফল বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেছেন নির্বাচনে পরাজিত সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী অভিনেত্রী নিপুণ। রিটে মিশা-ডিপজলের নেতৃত্বাধীন কমিটির দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞাও চাওয়া হয়েছে।

বুধবার বিচারপতি নাইমা হায়দার বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটি দায়ের করা হয়।

জানা গেছে, নির্বাচনে অনিয়ম কারচুপির অভিযোগ এনে এই ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিটে। পাশাপাশি নতুন করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

গত ১৯ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২০২৬ মেয়াদের নির্বাচন। এতে সভাপতি পদে মিশা ২৬৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী মাহমুদ কলি ১৭০ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন। অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে ডিপজল পেয়েছেন ২২৫ ভোট। ১৬ ভোট কম পেয়ে হেরে যান তার প্রতিদ্বন্দ্বী নিপুণ। তিনি পেয়েছেন ২০৯ ভোট।

এদিকে, একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে  নিপুণের এই রিটের প্রতিক্রিয়ায় জায়েদ খান  বলেন, ‘একজন মানুষ লোভে পড়ে, যোগ্যতাহীনভাবে একটা চেয়ারকে ধরে রাখার জন্য কতটা নিচে নামতে পারেন সেটা উনি দেখিয়ে দিয়েছেন। ফুলের মালা পরিয়ে দিয়ে বলে গেলেন সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। সব মেনে নিয়ে ওনার এত দিন পরে মনে হলো নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি।


নিপুণ   সমালোচনা   জায়েদ খান  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

মায়ের শর্ত কারও সঙ্গে প্রেম করতে পারব না

প্রকাশ: ০৮:১৩ এএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

‘লাপাতা লেডিস’র মাধ্যমে নির্মাতা হিসেবে বেশ আলোচনায় এসেছেন কিরণ রাও। এরই মধ্যে সাড়া ফেলেছে সিনেমাটি।

গল্পটি নির্মল প্রদেশ নামে একটি প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে শুরু। প্রধান চরিত্র তিনটি। এর একটি হলো ফুল কুমারী। চরিত্র রূপায়ণ করেছেন নীতাংশি গোয়েল। সহজ-সরল চরিত্রটি রূপায়ণ করে প্রশংসা কুড়াচ্ছেন ১৬ বছর বয়সী এই তরুণ অভিনেত্রী।

এবার এক সাক্ষাৎকারে নীতাংশি প্রেম নিয়ে কথা বলে এসেছেন আলোচনায়। তিনি বলেন, ‘আমার মা শর্ত দিয়েছেন, কারও সঙ্গে প্রেম করতে পারব না। তবে বন্ধুত্ব থাকতে পারবে, তাদের সঙ্গে কথা বলারও অনুমতি রয়েছে। আসলে এ বয়সে প্রেম করার কথা চিন্তা করছি না আমি।’ নীতাংশির মা রাশি গোয়েল। মা-মেয়ের সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ।

২০০৭ সালের ১২ জুন উত্তরপ্রদেশে জন্মগ্রহণ করেন নীতাংশি গোয়েল। ইনস্টাগ্রামে তাকে অনুসরণ করেন ১ কোটি ৪০ লাখ মানুষ। ‘লাপাতা লেডিস’র আগেও কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। তবে এ সিনেমাটি তাকে ব্যাপক পরিচিতি দিয়েছে।


লাপাতা লেডিস  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন