নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ২৬ জুন, ২০২০
বাসা, বাড়ি, ঘর- এই আপন স্থানকে কে না ভালোবাসে। তারকারা ভীষণ ব্যস্ত থেকে ঘরে কতই বা সময় দিতে পারে। করোনাকালে ঘরবন্দি থাকতে হচ্ছে। আর ঘরে থেকে ঘরের বর্ণনা দিয়েছেন তারা। কেমন করে কি দিয়ে সাজালো তাদের প্রিয় ঘরটা।
তানিয়া আহমেদ
আমার বাড়ির প্রতিটা ইটে আমার মেমোরি আছে। একটা দেয়াল আছে। যেটার দিকে তাকালে বুঝবে দেয়াল কথা বলতে পারে। আমার ছোট ছেলেটার জন্মের সময় অনেকদিন আমি কাজ করিনি। তখন এই দেয়ালটাকে আমি কথা বলা শিখিয়েছি। কত কত ছবি দিয়ে সাজিয়ে একটা দেওয়ালকেও কথা বলা শেখালাম। আমার ছোটবেলা থেকে পেইন্টার হওয়ার খুব শখ ছিলো। সেটা তো হতে পারিনি। ওই সময় বাড়িটা সাজালাম। বাড়িতে অনেক মেমোরিজ আছে। যেমন নেপালে প্রথম শুটিং করতে গিয়ে একটা মাস্ক কিনে আনলাম। আমার বারান্দাটা আমি খুব পছন্দ করি। সেখানে ২০ বছরের বেশি সময় ধরে আমার সঙ্গে থাকা একটা ইজি চেয়ার আছে। আমি যতবারই বাসা বদল করেছি ওকে ছাড়িনি। ওটায় বসেই আমার একান্ত সময়টা কাটাই। হুমায়ূন আহমেদ স্যারের দেওয়া কিছু গিফট আছে বাসায় সাজানো। যেমন একটা পেইন্টিয়ে হার্টের মধ্যে একটা সেফটি পিন। স্যার বলতেন ওই সেফটি পিনটাই জীবন। স্যারের ব্লু কালার পছন্দ। তার জন্য বাসার একটা দেয়াল ব্লু। সেখানে স্যারের একটা ছবি। ছবিটাও স্পেশাল, তিনি প্রকৃতির মাঝে বসে আছেন।
চঞ্চল চৌধুরী
শান্তির নীড়। প্রত্যেকটা মানুষের কাছেই শান্তির শেষ ঠিকানা তার বাড়ি। ঢাকাতে তো পাখির বাসা। গ্রামের বাড়িটা তো এখনো আমার কাছে অনেকবড় কিছু। চোখ বুঝে এখনো পুরো বাড়িটা দেখতে পাই। সেই বাড়ির সঙ্গে তো অন্য কিছুর তুলনা হয় না। আমার জমানো টিউশনির টাকা দিয়ে একটা হারমোনিয়াম কিনেছিলাম। সেটা এখনো আছে আমার সঙ্গে। ডাইনিং টেবিলের কাছে শোকেজ আছে। সেখানে যত পুরস্কার পেয়েছি তা আছে। ছোটখাটো কিছু কালেকশন আছে। যেমন একটা মুক্তিযুদ্ধের নাটক করতে গিয়ে একটা পুরনো রেডিও পেলাম। সেটা ৫০০ টাকায় কিনে আনলাম। আমরা তো সবকিছু ধ্বংস করে ফেলি। সেখানে আমার ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা যে কোন নাটক বা সিনেমা ষাট সত্তর দশকের গল্পে যদি রেডিও ক্যাসেট দরকার হয় তখন এটা ব্যাবহার করা যাবে। আমার তিনটা রুম। তার মধ্যে স্বাস্থ্যকর রুমটা আমার ছেলেকে দেওয়া। যেখানে আসলে আলো বাতাস বেশি আসে। আমার ডাউনিং রুমের দেয়ালে চারজনের ছবি আছে। একটা আমার বড় দুলাভাইর ছবি। তার উপরে তালই, বড় দুলাভাইর বাবার ছবি। আমি ওনাদের বাড়ি থেকেই কলেজ পর্যন্ত পড়াশুনা করেছি। শুধু আমি নয়, আমাদের প্রত্যেকটা ভাইবোনই ওনাদের বাড়িতে থেকে পড়াশুনা করেছে। আর একটা আমার শ্বশুর মশাইর ছবি, আর একটা আমার মামার। যে মামা ছিল আমাদের বংশের ত্রাণকর্তা। যে কারো বিপদে অর্থনৈতিক হোক বা যেভাবে হোক সে সাহায্য করতেন। আমার সন্তান শুদ্ধও যেন জানে এই মানুষগুলো আমার জীবনে কতটা গুরুত্বপূর্ণ। আমার বেডরুমে আমার আত্নীয় স্বজন পুরস্কার প্রাপ্তি সবকিছুর ছবি আছে। আমার বাসার সব শিল্পকর্ম আমারই করা। চারুকলায় পড়ার সময় করেছি।
বিদ্যা সিনহা সাহা মিম
বাসার অর্থ, সেখানে গেলে প্রিয় মুখগুলো দেখা যাবে। বাসায় ঢুকলে মনে হয় এটাই তো স্বর্গ আমার। যেহেতু শুটিংয়ে আমা্র সঙ্গে মা থাকেন, বেশি মিস করি বাবাকে। দেখা যায় যে বাসায় আসলেই বাবা কোন না কোন কারণে আমার জন্য ওয়েট করছে। হয়তো খাবারের জন্য ওয়েট করছে নয়তো গল্প করার জন্য ওয়েট করে- এই জিনিসগুলো আমি অনেক মিস করি বাইরে থাকলে। আমার সুখ, শান্তি সবকিছুর কম্বিনেশন হলো আমার বাসা। বাসার ড্রয়িং রুমটা তো আমার জন্য অনেক বেশি স্পেশালই। কারণ সেখানটা আমার অফিসও বলতে পারি। কারণ অনেক মিটিং থাকে যেটা আমি সেখানেই করি। শোবিজের মানুষরা অনেকেই আমার বাসায় এসেছেন। আমার পছন্দ বেস কালার আর মায়ের কালারফুল। দুজনের কম্বিনেশন এক করে কার্পেট কুশন সবকিছু ম্যাচ করা। আমি শুটিংয়ের জন্য যেখানেই যাই না কেন দেখা যায় বাসার জন্য টুকটাক কিছু না কিছু কিনে নিয়ে আসি। আমার ড্রয়িং রুমে একটা পেইন্টিং আছে। আমার ছোটবেলার বন্ধু শারমিন গিফট করেছে। যেটা আমার কাছে অনেক বেশি স্পেশাল। আমি গ্রীন পছন্দ করি। তাই ড্রয়িং রুমে অনেকগুলো গাছও আছে। বিভিন্ন জায়গায় পাওয়া অ্যাওয়ার্ডগুলো রাখার জন্য একটা শোকেজ আছে।
বাসার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পার্ট হলো রান্নাঘর। রান্না খুব একটা যে পারি তা না। কিন্তু তারপরও রান্না ঘরটা খুব স্পেশাল আমার জন্য। আর এটা ওপেন। সাধারণত বাসা বাড়িতে যেমন রুমের মতো থাকে তেমনটা না আমার বাসায়। আমার বাসার একটা ওয়াল আমার পরিবারের সবার ছবি রাখা। অ্যাশ কালার ওয়াল আর ইয়োলো কালার সোফার প্ল্যান আমার অনেক আগে থেকেই ছিলো। যখন নিজের ফ্ল্যাট হলো তখন সেটাই করলাম। আমি মা বাবা সবাই মিলে বসে টিভি দেখার জন্য একটা রুম আছে। আসলে আমার বাসায় রুমের চেয়ে খোলাই বেশি। নাচের রিহার্সেলের জন্য একটা জায়গা আছে। তবে বাসায় আমার বেশিই থাকা হয় বেডরুমে। আমার বন্ধুরা যখন আসে তখন সবাই মিলে এখানেই আড্ডা দেই। লুড খেলি বেশিরভাগ সময়। এটা আমার ছোটবেলা থেকে বেশি পছন্দের। বেডের পাশে একটা সাউন্ড থেরাপি আছে যেটা দিয়ে আসলে আমি যখন ঘুমাই তখন মনে হয় আমি হয়তো সমুদ্রের পাড়ে ঘুমাচ্ছি। মেকাপরুম আছে ছোট একটা। বেলকনিতে গাছ লাগিয়েছি।
তাহসান রহমান খান
জীবনটা আশেপাশে বন্ধুদের সঙ্গে উপভোগ করা যায়। আবার একাও উপভোগ করা যায়। আমি একাই উপভোগ করতে পছন্দ করি। আমাদের শিল্পীদের জীবন কিন্তু যাযাবরের মতো। যখন কোথাও শো শুটিং থাকে-সেটা তো ভালো জায়গা বা হোটেলেই থাকা হয়। কিন্তু সেটা থাকার পরও আমার বাসায় ফেরার একটা তাগিদ থাকে। কখন বাসায় যাবো আর রেস্ট নিবো। সেই তাগিদটাই আমার বাসা। আমার কাছে বহু বিখ্যাতদের পেইন্টিং আছে। আমি যেখানে বসে থাকবো, বসে থাকলে যেখানে সাধারণত তাকানো হয় সেই জায়গাগুলোতেই আমার পেইন্টিংগুলো থাকে। আমার চোখের সামনে শিল্পকর্ম রাখার চেষ্টা করি। যে শিল্পে আমার দখল নেই, সেই শিল্পগুলোর কাছে থাকতে আরো বেশি পছন্দ করি। আমার বাসায় আসলে চড়ুই পাখির খুব সুন্দর একটা পেইন্টিং দেখতে পারবেন। যেটা অনেক বেশি স্পেশাল আমার জন্য। এটা আমার খুব লাকি একটা পাখি। আমার বাসায় সবচেয়ে স্পেশাল আমার পিয়ানোটা। যেটা অনেকত বছর ধরে মানুষ স্বপ্ন দেখে সেটা যখন পেয়ে যায়, সেটা অর্জনের প্রশান্তিটা অর্জন। আমার পিয়ানোটা দেশে পাওয়া যায় না। বাহির থেকে অর্ডার করে আনিয়েছি। ইয়ামাহাই একটা পিয়ানো কিনেছিলাম প্রথম। সেটা ব্লাকের প্রথম অ্যালবাম প্রকাশের পর। তারপর এই পিয়ানোটা কেনা। আর বাসায় বড় একটা স্পেশ রেখেছি এই পিয়ানোর জন্য। বেবি গ্রান্ড পিয়ানোটা যখন বাসায় ঢুকে দেখি, ভালো লাগে। মাসাজ চেয়ার আছে একটা আমার। রিমোর্ট দিয়ে চেয়ারটা চলে। এটা আমাকে খুব কাজে দেয়। আমার ডায়নিং টেবিলটা খুবই সিম্পল। একদম চারটা চেয়ার। ছোট রোমান্টিক একটা জায়গা। একটা হোম স্টুডিও আছে আমার। একদম সিম্পেল সেট আপ সেটা। আমার বেড রুমে মাথার কাছে তিনটা ছবি আছে। যেটা খুব দামি না, কিন্তু আমার কাছে প্রাইসলেস। জন লেনন আমার অল টাইম ফেভারেট সিঙ্গার। আইনস্টাইন পৃথিবীর বুদ্ধিমত্তার সিম্বল। আরর আছে মেরলিন মনরোর ছবি, সৌন্দর্যের প্রতীক। আমার প্রায় প্রতিটা রুমেই বেশ আলোবাতাস। পর্দা গুলোও খুব একটা ডার্ক না। আলো আমার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ।
পিয়া জান্নাতুল
পাখির কাছে বাসাটা কত গুরুত্বপূর্ণ। সন্ধ্যা হলে আপন নীড়ে ফিরবেই। বাসা থেকে আমি যেখানেই যাই মনে হয় ট্রাভেলে আছি। স্থির শুধু বাসাতেই থাকি। বাসা আমার কাছে স্থির থাকার জায়গা। মাঝখানে মনে হয়েছিল এন্টিরিয়র দিয়ে বাসাটা সাজাই। কিন্তু সেখানে অন্য কারো ছাপ থাকবে। আমার বাসার সবকিছু সাজানো আমার মতো করেই। আমার ড্রয়িংরুমে রোমান হলিডে মুভির একটা ছবি আছে। সবাই হয়তো বাসায় এসে ভাববেন আমি অনেক মুভি দেখি। আসলে আমার হাজব্যান্ড ফারুক অনেক বেশি মুভি দেখি। ও এই ছবিটা পছন্দ করে রেখেছে। আমার ঘরের যত ফার্নিচার সব বাণিজ্যমেলা থেকে কেনা। আমার বাসার প্রতিটা ছবি এক একটা মেমোরিজ। এমন না যে ছবিগুলোতে আমাকে খুব সুন্দর লাগছে এই জন্য রাখা। ছবিগুলোর পেছনে একটা একটা বড় গল্প আছে বলে রাখা। যে গল্পগুলো আমি যখন তখন বলতে পারি। আমার বিয়ের সময় ডাউনিং টেবিলটা আমার শ্বাশুড়ি পছন্দ করে কিনে দিয়েছে। আমার কিচেনেও টিভি আছে। এটা ২১ ইঞ্চি। অনেকদিন এটা আমার সঙ্গে আছে। বাসার ৬৫ ইঞ্চি টিভির চেয়ে এটা অনেক বেশি হৃদয়ের কাছের। আমার একটা জায়গা আছে যেখানে আমার অনেক অনেক হাই হিল আছে। নেল পালিশ, চশমা- সব এক জায়গায়। কমিক ক্যারেক্টারগুলো নিয়ে একটা রুম আছে। যেটা আমার স্বামী ফারুকের।
মন্তব্য করুন
ভারতের দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির আলোচিত অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়া
এখন বলিউডেরও পরিচিত মুখ। বেশ দাপুটের সঙ্গে কাজ করছেন তিনি। ক্যারিয়ারে দুর্দান্ত
সময় পার করছেন। কিন্তু এরই মধ্যে বিপাকে পড়লেন এ তারকা। তাকে তলব করেছে ভারতের মহারাষ্ট্র
সাইবার সেল।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সাইবার
সেলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মহাদেব অনলাইন গেমিং এবং বেটিং অ্যাপ্লিকেশনের একটি সহায়ক
অ্যাপে আইপিএল ম্যাচ দেখার
জন্য কথিত প্রচারের জন্য তলব করা হয়েছে তামান্নাকে।
দক্ষিণী এই নায়িকাকে আগামী ২৯ এপ্রিল মহারাষ্ট্র সাইবার সেলে হাজির
হওয়ার জন্য বলা হয়েছে। সেখাতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
এর আগে, গত বছরও কিছু আইপিএল ম্যাচ অ্যাপে অবৈধভাবে স্ট্রিম করা হয়েছিল। এ
ব্যাপারে একটি অভিযোগও রয়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সেই মামলায় সাক্ষী হিসেবে তার
বক্তব্য রেকর্ড করার জন্য ডাকা হয়েছে।
ইতোমধ্যে এ মামলায় মহারাষ্ট্র সাইবার সেল গায়ক বাদশা, অভিনেতা সঞ্জয়
দত্ত ও জ্যাকলিন ফার্নান্দেজের ম্যানেজারদের বক্তব্য নিয়েছে। আর মহাদেব অ্যাপটি অবৈথ
অর্থ লেনদেন এবং বাজি ধরার জন্য বিভিন্ন তদন্ত সংস্থার মনিটরিংয়ে রয়েছে।
প্রসঙ্গত, তামান্না ভাটিয়া ‘বাহুবলী’ এবং নেটফ্লিক্স অ্যান্থলজি
‘লাস্ট স্টোরিজ-২’ এর জন্য দর্শকমহলে বহুল পরিচিত।
তামান্না ভাটিয়া ভারতীয় সাইবার সেল বলিউড
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের সরকারি অনুদানের 'নীল জোছনা' সিনেমায় অভিনয় করবেন ভারতের
অভিনেত্রী পাওলি দাম।
মোশতাক আহমেদের প্যারাসাইকোলজি বিষয়ক উপন্যাস 'নীল জোছনার জীবন'
অবলম্বনে নির্মিত হবে সিনেমাটি।
সিনেমার প্রধান নারী চরিত্রে দেখা যাবে অভিনেত্রী পাওলি দামকে।
তার বিপরীতে কে থাকছেন সেটা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
গত বুধবার (২৪ এপ্রিল) পাওলির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তি করেন নির্মাতা
ফাখরুল আরেফীন খান।
তিনি বলেন, 'প্রায় ৬ বছর আগে 'নীল জোছনা' সিনেমার কাজ শুরু করেছিলাম।
এরপর ২০১৯ সালে করোনা এবং আমার আরেকটি সিনেমার কারণে কাজটি বন্ধ ছিল।
এরপর আবার গত বছরের শুরু থেকে কাজ শুরু করি। সিনেমার দৃশ্যধারণ শুরু হবে মে মাসের শেষ দিকে।'
মন্তব্য করুন
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক
জয় চৌধুরীর নেতৃত্বে গণমাধ্যমকর্মীদের উপর নারকীয় হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে
সাংবাদিকরা।
গতকাল বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে বিএফডিসি'র
টেলিভিশন ক্যামেরাম্যান জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের (টিসিএ) উদ্যোগে বিএফডিসি'র সামনে
এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন বক্তৃতা রাখেন বিএফইউজে'র
সভাপতি ওমর ফারুক, মহাসচিব দীপ আজাদ, ডিইউজের নব-নির্বাচিত অন্যতম সভাপতি সাজ্জাদ আলম
তপু, সোহেল হায়দার চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মুজতবা ধ্রব, বাচসাস'র সভাপতি রাজু
আলীম, সাধারণ সম্পাদক রিমন মাহফুজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবু প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, সাংবাদিকরা নানাক্ষেত্রে
আজ নির্যাতিত। তারা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নানাভাবে বাধার সম্মুখীন হচ্ছে।
চলচ্চিত্রে যারা অভিনয় করে তাদের আমরা মননশীল করি। কিন্তু তারা যখন মাস্তানের ভূমিকায়
অবতীর্ণ হন, তখন তারা সমাজে কী বার্তা দেন নারকীয় এই হামলার নেতৃত্ব দেওয়া জয় চৌধুরী
শিবা শানু, ও আলেকজান্ডার বো'সহ জড়িত সবাইকে শিল্পী সমিতি থেকে সদস্যপদ বাতিলসহ আইনের
আওতায় আনার দাবি জানান মানববন্ধন থেকে বক্তারা।
মানববন্ধনে আরও অংশ নেয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে
কর্মরত বিনোদন বিটের
সাংবাদিকরা।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার বিকালে চলচ্চিত্র
শিল্পী সমিতির নব-নির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে শিবা শানু, জয় চৌধুরী ও
আলেকজান্ডার বো'র নেতৃত্বে সাংবাদিকদের ওপর হামলা করা হয়। এতে প্রায় ২০ জন সাংবাদিক
আহত হন। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৪ জন। এ ঘটনার প্রতিবাদে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের
দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিনোদন সাংবাদিকসহ নানা বিটে কর্মরত সাংবাদিকরা।
এদিকে, ঘটনার তদন্তের জন্য ১১ সদস্যের
একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। যেখানে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি ও সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে
পাঁচজন করে রাখা হয়েছে। আর উপদেষ্টা হিসেবে আছেন প্রযোজক আরশাদ আদনান। দশ জনের তদন্ত
কমিটিতে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে লিমন আহমেদ, রাহাত সাইফুল, আহমেদ তৌকির, বুলবুল আহমেদ
জয়, আবুল কালাম এবং শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে মিশা সওদাগর, ডি এ তায়েব, নানাশাহ, রুবেল,
রত্না।
সাংবাদিকদের ওপর হামলা এফডিসি মানববন্ধন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বহুল আলোচিত সিনেমা 'অ্যানিমাল' দেখেনি এখন খুব কম মানুষ আছে। সেই
ছবিতে রণবীর কাপুরের অভিনয় মুগ্ধ করেছে সকলকেই। এই ছবির শেষেই পরিচালক দেখিয়েছিলেন
যে এই সিনেমার সিক্যুয়েল আসছে। অনেকেই মুখিয়ে আছেন এই সিক্যুয়েলের জন্য, যার নাম 'অ্যানিমাল
পার্ক'।
সম্প্রতি সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা জানিয়েছেন কবে আসছে সেই ছবি। সাম্প্রতিক
অ্যাওয়ার্ড শোতে সিনেমাটির পরিচালক শেয়ার করেছেন, ২০২৬ সালে রণবীর কাপুর-অভিনীত
'অ্যানিমাল'-এর সিক্যুয়েলের কাজ শুরু হয়েছে। তিনি সন্দীপ রেড্ডি সিনেমাটিক ইউনিভার্সের
সম্ভাবনার কথাও বলেছেন।
পুরস্কার গ্রহণ করার সময় হোস্টরা তাকে রণবীর কাপুর-অভিনীত 'অ্যানিমাল'
সিক্যুয়েল 'অ্যানিমাল পার্ক' সম্পর্কে কিছু বিশদ প্রকাশ করতে বলায় তখনই তিনি জানান,
ছবিটি ২০২৬ সালে ফ্লোরে যাবে।
তিনি আরও যোগ করেছেন, 'অ্যানিমাল পার্ক' আসলে 'অ্যানিমাল'-এর চেয়ে
বড় এবং আরও বন্য একটি সিনেমা হবে। যদিও এমন দাবি তিনি আগেও করেছিলেন।
অ্যানিমাল রণবির কাপুর বলিউড সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা
মন্তব্য করুন