কালার ইনসাইড

তারকাদের বাড়ির ভিতরটা কেমন?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ২৬ জুন, ২০২০


Thumbnail

বাসা, বাড়ি, ঘর- এই আপন স্থানকে কে না ভালোবাসে। তারকারা ভীষণ ব্যস্ত থেকে ঘরে কতই বা সময় দিতে পারে। করোনাকালে ঘরবন্দি থাকতে হচ্ছে। আর ঘরে থেকে ঘরের বর্ণনা দিয়েছেন তারা। কেমন করে কি দিয়ে সাজালো তাদের প্রিয় ঘরটা।

তানিয়া আহমেদ

আমার বাড়ির প্রতিটা ইটে আমার মেমোরি আছে। একটা দেয়াল আছে। যেটার দিকে তাকালে বুঝবে দেয়াল কথা বলতে পারে। আমার ছোট ছেলেটার জন্মের সময় অনেকদিন আমি কাজ করিনি। তখন এই দেয়ালটাকে আমি কথা বলা শিখিয়েছি। কত কত ছবি দিয়ে সাজিয়ে একটা দেওয়ালকেও কথা বলা শেখালাম। আমার ছোটবেলা থেকে পেইন্টার হওয়ার খুব শখ ছিলো। সেটা তো হতে পারিনি। ওই সময় বাড়িটা সাজালাম। বাড়িতে অনেক মেমোরিজ আছে। যেমন নেপালে প্রথম শুটিং করতে গিয়ে একটা মাস্ক কিনে আনলাম। আমার বারান্দাটা আমি খুব পছন্দ করি। সেখানে ২০ বছরের বেশি সময় ধরে আমার সঙ্গে থাকা একটা ইজি চেয়ার আছে। আমি যতবারই বাসা বদল করেছি ওকে ছাড়িনি। ওটায় বসেই আমার একান্ত সময়টা কাটাই। হুমায়ূন আহমেদ স্যারের দেওয়া কিছু গিফট আছে বাসায় সাজানো। যেমন একটা পেইন্টিয়ে হার্টের মধ্যে একটা সেফটি পিন। স্যার বলতেন ওই সেফটি পিনটাই জীবন। স্যারের ব্লু কালার পছন্দ। তার জন্য বাসার একটা দেয়াল ব্লু। সেখানে স্যারের একটা ছবি। ছবিটাও স্পেশাল, তিনি প্রকৃতির মাঝে বসে আছেন।

চঞ্চল চৌধুরী

শান্তির নীড়। প্রত্যেকটা মানুষের কাছেই শান্তির শেষ ঠিকানা তার বাড়ি। ঢাকাতে তো পাখির বাসা। গ্রামের বাড়িটা তো এখনো আমার কাছে অনেকবড় কিছু। চোখ বুঝে এখনো পুরো বাড়িটা দেখতে পাই। সেই বাড়ির সঙ্গে তো অন্য কিছুর তুলনা হয় না। আমার জমানো টিউশনির টাকা দিয়ে একটা হারমোনিয়াম কিনেছিলাম। সেটা এখনো আছে আমার সঙ্গে। ডাইনিং টেবিলের কাছে শোকেজ আছে। সেখানে যত পুরস্কার পেয়েছি তা আছে। ছোটখাটো কিছু কালেকশন আছে। যেমন একটা মুক্তিযুদ্ধের নাটক করতে গিয়ে একটা পুরনো রেডিও পেলাম। সেটা ৫০০ টাকায় কিনে আনলাম। আমরা তো সবকিছু ধ্বংস করে ফেলি। সেখানে আমার ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা যে কোন নাটক বা সিনেমা ষাট সত্তর দশকের গল্পে যদি রেডিও ক্যাসেট দরকার হয় তখন এটা ব্যাবহার করা যাবে। আমার তিনটা রুম। তার মধ্যে স্বাস্থ্যকর রুমটা আমার ছেলেকে দেওয়া। যেখানে আসলে আলো বাতাস বেশি আসে। আমার ডাউনিং রুমের দেয়ালে চারজনের ছবি আছে। একটা আমার বড় দুলাভাইর ছবি। তার উপরে তালই, বড় দুলাভাইর বাবার ছবি। আমি ওনাদের বাড়ি থেকেই কলেজ পর্যন্ত পড়াশুনা করেছি। শুধু আমি নয়, আমাদের প্রত্যেকটা ভাইবোনই ওনাদের বাড়িতে থেকে পড়াশুনা করেছে। আর একটা আমার শ্বশুর মশাইর ছবি, আর একটা আমার মামার। যে মামা ছিল আমাদের বংশের ত্রাণকর্তা। যে কারো বিপদে অর্থনৈতিক হোক বা যেভাবে হোক সে সাহায্য করতেন। আমার সন্তান শুদ্ধও যেন জানে এই মানুষগুলো আমার জীবনে কতটা গুরুত্বপূর্ণ। আমার বেডরুমে আমার আত্নীয় স্বজন পুরস্কার প্রাপ্তি সবকিছুর ছবি আছে। আমার বাসার সব শিল্পকর্ম আমারই করা। চারুকলায় পড়ার সময় করেছি।     

বিদ্যা সিনহা সাহা মিম

বাসার অর্থ, সেখানে গেলে প্রিয় মুখগুলো দেখা যাবে। বাসায় ঢুকলে মনে হয় এটাই তো স্বর্গ আমার। যেহেতু শুটিংয়ে আমা্র সঙ্গে মা থাকেন, বেশি মিস করি বাবাকে। দেখা যায় যে বাসায় আসলেই বাবা কোন না কোন কারণে আমার জন্য ওয়েট করছে। হয়তো খাবারের জন্য ওয়েট করছে নয়তো গল্প করার জন্য ওয়েট করে- এই জিনিসগুলো আমি অনেক মিস করি বাইরে থাকলে। আমার সুখ, শান্তি সবকিছুর কম্বিনেশন হলো আমার বাসা। বাসার ড্রয়িং রুমটা তো আমার জন্য অনেক বেশি স্পেশালই। কারণ সেখানটা আমার অফিসও বলতে পারি। কারণ অনেক মিটিং থাকে যেটা আমি সেখানেই করি। শোবিজের মানুষরা অনেকেই আমার বাসায় এসেছেন। আমার পছন্দ বেস কালার আর মায়ের কালারফুল। দুজনের কম্বিনেশন এক করে কার্পেট কুশন সবকিছু ম্যাচ করা। আমি শুটিংয়ের জন্য যেখানেই যাই না কেন দেখা যায় বাসার জন্য টুকটাক কিছু না কিছু কিনে নিয়ে আসি। আমার ড্রয়িং রুমে একটা পেইন্টিং আছে। আমার ছোটবেলার বন্ধু শারমিন গিফট করেছে। যেটা আমার কাছে অনেক বেশি স্পেশাল। আমি গ্রীন পছন্দ করি। তাই ড্রয়িং রুমে অনেকগুলো গাছও আছে। বিভিন্ন জায়গায় পাওয়া অ্যাওয়ার্ডগুলো রাখার জন্য একটা শোকেজ আছে।

বাসার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পার্ট হলো রান্নাঘর। রান্না খুব একটা যে পারি তা না। কিন্তু তারপরও রান্না ঘরটা খুব স্পেশাল আমার জন্য। আর এটা ওপেন। সাধারণত বাসা বাড়িতে যেমন রুমের মতো থাকে তেমনটা না আমার বাসায়। আমার বাসার একটা ওয়াল আমার পরিবারের সবার ছবি রাখা। অ্যাশ কালার ওয়াল আর ইয়োলো কালার সোফার প্ল্যান আমার অনেক আগে থেকেই ছিলো। যখন নিজের ফ্ল্যাট হলো তখন সেটাই করলাম। আমি মা বাবা সবাই মিলে বসে টিভি দেখার জন্য একটা রুম আছে। আসলে আমার বাসায় রুমের চেয়ে খোলাই বেশি। নাচের রিহার্সেলের জন্য একটা জায়গা আছে। তবে বাসায় আমার বেশিই থাকা হয় বেডরুমে। আমার বন্ধুরা যখন আসে তখন সবাই মিলে এখানেই আড্ডা দেই। লুড খেলি বেশিরভাগ সময়। এটা আমার ছোটবেলা থেকে বেশি পছন্দের। বেডের পাশে একটা সাউন্ড থেরাপি আছে যেটা দিয়ে আসলে আমি যখন ঘুমাই তখন মনে হয় আমি হয়তো সমুদ্রের পাড়ে ঘুমাচ্ছি। মেকাপরুম আছে ছোট একটা। বেলকনিতে গাছ লাগিয়েছি।

তাহসান রহমান খান

জীবনটা আশেপাশে বন্ধুদের সঙ্গে উপভোগ করা যায়। আবার একাও উপভোগ করা যায়। আমি একাই উপভোগ করতে পছন্দ করি। আমাদের শিল্পীদের জীবন কিন্তু যাযাবরের মতো। যখন কোথাও শো শুটিং থাকে-সেটা তো ভালো জায়গা বা হোটেলেই থাকা হয়। কিন্তু সেটা থাকার পরও আমার বাসায় ফেরার একটা তাগিদ থাকে। কখন বাসায় যাবো আর রেস্ট নিবো। সেই তাগিদটাই আমার বাসা। আমার কাছে বহু বিখ্যাতদের পেইন্টিং আছে। আমি যেখানে বসে থাকবো, বসে থাকলে যেখানে সাধারণত তাকানো হয় সেই জায়গাগুলোতেই আমার পেইন্টিংগুলো থাকে। আমার চোখের সামনে শিল্পকর্ম রাখার চেষ্টা করি। যে শিল্পে আমার দখল নেই, সেই শিল্পগুলোর কাছে থাকতে আরো বেশি পছন্দ করি। আমার বাসায় আসলে চড়ুই পাখির খুব সুন্দর একটা পেইন্টিং দেখতে পারবেন। যেটা অনেক বেশি স্পেশাল আমার জন্য। এটা আমার খুব লাকি একটা পাখি। আমার বাসায় সবচেয়ে স্পেশাল আমার পিয়ানোটা। যেটা অনেকত বছর ধরে মানুষ স্বপ্ন দেখে সেটা যখন পেয়ে যায়, সেটা অর্জনের প্রশান্তিটা অর্জন। আমার পিয়ানোটা দেশে পাওয়া যায় না। বাহির থেকে অর্ডার করে আনিয়েছি। ইয়ামাহাই একটা পিয়ানো কিনেছিলাম প্রথম। সেটা ব্লাকের প্রথম অ্যালবাম প্রকাশের পর। তারপর এই পিয়ানোটা কেনা। আর বাসায় বড় একটা স্পেশ রেখেছি এই পিয়ানোর জন্য। বেবি গ্রান্ড পিয়ানোটা যখন বাসায় ঢুকে দেখি, ভালো লাগে। মাসাজ চেয়ার আছে একটা আমার। রিমোর্ট দিয়ে চেয়ারটা চলে। এটা আমাকে খুব কাজে দেয়। আমার ডায়নিং টেবিলটা খুবই সিম্পল। একদম চারটা চেয়ার। ছোট রোমান্টিক একটা জায়গা। একটা হোম স্টুডিও আছে আমার। একদম সিম্পেল সেট আপ সেটা। আমার বেড রুমে মাথার কাছে তিনটা ছবি আছে। যেটা খুব দামি না, কিন্তু আমার কাছে প্রাইসলেস। জন লেনন আমার অল টাইম ফেভারেট সিঙ্গার। আইনস্টাইন পৃথিবীর বুদ্ধিমত্তার সিম্বল। আরর আছে মেরলিন মনরোর ছবি, সৌন্দর্যের প্রতীক। আমার প্রায় প্রতিটা রুমেই বেশ আলোবাতাস। পর্দা গুলোও খুব একটা ডার্ক না। আলো আমার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ।

পিয়া জান্নাতুল

পাখির কাছে বাসাটা কত গুরুত্বপূর্ণ। সন্ধ্যা হলে আপন নীড়ে ফিরবেই। বাসা থেকে আমি যেখানেই যাই মনে হয় ট্রাভেলে আছি। স্থির শুধু বাসাতেই থাকি। বাসা আমার কাছে স্থির থাকার জায়গা। মাঝখানে মনে হয়েছিল এন্টিরিয়র দিয়ে বাসাটা সাজাই। কিন্তু সেখানে অন্য কারো ছাপ থাকবে। আমার বাসার সবকিছু সাজানো আমার মতো করেই। আমার ড্রয়িংরুমে রোমান হলিডে মুভির একটা ছবি আছে। সবাই হয়তো বাসায় এসে ভাববেন আমি অনেক মুভি দেখি। আসলে আমার হাজব্যান্ড ফারুক অনেক বেশি মুভি দেখি। ও এই ছবিটা পছন্দ করে রেখেছে। আমার ঘরের যত ফার্নিচার সব বাণিজ্যমেলা থেকে কেনা। আমার বাসার প্রতিটা ছবি এক একটা মেমোরিজ। এমন না যে ছবিগুলোতে আমাকে খুব সুন্দর লাগছে এই জন্য রাখা। ছবিগুলোর পেছনে একটা একটা বড় গল্প আছে বলে রাখা। যে গল্পগুলো আমি যখন তখন বলতে পারি। আমার বিয়ের সময় ডাউনিং টেবিলটা আমার শ্বাশুড়ি পছন্দ করে কিনে দিয়েছে। আমার কিচেনেও টিভি আছে। এটা ২১ ইঞ্চি। অনেকদিন এটা আমার সঙ্গে আছে। বাসার ৬৫ ইঞ্চি টিভির চেয়ে এটা অনেক বেশি হৃদয়ের কাছের। আমার একটা জায়গা আছে যেখানে আমার অনেক অনেক হাই হিল আছে। নেল পালিশ, চশমা- সব এক জায়গায়। কমিক ক্যারেক্টারগুলো নিয়ে একটা রুম আছে। যেটা আমার স্বামী ফারুকের।

 



মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এফডিসির সামনে মানববন্ধন

প্রকাশ: ১০:২৪ এএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরীর নেতৃত্বে গণমাধ্যমকর্মীদের উপর নারকীয় হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে সাংবাদিকরা।

গতকাল বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে বিএফডিসি'র টেলিভিশন ক্যামেরাম্যান জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের (টিসিএ) উদ্যোগে বিএফডিসি'র সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধন বক্তৃতা রাখেন বিএফইউজে'র সভাপতি ওমর ফারুক, মহাসচিব দীপ আজাদ, ডিইউজের নব-নির্বাচিত অন্যতম সভাপতি সাজ্জাদ আলম তপু, সোহেল হায়দার চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মুজতবা ধ্রব, বাচসাস'র সভাপতি রাজু আলীম, সাধারণ সম্পাদক রিমন মাহফুজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবু প্রমুখ।

এসময় বক্তারা বলেন, সাংবাদিকরা নানাক্ষেত্রে আজ নির্যাতিত। তারা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নানাভাবে বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। চলচ্চিত্রে যারা অভিনয় করে তাদের আমরা মননশীল করি। কিন্তু তারা যখন মাস্তানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন, তখন তারা সমাজে কী বার্তা দেন নারকীয় এই হামলার নেতৃত্ব দেওয়া জয় চৌধুরী শিবা শানু, ও আলেকজান্ডার বো'সহ জড়িত সবাইকে শিল্পী সমিতি থেকে সদস্যপদ বাতিলসহ আইনের আওতায় আনার দাবি জানান মানববন্ধন থেকে বক্তারা।

মানববন্ধনে আরও অংশ নেয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত বিনোদন বিটের সাংবাদিকরা।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার বিকালে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নব-নির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে শিবা শানু, জয় চৌধুরী ও আলেকজান্ডার বো'র নেতৃত্বে সাংবাদিকদের ওপর হামলা করা হয়। এতে প্রায় ২০ জন সাংবাদিক আহত হন। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৪ জন। এ ঘটনার প্রতিবাদে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিনোদন সাংবাদিকসহ নানা বিটে কর্মরত সাংবাদিকরা।

এদিকে, ঘটনার তদন্তের জন্য ১১ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। যেখানে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি ও সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে পাঁচজন করে রাখা হয়েছে। আর উপদেষ্টা হিসেবে আছেন প্রযোজক আরশাদ আদনান। দশ জনের তদন্ত কমিটিতে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে লিমন আহমেদ, রাহাত সাইফুল, আহমেদ তৌকির, বুলবুল আহমেদ জয়, আবুল কালাম এবং শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে মিশা সওদাগর, ডি এ তায়েব, নানাশাহ, রুবেল, রত্না।


সাংবাদিকদের ওপর হামলা   এফডিসি   মানববন্ধন  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

এবার বিয়ে ও বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন জয়া

প্রকাশ: ০৯:৪৯ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত ও দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। ইতোমধ্যে ঢালিউড-টালিউড মাতিয়ে অভিনয়ের দ্যুতি ছড়িয়েছেন বলিউডেও। পর্দায় ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে নিজেকে ফুটিয়ে তোলেন এই নায়িকা। সাবলীল অঙ্গভঙ্গি আর অভিনয় দক্ষতায় বরাবরই দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়ে যান তিনি।

কাজের পাশাপাশি এই অভিনেত্রীর ঘরের খবর পেতেও মুখিয়ে থাকেন দর্শক। কবে বিয়ে করছেন, কেন একা থাকেন এসব জানার খুব শখ তাদের। বরাবরই তিনি মুখে কুলুপ এঁটে ছিলেন। তবে এবার সবকিছু নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে জয়া কথা বলেছেন বিয়ে ও বিচ্ছেদ নিয়ে।

বিয়ে নিয়ে জয়া বলেন, বর্তমান জীবন খুবই এনজয় করছি। দেখুন, পরিবার তো শুধু স্বামী-স্ত্রীকেই ঘিরে নয়, অথবা পার্টনার হলেই হয় না, পরিবারে আরও অনেকেই আছে। পরিবারে মা-বাবা আছেন, আমার বাড়িতে যেসব লোক কাজ করেন, তারা আছেন। আমি খুবই এনজয় করি।

একাকী জীবনযাপন নিয়ে এ অভিনেত্রী বলেন, আমি তো কোনোকিছু পরিকল্পনা করি না। যদি মনে করি যে সিঙ্গেল থেকে ডাবল হতে চাই, দরকার আছে, তখনই হবো। তবে এই মুহূর্তে আমার কোনো পরিকল্পনা নেই। কারণ, আমি খুবই ভালো আছি, শান্তিতে আছি চারদিকে। আমার আপাতত কোনো প্ল্যান নেই।

এদিকে প্রথমবারের মতো ওয়েব সিরিজে কাজ করতে যাচ্ছেন জয়া। এটি নির্মাণ করবেন মহানগর খ্যাত নির্মাতা আশফাক নিপুণ।


জয়া আহসান  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

কবে আসছে ‘অ্যানিমাল-২, জানালেন সিনেমাটির নির্মাতা

প্রকাশ: ০৪:০১ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বহুল আলোচিত সিনেমা 'অ্যানিমাল' দেখেনি এখন খুব কম মানুষ আছে। সেই ছবিতে রণবীর কাপুরের অভিনয় মুগ্ধ করেছে সকলকেই। এই ছবির শেষেই পরিচালক দেখিয়েছিলেন যে এই সিনেমার সিক্যুয়েল আসছে। অনেকেই মুখিয়ে আছেন এই সিক্যুয়েলের জন্য, যার নাম 'অ্যানিমাল পার্ক'।

সম্প্রতি সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা জানিয়েছেন কবে আসছে সেই ছবি। সাম্প্রতিক অ্যাওয়ার্ড শোতে সিনেমাটির পরিচালক শেয়ার করেছেন, ২০২৬ সালে রণবীর কাপুর-অভিনীত 'অ্যানিমাল'-এর সিক্যুয়েলের কাজ শুরু হয়েছে। তিনি সন্দীপ রেড্ডি সিনেমাটিক ইউনিভার্সের সম্ভাবনার কথাও বলেছেন।

পুরস্কার গ্রহণ করার সময় হোস্টরা তাকে রণবীর কাপুর-অভিনীত 'অ্যানিমাল' সিক্যুয়েল 'অ্যানিমাল পার্ক' সম্পর্কে কিছু বিশদ প্রকাশ করতে বলায় তখনই তিনি জানান, ছবিটি ২০২৬ সালে ফ্লোরে যাবে।

তিনি আরও যোগ করেছেন, 'অ্যানিমাল পার্ক' আসলে 'অ্যানিমাল'-এর চেয়ে বড় এবং আরও বন্য একটি সিনেমা হবে। যদিও এমন দাবি তিনি আগেও করেছিলেন।


অ্যানিমাল   রণবির কাপুর   বলিউড   সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

আদালতের রায়: অভিভাবকত্ব পেয়ে ইতিহাস গড়লেন বাঁধন

প্রকাশ: ০৩:১১ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আবারও আদালত প্রাঙ্গণে সগর্বে উচ্চারিত হলো অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধনের নাম। বাংলাদেশের ইতিহাসে তিনিই একমাত্র মা, যিনি সন্তানের পূর্ণ অভিভাবকত্ব পেয়েছেন। বাঁধনের আগে এবং পরে এখনো কোনো নারী সন্তানের অভিভাবকত্ব পাননি।

গত সোমবারের (২২ এপ্রিল) নাবালক সন্তানের অভিভাবকত্ব নির্ধারণে নীতিমালা প্রণয়নে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আগামী ৪ আগস্টের মধ্যে এই কমিটিকে নীতিমালা দাখিল করতে। বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবারের (২২ এপ্রিল) রুলসহ এই আদেশ দেন।

অভিভাবক ও প্রতিপাল্য আইন, ১৮৯০-এর ১৯(খ) ধারা অনুসারে কোনো নাবালক সন্তানের বাবা জীবিত থাকা অবস্থায় অন্য কারো পক্ষে সেই নাবালকের অভিভাবক হওয়ার সুযোগ নেই।

আইনটির এই ধারা সংবিধান স্বীকৃত মৌলিক অধিকারের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ায় কেন তা সংবিধানের ২৬, ২৭ ও ২৮ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, এক রুলে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। এর পরই আদালত প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন আইনজীবী সারা হোসেন।

তিনি বলেন, ‘এটা অনেক বড় একটা অর্জন। বাংলাদেশে যদিও নারীরা সন্তানদের হেফাজত (কাস্টডি) পাচ্ছেন, একটি ঘটনা ছাড়া আর কাউকে অভিভাবকত্ব দেওয়া হচ্ছে না। আমাদের অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন তাঁর সন্তানের অভিভাবকত্ব পেয়েছিলেন। এর বাইরে বাংলাদেশের ইতিহাসে আর কোনো উদাহরণ নেই যে নারীরা সন্তানের অভিভাবকত্ব পাচ্ছেন।’

উচ্চ আদালতের এই রুল জারির পর ভীষণ উচ্ছ্বসিত ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ অভিনেত্রী। আজ থেকে ছয় বছর আগে (২০১৮ সালের ৩০ এপ্রিল) ঢাকার দ্বাদশ সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালতের বিচারক ইসরাত জাহান একমাত্র কন্যাসন্তান মিশেল আমানি সায়রার অভিভাবকত্ব দিয়েছিলেন বাঁধনকে।

বাঁধন বলেন, ‘আইনটা পরিবর্তনের একটা প্রক্রিয়া শুরু হলো, এটা সবচেয়ে আনন্দের। যাঁরা আপিল করেছেন তাঁদের সাধুবাদ জানাই। আমার অর্জনটা শুধু আমারই থাকুক তা চাই না, আমি চাই বাংলাদেশের সব মেয়ের অধিকার থাকুক তাঁর সন্তানের ওপর।’

তবে, ছয় বছর আগে যখন কন্যা সায়রার অভিভাবকত্ব পেয়েছিলেন, তখনো এই রায়ের মাহাত্ম্য পুরোপুরি বুঝতে পারেননি বাঁধন। সময়ের সঙ্গে এই রায়ের গুরুত্ব অনুধাবন করেছেন তিনি।

বাঁধন বলেন, ‘আমার পক্ষে যখন রায় এলো, তখন এর গুরুত্ব এতটা বুঝতে পারিনি। বাচ্চাটাকে কাছে রাখতে চেয়েছি, যেহেতু ওর সম্পূর্ণ ভরণ-পোষণ আমিই করতাম, আমি কেন ওর অভিভাবক হতে পারব না! বাচ্চার বাবা কোনো দায়িত্বই কখনো পালন করেননি। আদালতে সেটা প্রমাণও করতে পারেননি, তার জন্য আমাকে অভিভাবকত্ব দেওয়া হয়েছিল।’

অভিভাবকত্ব আইন নিয়ে দীর্ঘ লড়াই করেছিলেন তিনি। অধিকার আদায়ে লড়াই করে অর্জন করেছেন দীর্ঘ অভিজ্ঞতাও। এই আইন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘উনি (আইনজীবী সারা হোসেন) কিন্তু উল্লেখ করেছেন, সাধারণত মাকে কাস্টডি দেওয়া হয়, শারীরিক জিম্মা যেটাকে বলে। বাবা বেঁচে থাকতে মাকে অভিভাবকত্ব দেওয়া হয় না। যদি বাবা না পান সে ক্ষেত্রে দাদা-চাচা, এমনকি নানা-মামারা অভিভাবকত্ব পান। অনেক পরে আসে মায়ের নাম। যে কারণে আমারটা ব্যতিক্রমী একটা রায় ছিল। আমাদের প্রচলিত আইনে একটা লুপ হোল কিন্তু আছে, মাকে অভিভাবকত্ব দেওয়া যাবে, তবে যে শর্তগুলো পূরণ করতে হবে সেটা খুবই কঠিন। কাস্টডি আর অভিভাবকত্ব এক নয়। অভিভাবকত্ব পুরো ডিফারেন্ট একটা বিষয়। আমাদের আইনে বাবা ন্যাচারাল গার্ডিয়ান, অভিভাবকত্বের প্রশ্নে দূর-দূরান্ত পর্যন্ত মায়ের অস্তিত্ব নেই আসলে। এসব জায়গায় অনেক সংশোধনী আনা প্রয়োজন।’

ক্লাস ফাইভের ছাত্রী সায়রা সারাক্ষণ মায়ের আশপাশেই থাকে। প্রায়ই মা-মেয়ে একসঙ্গে দেশ-বিদেশ ঘুরতে বেরিয়ে পড়ে। মেয়েকে ঘিরেই কাজের শিডিউল করেন বাঁধন। মেয়ে এখন বড় হচ্ছে, মায়ের এই অর্জন সম্পর্কে তার কি কোনো ধারণা আছে? বাঁধন বলেন, ‘ও বুঝতে পারে।

তবে এত কিছু ওর ধারণায় নেই। শুধু জানে, ওর মা ওকে কাছে রাখার জন্য লড়াই করেছে এবং জিতেছে। এটাও জানে, তাকে কাছে রাখার জন্য তার মা সমাজ ও আইনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে গেছে। তার মা একজন ফাইটার, এটা সে এখন ভালোই বোঝে। টিচাররা, আশপাশের সবাই যখন ওর সামনে এসব বলে, তখন ও বুঝতে পারে মা ওর জন্য কী করেছে। তবে বিষয়টার গুরুত্ব ওর বোঝার জন্য অনেক কঠিন। সেই ক্ষমতা এখনো তার হয়নি।’


উচ্চ আদালত   আজমেরী হক বাঁধন  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

শিল্পীরা সন্ত্রাসীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারে না: রিয়াজ

প্রকাশ: ০২:১৭ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সদ্যই সম্পন্ন হয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) প্রাঙ্গণে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। এই নির্বাচনে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান ছিল। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে সাংবাদিক ও ইউটিউবারদের ওপর হামলার ঘটনায় আহত হয়েছেন কয়েকজন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিএফডিসিতে শিল্পী সমিতির সদস্য শিবা শানুর সঙ্গে এক সাংবাদিকের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বিষয়টি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। তখন আশপাশে থাকা উপস্থিত সাংবাদিকরা সেখানে এগিয়ে গেলে বাগবিতণ্ডা হয়। এরপরই সাংবাদিক ও ইউটিউবারদের ওপর হামলা চালানো হয়।

এদিকে বিএফডিসির মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা তাৎক্ষণিক ছড়িয়ে পড়লে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় উঠে। নানা শ্রেণি-পেশার মানুষরা ঘটনাটিকে চরম ন্যক্কারজনক বলে অভিহত করেন। একইসঙ্গে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।

অন্যদিকে চিত্রনায়ক রিয়াজও এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে এক স্ট্যাটাস লিখেন এই তারকা। স্ট্যাটাসে বলেন, ‘প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা, একজন চলচ্চিত্র শিল্পী হিসেবে আজকে আমি লজ্জিত ও আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আমি আপনাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’

এ নায়ক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আজ বিএফডিসিতে যে ঘটনা ঘটেছে সেটি কোনোভাবেই প্রত্যাশিত নয়। যদিও আমি ঘটনার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলাম না। সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন অনলাইন গণমাধ্যম থেকে জানতে পেরেছি।

তিনি বলেন, সাংবাদিক ভাইয়েরা আমাদের কাজের সঙ্গে দর্শকদের মেলবন্ধন তৈরি করেন। তাদের বিএফডিসির ভেতরে নির্মমভাবে পেটানো হয়েছে, যা চরম ন্যক্কারজনক। এ ঘটনার বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখে খারাপ লাগছে। চলচ্চিত্র শিল্পী ও সন্ত্রাসীর মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। শিল্পীরা কখনো সন্ত্রাসীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারে না। আমি আহত সাংবাদিক ভাই-বোন ও তাদের পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করছি। এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই’।

এছাড়া এ ঘটনায় চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন সাংবাদিকরা। এই সময়ের মধ্যে বিষয়টি সমাধান না হলে শিল্পী সমিতির সব ধরণের সংবাদ প্রচার থেকে বিরত থাকবেন সাংবাদিকরা।

এ ব্যাপারে নবনির্বাচিত কমিটির সভাপতি মিশা সওদাগর জানিয়েছেন, গণমাধ্যমকর্মীরা যে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন সেটি তারা মেনে নিয়েছেন।

আজ বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল থেকে আল্টিমেটামটি কার্যকর হবে। একইসঙ্গে এদিন থেকে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করবে শিল্পী সমিতি। হামলার শিকার সাংবাদিকদের চিকিৎসাভার নিয়েছে সংগঠনটি।

আর এ ঘটনায় যেসব কর্মীদের যন্ত্রাংশের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তার জন্য ক্ষতিপূরণ দেবে সমিতি।


চিত্রনায়ক রিয়াজ   বিএফডিসি   চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন