কালার ইনসাইড

বিখ্যাত ছবির স্মরণীয় গল্প

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:৩৫ পিএম, ১২ অগাস্ট, ২০২০


Thumbnail

একাধিক কালজয়ী সিনেমা পেয়েছি স্বাধীনতার পর থেকে। কিছু সিনেমার নাম জানলেও পেছনের অনেক গল্প থাকে অজানা। এমন কয়েকটি সিনেমার পেছনের গল্প বলেছেন সংশ্লিষ্ট কলাকুশলীরা।

‘সুজন সখী’র নায়ক ফারুক

নারায়ণ ঘোষ মিতার ‘লাঠিয়াল’-এর শুটিংয়ে একদিন খান আতা ভাই এলেন। তখন একটি নাটকীয় দৃশ্যের শুটিং চলছিল। শট শেষ হলে আমাকে বসিয়ে ‘সুজন সখী’র কথা বললেন। যেদিন ‘সুজন সখী’র শুটিং শুরু হলো সেদিন আমাকে আর কবরী ম্যাডামকে নিজের গাড়িতে করে স্পটে নিয়ে গেলেন। গাড়িতে আবারও গল্পে গল্পে ছবির চরিত্রগুলো এমনভাবে বললেন আতা ভাই, মনে মনে আমি সুজন হয়ে গেলাম। শুটিংয়ে উপচেপড়া মানুষের ভিড় সামলাতে পুলিশ লাঠিপেটা করার সময় আমিও হাতে ব্যথা পাই। কবরী ম্যাডাম তখন সুপারস্টার। ওনার সঙ্গে আমাকে দর্শক কেমন গ্রহণ করে সেটা দেখার জন্য ভয়ে ভয়ে হলে গিয়েছিলাম। শেষ দৃশ্যে আমরা যখন নিশ্চিত মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়ে, তখন দর্শক আহ, ইশ শব্দ করে আফসোস করত। খান আতা ভাই খুব কষ্ট করে সিনেমাটা বানান। পারিশ্রমিক বাবদ আমাকে পাঁচ হাজার টাকা আর একটা হূদয়কাড়া চিঠি দিয়েছিলেন। এই ছবি আমাকে কুফা, অপয়া হিরো থেকে হিট বানিয়ে দিল। ‘সুজন সখী’সহ অনেক ছবিতেই আমাকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে, কিন্তু দর্শকের ভালোবাসা থেকে তো বঞ্চিত করা যায়নি! জীবনে এমন অনেক ভক্ত পেয়েছি যারা আমাকে বলেছে, তাদের মা-বাবা হলে গিয়ে বারবার ছবিটি দেখেছে। পণ করেছে, ছেলে হলে নাম রাখবে সুজন। এমন অনেক সুজনকেই আমি দেখেছি।

‘রংবাজ’এর গাজী মাজহারুল আনোয়ার

‘রংবাজ’-এর গান লেখার মিষ্টি মিষ্টি গল্প আছে। আমি হাঁস খেতে খুব পছন্দ করতাম। একদিন মা আমাকে কুমিল্লায় যেতে বললেন। গিয়ে দেখি পাঁচটি হাঁস রান্না করেছেন। হঠাত্ ঢাকা থেকে সংগীত পরিচালক আনোয়ার পারভেজের ফোন। ‘রংবাজ’-এর গান লেখার জন্য ঢাকায় ফিরতে হবে। দুই দিনের মধ্যেই শুটিং। বললাম, এ সময়ের মধ্যে সম্ভব নয়। ‘সে যে কেন এলো না কিছু ভালো লাগে না’—গানটি টেলিফোনেই দিলাম। সবাই পছন্দ করলেন; কিন্তু কবরী বেঁকে বসলেন। তিনি ভাবলেন, যেহেতু আমি একসঙ্গে বসে গানটি লিখিনি, তার মানে তাড়াহুড়া করে লিখেছি। তাঁর সঙ্গে দারুণ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল বিধায় টেলিফোনেই মিষ্টি তর্ক হলো। বললাম, আপনি শুটিং করেন, খারাপ লাগলে আমরা দেব না। পরে তো এই গান সবারই পছন্দের হয়ে গেল। ‘হই হই রঙিলা’ গানটি নিয়েও উনি শর্ত দিয়ে বসলেন। তখন শীতকাল। আমি যেহেতু বৃষ্টিতে ভেজার গান লিখেছি, শুটিংয়ের সময় আমাকেও থাকতে হবে। এমনি নানা হাস্যরসের মধ্য দিয়েই ছবির গানগুলো তৈরি হয়েছিল। তখন সিনেমা ছিল টিমওয়ার্ক। সবাই সবাইকে বুঝতেন। ছবিটির সব গানই লিখেছিলাম আমি। তখনকার সময়ের আধুনিক ছবি ‘রংবাজ’ গানেও আধুনিকত্ব আনার চেষ্টা ছিল। আমরা সফল হয়েছিলাম বলেই গানগুলো এখনো বেঁচে আছে।

‘আলোর মিছিল’ এর সুজাতা

‘আলোর মিছিল’-এর মতো সিনেমায় অভিনয়ের সুযোগ পেয়ে আমি খুব তৃপ্ত ছিলাম সেই সময়। নারায়ণ ঘোষ মিতা বড় মাপের পরিচালক ছিলেন। বড় বড় অভিনেতা-অভিনেত্রীরা এ ছবিতে অভিনয় করেন। আজিম সাহেবের পর রাজ্জাকের সঙ্গে আমার বেশ কিছু সিনেমা হিট হয়। ‘আলোর মিছিল’ও সেই রকম সফল একটি সিনেমা। ছবিতে আমার চরিত্রের নাম দিনা। মজুদদার বাবার বিরুদ্ধে আমি অন্যায়ের প্রতিবাদ করি।

এ ছবিতে ববিতাও অভিনয় করেছে। দুই নায়িকা কাজ করলে নাকি প্রতিযোগিতা হয়, তেমন কিছুই ছিল না আমাদের মধ্যে। ও আমার জুনিয়র, শুটিংয়ের সময় তাই স্নেহই করতাম।

‘আলোর মিছিল’এর ববিতা

রাজ্জাক সাহেবের সঙ্গে রোমান্টিক নায়িকা হিসেবে কিছু ছবি হিট করার পর ‘আলোর মিছিল’-এর অফার এলো। গল্পটা ‘আলো’ নামের এক মেয়েকে ঘিরে। সব ইমোশন তাকে নিয়ে, কিন্তু ছবিতে রাজ্জাক সাহেবের সঙ্গে রোমান্টিক পেয়ার হলেন সুজাতা ম্যাডাম। আমি গল্পে রাজ্জাক সাহেবের ভাগ্নি। আমাকে নিয়ে তখন ইন্ডাস্ট্রিতে যাঁরা লগ্নি করছেন বা যাঁরা আমার বন্ধু, সবাই চাইলেন আমি যেন ছবিটা ‘না’ করি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সুন্দর গল্প, সুন্দর চরিত্রে অভিনয়ের ইচ্ছারই জয় হলো।

নারায়ণ ঘোষ মিতা যখন সিকোয়েন্সগুলো অভিনয় করে দেখাতেন, বুকের ভেতরটা মোচড় দিয়ে উঠত। এ জন্যই এসব ছবি করার সময় গ্লিসারিন লাগত না। আমার একটা সংলাপ খুব জনপ্রিয় হয়েছে ‘চা গরম চা গরম।’ ক্লাসিক্যাল নাচ শিখতে হয়েছিল এ ছবির জন্য।

দর্শক ছবিটা কিভাবে নেয় তা দেখার জন্য বোরকা পরে গিয়েছিলাম ‘মধুমিতা’য়। আলো যখন মারা যায়, দর্শককে দেখেছি হাউমাউ করে কাঁদতে।

যাঁরা ছবিটি করতে মানা করেছিলেন তাঁরা সবাই পরে আমাকে সাধুবাদ জানিয়েছিলেন। কারণ এ ছবির পরও রাজ্জাক ভাইয়ের সঙ্গে আমার রোমান্টিক ছবি হিট হয়েছে। অর্থাত্ দর্শক গল্প এবং চরিত্রই দেখে। সেই সময় এ ধরনের সিনেমাই করতে চেয়েছিলাম। পারিশ্রমিক নিয়ে ভাবতাম কম। অর্থই সব কিছু নয়। ‘আলোর মিছিল’ আমার প্রিয় সিনেমাগুলোর একটি।

‘নয়নমনি’র এ টি এম শামসুজ্জামান

‘নিরক্ষর স্বর্গে’ উপন্যাসের কাহিনী নিয়ে আমজাদ ভাই ‘নয়নমনি’ বানাচ্ছেন শুনে খুশি হয়েছিলাম, কারণ এই গল্পে যে সিনেমা ব্যাপারটা আছে একদিন আমিই তাঁকে বলেছিলাম। আর ভাবলাম সহকারী পরিচালনার কাজটি পেলে ১৫০ টাকার একটা ব্যবস্থা হয়। আমাকে অবাক করে দিয়ে মোড়ল চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব করলেন আমজাদ। আমি তো করবোই না! আনোয়ার হোসেনের সম্মানী সেই সময় ছয় হাজার, আমিও ছয় হাজার চেয়ে বসলাম, যাতে আমাকে না নেয়। আমজাদ বললেন, এক হাজার টাকা দেবেন, তাতেই করতে হবে। অগ্রিম দিলেন ৫০০ টাকা। সেই টাকা পকেটে নিয়ে আমি অভিনয়ের ভয়ে কাঁদতে কাঁদতেই বাড়ি গেলাম। শুটিংয়ের দিন মেকআপম্যান শাজাহান আমাকে একটা কৃত্রিম আচিল মুখে লাগিয়ে দিয়ে বললেন, এটা যত্নে রাখবেন। আচিলটি লাগিয়ে গোলাম মোস্তফা ভাই ‘প্রীত জানে না রীত’-এ পরে সফল হয়েছিলেন। প্রথম শুটিং ছিল গ্রামে একটা লাশ দাফন করতে দেবে না মোড়ল। নয়নকে তখন বলে দিতে হবে, আমি বলি তুই কেডারে? এই ছবির একটা মজার ঘটনা আছে। শেষভাগে মনিকে নিয়ে পালানোর সময় আমি সুজনকে গুলি করতে যাই। মনি ধাক্কা দিয়ে আমাকে নদীতে ফেলে দেয়। শুটিংয়ের সময় শীতকালে কালীগঙ্গা নদীতে পড়ে আমি রীতিমতো কাঁপতে থাকি। আমাকে কেউ একজন ব্র্যান্ডি খাইয়ে দেয়। ছবি মুক্তির পর দেখি সবাই মোড়লকে খুঁজছে। এমন ঘটনাও আছে শুটিং স্পটে আমাকে দেখলেই গ্রামের মহিলারা নানা কটু কথা বলত। দুশ্চরিত্র মোড়ল আর আমি যে এক নই এটা তারা মানতে চাইত না।

‘সীমানা পেরিয়ে’র কাজী হায়াৎ

আমি তখন পরিচালক মমতাজ আলীর সহকারী। তিনি নতুন ছবি করছিলেন না বলে কাজ খুঁজছিলাম। আলমগীর কবিরই আমাকে ‘সীমানা পেরিয়ে’ ছবির সঙ্গে যুক্ত হতে বললেন। খোলাখুলিভাবেই বললেন, দুজন সহকারী রাখা তাঁর পক্ষে সম্ভব না, আমাকে তাই বেশ পরিশ্রম করতে হবে। তাঁর সঙ্গে কাজ করার তীব্র আগ্রহ ছিল বলেই রাজি হয়ে গেলাম। কক্সবাজারে শুটিংয়ের দিনগুলো দারুণ কেটেছিল। সে সময় নেগেটিভ সংকট ছিল, রাত-দিন একাকার করে সম্পাদনার কাজ করতে হয়েছিল। এরপর তাঁর সঙ্গে কিছু তথ্যচিত্রের কাজও করেছিলাম। মাসে ২০০ টাকা করে দিতেন। এরপর মমতাজ আলী আবার ছবি শুরু করলে তাঁর কাছে ফিরে যাই। তবে আলমগীর কবিরের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। আলমগীর কবিরের জানাশোনা এত বেশি, তাঁকে দেখলে মনে হতো আমরা মনে হয় কোনো দিনই সিনেমা বানাতে পারব না। আমি তাঁর গুণমুগ্ধ। ‘সীমানা পেরিয়ে’ আমার কাছে নান্দনিক একটি সিনেমা। আমার ‘দায়ী কে’ জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার পর দেখা করতে গিয়েছিলাম তাঁর অফিসে। অভিনন্দন জানিয়ে আমাকে কিছু কষ্টের কথা বলেছিলেন সেদিন। ভালো ছবি নির্মাণের জন্য প্রচুর ঋণ করেছিলেন। ছবিগুলো ব্যবসা না করায় অনেকেই তাঁকে ভুল বুঝেছেন। যে স্বপ্ন নিয়ে দেশে ফিরেছিলেন তার অনেক কিছুই পূরণ করতে পারেননি।



মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

বুবলীর উপযুক্ত চিকিৎসার দরকার, বললেন অপু বিশ্বাস

প্রকাশ: ০৬:১৮ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ঢালিউড প্রাঙ্গণের সুপারস্টার খ্যাত শাকিব খানের সাথে শবনম বুবলী ও অপু বিশ্বাসের গভীর সম্পর্কের কথা এখন সবার মুখে মুখে। দুজনই ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানের সাবেক ঘরনি ও অভিনেতার দুই সন্তানের মা। ভিন্ন মেরুতে অবস্থান করলেও মাঝেমধ্যেই অপু-শাকিব-বুবলী এই ত্রয়ীর সমীকরণ নিয়ে চর্চা উঠে আসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। খবরের শিরোনাম হন তারা।
 
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে শাকিব খানের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে নানা কথা বলেছেন বুবলী।  বলছেন, 'আইনগতভাবে আমি এখনো শাকিব খানের বৈধ স্ত্রী। তার সঙ্গে কোয়ালিটি টাইম পার করি, আমাদের সন্তান অনেক সময় সে সুযোগটাও করে দেয়।'

বুবলীর বক্তব্য প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে হেসে দেন অপু বিশ্বাস। হাসতে হাসতে তিনি বলেন, ‘শাকিবকে নিয়ে তার এত এত মন্তব্যে আমি ভাষা হারাচ্ছি, আবেগাপ্লুত হচ্ছি। আমি কী বলব, বুঝতে পারছি না।’

সম্প্রতি গণমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে অপু বিশ্বাস বলেন, ‘আমি একজন নারী হিসেবে বলব, উনি যথার্থ সম্মানীয় মানুষ। প্রতিটি মানুষের তার নিজের কাছে সম্মানের জায়গা খোঁজেন। তিনিও এতটা সময় ধরে তার ক্যারিয়ারের ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। তবে আমার মনে হয় নিজের প্রচারের স্বার্থে অন্যকে ব্যবহার করে নিজের ব্যক্তিত্ব বিলিয়ে দেয়াটা বুদ্ধিমানের লক্ষণ নয়। আর যদি এটাই সে মনে করে, তাহলে তার উপযুক্ত চিকিৎসার দরকার।’
 
তিনি আরও বলেন, ‘এই যে উনি শাকিবের একের পর এক হাঁড়ির খবর দিচ্ছেন, কিন্তু আমি কোনো হাঁড়ি খুঁজে পাচ্ছি না। কিন্তু মজার মজার খবর পাচ্ছি তার মুখ থেকে। এ ব্যাপারে আর কি-ই-বা বলব। ওনার মনে হয় ডাক্তার দেখানো উচিত।’
 
সবশেষে অপু বলেন, ‘এখন আমরা একটা পর্যায়ে আছি। আমাদের কথাবার্তা যেন যথাযথ হয়, খেয়াল রাখা উচিত। এখন এসব কথা হাস্যকর মনে হয়। অতি ভক্তি চোরের লক্ষণ। আমি মনে করি ওনার সুস্থ থাকা দরকার।’


অপু বিশ্বাস   শবনম বুবলী   শাকিব খান  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

তামান্না ভাটিয়াকে ভারতীয় সাইবার সেলে তলব

প্রকাশ: ০৪:০৪ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির আলোচিত অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়া এখন বলিউডেরও পরিচিত মুখ। বেশ দাপুটের সঙ্গে কাজ করছেন তিনি। ক্যারিয়ারে দুর্দান্ত সময় পার করছেন। কিন্তু এরই মধ্যে বিপাকে পড়লেন এ তারকা। তাকে তলব করেছে ভারতের মহারাষ্ট্র সাইবার সেল।

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সাইবার সেলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মহাদেব অনলাইন গেমিং এবং বেটিং অ্যাপ্লিকেশনের একটি সহায়ক অ্যাপে আইপিএল ম্যাচ দেখার জন্য কথিত প্রচারের জন্য তলব করা হয়েছে তামান্নাকে।

দক্ষিণী এই নায়িকাকে আগামী ২৯ এপ্রিল মহারাষ্ট্র সাইবার সেলে হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়েছে। সেখাতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। 

এর আগে, গত বছরও কিছু আইপিএল ম্যাচ অ্যাপে অবৈধভাবে স্ট্রিম করা হয়েছিল। এ ব্যাপারে একটি অভিযোগও রয়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সেই মামলায় সাক্ষী হিসেবে তার বক্তব্য রেকর্ড করার জন্য ডাকা হয়েছে।

ইতোমধ্যে এ মামলায় মহারাষ্ট্র সাইবার সেল গায়ক বাদশা, অভিনেতা সঞ্জয় দত্ত ও জ্যাকলিন ফার্নান্দেজের ম্যানেজারদের বক্তব্য নিয়েছে। আর মহাদেব অ্যাপটি অবৈথ অর্থ লেনদেন এবং বাজি ধরার জন্য বিভিন্ন তদন্ত সংস্থার মনিটরিংয়ে রয়েছে।

প্রসঙ্গত, তামান্না ভাটিয়া ‘বাহুবলী’ এবং নেটফ্লিক্স অ্যান্থলজি ‘লাস্ট স্টোরিজ-২’ এর জন্য দর্শকমহলে বহুল পরিচিত।


তামান্না ভাটিয়া   ভারতীয় সাইবার সেল   বলিউড  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

বাংলাদেশের 'নীল জোছনা' সিনেমায় পাওলি দাম

প্রকাশ: ১০:২২ এএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশের সরকারি অনুদানের 'নীল জোছনা' সিনেমায় অভিনয় করবেন ভারতের অভিনেত্রী পাওলি দাম। 

মোশতাক আহমেদের প্যারাসাইকোলজি বিষয়ক উপন্যাস 'নীল জোছনার জীবন' অবলম্বনে নির্মিত হবে সিনেমাটি।

সিনেমার প্রধান নারী চরিত্রে দেখা যাবে অভিনেত্রী পাওলি দামকে। তার বিপরীতে কে থাকছেন সেটা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। 

গত বুধবার (২৪ এপ্রিল) পাওলির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তি করেন নির্মাতা ফাখরুল আরেফীন খান।

তিনি বলেন, 'প্রায় ৬ বছর আগে 'নীল জোছনা' সিনেমার কাজ শুরু করেছিলাম। এরপর ২০১৯ সালে করোনা এবং আমার আরেকটি সিনেমার কারণে কাজটি বন্ধ ছিল।

এরপর আবার গত বছরের শুরু থেকে কাজ শুরু করি। সিনেমার দৃশ্যধারণ শুরু হবে মে মাসের শেষ দিকে।' 


পাওলি দাম   নীল জোছনা  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এফডিসির সামনে মানববন্ধন

প্রকাশ: ১০:২৪ এএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরীর নেতৃত্বে গণমাধ্যমকর্মীদের উপর নারকীয় হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে সাংবাদিকরা।

গতকাল বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে বিএফডিসি'র টেলিভিশন ক্যামেরাম্যান জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের (টিসিএ) উদ্যোগে বিএফডিসি'র সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধন বক্তৃতা রাখেন বিএফইউজে'র সভাপতি ওমর ফারুক, মহাসচিব দীপ আজাদ, ডিইউজের নব-নির্বাচিত অন্যতম সভাপতি সাজ্জাদ আলম তপু, সোহেল হায়দার চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মুজতবা ধ্রব, বাচসাস'র সভাপতি রাজু আলীম, সাধারণ সম্পাদক রিমন মাহফুজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবু প্রমুখ।

এসময় বক্তারা বলেন, সাংবাদিকরা নানাক্ষেত্রে আজ নির্যাতিত। তারা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নানাভাবে বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। চলচ্চিত্রে যারা অভিনয় করে তাদের আমরা মননশীল করি। কিন্তু তারা যখন মাস্তানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন, তখন তারা সমাজে কী বার্তা দেন নারকীয় এই হামলার নেতৃত্ব দেওয়া জয় চৌধুরী শিবা শানু, ও আলেকজান্ডার বো'সহ জড়িত সবাইকে শিল্পী সমিতি থেকে সদস্যপদ বাতিলসহ আইনের আওতায় আনার দাবি জানান মানববন্ধন থেকে বক্তারা।

মানববন্ধনে আরও অংশ নেয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত বিনোদন বিটের সাংবাদিকরা।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার বিকালে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নব-নির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে শিবা শানু, জয় চৌধুরী ও আলেকজান্ডার বো'র নেতৃত্বে সাংবাদিকদের ওপর হামলা করা হয়। এতে প্রায় ২০ জন সাংবাদিক আহত হন। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৪ জন। এ ঘটনার প্রতিবাদে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিনোদন সাংবাদিকসহ নানা বিটে কর্মরত সাংবাদিকরা।

এদিকে, ঘটনার তদন্তের জন্য ১১ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। যেখানে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি ও সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে পাঁচজন করে রাখা হয়েছে। আর উপদেষ্টা হিসেবে আছেন প্রযোজক আরশাদ আদনান। দশ জনের তদন্ত কমিটিতে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে লিমন আহমেদ, রাহাত সাইফুল, আহমেদ তৌকির, বুলবুল আহমেদ জয়, আবুল কালাম এবং শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে মিশা সওদাগর, ডি এ তায়েব, নানাশাহ, রুবেল, রত্না।


সাংবাদিকদের ওপর হামলা   এফডিসি   মানববন্ধন  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

এবার বিয়ে ও বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন জয়া

প্রকাশ: ০৯:৪৯ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত ও দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। ইতোমধ্যে ঢালিউড-টালিউড মাতিয়ে অভিনয়ের দ্যুতি ছড়িয়েছেন বলিউডেও। পর্দায় ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে নিজেকে ফুটিয়ে তোলেন এই নায়িকা। সাবলীল অঙ্গভঙ্গি আর অভিনয় দক্ষতায় বরাবরই দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়ে যান তিনি।

কাজের পাশাপাশি এই অভিনেত্রীর ঘরের খবর পেতেও মুখিয়ে থাকেন দর্শক। কবে বিয়ে করছেন, কেন একা থাকেন এসব জানার খুব শখ তাদের। বরাবরই তিনি মুখে কুলুপ এঁটে ছিলেন। তবে এবার সবকিছু নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে জয়া কথা বলেছেন বিয়ে ও বিচ্ছেদ নিয়ে।

বিয়ে নিয়ে জয়া বলেন, বর্তমান জীবন খুবই এনজয় করছি। দেখুন, পরিবার তো শুধু স্বামী-স্ত্রীকেই ঘিরে নয়, অথবা পার্টনার হলেই হয় না, পরিবারে আরও অনেকেই আছে। পরিবারে মা-বাবা আছেন, আমার বাড়িতে যেসব লোক কাজ করেন, তারা আছেন। আমি খুবই এনজয় করি।

একাকী জীবনযাপন নিয়ে এ অভিনেত্রী বলেন, আমি তো কোনোকিছু পরিকল্পনা করি না। যদি মনে করি যে সিঙ্গেল থেকে ডাবল হতে চাই, দরকার আছে, তখনই হবো। তবে এই মুহূর্তে আমার কোনো পরিকল্পনা নেই। কারণ, আমি খুবই ভালো আছি, শান্তিতে আছি চারদিকে। আমার আপাতত কোনো প্ল্যান নেই।

এদিকে প্রথমবারের মতো ওয়েব সিরিজে কাজ করতে যাচ্ছেন জয়া। এটি নির্মাণ করবেন মহানগর খ্যাত নির্মাতা আশফাক নিপুণ।


জয়া আহসান  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন