নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:২৪ পিএম, ১০ ডিসেম্বর, ২০১৭
তথ্যপ্রযুক্তি কাজের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের জন্য দেশের দক্ষিণাঞ্চলের যশোরে গড়ে তোলা হয়েছে শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক। রোববার বেলা একটায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে হাইটেক পার্কটির উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তথ্যপ্রযুক্তিকে তৃণমূল পর্যায়ে নিয়ে যেতেই আমরা দেশে এমন হাইটেক পার্ক নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিই। আমরা সবসময় চেয়েছি প্রযুক্তিকে দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিতে। এর উন্নয়নের সুফল প্রতিটি মানুষের কাজে লাগাতে।
আরো বলেন, যশোর সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক শুধু নয়, আমরা প্রতিটি জেলায় পর্যায়ক্রমে এমন প্রযুক্তিভিত্তিক হাইটেক পার্ক গড়ে তুলবো। এসব হাইটেক পার্কে যেসব তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে কাজ করা হবে সেগুলো রপ্তানি করা হবে।
পার্কটি উদ্বোধন উপলক্ষে তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বঙ্গবন্ধু বলতেন ঢাকা মানেই বাংলাদেশ নয়। সেই কথাটিকে সত্য করতেই তার কন্যা শেখ হাসিনা দেশের বিভিন্ন জায়গায় তথ্যপ্রযুক্তিকে ছড়িয়ে দিচ্ছেন। তিনিও ভোলার চর কুকরি-মুকরির এক ইউনিয়নের মাধ্যমেই দেশে ডিজিটাল ইউনিয়ানের কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। এছাড়াও যশোরকে প্রথম ডিজিটাল জেলা ঘোষণা করেছিলেন।
২০১০ সালের ২৭ ডিসেম্বর দক্ষিণ বঙ্গকে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সম্পৃক্ত করতে যশোরের জনসমাবেশে যশোরে একটি আইটি পার্ক নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলেন সেটি আজ খুলে দেওয়া হলো।
পার্কটির প্রকল্প পরিচালক তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের যুগ্ম সচিব জাহাঙ্গীর আলম জানান, শেখ হাসিনা সফটওয়্যার পার্কটিতে ইতোমধ্যে ৫৫টি প্রতিষ্ঠানকে জায়গা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যেখানে কাজ শুরু করেছে পাঁচটি প্রতিষ্ঠান। এখন ১২ প্রতিষ্ঠান তাদের অফিস সজ্জার কাজ করছে। অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এর আগে ৫ অক্টোবর সফটওয়্যার পার্কে চাকরি মেলা করেছিল তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ। সেখানে ৩০টি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। হাজার হাজার তরুণ এদিন পার্কে চাকরির জন্য তাদের জীবনবৃত্তান্ত জমা দেন। সেখান থেকে বাছাই করে প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের পছন্দের প্রার্থীদের চাকরি দেবে। পার্কটিতে সবমিলিয়ে প্রায় ১২ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে।
এই সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কটি নির্মিত হয়েছে যশোর শহরের বেজপাড়া শংকরপুর এলাকায়। ১৫ তলা বিশিষ্ট ভবনটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৩০৫ কোটি টাকা। মোট জায়গার পরিমাণ দুই লাখ ৩২ হাজার বর্গফুট। প্রতিটি ফ্লোরে ১৪ হাজার বর্গফুটের জায়গা রয়েছে।
বাংলা ইনসাইডার/ এসএইচ/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন